অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস। সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস তিনটি পর্যায়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তিন পর্যায়ের প্রতিটি ৪২ দিন স্থায়ী হবে।
হামাসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হামাস আন্দোলনের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান মুজাহিদ ভাই ইসমাইল হানিয়েহ কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং মিসরীয় গোয়েন্দা মন্ত্রী আব্বাস কামেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। হামাসের অবস্থান সম্পর্কে তিনি তাঁদের অবহিত করেছেন। যুদ্ধবিরতি চুক্তি সংক্রান্ত তাঁদের প্রস্তাবে হামাস সম্মত হয়েছে।
নেটজারিম করিডোর থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে শুরু হবে। এই করিডরের মাধ্যমে ইসরায়েল উত্তর এবং দক্ষিণ গাজাকে বিভক্ত করেছে।
দ্বিতীয় ধাপে সামরিক অভিযান স্থায়ীভাবে বন্ধ এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আর তৃতীয় ধাপে গাজা অবরোধের অবসান রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ওয়াশিংটন যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আপাতত মন্তব্য করবে না। তাঁরা পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন।
মিলার বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, হামাস একটি বিবৃতি জারি করেছে। আমরা এখন সেই বিবৃতি পর্যালোচনা করছি এবং আমাদের আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করছি।’
হামাস মার্কিন–অনুমোদিত প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে নাকি প্রস্তাবের ভিন্ন সংস্করণে রাজি হয়েছে তা বলতে অস্বীকৃতি জানান মিলার।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, (সিআইএ) পরিচালক বার্নস এই অঞ্চলে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। আমরা আগামী কয়েক ঘণ্টায় আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করব।’ তবে যুদ্ধবিরতিই মার্কিন প্রশাসনের অগ্রাধিকার বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিকে ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেনগাভির হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হামাস ‘গেম’ খেলছে। এর একটিই জবাব, ‘রাফাহ দখল।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেন, ‘সামরিক চাপ বাড়ানো এবং হামাসের সম্পূর্ণ পরাজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখা।’
বেনগাভির ইসরায়েলি সরকারের সেসব শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন যিনি নেতানিয়াহুর মতোই ‘হামাসকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত না করা পর্যন্ত গাজায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার’ আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো না হলেও, হামাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বল এখন ইসরায়েলের কোর্ট।
হামাসের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গাজার রাস্তায় ফিলিস্তিনিরা নেমে পড়েছেন। তাঁরা উল্লাস করছেন। এখন এ ব্যাপারে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষা।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট পর্যালোচনা টিম এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে হামাসের সম্মত হওয়ার বিষয়টি মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে জেনেছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস। সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস তিনটি পর্যায়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তিন পর্যায়ের প্রতিটি ৪২ দিন স্থায়ী হবে।
হামাসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হামাস আন্দোলনের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান মুজাহিদ ভাই ইসমাইল হানিয়েহ কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং মিসরীয় গোয়েন্দা মন্ত্রী আব্বাস কামেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। হামাসের অবস্থান সম্পর্কে তিনি তাঁদের অবহিত করেছেন। যুদ্ধবিরতি চুক্তি সংক্রান্ত তাঁদের প্রস্তাবে হামাস সম্মত হয়েছে।
নেটজারিম করিডোর থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে শুরু হবে। এই করিডরের মাধ্যমে ইসরায়েল উত্তর এবং দক্ষিণ গাজাকে বিভক্ত করেছে।
দ্বিতীয় ধাপে সামরিক অভিযান স্থায়ীভাবে বন্ধ এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আর তৃতীয় ধাপে গাজা অবরোধের অবসান রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ওয়াশিংটন যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আপাতত মন্তব্য করবে না। তাঁরা পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন।
মিলার বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, হামাস একটি বিবৃতি জারি করেছে। আমরা এখন সেই বিবৃতি পর্যালোচনা করছি এবং আমাদের আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করছি।’
হামাস মার্কিন–অনুমোদিত প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে নাকি প্রস্তাবের ভিন্ন সংস্করণে রাজি হয়েছে তা বলতে অস্বীকৃতি জানান মিলার।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, (সিআইএ) পরিচালক বার্নস এই অঞ্চলে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। আমরা আগামী কয়েক ঘণ্টায় আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করব।’ তবে যুদ্ধবিরতিই মার্কিন প্রশাসনের অগ্রাধিকার বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিকে ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেনগাভির হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হামাস ‘গেম’ খেলছে। এর একটিই জবাব, ‘রাফাহ দখল।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেন, ‘সামরিক চাপ বাড়ানো এবং হামাসের সম্পূর্ণ পরাজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখা।’
বেনগাভির ইসরায়েলি সরকারের সেসব শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন যিনি নেতানিয়াহুর মতোই ‘হামাসকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত না করা পর্যন্ত গাজায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার’ আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো না হলেও, হামাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বল এখন ইসরায়েলের কোর্ট।
হামাসের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গাজার রাস্তায় ফিলিস্তিনিরা নেমে পড়েছেন। তাঁরা উল্লাস করছেন। এখন এ ব্যাপারে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষা।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট পর্যালোচনা টিম এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে হামাসের সম্মত হওয়ার বিষয়টি মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে জেনেছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার, মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৪ ঘণ্টা আগে