Ajker Patrika

নতুন ওমরাহ ভিসা নীতি ঘোষণা করল সৌদি আরব, কার্যকর আগামী সপ্তাহে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৩৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দেশ থেকে ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও সুশৃঙ্খল করতে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রক ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, ওমরাহ ভিসার প্রবেশপত্রের বৈধতার সময়কাল তিন মাস থেকে কমিয়ে ইস্যু করার তারিখ থেকে মাত্র এক মাস (৩০ দিন) নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে, এই পরিবর্তনের ফলে ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি আরবে অবস্থানের মেয়াদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। সূত্রের বরাত দিয়ে সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া জানিয়েছে, ওমরাহ যাত্রীরা রাজ্যে পৌঁছানোর পর তাঁদের অবস্থানের মেয়াদ আগের মতোই তিন মাস অপরিবর্তিত থাকবে। এই নতুন নীতি আগামী সপ্তাহ থেকে কার্যকর হবে।

নতুন সংশোধিত নিয়মানুযায়ী, ভিসা ইস্যু হওয়ার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে যদি কোনো ওমরাহ যাত্রী সৌদি আরবে প্রবেশের জন্য নিবন্ধিত না হন বা প্রবেশ না করেন, তবে সেই ভিসাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। এই পদক্ষেপের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, ভিসা ব্যবস্থাপনাকে আরও সুগম করা, অপ্রত্যাশিত ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা এবং কেবল প্রস্তুত তীর্থযাত্রীরাই যেন ভিসার সুযোগ নেন, তা নিশ্চিত করা।

ন্যাশনাল কমিটি ফর ওমরাহ অ্যান্ড ভিজিট-এর উপদেষ্টা আহমেদ বাজাইফার আল-আরাবিয়াকে জানিয়েছেন, গ্রীষ্মের সমাপ্তি এবং মক্কা ও মদিনায় আবহাওয়া শীতল হওয়ায় ওমরাহ যাত্রীদের বিশাল ঢেউ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ভিড়কে সুচারুভাবে সামলানো এবং দুই পবিত্র শহরে অতিরিক্ত জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি বৃহত্তর প্রস্তুতির অংশ।

সৌদি গেজেটের তথ্যমতে, চলতি নতুন ওমরাহ মৌসুমের শুরুতে অর্থাৎ গত জুনের প্রথম দিক থেকে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ওমরাহ যাত্রীদের জন্য ৪০ লাখের বেশি ওমরাহ ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে এই রেকর্ড সংখ্যক ভিসা প্রদান পূর্ববর্তী মৌসুমগুলোর পরিসংখ্যানকে উল্লেখযোগ্যভাবে ছাড়িয়ে গেছে।

এর আগে পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে গত মাসে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় একটি ঘোষণা দেয়। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানায়, এখন থেকে সকল প্রকার ভিসাধারী—যার মধ্যে ব্যক্তিগত, ফ্যামিলি ভিজিট, ইলেকট্রনিক ট্যুরিস্ট, ট্রানজিট এবং ওয়ার্ক ভিসাও অন্তর্ভুক্ত—সবাই সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের জন্য অনুমতি পাবেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য অনুযায়ী ওমরাহ যাত্রীদের জন্য প্রক্রিয়া সহজ করা এবং ওমরাহ পরিষেবাগুলোতে প্রবেশাধিকার ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় ওমরাহ যাত্রীদের জন্য ‘নুসুক ওমরাহ প্ল্যাটফর্ম’ ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী ওমরাহ প্যাকেজ বুকিং দিতে, ইলেকট্রনিকভাবে (অনলাইনে) ওমরাহ পালনের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে এবং নিজেদের সুবিধামতো সময় বেছে নিতে পারেন। এই সমন্বিত ডিজিটাল ব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের জন্য ওমরাহ পালনকে আরও সহজ, প্রবেশগম্য এবং আধুনিক করবে বলে আশা করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

নতুন ওমরাহ ভিসা নীতি ঘোষণা করল সৌদি আরব, কার্যকর আগামী সপ্তাহে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তানজানিয়ায় নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় ৭০০ নিহতের দাবি, জাতিসংঘ বলছে ১০

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গত বুধবার তানজানিয়ার দার এস সালামে সহিংস বিক্ষোভ চলাকালে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
গত বুধবার তানজানিয়ার দার এস সালামে সহিংস বিক্ষোভ চলাকালে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবারের নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ রয়েছে—এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে।

আজ শুক্রবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চাদেমা দলের মুখপাত্র জন কিতোকা বলেন, দার এস সালামে প্রায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মওয়ানজায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। দেশজুড়ে এই সংখ্যা যোগ করলে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৭০০।

কিতোকা জানান, দলের সদস্যরা দেশজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করে এ তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এএফপি জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তা সূত্র থেকেও একই ধরনের তথ্য পেয়েছে।

তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এসব তথ্য যাচাই করতে পারেনি। তানজানিয়া সরকারও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করেনি, শুধু বলেছে—দেশে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার পর ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়’ নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র সেইফ মাগাঙ্গো আজ জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা বাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ না করে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।’

এর আগে গত বুধবার তানজানিয়ার বাণিজ্যিক শহর দার এস সালামে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। এ শহরে ৭০ লাখের বেশি মানুষের বাস। ওই দিন নির্বাচনে প্রধান দুই বিরোধী দলকে অংশ নিতে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ নাগরিকেরা রাস্তায় নেমেছিলেন। বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি যানবাহন, একটি পেট্রলপাম্প ও কয়েকটি থানায় আগুন ধরিয়ে দেন।

প্রথম দিনের বিক্ষোভের পর গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল জ্যাকব জন মুকুন্দা বিক্ষোভকারীদের রাস্তা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং বলেন, সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে।

রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেওয়া ভাষণে জেনারেল মুকুন্দা বলেন, গত বুধবার কিছু লোক রাস্তায় নেমে অপরাধমূলক কাজ করেছে। তারা অপরাধী এবং এই অপরাধমূলক কাজ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে।

কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বাণিজ্যিক রাজধানী দার এস সালামের রাস্তায় আবারও নেমেছেন। আজ তাঁরা টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দেশটির নির্বাচন কমিশনকে ফল ঘোষণা বন্ধ করার দাবি জানান। কিন্তু সরকার সেনা মোতায়েন করে এবং দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়।

চাদেমা মুখপাত্র কিতোকা বলেন, ‘আমরা সংস্কারের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।’

এদিকে, সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কায় তানজানিয়ার প্রধান মুসলিম ধর্মগুরু শেখ আবুবকর জুবাইর বিন আলি মুসলমানদের বাড়িতে জুমার নামাজ পড়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

তানজানিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম টিবিসির তথ্যমতে, দেশের মোট ১০০টি অঞ্চলের মধ্যে প্রায় ৮০টি অঞ্চলের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান আবারও নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দলটি ১৯৬১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে তানজানিয়া শাসন করছে। আগামীকাল শনিবার আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সামিয়া হাসান ২০২১ সালে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর দায়িত্ব নেন। কিন্তু এর পর থেকে তাঁর সরকার সমালোচক, সাংবাদিক ও বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত।

জাতিসংঘ বলছে, দেশটিতে ‘বিরোধীদের ওপর আক্রমণ, গুম ও নির্যাতনের’ ঘটনা বেড়েই চলেছে।

বুধবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান তাঁর প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেননি। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধান বিরোধী দল চাদেমা নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের জাতীয় নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর কয়েক দিন আগে দলের নেতা তুনদু লিসু এক জনসভায় নির্বাচনী সংস্কারের দাবি তুললে তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল এসি‌টি ওয়াজালেন্দোর প্রার্থী লুহাগা এমপিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেলের আপত্তির পর অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো মাসের পর মাস ধরে তানজানিয়ার নির্বাচনসংক্রান্ত সহিংসতা ও দমননীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। গত জুনে জাতিসংঘের নয়জন বিশেষজ্ঞ প্যানেল এক বিবৃতিতে সরকারের কর্মকাণ্ডকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করে এবং ২০১৯ সাল থেকে দুই শতাধিক গুমের ঘটনা নথিভুক্ত করার কথা জানায়।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সেপ্টেম্বরে জানায়, তারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অন্তত ১০টি রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত হামলা, হয়রানি, অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এ ছাড়া গণমাধ্যম ও নাগরিক সংগঠনের ওপর ব্যাপক সীমাবদ্ধতাও আরোপ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

নতুন ওমরাহ ভিসা নীতি ঘোষণা করল সৌদি আরব, কার্যকর আগামী সপ্তাহে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চোখ রুহানির, তাঁর মৃত্যু চায় কট্টরপন্থীরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ছবি: দ্য ন্যাশনাল
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ছবি: দ্য ন্যাশনাল

ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি (২০১৩–২০২১) বর্তমানে কোনো সরকারি পদে নেই। গত বছর তাঁকে নির্বাচনে প্রার্থী হতেও বাধা দেয় দেশটির সর্বোচ্চ নেতার নিয়ন্ত্রণাধীন ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’। তারপরও গত এক বছরের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে আবারও নিজেকে সামনে নিয়ে এসেছেন রুহানি।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বক্তৃতা ও সাক্ষাৎকারে রুহানি তাঁর শাসনামলকে সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রথম পদক্ষেপ ছিল।

একই সঙ্গে বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) এর নীতির সমালোচনা করছেন রুহানি। এমনকি এক সাহসী মন্তব্যে তিনি বলেছেন—সাম্প্রতিক ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সময় জনগণ দেশকেই সমর্থন করেছে, কোনো শাসকগোষ্ঠীকে নয়। তাঁর এই বক্তব্য সরাসরি ইরান সরকারের প্রচলিত কাঠামোকেই চ্যালেঞ্জ করে।

এদিকে ৮৬ বছর বয়সী খামেনির পর নেতৃত্ব পরিবর্তনের সম্ভাবনা ঘিরে ইতিমধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রুহানি নিজেকে এক বাস্তববাদী ও সংস্কারমুখী বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে চান—যিনি পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত ও অভ্যন্তরীণ দমননীতি কিছুটা শিথিল করতে পারেন।

তবে রুহানির সম্ভাব্য উত্থান কঠোরপন্থীদের আতঙ্কিত করেছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও ফাঁস হয়, যেখানে রুহানির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক উপদেষ্টা আলি শামখানির মেয়েকে বিয়ের অনুষ্ঠানে খোলামেলা পোশাকে দেখা গেছে। শামখানির কন্যার এমন পোশাক দেখে রক্ষণশীল মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কিন্তু শামখানির সমর্থকেরা অভিযোগ করেছেন, ওই ভিডিও ফাঁসের পেছনে রুহানির শিবিরের হাত রয়েছে।

এরপর থেকেই আইআরজিসি-এর শীর্ষ নেতারা রুহানির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলি জাফারি অভিযোগ করেছেন, রুহানি তাঁর আমলে বিপ্লবী গার্ডের বাজেট সীমিত করেছিলেন। রুহানি ও তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফকে রাশিয়ার সমালোচনার জন্য অভিযুক্ত করেছেন সংসদের বর্তমান স্পিকার ও সাবেক আরেক কমান্ডার বাঘের গালিবাফ। এমনকি সংসদে কিছু সদস্য ‘রুহানির বিচার চাই’ ও ‘ফেরেদিউনের মৃত্যু হোক’ (রুহানির জন্মনাম ফেরেদিউন) বলে স্লোগান দিয়েছেন।

তবে এসবের প্রতিক্রিয়ায় রুহানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী হেসামউদ্দিন আশনা পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিপ্লবী গার্ড যেন ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ না খোলে। তাহলে তাদের দুর্নীতির নথি প্রকাশ পাবে। এর আগেও গার্ডের দুর্নীতি নিয়ে ফাঁস হওয়া অডিও আলোড়ন তুলেছিল।

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি নিজে সম্প্রতি দলগুলোর ঐক্য কামনা করেছেন। কিন্তু বিশ্লেষকেরা মনে করেন, তাঁর জীবিত থাকা পর্যন্ত হয়তো লড়াই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার ঘিরে যে সংকট আসছে, তা ইরানের রাজনীতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

নতুন ওমরাহ ভিসা নীতি ঘোষণা করল সৌদি আরব, কার্যকর আগামী সপ্তাহে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাঁদে মানুষ যায়নি, কিম কারদাশিয়ানের এমন দাবির জবাব দিল নাসা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কিম কারদাশিয়ান। ছবি: এক্স
কিম কারদাশিয়ান। ছবি: এক্স

চন্দ্রাভিযান নিয়ে কিম কারদাশিয়ানের একটি মন্তব্য সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে নাসা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আমেরিকান রিয়্যালিটি শো ‘দ্য কারদাশিয়ানস’-এ কিম কারদাশিয়ান ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রতি তাঁর আগ্রহের কথা বলতে গিয়ে প্রশ্ন তোলেন, ‘১৯৬৯ সালের চন্দ্রাভিযান আসলেই হয়েছিল কি না।’

পর্বটি সম্প্রচারের কয়েক ঘণ্টা পর নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফি এক্সে কিমকে ট্যাগ করে একটি ভিডিওচিত্র শেয়ার করেন। সেখানে কিমের সন্দেহ প্রকাশের অংশটি ছিল। ডাফি লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আগে চাঁদে গিয়েছিলাম...একবার নয় ছয়বার! খুশির খবর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আবারও আমরা চাঁদে যাচ্ছি। শেষবার আমরাই মহাকাশ রেসে জিতেছিলাম এবং এবারও আমরা জিতব।’

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল ‘দ্য কারদাশিয়ানস’ অনুষ্ঠানটিতে অভিনেত্রী সারা পলসনের সঙ্গে কিম তাঁর আসন্ন টিভি সিরিজ ‘অলস ফেয়ার’ নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় কিম পলসনকে বলেন, ‘আমি তোমাকে বাজ অলড্রিন ও অন্য একজনের মহাকাশ মিশন নিয়ে কিছু আর্টিকেল পাঠাচ্ছি।’ এরপর তিনি বাজ অলড্রিনকে নিয়ে লেখা একটি আর্টিকেল পড়েন।

কিম বলেন, সেই আর্টিকেলে চাঁদে ভ্রমণের সময় ভয়ংকর কোনো অভিজ্ঞতা হয়েছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অলড্রিন বলেছিলেন, ‘কোনো ভয়ংকর মুহূর্তই ছিল না, কারণ এটি ঘটেইনি! এটি ভয়ংকর হতে পারত, কিন্তু তা ছিল না। কারণ, এটি ঘটেনি।’

কিমের দাবি, অলড্রিনের এই মন্তব্যের কারণেই তিনি এখন বিশ্বাস করেন, চাঁদে অবতরণ করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এর কিছুক্ষণ পরে এক সাক্ষাৎকারে কিম বলেন, ‘আমি সব সময় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে আগ্রহী। আমি মনে করি, চাঁদে অবতরণের ঘটনাটি বানানো ছিল। আমি বাজ অলড্রিনের কিছু ভিডিও দেখেছি, যেখানে তিনি বলছেন, এটি ঘটেনি। তিনি এখন প্রায়ই সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন। আমাদের বাজ অলড্রিনকে খুঁজে বের করা উচিত।’

শন ডাফির জবাবের প্রতিক্রিয়ায় কিম কারদাশিয়ান এক্সে একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘ওয়েট....৩আই/অ্যাটলাসের খবর কী?!?!!!!!!!????’

ডাফি সেই প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘নাসার বর্তমান তথ্য দেখায়, এটি আমাদের সৌরজগতের মধ্য দিয়ে যাওয়া তৃতীয় আন্তনাক্ষত্রিক ধূমকেতু। এটির প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এলিয়েন বলে কিছু নেই। পৃথিবীতে মানুষের জীবনের জন্যও কোনো হুমকি নেই।’

ডাফি আরও জানান, আর্টেমিস মিশনে কিমের চাঁদে যাওয়ার ইচ্ছে আছে জেনে তিনি খুশি হয়েছেন। তিনি কিমকে কেনেডি স্পেস সেন্টারে আসন্ন আর্টেমিস উৎক্ষেপণের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তবে কিম সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন কি না, তা জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, চাঁদে অবতরণ মঞ্চস্থ করা হয়েছিল বা এটি মিথ্যা ছিল—এ ধরনের তত্ত্ব দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক মাধ্যম ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আলোচনার বিষয়। তবে ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্সের তথ্য অনুসারে, নাসা চন্দ্রাভিযানকে মিথ্যা দাবি করার প্রতিটি যুক্তিই ভুল প্রমাণিত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

নতুন ওমরাহ ভিসা নীতি ঘোষণা করল সৌদি আরব, কার্যকর আগামী সপ্তাহে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজবাড়িতে বসে খাওয়ার দিন শেষ প্রিন্স অ্যান্ড্রুর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অ্যান্ড্রু আর প্রিন্স নন। ছবি: সংগৃহীত
অ্যান্ড্রু আর প্রিন্স নন। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ রাজপরিবারে এক ঐতিহাসিক ও নাটকীয় সিদ্ধান্তে রাজা চার্লস তাঁর ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে রাজপরিবার থেকে কার্যত বহিষ্কার করেছেন। এর ফলে শুধু রাজকীয় মর্যাদাই নয়, হারাতে হচ্ছে তাঁর ৩০ কক্ষবিশিষ্ট রাজপ্রাসাদও। উইন্ডসর এস্টেটের অন্তর্গত সেই রয়্যাল লজে গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছিলেন অ্যান্ড্রু। এখন তাঁকে রাজকীয় আড়ম্বর থেকে বহু দূরে গ্রামীণ এলাকায় নির্বাসিত জীবন কাটাতে হবে।

৬৫ বছর বয়সী অ্যান্ড্রুর জন্য এটি এক চূড়ান্ত অপমান। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিতর্কিত অতীত—বিশেষ করে মার্কিন যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ভার্জিনিয়া জিউফ্রের সাম্প্রতিক স্মৃতিকথায় তাঁর যৌন কেলেঙ্কারি প্রকাশের ঘটনায় জনরোষে ছিল ব্রিটিশ রাজপরিবার। অ্যান্ড্রু এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও জনমনের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুই সপ্তাহ আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজকীয় উপাধি ও সম্মান ত্যাগ করেছিলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। সে সময় তিনি দাবি করেন, পরিবার ও দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু সেই পদক্ষেপেও জনমত শান্ত হয়নি।

অবশেষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাকিংহাম প্যালেস থেকে ঘোষণা এসেছে—অ্যান্ড্রু আর প্রিন্স নন; এখন তিনি কেবল অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর, এক সাধারণ নাগরিক।

রাজা নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এতে অ্যান্ড্রুর কোনো মতামত নেওয়া হয়নি—যদিও তিনি কোনো আপত্তিও করেননি। বিবৃতিতে যৌন নির্যাতনের শিকারদের প্রতি সংহতির বার্তাও ছিল।

রাজা চার্লসের এই পদক্ষেপ ১৯৩৬ সালের সংকটের (রাজা অষ্টম হেনরির সিংহাসন ত্যাগ) পর রাজপরিবারে সবচেয়ে বড় ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের জটিলতা সত্ত্বেও চার্লসের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অনিবার্য ছিল। কারণ অ্যান্ড্রুর বিতর্ক বছরের পর বছর রাজপরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।

উইন্ডসর এস্টেটের অন্তর্গত এই রয়্যাল লজ ছেড়ে দিতে হবে অ্যান্ড্রুকে। ছবি: সংগৃহীত
উইন্ডসর এস্টেটের অন্তর্গত এই রয়্যাল লজ ছেড়ে দিতে হবে অ্যান্ড্রুকে। ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাসবিদ কেট উইলিয়ামস এই সিদ্ধান্তকে ‘অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ উপাধি ত্যাগের পরও জনমত শান্ত হয়নি। ফলে রাজা বাধ্য হয়েছেন কঠোর ব্যবস্থা নিতে। তিনি এই ঘটনার তুলনা টেনেছেন অতীতে অষ্টম হেনরি কিংবা রানি ভিক্টোরিয়ার নাতি চার্লস এডওয়ার্ডের সঙ্গে—তাঁদেরও উপাধি একসময় কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।

ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলেও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। কনজারভেটিভ নেতা কেমি ব্যাডেনক বলেছেন, ‘নিজ ভাইয়ের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ কঠিন হলেও পরিবারের মর্যাদা রক্ষায় এটি রাজার সঠিক সিদ্ধান্ত।’

তবে সমালোচকদের একাংশ মনে করেন, শুধু উপাধি হারানো যথেষ্ট নয়। রিপাবলিক আন্দোলনের নেতা গ্রাহাম স্মিথ বলেন, ‘গুরুতর যৌন অপরাধের অভিযোগে শুধু উপাধি খোয়ানোই যথেষ্ট নয়; আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।’

এদিকে সবকিছুর পরও অ্যান্ড্রু সিংহাসনের উত্তরাধিকারের অষ্টম স্থানে রয়েছেন। জানা গেছে, তাঁকে স্যান্ড্রিংহামে রাজা চার্লসের ব্যক্তিগত এস্টেটে একটি বাড়ি দেওয়া হবে এবং রাজা নিজে কিছু আর্থিক সহায়তাও করবেন।

অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী সারা ফার্গুসনও রয়্যাল লজ থেকে সরে যাচ্ছেন। তবে তাঁদের দুই মেয়ে প্রিন্সেস বিট্রিস ও ইউজিনির রাজ উপাধি বহালই থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

নতুন ওমরাহ ভিসা নীতি ঘোষণা করল সৌদি আরব, কার্যকর আগামী সপ্তাহে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত