Ajker Patrika

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করল সাধারণ ফিলিস্তিনিরা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৫, ১৮: ৪০
বিক্ষোভকারীদের হাতে হামাস ও যুদ্ধবিরোধী প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। ছবি: রয়টার্স
বিক্ষোভকারীদের হাতে হামাস ও যুদ্ধবিরোধী প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। ছবি: রয়টার্স

যুদ্ধ বন্ধের দাবি এবং হামাসকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে গাজায় বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ ফিলিস্তিনি। হামাসের বিরুদ্ধে তাঁদের স্লোগান দিতেও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টে। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রতিবাদ খুবই বিরল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সূত্র ধরেই সংঘাতের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিল।

বুধবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতে সবচেয়ে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি হলো গাজার উত্তর অংশ। সেখানে অধিকাংশ ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং বহু মানুষ বারবার তাদের আশ্রয় পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেইত লাহিয়ার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ভবনগুলোর মাঝ দিয়ে ধূলিমলিন রাস্তায় লোকজন মিছিল করছে এবং ‘বিদায় হামাস’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ‘এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ ছিল। কারণ মানুষ ক্লান্ত এবং তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। অনেকেই হামাসের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে, যদিও সবাই নয়। মানুষ ক্লান্ত এবং তাদের দোষ দেওয়া উচিত নয়।’

সামাজিক মাধ্যমে মঙ্গলবার রাতে এই ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ভবন, বিদ্যুৎ খুঁটি ও রাস্তার বিন্যাস দেখে ভিডিওটির অবস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে রয়টার্স। তবে ভিডিওটির নির্দিষ্ট তারিখ স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, ২৫ মার্চই ওই এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে।

অন্যান্য পোস্টে দেখা গেছে—একটি ব্যানারে লেখা আছে, ‘যুদ্ধ যথেষ্ট হয়েছে’ এবং লোকজন ‘আমরা যুদ্ধ চাই না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল।

এই বিষয়ে হামাসের শীর্ষ নেতা বাসেম নাইম বলেছেন—জনগণ তাদের ভোগান্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার অধিকার রাখে। তবে তিনি অভিযোগ করেন, সন্দেহজনক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘পশ্চিম তীরে কী ঘটছে? তারা কেন সেখানে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে পারছে না?’

বিধ্বস্ত গাজার রাস্তায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ফিলিস্তিনিদের একাংশ। ছবি: রয়টার্স
বিধ্বস্ত গাজার রাস্তায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ফিলিস্তিনিদের একাংশ। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই অভিযান শুরু হয়েছিল। হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন সেদিন এবং আরও ২৫১ জনকে অপহরণ করা হয়।

ইসরায়েল বলছে, তারা হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। এর ফলে গাজার ভবিষ্যৎ শাসন ব্যবস্থা নিয়ে কোনো সমঝোতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। হামাস ২০০৭ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ফাতাহ দলকে সরিয়ে গাজা শাসন শুরু করেছিল।

ফাতাহ এবং হামাস বহু বছর ধরে মতবিরোধে লিপ্ত এবং গাজার যুদ্ধোত্তর ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, গাজার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকতে হবে। অন্যদিকে, হামাস বলছে তারা সরাসরি সরকার পরিচালনা না করলেও, পরবর্তী প্রশাসন নির্বাচনে তাদের ভূমিকা থাকতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত