আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পেরুর আদি জাতি কুকামা সম্প্রদায়ের কাছে মারানিওন নদী শুধু পানির উৎস নয়, বরং এক পবিত্র আত্মিক সত্তা। প্রায় ৯০০ মাইল বা ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী আন্দিজ পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন হয়ে আমাজনে মিশেছে। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে এটি মারাত্মকভাবে তেল দূষণের শিকার হয়েছে।
সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, ২০০০ সালে একটি বার্থ থেকে ৫ হাজার ব্যারেল অশোধিত তেল মারানিওন নদীতে মিশে গেলে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় ঘটে। নদীর ওপর কালো কুচকুচে স্তর পড়ে, পানি দূষিত হয়, প্রাণ হারায় মাছ ও ডলফিন। স্থানীয় মানুষের একমাত্র পানির উৎস ও জীবিকার মাধ্যম ছিল এই নদী।
তবে নদীটির দূষণের ক্ষেত্রে এটি একমাত্র ঘটনা নয়। পেরুর সরকারি সংস্থা ওসিনারজমিন-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত উত্তর পেরুর তেল পাইপলাইনের আশপাশে ৮০ টির বেশি তেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনা মারানিওন নদীকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে কুকামা সম্প্রদায়ের নারী মারি লুস কানাকুইরি মুরাইয়ারি গড়ে তোলেন ‘হুয়াইনাকানা কামাতাহুয়ারা কানা’ নামে নারীদের একটি সংগঠন। বিগত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা আন্দোলন, বিক্ষোভ, চিঠি চালাচালি ও নদী অবরোধ করে নদী রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তাঁরা কোনো ইতিবাচক সাড়া পাননি।
তাই ২০১৪ সালে তাঁরা আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ‘লিগ্যাল ডিফেন্স ইনস্টিটিউট’ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘আর্থ ল’ সেন্টারের সহযোগিতায় তাঁরা মারানিওন নদীর জন্য ‘আইনি ব্যক্তিত্ব’ স্বীকৃতির দাবিতে মামলা দায়ের করেন। বিশ্বের অন্যান্য নদীর মতো—যেমন কলম্বিয়ার অ্যাত্রাটো, নিউজিল্যান্ডের হোয়াংগানুই, কানাডার ম্যাগপাই—মারানিওনকেও আইনি সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
দীর্ঘ দুই বছরের আইনি লড়াই শেষে ২০২৪ সালের মার্চে পেরুর ফেডারেল আদালত এক ঐতিহাসিক রায়ে মারানিওন নদীকে আইনি ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এর ফলে নদীটি এখন নিজস্ব অস্তিত্ব ও পরিবেশগত স্বাস্থ্যের অধিকার রাখে। রায় অনুযায়ী—রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোপেরুকে নদীর দূষণ দূরীকরণ ও সংরক্ষণ পরিকল্পনা গ্রহণের আদেশ দেওয়া হয়েছে। কুকামা ও অন্যান্য আদিবাসীদের নদীটির ‘অভিভাবক ও রক্ষক’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এই রায়কে ‘প্রথম ধাপ’ হিসেবে দেখছেন কানাকুইরি মুরাইয়ারি। তাঁর মতে, এই রায়ের ফলে সরাসরি তেল উত্তোলন বন্ধ হবে না। তবে এটি নদীর বিরুদ্ধে যে কোনো ভবিষ্যৎ ক্ষতির বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ গড়ার সুযোগ এনে দেবে।
এই অবদানের জন্য মারি লুস কানাকুইরি মুরাইয়ারিকে এ বছরের গোল্ডম্যান পরিবেশ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার এই কাজ শুধু কুকামা জনগণের জন্য নয়, বরং সমগ্র পৃথিবীর জন্য। কারণ আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই পৃথিবীকে রক্ষা করতে হবে।’
পেরুর আদি জাতি কুকামা সম্প্রদায়ের কাছে মারানিওন নদী শুধু পানির উৎস নয়, বরং এক পবিত্র আত্মিক সত্তা। প্রায় ৯০০ মাইল বা ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী আন্দিজ পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন হয়ে আমাজনে মিশেছে। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে এটি মারাত্মকভাবে তেল দূষণের শিকার হয়েছে।
সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, ২০০০ সালে একটি বার্থ থেকে ৫ হাজার ব্যারেল অশোধিত তেল মারানিওন নদীতে মিশে গেলে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় ঘটে। নদীর ওপর কালো কুচকুচে স্তর পড়ে, পানি দূষিত হয়, প্রাণ হারায় মাছ ও ডলফিন। স্থানীয় মানুষের একমাত্র পানির উৎস ও জীবিকার মাধ্যম ছিল এই নদী।
তবে নদীটির দূষণের ক্ষেত্রে এটি একমাত্র ঘটনা নয়। পেরুর সরকারি সংস্থা ওসিনারজমিন-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত উত্তর পেরুর তেল পাইপলাইনের আশপাশে ৮০ টির বেশি তেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনা মারানিওন নদীকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে কুকামা সম্প্রদায়ের নারী মারি লুস কানাকুইরি মুরাইয়ারি গড়ে তোলেন ‘হুয়াইনাকানা কামাতাহুয়ারা কানা’ নামে নারীদের একটি সংগঠন। বিগত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা আন্দোলন, বিক্ষোভ, চিঠি চালাচালি ও নদী অবরোধ করে নদী রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তাঁরা কোনো ইতিবাচক সাড়া পাননি।
তাই ২০১৪ সালে তাঁরা আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ‘লিগ্যাল ডিফেন্স ইনস্টিটিউট’ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘আর্থ ল’ সেন্টারের সহযোগিতায় তাঁরা মারানিওন নদীর জন্য ‘আইনি ব্যক্তিত্ব’ স্বীকৃতির দাবিতে মামলা দায়ের করেন। বিশ্বের অন্যান্য নদীর মতো—যেমন কলম্বিয়ার অ্যাত্রাটো, নিউজিল্যান্ডের হোয়াংগানুই, কানাডার ম্যাগপাই—মারানিওনকেও আইনি সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
দীর্ঘ দুই বছরের আইনি লড়াই শেষে ২০২৪ সালের মার্চে পেরুর ফেডারেল আদালত এক ঐতিহাসিক রায়ে মারানিওন নদীকে আইনি ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এর ফলে নদীটি এখন নিজস্ব অস্তিত্ব ও পরিবেশগত স্বাস্থ্যের অধিকার রাখে। রায় অনুযায়ী—রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোপেরুকে নদীর দূষণ দূরীকরণ ও সংরক্ষণ পরিকল্পনা গ্রহণের আদেশ দেওয়া হয়েছে। কুকামা ও অন্যান্য আদিবাসীদের নদীটির ‘অভিভাবক ও রক্ষক’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এই রায়কে ‘প্রথম ধাপ’ হিসেবে দেখছেন কানাকুইরি মুরাইয়ারি। তাঁর মতে, এই রায়ের ফলে সরাসরি তেল উত্তোলন বন্ধ হবে না। তবে এটি নদীর বিরুদ্ধে যে কোনো ভবিষ্যৎ ক্ষতির বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ গড়ার সুযোগ এনে দেবে।
এই অবদানের জন্য মারি লুস কানাকুইরি মুরাইয়ারিকে এ বছরের গোল্ডম্যান পরিবেশ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার এই কাজ শুধু কুকামা জনগণের জন্য নয়, বরং সমগ্র পৃথিবীর জন্য। কারণ আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই পৃথিবীকে রক্ষা করতে হবে।’
গাজা যুদ্ধের অবসান ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের একটি পরিকল্পনা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ মঙ্গলবার এ নিয়ে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেসারা বিশ্ব থেকে মেধাবী পেশাদারদের আকৃষ্ট করতে ভিসা ফি কমানোর প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে ব্রিটেন সরকার। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ভিসা ফি মওকুফ করার কথাও চিন্তা করা হচ্ছে। যখন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা ফি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, ঠিক সেই সময়ে যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে১৭৮৯ সালের বিপ্লবের পর ফ্রান্সে সংবাদপত্র ও তথ্যপ্রবাহ রাজনৈতিক ক্ষমতার অন্যতম হাতিয়ারে পরিণত হয়। যদিও বিপ্লবীরা তখন ‘প্রেসের স্বাধীনতা’-কে অন্যতম বড় অর্জন হিসেবে প্রচার করেছিলেন, তবে বাস্তবে সাংবাদিকতার কোনো প্রকৃত স্বাধীনতা ছিল না। বরং, ক্ষমতাসীনরা সংবাদপত্রকে দমন ও নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে
৩ ঘণ্টা আগেরাতভর প্রবল বর্ষণে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে কলকাতা। টানা পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা ধরে মুষলধারে বৃষ্টির ফলে পুরো মহানগরী ডুবে গেছে। শহরের রাস্তাঘাটে কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর সমান পানি। এই জলাবদ্ধ অবস্থায় বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন।
৪ ঘণ্টা আগে