কলকাতা প্রতিনিধি
চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনের মঞ্চে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উষ্ণ করমর্দন আন্তর্জাতিক মহলকে মুগ্ধ করলেও ভারতের রাজনৈতিক ও জনমানসে তা তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এই করমর্দনকে কৌশলগত সম্পর্কের নতুন সূচনা হিসেবে দেখছেন, কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে বিরোধীরা এই দৃশ্যকে সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস হিসেবেই চিহ্নিত করছে।
দুই নেতা হাসিমুখে একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন এবং পাশাপাশি বসে পারস্পরিক সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলো এই দৃশ্যকে ভিন্ন চোখে দেখছে। তাদের অভিযোগ, গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাদের আত্মত্যাগের পরেও এবং সীমান্তে চীনের ধারাবাহিক আগ্রাসনের মুখে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় অবস্থান না নিয়ে বরং আত্মসমর্পণের পথে হাঁটছেন।
কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ তীব্র ভাষায় বলেন, ‘বিশ্লেষকেরা যেটাকে হাতি-ড্রাগনের নাচ বলছেন, সেটা আসলে হাতির ড্রাগনের কাছে নতজানু হয়ে আত্মসমর্পণ।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, গালওয়ানে যখন ২০ জন ভারতীয় সেনা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, কিংবা সাম্প্রতিক সামরিক মহড়ায় চীন যখন প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে, তার পরও কেন সরকার এমন নরম মনোভাব দেখাচ্ছে।
বিরোধীদের দাবি, চীন কেবল সীমান্তে আগ্রাসন চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা ভারতের প্রায় ২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য ভাগ করে নিচ্ছে। কংগ্রেস মনে করে, ১৯৬২ সালের সীমান্ত যুদ্ধের পর এটিই ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় কৌশলগত ধাক্কা।
অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে এই সমালোচনাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে। তারা বলছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখা অপরিহার্য। মোদী তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, নয়াদিল্লি বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জবাবে সি চিনপিংও ভারতকে একটি ‘দরকারি বন্ধু’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং দুই দেশকে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ফলে বাইরের এই উষ্ণতার আড়ালে অভ্যন্তরীণ সমালোচনা আরও জোরালো হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা এই সাক্ষাৎকে বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার অংশ হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে যখন মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির চাপের মুখে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো ঐক্যের পথে হাঁটছে, তখন এই ধরনের সম্মেলন ও সাক্ষাৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা উপস্থিত ছিলেন, যা মোদি-সি সাক্ষাতের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে ভারতের অভ্যন্তরে মূল প্রশ্নটি হলো, সরকার কি কেবল অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য দেশের নিরাপত্তা এবং সেনাদের আত্মত্যাগকে পেছনে ঠেলে দিচ্ছে?
অর্থনীতিবিদেরাও এই বিতর্কে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত তিন বছরে চীন থেকে ভারতে আমদানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সরকার ‘আত্মনির্ভরতা’র কথা বললেও প্রযুক্তি, ওষুধ ও শিল্প খাতে চীনের ওপর ভারতের নির্ভরতা এখনো ব্যাপক। এক সমীক্ষায় সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভারত যদি হঠাৎ করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে। এই অর্থনৈতিক বাস্তবতাই অনেককে মনে করিয়ে দিচ্ছে, কেন সরকার কূটনৈতিক ক্ষেত্রে একটি নরম ভঙ্গি নিয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা এই পরিস্থিতিতেও প্রশ্ন তুলছে, অর্থনৈতিক লাভের জন্য কি দেশের জাতীয় সম্মান বিসর্জন দেওয়া হবে?
দেশের জনগণের একাংশও এই করমর্দন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। গালওয়ানের ক্ষত এখনো শুকায়নি, শহীদ সেনাদের পরিবারগুলো এখনো ন্যায়বিচার ও উত্তরের অপেক্ষায় আছে। অথচ আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীকে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে, যা মানুষের মনে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সামনে নির্বাচনকে মাথায় রেখে মোদী আন্তর্জাতিক সাফল্যের একটি উজ্জ্বল ছবি তুলে ধরতে চাচ্ছেন। কিন্তু ঘরের ভেতরে বিরোধীরা সেই একই ছবিকে ‘আত্মসমর্পণের প্রতীক’ হিসেবে তুলে ধরছে।
১৯৬২ সালের সীমান্ত যুদ্ধের পর থেকে ভারত-চীন সম্পর্কের ইতিহাস বরাবরই অনিশ্চয়তায় ভরা। কখনো বন্ধুত্ব, কখনো তীব্র সংঘাত—এই টানাপোড়েন আজও অব্যাহত। তাই করমর্দনের এই ছবি কেবল একটি মুহূর্তের প্রতিফলন, কিন্তু আসল গল্পটি এখনো সীমান্তের ওপারেই লুকিয়ে আছে। বাইরে হাসি দেখা গেলেও ভেতরে সংশয় আর সমালোচনা স্পষ্ট।
চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনের মঞ্চে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উষ্ণ করমর্দন আন্তর্জাতিক মহলকে মুগ্ধ করলেও ভারতের রাজনৈতিক ও জনমানসে তা তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এই করমর্দনকে কৌশলগত সম্পর্কের নতুন সূচনা হিসেবে দেখছেন, কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে বিরোধীরা এই দৃশ্যকে সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস হিসেবেই চিহ্নিত করছে।
দুই নেতা হাসিমুখে একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন এবং পাশাপাশি বসে পারস্পরিক সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলো এই দৃশ্যকে ভিন্ন চোখে দেখছে। তাদের অভিযোগ, গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাদের আত্মত্যাগের পরেও এবং সীমান্তে চীনের ধারাবাহিক আগ্রাসনের মুখে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় অবস্থান না নিয়ে বরং আত্মসমর্পণের পথে হাঁটছেন।
কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ তীব্র ভাষায় বলেন, ‘বিশ্লেষকেরা যেটাকে হাতি-ড্রাগনের নাচ বলছেন, সেটা আসলে হাতির ড্রাগনের কাছে নতজানু হয়ে আত্মসমর্পণ।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, গালওয়ানে যখন ২০ জন ভারতীয় সেনা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, কিংবা সাম্প্রতিক সামরিক মহড়ায় চীন যখন প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে, তার পরও কেন সরকার এমন নরম মনোভাব দেখাচ্ছে।
বিরোধীদের দাবি, চীন কেবল সীমান্তে আগ্রাসন চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা ভারতের প্রায় ২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য ভাগ করে নিচ্ছে। কংগ্রেস মনে করে, ১৯৬২ সালের সীমান্ত যুদ্ধের পর এটিই ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় কৌশলগত ধাক্কা।
অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে এই সমালোচনাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে। তারা বলছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখা অপরিহার্য। মোদী তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, নয়াদিল্লি বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জবাবে সি চিনপিংও ভারতকে একটি ‘দরকারি বন্ধু’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং দুই দেশকে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ফলে বাইরের এই উষ্ণতার আড়ালে অভ্যন্তরীণ সমালোচনা আরও জোরালো হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা এই সাক্ষাৎকে বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার অংশ হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে যখন মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির চাপের মুখে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো ঐক্যের পথে হাঁটছে, তখন এই ধরনের সম্মেলন ও সাক্ষাৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা উপস্থিত ছিলেন, যা মোদি-সি সাক্ষাতের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে ভারতের অভ্যন্তরে মূল প্রশ্নটি হলো, সরকার কি কেবল অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য দেশের নিরাপত্তা এবং সেনাদের আত্মত্যাগকে পেছনে ঠেলে দিচ্ছে?
অর্থনীতিবিদেরাও এই বিতর্কে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত তিন বছরে চীন থেকে ভারতে আমদানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সরকার ‘আত্মনির্ভরতা’র কথা বললেও প্রযুক্তি, ওষুধ ও শিল্প খাতে চীনের ওপর ভারতের নির্ভরতা এখনো ব্যাপক। এক সমীক্ষায় সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভারত যদি হঠাৎ করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে। এই অর্থনৈতিক বাস্তবতাই অনেককে মনে করিয়ে দিচ্ছে, কেন সরকার কূটনৈতিক ক্ষেত্রে একটি নরম ভঙ্গি নিয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা এই পরিস্থিতিতেও প্রশ্ন তুলছে, অর্থনৈতিক লাভের জন্য কি দেশের জাতীয় সম্মান বিসর্জন দেওয়া হবে?
দেশের জনগণের একাংশও এই করমর্দন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। গালওয়ানের ক্ষত এখনো শুকায়নি, শহীদ সেনাদের পরিবারগুলো এখনো ন্যায়বিচার ও উত্তরের অপেক্ষায় আছে। অথচ আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীকে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে, যা মানুষের মনে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সামনে নির্বাচনকে মাথায় রেখে মোদী আন্তর্জাতিক সাফল্যের একটি উজ্জ্বল ছবি তুলে ধরতে চাচ্ছেন। কিন্তু ঘরের ভেতরে বিরোধীরা সেই একই ছবিকে ‘আত্মসমর্পণের প্রতীক’ হিসেবে তুলে ধরছে।
১৯৬২ সালের সীমান্ত যুদ্ধের পর থেকে ভারত-চীন সম্পর্কের ইতিহাস বরাবরই অনিশ্চয়তায় ভরা। কখনো বন্ধুত্ব, কখনো তীব্র সংঘাত—এই টানাপোড়েন আজও অব্যাহত। তাই করমর্দনের এই ছবি কেবল একটি মুহূর্তের প্রতিফলন, কিন্তু আসল গল্পটি এখনো সীমান্তের ওপারেই লুকিয়ে আছে। বাইরে হাসি দেখা গেলেও ভেতরে সংশয় আর সমালোচনা স্পষ্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ৬ লাখ শিক্ষার্থীকে ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের কারণে ব্যাপক তোপের মুখেও পড়েছেন তিনি। তবে সমর্থকদের একটি অংশের তীব্র সমালোচনার পরও তিনি নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন।
২৯ মিনিট আগেভারতের পাঞ্জাবে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার আম আদমি পার্টির (এএপি) এক বিধায়ক পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পাঞ্জাবের সানৌরের বিধায়ক হরমীত পাঠানমাজরা পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যান।
২ ঘণ্টা আগেকলকাতার বিবাদী বাগে এক নজিরবিহীন ঘটনায় শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সেনাবাহিনীর একটি ট্রাক জব্দ করেছে কলকাতা পুলিশ। এই প্রশাসনিক পদক্ষেপটি দ্রুত রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে২০২৬ সালে হতে যাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক এ সময় এক বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলেন বলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার ও কবি জাভেদ আখতার। সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার ইসলামি সংগঠনগুলোর কাছে মাথা নত করছে।
৪ ঘণ্টা আগে