Ajker Patrika

অগ্নিবীরদের বিজেপি অফিসে রক্ষীর চাকরির অফার, ভারতজুড়ে সমালোচনা

আপডেট : ১৯ জুন ২০২২, ২৩: ০১
অগ্নিবীরদের বিজেপি অফিসে রক্ষীর চাকরির অফার, ভারতজুড়ে সমালোচনা

সেনাবাহিনীতে নতুন নিয়োগ স্কিম ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল ভারত। বিহার রাজ্যে অন্তত ১২টি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে বন্ধ হয়েছে ট্রেন চলাচল। এ পর্যন্ত একজন নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। তবে সরকার অবস্থান থেকে সরছে না। সামান্য সংস্কার করতে রাজি হয়েছে যদিও। কিন্তু বিক্ষোভ থামার কোনো লক্ষণ নেই। 

এর মধ্যে বেফাঁস মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। 

ডজনখানেক রাজ্যে যখন বিভিন্ন উপায়ে তরুণদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টায় ব্যস্ত কেন্দ্রীয় সরকার। মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ইন্দোরে একটি দলীয় অনুষ্ঠানে অগ্নিপথ প্রকল্পের সুবিধা জানাতে গিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিজেপি কার্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে অগ্রাধিকার পাবেন অগ্নিবীরেরা।’ 

আজ রোববার ইন্দোরে বিজেপির একটি কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিভিন্ন সুবিধা বর্ণনা করছিলেন বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, ‘আমাকে যদি এই অফিসে, বিজেপির অফিসে সিকিউরিটি রাখতে হয়, তাহলে আমি অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেব।’ 

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার এই বক্তব্য মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গেছে। বিরোধীরাও কঠোর সমালোচনা করছেন। 

কংগ্রেস বলেছেন, মোদি সরকার সেনাকেও ‘স্কিল ডেভেলপমেন্টে’র কাজে লাগিয়ে দিয়েছে, যাতে বিজেপি অফিসে নিরাপত্তারক্ষীর অভাব না হয়! 

আম আদমি পার্টির নেতা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিজেপিকে আক্রমণ করে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের দেশের যুব সম্প্রদায় দিন রাত এক করে খাটাখাটনি করে সেনার শারীরিক পরীক্ষা পাস করে এই জন্য যে, তারা দেশের জন্য প্রাণ দিতে চায়। কিন্তু বিজেপি মনে করছে, তার (এত পরিশ্রমের) উদ্দেশ্য তাদের দপ্তরের বাইরে নিরাপত্তারক্ষী সরবরাহ করা!’

কৈলাসের মন্তব্যের সমালোচনা করে টুইট করেছেন বিজেপি এমপি বরুণ গান্ধীও। তিনি লিখেছেন, ‘যে মহান সেনাবাহিনীর প্রশংসা হয় বিশ্বজুড়ে, তাকে কোনও রাজনৈতিক দলের দপ্তরের সামনে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ যিনি দিচ্ছেন, সেই কাজ তাঁকেই মানায়!’

উল্লেখ্য, সশস্ত্র বাহিনীতে ‘অগ্নিপথ’ নামে নতুন একটি নিয়োগ স্কিম চালুর পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। এই পরিকল্পনার আওতায় প্রায় ৪৫ হাজার তরুণ–যুবককে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নতুন নিয়োগকৃত সৈন্যরা চার বছর বাহিনীতে সেবা দেবে। এ সময় যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন তাঁরা। এরপর ২৫ শতাংশকে সেনাবাহিনীতে রেখে বাকিদের এককালীন ১১-১২ লাখ রুপি পেনশন দিয়ে বিদায় করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত