Ajker Patrika

উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি ও ধস বিপর্যয়ে ২ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৭

কলকাতা সংবাদদাতা
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫, ১২: ০৯
হড়পা বানে তাঁবুসহ নির্মাণ শ্রমিকদের শিবির ভেসে যায়। ছবি: এনডিটিভি
হড়পা বানে তাঁবুসহ নির্মাণ শ্রমিকদের শিবির ভেসে যায়। ছবি: এনডিটিভি

ভারী বৃষ্টি ও ভূমি ধসে উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বহু এলাকার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, এরইমধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতজন আহত হয়েছেন এবং নিখোঁজ রয়েছেন সাতজন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টার জন্য চারধাম যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে আজ সোমবার সকালে যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের কাছে এক নির্মীয়মাণ হোটেলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হড়পা বানে তাঁবুসহ নির্মাণ শ্রমিকদের শিবির ভেসে যায়। ওই শ্রমিকদের তাঁবুতে ১৯ জন শ্রমিক ছিলেন। এখনো পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ১০ জন।

দুজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে যমুনা নদীর তীরবর্তী অঞ্চল থেকে। ৭ জন এখনো নিখোঁজ।

ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে এখনই নির্দিষ্ট সংখ্যা নিশ্চিত করেনি প্রশাসন।

ভূমি ধসে বারকোট-যমুনোত্রী সড়ক ও বদ্রীনাথ হাইওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে যমুনোত্রী ও বদ্রীনাথমুখী রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বহু পুণ্যার্থী বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন। বহু এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে। বহু গ্রাম এখনো অন্ধকারে ডুবে। বিদ্যুৎ পরিকাঠামো স্বাভাবিক করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।

আবহাওয়া দপ্তরের তরফে ভারী বৃষ্টি ও নতুন করে ধসের সম্ভাবনার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন চারধাম যাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী বলেছেন, ‘আবহাওয়ার খবর নিয়মিত শুনুন, প্রশাসনের পরামর্শ মেনে চলুন। যাঁরা ধসপ্রবণ এলাকায় থাকেন, তাঁরা চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন।’

প্রসঙ্গত, অতীতে যেসব এলাকায় হড়পা বান ও ধস হয়েছে, সেসব অঞ্চলেও নতুন করে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজে রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী, জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী ও স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত