Ajker Patrika

১৪ বছর ব্যাংকে চাকরি, এখন ফুটপাতে ভিক্ষা করছেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৭
ফুটপাতে সাহায্যের অপেক্ষায় তরুণ। ছবি: এনডিটিভি
ফুটপাতে সাহায্যের অপেক্ষায় তরুণ। ছবি: এনডিটিভি

ভারতের বেঙ্গালুরুর এক ব্যস্ত মোড়। ছুটতে থাকা মানুষজনের মাঝে এক ফুটপাতে সাহায্যের অপেক্ষায় বসে থাকতে দেখা গেল এক ব্যক্তিকে। পাশে একটি ব্যাকপ্যাক রাখা, হাতে চিরকুট। তাতে লেখা, ১৪ বছর ধরে ব্যাংকে চাকরি করার পর এখন বেকার তিনি। নেই থাকার জায়গাও। চাইছেন সাহায্য। তার পাশে একটি ছোট কাগজে কিউআর কোড ছিল, সম্ভবত ডিজিটাল অনুদানের জন্য।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেডিটে এক পোস্টে এমন একটি ছবি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘বেঙ্গালুরুর এক সিগন্যালে এই মানুষটির সঙ্গে দেখা হলো। বিষয়টি যতই হৃদয়বিদারক হোক, আমি ভাবছি, এটা কি সমাজের ব্যর্থতা, নাকি তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ফলে পাওয়া দুর্ভাগ্য?’

রেডিটের পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ সহানুভূতি প্রকাশ করেন, আবার কেউ সমালোচনা করেন। বলেন, এটা কি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ফল, নাকি গোটা সমাজ ব্যবস্থার ব্যর্থতা।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমাদের দেশের কঠিন বাস্তবতা হলো, আমরা কলেজ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের ১% এর জন্যও চাকরি দিতে পারি না।’

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘তিনি কি শারীরিকভাবে অক্ষম? যদি তাই হয়, তাঁর প্রতি আমার সহানুভূতি। যদি না হন, তবে বেঙ্গালুরুর মতো শহরে একজন তরুণ মানুষের ভিক্ষা চাওয়ার কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। এখানে কাজের অভাব নেই, যদি কাজ করার ইচ্ছা থাকে। হয়তো খুব বেশি বেতনের চাকরি নাও হবে, কিন্তু একজন মানুষের বেঁচে থাকার মতো উপার্জন সম্ভব। হ্যাঁ, জীবন কঠিন এবং অনেক সময় অবিচারও করে, কিন্তু দাঁড়িয়ে লড়াই করতে হবে। অন্য কেউ এসে সাহায্য করবে না।’

তবে, আরেকজন ভিন্ন মত দিয়েছেন। তাঁর মন্তব্যটি ছিল, ‘অনেকে বলছেন, তিনি যদি শারীরিকভাবে সক্ষম হন, তাহলে ডেলিভারি বা ড্রাইভিংয়ের মতো কাজ করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দীর্ঘদিন বেকার থাকলে মানুষ মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, বিষণ্ণতায় ভোগে। সেটিও একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত