আজকের পত্রিকা ডেস্ক

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত মনোরম শহর পেহেলগাম ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত। গতকাল মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এই জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় জঙ্গি হামলা হয়। আকস্মিক এই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন।
অঞ্চলটিতে এখন পর্যটনের মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অমরনাথ যাত্রার জন্যও নিবন্ধন শুরু হয়েছে। গতকাল এই জায়গায় বেশ কিছু পর্যটকের সমাগম হয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এই হামলার একটি বিবরণ দিয়েছে—
—প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চার সশস্ত্র হামলাকারী পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল।
—হামলাকারীদের হাতে ছিল অটোমেটিক অস্ত্র। জঙ্গল থেকে বের হয়েই তাঁরা পর্যটকদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।
—প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলাকারী জঙ্গিরা নারীদের ছেড়ে দিয়ে শুধু পুরুষদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
—কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মুসলিমদের বাদ দিয়ে হত্যার জন্য শুধু অমুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছিল। তবে এই হামলায় একজন মুসলিম দোকানিও নিহত হয়েছেন।
—প্রত্যক্ষদর্শী আরেক নারী এএফপিকে বলেন, তারা নারীদের ছাড় দিচ্ছিল, কিন্তু পুরুষদের একের পর এক গুলি করছিল—এটা ঝড়ের মতো ভয়াবহ ছিল।
—সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ আতঙ্কে দৌড়াচ্ছে, একজন নারী তাঁর গুরুতর জখম স্বামীর জন্য চিৎকার করে সাহায্য চাইছেন।
—আহত ব্যক্তিদের ঘোড়ার পিঠে করে প্রথমে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। কারণ, গাড়ি দিয়ে সরাসরি ওই জায়গায় যাওয়া যায় না।
এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেয়, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত প্রকাশ করেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এই হামলার পটভূমি, সর্বশেষ হামলায় কী ঘটেছিল, কাশ্মীরের জঙ্গিদের সম্পর্কে আমরা কী জানি—এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কাশ্মীর হামলার পটভূমি কী
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীর ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিতর্কিত ভূখণ্ড। হিমালয়ের এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ একাধিক যুদ্ধে জড়িয়েছে এবং এর মধ্যে অসংখ্য ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলে অস্থিরতা উসকে দেওয়ার জন্য দায়ী করে আসছে।
২০১৯ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্বতমালা ও সবুজ উপত্যকার জন্য পরিচিত এলাকাটি আবারও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল।
সর্বশেষ হামলায় কী ঘটল
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, শ্রীনগর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার (৫৬ মাইল) পূর্বে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত পেহেলগামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি দলের ওপর নির্বিচার গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। হামলাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ঘটনার পরপরই একটি সামরিক অভিযান শুরু করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে পরিচিত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেছেন, এই হামলার সঙ্গে তাঁর দেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
কাশ্মীরে জঙ্গিদের হামলা অস্বাভাবিক না হলেও পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করার ঘটনা বিরল। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা সামগ্রিকভাবে কমে এসেছিল। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই ধরনের ৪৬টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা ২০১৮ সালের ২২৮টি ঘটনার তুলনায় অনেক কম।
কাশ্মীরি জঙ্গি সম্পর্কে যা জানা যায়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, পাকিস্তান তার সীমানার মধ্যে কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। পাকিস্তানভিত্তিক একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী অতীতে ভারতে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের হামলা
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মুম্বাই শহরের ১২টি স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা লস্কর-ই-তাইয়েবার ১০ জঙ্গি। ওই আক্রমণে ১৮০ জন নিরীহ মানুষ নিহত হন এবং ৩ শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হন, যাঁদের অনেকে পরে মারা যান অথবা সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল মুম্বাইয়ের দ্য তাজমহল প্যালেস হোটেল ও ওবেরাই ট্রাইডেন্ট হোটেলের হামলা। প্রায় ৬৪ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সেই হোটেলের ২০০ জিম্মিকে মুক্ত করতে পেরেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলা
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, পাকিস্তানি ইসলামপন্থী সালাফি জিহাদি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা ও দেওবন্দি ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী জৈস-ই-মহম্মদ বহু আলোচিত এই হামলায় জড়িত ছিল। এই হামলায় একজন সাধারণ নাগরিকসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়।
২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামার হামলা
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির এই হামলায় ৪০ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। ৭৮টি বাসে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান জম্মু থেকে যাচ্ছিলেন শ্রীনগরে। বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈস-ই-মহম্মদ এই হামলায় জড়িত ছিল।
জঙ্গিরা সাধারণত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Control) বরাবর এবং এর আশপাশে চলাচল করে। এই অংশ কাশ্মীরের ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশকে বিভক্ত করেছে। জঙ্গিরা মূলত বিচ্ছিন্ন ও জনবসতিহীন এলাকায় থাকে। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে তাদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়। এই কারণে সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আবার অনেক স্থানীয় বাসিন্দার মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
কাশ্মীর হামলার প্রতিক্রিয়া
হামলার খবর পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে জরুরি বৈঠক করার জন্য শীর্ষ মন্ত্রীদের ডেকে পাঠান। তাঁর সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বড় ধরনের নিরাপত্তা অভিযান শুরু করেনি।
এর আগে ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে বিমান হামলা চালিয়েছিল, যা ১৯৭১ সালের পর প্রথম। সেই ঘটনার পর দুই দেশের যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ডগ ফাইট বা আকাশযুদ্ধ হয়েছিল। এরপর ২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলার পর প্রতিবেশী এই দুই দেশকে সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকালের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা ‘ভারতের অবৈধভাবে’ দখল করা জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত মনোরম শহর পেহেলগাম ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত। গতকাল মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এই জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় জঙ্গি হামলা হয়। আকস্মিক এই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন।
অঞ্চলটিতে এখন পর্যটনের মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অমরনাথ যাত্রার জন্যও নিবন্ধন শুরু হয়েছে। গতকাল এই জায়গায় বেশ কিছু পর্যটকের সমাগম হয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এই হামলার একটি বিবরণ দিয়েছে—
—প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চার সশস্ত্র হামলাকারী পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল।
—হামলাকারীদের হাতে ছিল অটোমেটিক অস্ত্র। জঙ্গল থেকে বের হয়েই তাঁরা পর্যটকদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।
—প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলাকারী জঙ্গিরা নারীদের ছেড়ে দিয়ে শুধু পুরুষদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
—কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মুসলিমদের বাদ দিয়ে হত্যার জন্য শুধু অমুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছিল। তবে এই হামলায় একজন মুসলিম দোকানিও নিহত হয়েছেন।
—প্রত্যক্ষদর্শী আরেক নারী এএফপিকে বলেন, তারা নারীদের ছাড় দিচ্ছিল, কিন্তু পুরুষদের একের পর এক গুলি করছিল—এটা ঝড়ের মতো ভয়াবহ ছিল।
—সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ আতঙ্কে দৌড়াচ্ছে, একজন নারী তাঁর গুরুতর জখম স্বামীর জন্য চিৎকার করে সাহায্য চাইছেন।
—আহত ব্যক্তিদের ঘোড়ার পিঠে করে প্রথমে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। কারণ, গাড়ি দিয়ে সরাসরি ওই জায়গায় যাওয়া যায় না।
এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেয়, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত প্রকাশ করেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এই হামলার পটভূমি, সর্বশেষ হামলায় কী ঘটেছিল, কাশ্মীরের জঙ্গিদের সম্পর্কে আমরা কী জানি—এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কাশ্মীর হামলার পটভূমি কী
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীর ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিতর্কিত ভূখণ্ড। হিমালয়ের এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ একাধিক যুদ্ধে জড়িয়েছে এবং এর মধ্যে অসংখ্য ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলে অস্থিরতা উসকে দেওয়ার জন্য দায়ী করে আসছে।
২০১৯ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্বতমালা ও সবুজ উপত্যকার জন্য পরিচিত এলাকাটি আবারও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল।
সর্বশেষ হামলায় কী ঘটল
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, শ্রীনগর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার (৫৬ মাইল) পূর্বে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত পেহেলগামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি দলের ওপর নির্বিচার গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। হামলাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ঘটনার পরপরই একটি সামরিক অভিযান শুরু করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে পরিচিত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেছেন, এই হামলার সঙ্গে তাঁর দেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
কাশ্মীরে জঙ্গিদের হামলা অস্বাভাবিক না হলেও পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করার ঘটনা বিরল। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা সামগ্রিকভাবে কমে এসেছিল। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই ধরনের ৪৬টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা ২০১৮ সালের ২২৮টি ঘটনার তুলনায় অনেক কম।
কাশ্মীরি জঙ্গি সম্পর্কে যা জানা যায়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, পাকিস্তান তার সীমানার মধ্যে কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। পাকিস্তানভিত্তিক একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী অতীতে ভারতে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের হামলা
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মুম্বাই শহরের ১২টি স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা লস্কর-ই-তাইয়েবার ১০ জঙ্গি। ওই আক্রমণে ১৮০ জন নিরীহ মানুষ নিহত হন এবং ৩ শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হন, যাঁদের অনেকে পরে মারা যান অথবা সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল মুম্বাইয়ের দ্য তাজমহল প্যালেস হোটেল ও ওবেরাই ট্রাইডেন্ট হোটেলের হামলা। প্রায় ৬৪ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সেই হোটেলের ২০০ জিম্মিকে মুক্ত করতে পেরেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলা
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, পাকিস্তানি ইসলামপন্থী সালাফি জিহাদি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা ও দেওবন্দি ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী জৈস-ই-মহম্মদ বহু আলোচিত এই হামলায় জড়িত ছিল। এই হামলায় একজন সাধারণ নাগরিকসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়।
২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামার হামলা
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির এই হামলায় ৪০ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। ৭৮টি বাসে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান জম্মু থেকে যাচ্ছিলেন শ্রীনগরে। বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈস-ই-মহম্মদ এই হামলায় জড়িত ছিল।
জঙ্গিরা সাধারণত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Control) বরাবর এবং এর আশপাশে চলাচল করে। এই অংশ কাশ্মীরের ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশকে বিভক্ত করেছে। জঙ্গিরা মূলত বিচ্ছিন্ন ও জনবসতিহীন এলাকায় থাকে। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে তাদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়। এই কারণে সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আবার অনেক স্থানীয় বাসিন্দার মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
কাশ্মীর হামলার প্রতিক্রিয়া
হামলার খবর পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে জরুরি বৈঠক করার জন্য শীর্ষ মন্ত্রীদের ডেকে পাঠান। তাঁর সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বড় ধরনের নিরাপত্তা অভিযান শুরু করেনি।
এর আগে ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে বিমান হামলা চালিয়েছিল, যা ১৯৭১ সালের পর প্রথম। সেই ঘটনার পর দুই দেশের যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ডগ ফাইট বা আকাশযুদ্ধ হয়েছিল। এরপর ২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলার পর প্রতিবেশী এই দুই দেশকে সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকালের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা ‘ভারতের অবৈধভাবে’ দখল করা জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
২৯ মিনিট আগে
হরিয়ানার ফরিদাবাদে এক চিকিৎসকের ভাড়া নেওয়া দুই বাড়ি থেকে ২ হাজার ৯০০ কেজির বেশি (প্রায় ৩ টন) বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল। তিনি ভারতে প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংযুক্ত করতেন।
৩৫ মিনিট আগে
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের একাধিক গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে এবং একটি গাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল দেহের খণ্ডাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি কাঁপা কণ্ঠে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে ‘কান কয়েক মিনিট ধরে বাজতে থাকে’। তিনি বলেন, ‘একজনের শরীর টুকরা হয়ে গিয়েছিল। আমি রাস্তায় একটি হাত পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণটা ছিল ভয়ংকর।’
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা ভারতের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোর একটি। অন্যান্য দিনের মতো আজকেও অসংখ্য মানুষের ভিড় ছিল লালকেল্লার সামনে।
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দিল্লি পুলিশ কমিশনার সত্যেশ গোলচা সাংবাদিকদের জানান, বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং আশপাশের বেশ কয়েকটি গাড়ি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ভাঙাচুড়া গাড়ি, ছিন্নভিন্ন লাশ এবং রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে আছে কাচের টুকরা।
গোলচা আরও জানান, ফরেনসিক দল, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন এবং তাঁকে প্রতিনিয়ত আপডেট জানানো হচ্ছে।’
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি চিফ এ কে মালিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, বিস্ফোরণের পর যে আগুন লেগেছিল, তা সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল।
ফায়ার সার্ভিসের আরও এক কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান, আগুনে ছয়টি গাড়ি, দুটি ই-রিকশা ও একটি অটোরিকশা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৮০০ মিটার দূরে অবস্থিত চাঁদনি চক ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় ভরগবের দোকান। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের শব্দে পুরো ভবন কেঁপে উঠেছিল।
আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি গুরুদুয়ারায় ছিলাম, হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ শুনি। শব্দটা এতটাই জোরে ছিল, আমি বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে।’
এ ঘটনার পর দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা ভারতের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোর একটি। অন্যান্য দিনের মতো আজকেও অসংখ্য মানুষের ভিড় ছিল লালকেল্লার সামনে।
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দিল্লি পুলিশ কমিশনার সত্যেশ গোলচা সাংবাদিকদের জানান, বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং আশপাশের বেশ কয়েকটি গাড়ি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ভাঙাচুড়া গাড়ি, ছিন্নভিন্ন লাশ এবং রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে আছে কাচের টুকরা।
গোলচা আরও জানান, ফরেনসিক দল, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন এবং তাঁকে প্রতিনিয়ত আপডেট জানানো হচ্ছে।’
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি চিফ এ কে মালিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, বিস্ফোরণের পর যে আগুন লেগেছিল, তা সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল।
ফায়ার সার্ভিসের আরও এক কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান, আগুনে ছয়টি গাড়ি, দুটি ই-রিকশা ও একটি অটোরিকশা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৮০০ মিটার দূরে অবস্থিত চাঁদনি চক ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় ভরগবের দোকান। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের শব্দে পুরো ভবন কেঁপে উঠেছিল।
আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি গুরুদুয়ারায় ছিলাম, হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ শুনি। শব্দটা এতটাই জোরে ছিল, আমি বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে।’
এ ঘটনার পর দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেন, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
২৩ এপ্রিল ২০২৫
হরিয়ানার ফরিদাবাদে এক চিকিৎসকের ভাড়া নেওয়া দুই বাড়ি থেকে ২ হাজার ৯০০ কেজির বেশি (প্রায় ৩ টন) বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল। তিনি ভারতে প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংযুক্ত করতেন।
৩৫ মিনিট আগে
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের একাধিক গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে এবং একটি গাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল দেহের খণ্ডাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি কাঁপা কণ্ঠে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে ‘কান কয়েক মিনিট ধরে বাজতে থাকে’। তিনি বলেন, ‘একজনের শরীর টুকরা হয়ে গিয়েছিল। আমি রাস্তায় একটি হাত পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণটা ছিল ভয়ংকর।’
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হরিয়ানার ফরিদাবাদে এক চিকিৎসকের ভাড়া নেওয়া দুই বাড়ি থেকে ২ হাজার ৯০০ কেজির বেশি (প্রায় ৩ টন) বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল। তিনি ভারতে প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংযুক্ত করতেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, উদ্ধার করা পদার্থগুলো সম্ভবত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, যা সাধারণত বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ফরিদাবাদ ও জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ সকাল থেকে ওই বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে।
শাকিল ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। দিল্লি থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে ধোজ এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদনপ্রাপ্ত।
গতকাল রোববার পুলিশ ধোজ এলাকার তাঁর ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ২০টি টাইমার, অ্যাসল্ট রাইফেল, হ্যান্ডগান ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। শাকিল সেখানে সাড়ে তিন বছর ধরে থাকতেন। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের প্রমাণ মেলায় ১০ দিন আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে আরও একটি পিস্তল, আটটি গুলি, দুটি খালি কার্তুজ, দুটি অতিরিক্ত ম্যাগাজিন, আটটি বড় স্যুটকেস, চারটি ছোট স্যুটকেস ও একটি বালতি উদ্ধার করা হয়।

দ্বিতীয় বাড়িটি ধোজ থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে ফতেহপুর টাগা গ্রামে। ওই বাড়ির মালিক এক মাওলানা, যাকে ইতিমধ্যে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানে সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর, আনন্তনাগ, গান্ডারবাল, শোপিয়ানসহ বিভিন্ন জায়গায় এবং ফরিদাবাদে একাধিক স্থানে তল্লাশিতে এক নতুন ধরনের ‘প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের জঙ্গি নেটওয়ার্ক’ উদ্ঘাটিত হয়েছে। যেখানে বহু শিক্ষিত ও পেশাজীবী, বিশেষত চিকিৎসক যুক্ত রয়েছেন। গত ১৫ দিনের এই যৌথ অভিযানে ২ হাজার ৯০০ কেজির বেশি বোমা তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগেও উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে কর্মরত কাশ্মীরি চিকিৎসক ড. আদিল আহমদ রাঠেরকে শ্রীনগরে জইশ-ই-মোহাম্মদ সমর্থনকারী পোস্টার লাগানোর অভিযোগে আটক করা হয়।
শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ফরিদাবাদ পুলিশ তাঁর এক নারী সহকর্মীর সুইফট গাড়ি উদ্ধার করে, যেখানে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল ও একটি পিস্তল পাওয়া যায়। ওই নারী চিকিৎসককেও পরে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই পেশাজীবী জঙ্গি চক্রটি পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তাঁরা শুধু প্রচারমূলক পোস্টার লাগানোই নয়, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনায়ও সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
শাকিল ও রাঠের ছাড়াও আরিফ নিসার দার, ইয়াসির উল আশরাফ, মাকসুদ আহমদ দার (শ্রীনগর), মৌলভি ইরফান আহমদ (শোপিয়ান), জমির আহমদ আহাঙ্গারকেও (গান্ডারবাল) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অস্ত্র ও বিস্ফোরকসামগ্রীর পাশাপাশি পুলিশ ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরির নির্দেশনা-সংবলিত বই ও নথিপত্রও উদ্ধার করেছে।

হরিয়ানার ফরিদাবাদে এক চিকিৎসকের ভাড়া নেওয়া দুই বাড়ি থেকে ২ হাজার ৯০০ কেজির বেশি (প্রায় ৩ টন) বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল। তিনি ভারতে প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংযুক্ত করতেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, উদ্ধার করা পদার্থগুলো সম্ভবত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, যা সাধারণত বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ফরিদাবাদ ও জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ সকাল থেকে ওই বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে।
শাকিল ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। দিল্লি থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে ধোজ এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদনপ্রাপ্ত।
গতকাল রোববার পুলিশ ধোজ এলাকার তাঁর ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ২০টি টাইমার, অ্যাসল্ট রাইফেল, হ্যান্ডগান ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। শাকিল সেখানে সাড়ে তিন বছর ধরে থাকতেন। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের প্রমাণ মেলায় ১০ দিন আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে আরও একটি পিস্তল, আটটি গুলি, দুটি খালি কার্তুজ, দুটি অতিরিক্ত ম্যাগাজিন, আটটি বড় স্যুটকেস, চারটি ছোট স্যুটকেস ও একটি বালতি উদ্ধার করা হয়।

দ্বিতীয় বাড়িটি ধোজ থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে ফতেহপুর টাগা গ্রামে। ওই বাড়ির মালিক এক মাওলানা, যাকে ইতিমধ্যে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানে সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর, আনন্তনাগ, গান্ডারবাল, শোপিয়ানসহ বিভিন্ন জায়গায় এবং ফরিদাবাদে একাধিক স্থানে তল্লাশিতে এক নতুন ধরনের ‘প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের জঙ্গি নেটওয়ার্ক’ উদ্ঘাটিত হয়েছে। যেখানে বহু শিক্ষিত ও পেশাজীবী, বিশেষত চিকিৎসক যুক্ত রয়েছেন। গত ১৫ দিনের এই যৌথ অভিযানে ২ হাজার ৯০০ কেজির বেশি বোমা তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগেও উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে কর্মরত কাশ্মীরি চিকিৎসক ড. আদিল আহমদ রাঠেরকে শ্রীনগরে জইশ-ই-মোহাম্মদ সমর্থনকারী পোস্টার লাগানোর অভিযোগে আটক করা হয়।
শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ফরিদাবাদ পুলিশ তাঁর এক নারী সহকর্মীর সুইফট গাড়ি উদ্ধার করে, যেখানে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল ও একটি পিস্তল পাওয়া যায়। ওই নারী চিকিৎসককেও পরে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই পেশাজীবী জঙ্গি চক্রটি পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তাঁরা শুধু প্রচারমূলক পোস্টার লাগানোই নয়, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনায়ও সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
শাকিল ও রাঠের ছাড়াও আরিফ নিসার দার, ইয়াসির উল আশরাফ, মাকসুদ আহমদ দার (শ্রীনগর), মৌলভি ইরফান আহমদ (শোপিয়ান), জমির আহমদ আহাঙ্গারকেও (গান্ডারবাল) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অস্ত্র ও বিস্ফোরকসামগ্রীর পাশাপাশি পুলিশ ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরির নির্দেশনা-সংবলিত বই ও নথিপত্রও উদ্ধার করেছে।

এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেন, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
২৩ এপ্রিল ২০২৫
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
২৯ মিনিট আগে
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের একাধিক গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে এবং একটি গাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল দেহের খণ্ডাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি কাঁপা কণ্ঠে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে ‘কান কয়েক মিনিট ধরে বাজতে থাকে’। তিনি বলেন, ‘একজনের শরীর টুকরা হয়ে গিয়েছিল। আমি রাস্তায় একটি হাত পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণটা ছিল ভয়ংকর।’
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে রেড ফোর্টের পাশে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের বাইরে গাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থল ভারতের সবচেয়ে ব্যস্ত ও নিরাপত্তা সংবেদনশীল এলাকায় হওয়ায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের একাধিক গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে এবং একটি গাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল দেহের খণ্ডাংশ।
প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের ধরন বা উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন।
দিল্লি, মুম্বাই, জয়পুর, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় দুই ডজন অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। ফরেনসিক ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল আলামত সংগ্রহ করছে।
ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের পরই দিল্লিতে বিস্ফোরণ
বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে হরিয়ানার ফরিদাবাদে দুটি আবাসিক ভবন থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি (৩ টন) বিস্ফোরক উদ্ধার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এর মধ্যে ৩৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল, যা সার হিসেবে ব্যবহৃত হলেও প্রাণঘাতী বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে।
এই অভিযান পরিচালিত হয় জম্মু ও কাশ্মীরের এক চিকিৎসক আদিল রশিদ রাঠারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। সিসিটিভিতে জইশ-ই-মোহাম্মদ নামের সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থনে পোস্টার লাগাতে দেখে রাঠারকে উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পোস্টারগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হুমকি ছিল বলে পুলিশের দাবি।
তদন্তে মুজাম্মিল শাকিল নামের আরও একজন চিকিৎসকের নাম উঠে আসে। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তাঁর নামে থাকা দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ১২টি স্যুটকেসভর্তি বিস্ফোরক, ডেটোনেটর ও টাইমার ডিভাইস উদ্ধার করে।
এ ছাড়া এক নারী চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার গাড়িতে একটি রাইফেল ও গুলি পাওয়া গেছে। আরও একটি রাইফেল উদ্ধার হয় কাশ্মীরের আনন্তনাগের মেডিকেল কলেজের একটি লকার থেকে, যেখানে আদিল রাঠার গত বছর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্রের ইঙ্গিত
এ ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক জইশ-ই-মোহাম্মদ ও আল-কায়েদা সম্পৃক্ত আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ জড়িত বলে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের দাবি। অভিযানের মাধ্যমে তারা এই দুটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত একটি আন্তরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আদিল রাঠার, মুজাম্মিল শাকিল, নারী চিকিৎসকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও কয়েক ঘণ্টা পর দিল্লির হৃদয়স্থলে হওয়া এই বিস্ফোরণ—দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাজধানীতে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ছিল, যা আংশিকভাবে সফল হয়েছে।
ঘটনার পর পুরো দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট ঘোষণা করা হয়েছে এবং লালকেল্লা এলাকা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, এই বিস্ফোরণ সাধারণ দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হামলার ইঙ্গিত বহন করছে।

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে রেড ফোর্টের পাশে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের বাইরে গাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থল ভারতের সবচেয়ে ব্যস্ত ও নিরাপত্তা সংবেদনশীল এলাকায় হওয়ায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের একাধিক গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে এবং একটি গাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল দেহের খণ্ডাংশ।
প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের ধরন বা উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন।
দিল্লি, মুম্বাই, জয়পুর, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় দুই ডজন অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। ফরেনসিক ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল আলামত সংগ্রহ করছে।
ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের পরই দিল্লিতে বিস্ফোরণ
বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে হরিয়ানার ফরিদাবাদে দুটি আবাসিক ভবন থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি (৩ টন) বিস্ফোরক উদ্ধার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এর মধ্যে ৩৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল, যা সার হিসেবে ব্যবহৃত হলেও প্রাণঘাতী বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে।
এই অভিযান পরিচালিত হয় জম্মু ও কাশ্মীরের এক চিকিৎসক আদিল রশিদ রাঠারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। সিসিটিভিতে জইশ-ই-মোহাম্মদ নামের সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থনে পোস্টার লাগাতে দেখে রাঠারকে উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পোস্টারগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হুমকি ছিল বলে পুলিশের দাবি।
তদন্তে মুজাম্মিল শাকিল নামের আরও একজন চিকিৎসকের নাম উঠে আসে। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তাঁর নামে থাকা দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ১২টি স্যুটকেসভর্তি বিস্ফোরক, ডেটোনেটর ও টাইমার ডিভাইস উদ্ধার করে।
এ ছাড়া এক নারী চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার গাড়িতে একটি রাইফেল ও গুলি পাওয়া গেছে। আরও একটি রাইফেল উদ্ধার হয় কাশ্মীরের আনন্তনাগের মেডিকেল কলেজের একটি লকার থেকে, যেখানে আদিল রাঠার গত বছর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্রের ইঙ্গিত
এ ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক জইশ-ই-মোহাম্মদ ও আল-কায়েদা সম্পৃক্ত আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ জড়িত বলে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের দাবি। অভিযানের মাধ্যমে তারা এই দুটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত একটি আন্তরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আদিল রাঠার, মুজাম্মিল শাকিল, নারী চিকিৎসকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও কয়েক ঘণ্টা পর দিল্লির হৃদয়স্থলে হওয়া এই বিস্ফোরণ—দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাজধানীতে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ছিল, যা আংশিকভাবে সফল হয়েছে।
ঘটনার পর পুরো দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট ঘোষণা করা হয়েছে এবং লালকেল্লা এলাকা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, এই বিস্ফোরণ সাধারণ দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হামলার ইঙ্গিত বহন করছে।

এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেন, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
২৩ এপ্রিল ২০২৫
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
২৯ মিনিট আগে
হরিয়ানার ফরিদাবাদে এক চিকিৎসকের ভাড়া নেওয়া দুই বাড়ি থেকে ২ হাজার ৯০০ কেজির বেশি (প্রায় ৩ টন) বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল। তিনি ভারতে প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংযুক্ত করতেন।
৩৫ মিনিট আগে
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি কাঁপা কণ্ঠে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে ‘কান কয়েক মিনিট ধরে বাজতে থাকে’। তিনি বলেন, ‘একজনের শরীর টুকরা হয়ে গিয়েছিল। আমি রাস্তায় একটি হাত পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণটা ছিল ভয়ংকর।’
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর মানুষের দেহের অংশ উড়ে এসে তাঁর সামনে রাস্তায় পড়তে দেখেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি কাঁপা কণ্ঠে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে ‘কান কয়েক মিনিট ধরে বাজতে থাকে’। তিনি বলেন, ‘একজনের শরীর টুকরা হয়ে গিয়েছিল। আমি রাস্তায় একটি হাত পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণটা ছিল ভয়ংকর।’
আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের ভবন, জানালা ও দরজা কেঁপে ওঠে।
আজ সোমবার লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের বাইরে বিস্ফোরণটি ঘটে। সেখানে সব সময় পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। ঘটনাস্থলটি জামা মসজিদ থেকে মাত্র ১ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরে এবং গুরুদুয়ারা সিসগঞ্জ সাহিব থেকে মাত্র কয়েক শ মিটার দূরে।
ঘটনার পরপর অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, গাড়িগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ধ্বংসাবশেষ ও দগ্ধ দেহাবশেষ। ডজনখানেক অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার কাজ শুরু করে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমি আমার বাড়ির ছাদ থেকে এক বিশাল আগুনের গোলা দেখেছি। মুহূর্তেই ভয়ংকর শব্দে সবকিছু কেঁপে ওঠে। আমি সঙ্গে সঙ্গে নিচে নেমে যাই। আমার বাড়ি গুরুদুয়ারার কাছে।’
আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সবকিছু হঠাৎ করেই ঘটল। আমার মনে হলো, শুধু একটি গাড়ি নয়, একাধিক গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।’
বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করছেন।

দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর মানুষের দেহের অংশ উড়ে এসে তাঁর সামনে রাস্তায় পড়তে দেখেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি কাঁপা কণ্ঠে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে ‘কান কয়েক মিনিট ধরে বাজতে থাকে’। তিনি বলেন, ‘একজনের শরীর টুকরা হয়ে গিয়েছিল। আমি রাস্তায় একটি হাত পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণটা ছিল ভয়ংকর।’
আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের ভবন, জানালা ও দরজা কেঁপে ওঠে।
আজ সোমবার লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের বাইরে বিস্ফোরণটি ঘটে। সেখানে সব সময় পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। ঘটনাস্থলটি জামা মসজিদ থেকে মাত্র ১ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরে এবং গুরুদুয়ারা সিসগঞ্জ সাহিব থেকে মাত্র কয়েক শ মিটার দূরে।
ঘটনার পরপর অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, গাড়িগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ধ্বংসাবশেষ ও দগ্ধ দেহাবশেষ। ডজনখানেক অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার কাজ শুরু করে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমি আমার বাড়ির ছাদ থেকে এক বিশাল আগুনের গোলা দেখেছি। মুহূর্তেই ভয়ংকর শব্দে সবকিছু কেঁপে ওঠে। আমি সঙ্গে সঙ্গে নিচে নেমে যাই। আমার বাড়ি গুরুদুয়ারার কাছে।’
আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সবকিছু হঠাৎ করেই ঘটল। আমার মনে হলো, শুধু একটি গাড়ি নয়, একাধিক গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।’
বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করছেন।

এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেন, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
২৩ এপ্রিল ২০২৫
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
২৯ মিনিট আগে
হরিয়ানার ফরিদাবাদে এক চিকিৎসকের ভাড়া নেওয়া দুই বাড়ি থেকে ২ হাজার ৯০০ কেজির বেশি (প্রায় ৩ টন) বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল। তিনি ভারতে প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংযুক্ত করতেন।
৩৫ মিনিট আগে
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের একাধিক গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে এবং একটি গাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল দেহের খণ্ডাংশ।
১ ঘণ্টা আগে