আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাল ১৯৫৯। চীনা সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে ব্যর্থ তিব্বতিদের বিদ্রোহ। সে সময় রাতের অন্ধকারে তিব্বত ছেড়ে যান এক ভিক্ষু। তিনি আর কেউই নন, মালভূমিটির ১৪তম দালাই লামা তেনজিন গিয়াৎসো। বিশের কোঠার মাঝামাঝিতে তখন তাঁর বয়স।
তিব্বতের ওপর চীনের এই আগ্রাসন দেখে চুপ ছিল বিশ্ব। তিব্বতিদের সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা আর ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্ব এসে পড়ে এই তরুণের কাঁধে। সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, কিন্তু তাঁর ভেতরে ছিল অদম্য দৃঢ়তা।
এরপর কেটে গেছে কয়েক দশক। ভারতে নির্বাসনে থেকেও দালাই লামার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে তিব্বতের গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বে। তিনি কেবল তিব্বতিদের আধ্যাত্মিক গুরুই নন, বরং মাতৃভূমি ফিরে পেতে চাওয়া এক জাতির আশা-ভরসার প্রতীক।
অহিংসার পক্ষে অটল অবস্থান নেওয়ায় ১৯৮৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন দালাই লামা। তাঁর দাবি স্পষ্ট, তিব্বতের পূর্ণ স্বাধীনতা নয়, বরং স্বশাসন ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার অধিকার।
কিন্তু বেইজিং বরাবরই তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে দেখে এসেছে। চীন-তিব্বত সম্পর্কের বহু দশকের জটিলতার কেন্দ্রে থেকেও দালাই লামা কখনো তাঁর শান্তিপূর্ণ পথচলা থেকে বিচ্যুত হননি।
এ বছরের জুনে ৯০ বছরে পা রেখে তিনি ঘোষণা দেন, তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরসূরি অবশ্যই আসবেন। ছয় শতাব্দী পুরোনো এই বৌদ্ধপ্রতিষ্ঠান যেন থেমে না যায়, সে আশ্বাসেই যেন নতুন করে প্রাণ পান তাঁর অনুসারীরা।
জীবনের শেষ অধ্যায়ে দাঁড়িয়েও তিনি ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন তাঁর উত্তরাধিকার, তাঁর জাতি এবং এক শান্তিপূর্ণ পৃথিবীর স্বপ্ন নিয়ে।
শৈশব ও নির্বাসনের শুরু
দালাই লামা ১৯৩৫ সালের ৬ জুলাই তিব্বতের বর্তমান সীমানার ঠিক বাইরে একটি ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
কৃষক বাবা-মা তাঁদের এই নবজাতক ছেলের নাম দেন ‘লহামো ধোন্দুব’।
মাত্র দুই বছর বয়সে একদল বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা তাঁকে পূর্ববর্তী ১৩ জন দালাই লামার পুনর্জন্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং বয়স চার বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তাঁকে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করা হয়। তখনোই তাঁর নাম দেওয়া হয় ‘তেনজিন গিয়াৎসো’।
দালাই লামার শিক্ষা শুরু হয় এক বৌদ্ধ মঠে। সেখানেই কঠোর সাধনা ও অধ্যবসায়ের মধ্য দিয়ে তিনি অর্জন করেন গেশে লহারাম্পা ডিগ্রি—বৌদ্ধ দর্শনে সর্বোচ্চ সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি।
১৯৫০ সালে তাঁর বয়স যখন ১৫, চীনের নবগঠিত কমিউনিস্ট সরকার তাদের সেনাবাহিনী নিয়ে প্রবেশ করে তিব্বতে। এরপর ১৯৫১ সালে চীন একতরফাভাবে তৈরি করে ১৭ দফা চুক্তি; যা তিব্বতকে চীনের অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা দেয়।
১৯৫৯ সালের ১০ মার্চ এক চীনা জেনারেল দালাই লামাকে আমন্ত্রণ জানান একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। কিন্তু তিব্বতের জনতার মনে গভীর শঙ্কা—একি কোনো চক্রান্ত? অপহরণ বা হত্যার আশঙ্কায় হাজারো মানুষ ভিড় করেন তাঁর প্রাসাদের সামনে।
সেই জনসমাবেশ রূপ নেয় বিক্ষোভে। চীনা সেনাবাহিনী নেমে আসে দমন-পীড়নে। প্রচণ্ড সহিংসতায় প্রাণ হারান বহু তিব্বতি। ইতিহাসের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়ে রচিত হয় নির্বাসনের সূচনা।
দালাই লামা রাতে ছদ্মবেশে তিব্বত ছেড়ে যান। এক সৈনিকের পোশাকে ভিড়ে মিশে যান তিনি। তাঁর কথায়, এই সিদ্ধান্ত আসে তাঁর ব্যক্তিগত দেবদূতের দিব্য বার্তা থেকে।
১৫ দিন ধরে কঠিন হিমালয় পেরিয়ে অবশেষে তিনি পৌঁছান ভারতের সীমান্তে। ভারত সরকার তাঁকে আশ্রয় দেয়। তাঁর নতুন ঠিকানা হয় উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশ অঙ্গরাজ্যের ধরমশালা শহরে; যা পরিণত হয় তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের ঘাঁটিতে।
দালাই লামার সঙ্গে প্রায় ৮০ হাজার তিব্বতি পাড়ি জমান নির্বাসনে। তাঁদের অনেকে আশ্রয় নেন ধরমশালাতেই—যেখানে গড়ে ওঠে এক নতুন তিব্বত।

শান্তিতে-বিতর্কে দালাই লামা
নির্বাসনে এসেই তিব্বতের প্রাচীন সংস্কৃতি ও পরিচয় রক্ষার পাশাপাশি বিশ্বের দরবারে তিব্বতবাসীর দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন দালাই লামা।
তিনি জাতিসংঘের দ্বারস্থ হন, বারবার আহ্বান জানান তিব্বতবাসীর সুরক্ষার জন্য। তাঁর প্রচেষ্টাতেই ১৯৫৯, ১৯৬১ ও ১৯৬৫ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয় একাধিক প্রস্তাব; যেখানে তিব্বতিদের মানবাধিকার রক্ষার দাবি জানানো হয়।
তবে তাঁর অবস্থান সব সময় ছিল মধ্যপন্থার দিকে—স্বাধীনতা নয়, বরং চীনের আওতায় থেকেই তিব্বতের জন্য প্রকৃত স্বশাসনের দাবি। এটি ছিল এক বাস্তববাদী ও অহিংস পথ, যা তিনি নিরলসভাবে অনুসরণ করে গেছেন।
১৯৮৭ সালে তিব্বতে হান চীনাদের বড় আকারের স্থানান্তরের বিরুদ্ধে লাসা শহরে প্রতিবাদের মধ্যে দালাই লামা পাঁচ দফা পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন, যেখানে তিনি তিব্বতকে একটি শান্তিময় অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
দমন-পীড়ন, নির্বাসন ও অপমান সত্ত্বেও দালাই লামা কখনো সরে আসেননি অহিংস পন্থায় প্রতিরোধ থেকে। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৯ সালে তাঁকে দেওয়া হয় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার।
নোবেল কমিটির ভাষায়, ‘যে জাতি বছরের পর বছর ধরে দুঃসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদের নেতা হয়ে তিনি যে শান্তিপূর্ণ পথে থেকেছেন, তা এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত।’
বৈশ্বিক নানা রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দালাই লামা। ক্যাথলিক খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সাবেক সর্বোচ্চ যাজক (পোপ) প্রয়াত দ্বিতীয় জন পলের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ডেসমন্ড টুটুর সঙ্গে যৌথভাবে লেখেন একটি বই। তাঁর যাত্রাপথে পাশে পান হলিউডের রিচার্ড গিয়ার, মার্টিন স্করসেজি বা লেডি গাগার মতো সমর্থকদের।
তবে এই শান্তিপন্থী অবস্থান, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছে, তা কখনো কখনো হয়ে ওঠে তিব্বতের কিছু অংশের মানুষের হতাশার কারণ। তাঁরা মনে করেন, চীনের বিরুদ্ধে খুবই নরম ছিলেন দালাই লামা।
২০০৮ সালে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে লাসায় সহিংস দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাবে, এতে বহু তিব্বতি প্রাণ হারান।
শান্তির দূত হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেলেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি দালাই লামার।
সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি ঘটে ২০২৩ সালে, যখন এক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি এক শিশুকে ‘জিব চুষতে’ বলছেন।
এ ঘটনার পর দালাই লামার দপ্তর জানায়, তিনি প্রায়ই খেলাচ্ছলে এমন আচরণ করেন। যদিও পরে তিনি ক্ষমা চান।
২০১৯ সালেও তিনি বিতর্কে জড়ান, যখন বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভবিষ্যতের কোনো নারী দালাই লামা হলে তাঁকে ‘আকর্ষণীয়’ হতে হবে। সেই মন্তব্যের পরও দুঃখ প্রকাশ করে তাঁর দপ্তর।

উত্তরাধিকার প্রশ্ন
তিব্বতের ইতিহাসে দালাই লামা শুধু আধ্যাত্মিক নেতা নন, রাজনীতিরও সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব। কিন্তু ২০১১ সালের মার্চ মাসে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে দালাই লামা তাঁর রাজনৈতিক দায়িত্ব হস্তান্তর করেন নির্বাসিত তিব্বত সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে।
তাঁর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে একটি প্রশ্ন ক্রমশ তীব্র হয়ে ওঠে—এই দীর্ঘ পথচলার পর কে হবেন উত্তরসূরি।
দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়, যখন দালাই লামা ইঙ্গিত দেন, তাঁর কোনো পুনর্জন্মপ্রাপ্ত উত্তরসূরি না-ও থাকতে পারে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত তিব্বতের মানুষের হাতেই থাকবে।
তবে এ বছর ৯০ বছরে পা রেখে তিনি বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘অনেক অনুরোধ ও মতামত বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দালাই লামার প্রতিষ্ঠান চলমান থাকবে।’ এই ঘোষণায় যেন নতুন আশার আলো দেখেন তাঁর অনুসারীরা।
বিশ্লেষকদের মতে, দালাই লামার এ বক্তব্য কেবল অনুসারীদের জন্যই নয়, বরং বেইজিংয়ের উদ্দেশেও এক কড়া বার্তা—তাঁর নেতৃত্ব জনগণের সম্মতির ওপর প্রতিষ্ঠিত; শক্তি ও দখলের ওপর নয়।
দালাই লামা বলেছেন, ভবিষ্যৎ দালাই লামার পুনর্জন্ম চিহ্নিত করার অধিকার একমাত্র তাঁর দপ্তরের।
‘এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার অন্য কারও নেই’—এই ঘোষণা কার্যত চীনের দাবির প্রতি এক দৃঢ় প্রত্যাখ্যান।
চীন দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, দালাই লামার উত্তরসূরি নির্ধারণের চূড়ান্ত ক্ষমতা তাদেরই।
চীন ওই ঘোষণা শুনে জানায়, ভবিষ্যৎ দালাই লামার অনুমোদন দেওয়ার অধিকার কেবল বেইজিংয়ের।
এদিকে দালাই লামা আগেই বলে রেখেছেন, তাঁর উত্তরসূরি জন্ম নেবেন ‘এক মুক্ত দেশে’, চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলের বাইরে।
তবে সেই ব্যক্তি কে হবেন, তা এখনো রহস্যই থেকে গেছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সাল ১৯৫৯। চীনা সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে ব্যর্থ তিব্বতিদের বিদ্রোহ। সে সময় রাতের অন্ধকারে তিব্বত ছেড়ে যান এক ভিক্ষু। তিনি আর কেউই নন, মালভূমিটির ১৪তম দালাই লামা তেনজিন গিয়াৎসো। বিশের কোঠার মাঝামাঝিতে তখন তাঁর বয়স।
তিব্বতের ওপর চীনের এই আগ্রাসন দেখে চুপ ছিল বিশ্ব। তিব্বতিদের সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা আর ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্ব এসে পড়ে এই তরুণের কাঁধে। সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, কিন্তু তাঁর ভেতরে ছিল অদম্য দৃঢ়তা।
এরপর কেটে গেছে কয়েক দশক। ভারতে নির্বাসনে থেকেও দালাই লামার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে তিব্বতের গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বে। তিনি কেবল তিব্বতিদের আধ্যাত্মিক গুরুই নন, বরং মাতৃভূমি ফিরে পেতে চাওয়া এক জাতির আশা-ভরসার প্রতীক।
অহিংসার পক্ষে অটল অবস্থান নেওয়ায় ১৯৮৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন দালাই লামা। তাঁর দাবি স্পষ্ট, তিব্বতের পূর্ণ স্বাধীনতা নয়, বরং স্বশাসন ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার অধিকার।
কিন্তু বেইজিং বরাবরই তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে দেখে এসেছে। চীন-তিব্বত সম্পর্কের বহু দশকের জটিলতার কেন্দ্রে থেকেও দালাই লামা কখনো তাঁর শান্তিপূর্ণ পথচলা থেকে বিচ্যুত হননি।
এ বছরের জুনে ৯০ বছরে পা রেখে তিনি ঘোষণা দেন, তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরসূরি অবশ্যই আসবেন। ছয় শতাব্দী পুরোনো এই বৌদ্ধপ্রতিষ্ঠান যেন থেমে না যায়, সে আশ্বাসেই যেন নতুন করে প্রাণ পান তাঁর অনুসারীরা।
জীবনের শেষ অধ্যায়ে দাঁড়িয়েও তিনি ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন তাঁর উত্তরাধিকার, তাঁর জাতি এবং এক শান্তিপূর্ণ পৃথিবীর স্বপ্ন নিয়ে।
শৈশব ও নির্বাসনের শুরু
দালাই লামা ১৯৩৫ সালের ৬ জুলাই তিব্বতের বর্তমান সীমানার ঠিক বাইরে একটি ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
কৃষক বাবা-মা তাঁদের এই নবজাতক ছেলের নাম দেন ‘লহামো ধোন্দুব’।
মাত্র দুই বছর বয়সে একদল বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা তাঁকে পূর্ববর্তী ১৩ জন দালাই লামার পুনর্জন্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং বয়স চার বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তাঁকে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করা হয়। তখনোই তাঁর নাম দেওয়া হয় ‘তেনজিন গিয়াৎসো’।
দালাই লামার শিক্ষা শুরু হয় এক বৌদ্ধ মঠে। সেখানেই কঠোর সাধনা ও অধ্যবসায়ের মধ্য দিয়ে তিনি অর্জন করেন গেশে লহারাম্পা ডিগ্রি—বৌদ্ধ দর্শনে সর্বোচ্চ সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি।
১৯৫০ সালে তাঁর বয়স যখন ১৫, চীনের নবগঠিত কমিউনিস্ট সরকার তাদের সেনাবাহিনী নিয়ে প্রবেশ করে তিব্বতে। এরপর ১৯৫১ সালে চীন একতরফাভাবে তৈরি করে ১৭ দফা চুক্তি; যা তিব্বতকে চীনের অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা দেয়।
১৯৫৯ সালের ১০ মার্চ এক চীনা জেনারেল দালাই লামাকে আমন্ত্রণ জানান একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। কিন্তু তিব্বতের জনতার মনে গভীর শঙ্কা—একি কোনো চক্রান্ত? অপহরণ বা হত্যার আশঙ্কায় হাজারো মানুষ ভিড় করেন তাঁর প্রাসাদের সামনে।
সেই জনসমাবেশ রূপ নেয় বিক্ষোভে। চীনা সেনাবাহিনী নেমে আসে দমন-পীড়নে। প্রচণ্ড সহিংসতায় প্রাণ হারান বহু তিব্বতি। ইতিহাসের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়ে রচিত হয় নির্বাসনের সূচনা।
দালাই লামা রাতে ছদ্মবেশে তিব্বত ছেড়ে যান। এক সৈনিকের পোশাকে ভিড়ে মিশে যান তিনি। তাঁর কথায়, এই সিদ্ধান্ত আসে তাঁর ব্যক্তিগত দেবদূতের দিব্য বার্তা থেকে।
১৫ দিন ধরে কঠিন হিমালয় পেরিয়ে অবশেষে তিনি পৌঁছান ভারতের সীমান্তে। ভারত সরকার তাঁকে আশ্রয় দেয়। তাঁর নতুন ঠিকানা হয় উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশ অঙ্গরাজ্যের ধরমশালা শহরে; যা পরিণত হয় তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের ঘাঁটিতে।
দালাই লামার সঙ্গে প্রায় ৮০ হাজার তিব্বতি পাড়ি জমান নির্বাসনে। তাঁদের অনেকে আশ্রয় নেন ধরমশালাতেই—যেখানে গড়ে ওঠে এক নতুন তিব্বত।

শান্তিতে-বিতর্কে দালাই লামা
নির্বাসনে এসেই তিব্বতের প্রাচীন সংস্কৃতি ও পরিচয় রক্ষার পাশাপাশি বিশ্বের দরবারে তিব্বতবাসীর দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন দালাই লামা।
তিনি জাতিসংঘের দ্বারস্থ হন, বারবার আহ্বান জানান তিব্বতবাসীর সুরক্ষার জন্য। তাঁর প্রচেষ্টাতেই ১৯৫৯, ১৯৬১ ও ১৯৬৫ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয় একাধিক প্রস্তাব; যেখানে তিব্বতিদের মানবাধিকার রক্ষার দাবি জানানো হয়।
তবে তাঁর অবস্থান সব সময় ছিল মধ্যপন্থার দিকে—স্বাধীনতা নয়, বরং চীনের আওতায় থেকেই তিব্বতের জন্য প্রকৃত স্বশাসনের দাবি। এটি ছিল এক বাস্তববাদী ও অহিংস পথ, যা তিনি নিরলসভাবে অনুসরণ করে গেছেন।
১৯৮৭ সালে তিব্বতে হান চীনাদের বড় আকারের স্থানান্তরের বিরুদ্ধে লাসা শহরে প্রতিবাদের মধ্যে দালাই লামা পাঁচ দফা পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন, যেখানে তিনি তিব্বতকে একটি শান্তিময় অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
দমন-পীড়ন, নির্বাসন ও অপমান সত্ত্বেও দালাই লামা কখনো সরে আসেননি অহিংস পন্থায় প্রতিরোধ থেকে। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৯ সালে তাঁকে দেওয়া হয় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার।
নোবেল কমিটির ভাষায়, ‘যে জাতি বছরের পর বছর ধরে দুঃসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদের নেতা হয়ে তিনি যে শান্তিপূর্ণ পথে থেকেছেন, তা এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত।’
বৈশ্বিক নানা রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দালাই লামা। ক্যাথলিক খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সাবেক সর্বোচ্চ যাজক (পোপ) প্রয়াত দ্বিতীয় জন পলের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ডেসমন্ড টুটুর সঙ্গে যৌথভাবে লেখেন একটি বই। তাঁর যাত্রাপথে পাশে পান হলিউডের রিচার্ড গিয়ার, মার্টিন স্করসেজি বা লেডি গাগার মতো সমর্থকদের।
তবে এই শান্তিপন্থী অবস্থান, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছে, তা কখনো কখনো হয়ে ওঠে তিব্বতের কিছু অংশের মানুষের হতাশার কারণ। তাঁরা মনে করেন, চীনের বিরুদ্ধে খুবই নরম ছিলেন দালাই লামা।
২০০৮ সালে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে লাসায় সহিংস দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাবে, এতে বহু তিব্বতি প্রাণ হারান।
শান্তির দূত হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেলেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি দালাই লামার।
সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি ঘটে ২০২৩ সালে, যখন এক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি এক শিশুকে ‘জিব চুষতে’ বলছেন।
এ ঘটনার পর দালাই লামার দপ্তর জানায়, তিনি প্রায়ই খেলাচ্ছলে এমন আচরণ করেন। যদিও পরে তিনি ক্ষমা চান।
২০১৯ সালেও তিনি বিতর্কে জড়ান, যখন বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভবিষ্যতের কোনো নারী দালাই লামা হলে তাঁকে ‘আকর্ষণীয়’ হতে হবে। সেই মন্তব্যের পরও দুঃখ প্রকাশ করে তাঁর দপ্তর।

উত্তরাধিকার প্রশ্ন
তিব্বতের ইতিহাসে দালাই লামা শুধু আধ্যাত্মিক নেতা নন, রাজনীতিরও সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব। কিন্তু ২০১১ সালের মার্চ মাসে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে দালাই লামা তাঁর রাজনৈতিক দায়িত্ব হস্তান্তর করেন নির্বাসিত তিব্বত সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে।
তাঁর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে একটি প্রশ্ন ক্রমশ তীব্র হয়ে ওঠে—এই দীর্ঘ পথচলার পর কে হবেন উত্তরসূরি।
দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়, যখন দালাই লামা ইঙ্গিত দেন, তাঁর কোনো পুনর্জন্মপ্রাপ্ত উত্তরসূরি না-ও থাকতে পারে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত তিব্বতের মানুষের হাতেই থাকবে।
তবে এ বছর ৯০ বছরে পা রেখে তিনি বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘অনেক অনুরোধ ও মতামত বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দালাই লামার প্রতিষ্ঠান চলমান থাকবে।’ এই ঘোষণায় যেন নতুন আশার আলো দেখেন তাঁর অনুসারীরা।
বিশ্লেষকদের মতে, দালাই লামার এ বক্তব্য কেবল অনুসারীদের জন্যই নয়, বরং বেইজিংয়ের উদ্দেশেও এক কড়া বার্তা—তাঁর নেতৃত্ব জনগণের সম্মতির ওপর প্রতিষ্ঠিত; শক্তি ও দখলের ওপর নয়।
দালাই লামা বলেছেন, ভবিষ্যৎ দালাই লামার পুনর্জন্ম চিহ্নিত করার অধিকার একমাত্র তাঁর দপ্তরের।
‘এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার অন্য কারও নেই’—এই ঘোষণা কার্যত চীনের দাবির প্রতি এক দৃঢ় প্রত্যাখ্যান।
চীন দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, দালাই লামার উত্তরসূরি নির্ধারণের চূড়ান্ত ক্ষমতা তাদেরই।
চীন ওই ঘোষণা শুনে জানায়, ভবিষ্যৎ দালাই লামার অনুমোদন দেওয়ার অধিকার কেবল বেইজিংয়ের।
এদিকে দালাই লামা আগেই বলে রেখেছেন, তাঁর উত্তরসূরি জন্ম নেবেন ‘এক মুক্ত দেশে’, চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলের বাইরে।
তবে সেই ব্যক্তি কে হবেন, তা এখনো রহস্যই থেকে গেছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

তবে এই শান্তিপন্থী অবস্থান, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছে, তা কখনো কখনো হয়ে ওঠে তিব্বতের কিছু অংশের মানুষের হতাশার কারণ। তাঁরা মনে করেন, চীনের বিরুদ্ধে খুবই নরম ছিলেন দালাই লামা।
০২ জুলাই ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

তবে এই শান্তিপন্থী অবস্থান, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছে, তা কখনো কখনো হয়ে ওঠে তিব্বতের কিছু অংশের মানুষের হতাশার কারণ। তাঁরা মনে করেন, চীনের বিরুদ্ধে খুবই নরম ছিলেন দালাই লামা।
০২ জুলাই ২০২৫
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

তবে এই শান্তিপন্থী অবস্থান, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছে, তা কখনো কখনো হয়ে ওঠে তিব্বতের কিছু অংশের মানুষের হতাশার কারণ। তাঁরা মনে করেন, চীনের বিরুদ্ধে খুবই নরম ছিলেন দালাই লামা।
০২ জুলাই ২০২৫
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডাই বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডাই বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

তবে এই শান্তিপন্থী অবস্থান, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছে, তা কখনো কখনো হয়ে ওঠে তিব্বতের কিছু অংশের মানুষের হতাশার কারণ। তাঁরা মনে করেন, চীনের বিরুদ্ধে খুবই নরম ছিলেন দালাই লামা।
০২ জুলাই ২০২৫
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে