Ajker Patrika

ভারতে করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড

আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২১, ১৩: ৩৭
ভারতে করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড

ভারতে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন বাজে দিকে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটিই ভারতে একদিনে শনাক্ত হওয়া সর্বোচ্চ সংক্রমণ।

শুক্রবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৭৮০ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাাঁড়াল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪২।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভারতে মোট ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় গোটা বিশ্বে এখন ভারতের অবস্থান তৃতীয়। এ তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে এখনো যুক্তরাষ্ট্র। এর পরই ব্রাজিলের অবস্থান।

এ অবস্থায় করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ভুত করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দেশটির সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক করেছেন নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ তো বটেই মুখ্যমন্ত্রীরাও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গা ছাড়া ভাব দেখাচ্ছেন। ভার্চ্যুয়াল পরিসরে হওয়া এই বৈঠকে পরিস্থিতি সামাল দিতে সবাইকে তিনি কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো, সান্ধ্য কারফিউসহ মানুষের চলাচল ও জনসমাবেশ রোধে কঠোর হওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের আহ্বান জানান তিনি।

বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘টিকা উৎসব’ পালনের প্রস্তাব করেন। এই সময়ের মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে নাগরিক নেতৃবৃন্দসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে করোনা মোকাবিলায় যে টিকার ওপর নির্ভর করছে সবাই, সেই টিকারও সরবরাহ সংকট রয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার দেওয়া তথ্যমতে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৯ কোটি ৪৩ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এখনো টিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও বেশ কিছু অঞ্চলে সরবরাহ সংকটের কারণে টিকা দেওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে মুম্বাই অন্যতম। সেখানে সবরাহ সংকটের কারণে আজ শুক্রবার বেশ কিছু টিকাকেন্দ্র বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

ক্রমাগত বাজে দিকে যাওয়া করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানুষের চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য প্রশাসন। এর মধ্যে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশে সান্ধ্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত