Ajker Patrika

মোদির নামেই প্রচারণা চালানো হবে, বিজেপিকে কটাক্ষ কৃষক নেতার

মোদির নামেই প্রচারণা চালানো হবে, বিজেপিকে কটাক্ষ কৃষক নেতার

ফের বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের উত্তর প্রদেশ। বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকেরা। উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে গতকাল রোববার লাখ লাখ কৃষক বিক্ষোভে অংশ নেন। ভারতের সংসদে গত নভেম্বরে বিতর্কিত কৃষি আইন পাস হওয়ার পর থেকেই কৃষকদের এই বিক্ষোভ শুরু হয়। 

কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভ জোরালো করে সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই নরেন্দ্র মোদি সরকার কৃষকবিরোধী সরকার।’ 

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাকেশ টিকায়েত বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘এবার শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামেই প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা যা করেন, কৃষকরাও তাই করবেন।’ 

কৃষক আন্দোলনে ভিন্ন রকমের প্রতিবাদ করার ইঙ্গিত দিয়ে রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘আমরা আন্দোলনে শুধু প্রধানমন্ত্রীর প্রচারই করব। প্রধানমন্ত্রী মোদি সবকিছু বিক্রি করে দিচ্ছেন। আমরা মানুষকে জানাব কী কী বিক্রি করা হচ্ছে। এতে মোদির প্রচার হবে। বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদি অনেক কিছুই বিক্রি করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে মানুষকে জানানো কি ভুল কিছু হবে?’ 

প্রসঙ্গত, গতকাল রোববারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কৃষকেরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বছরের উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হবে। এমনকি মুজাফফরনগরে রোববারের বিশাল সভাকে ‘মিশন উত্তর প্রদেশ-উত্তরাখণ্ড’ নামে ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপি শাসিত দুই রাজ্যে আগামী বছরের রাজ্য নির্বাচন নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। 

কৃষকদের বিক্ষোভের পর এনডিটিভিকে রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘উত্তর প্রদেশের মতো অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও এ রকম সভা করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর মোদির লোকসভার আসন বারাণসী ও রাজধানী লখনউতে কৃষক সভার আয়োজন করা হবে।’ 

কৃষি আইনের বাতিলের দাবিতে উত্তাল ভারতমুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শহর গোরাখপুরে কৃষক সভার আয়োজন হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘সেই শহর কৃষকদের শহর। যোগীজির জন্য তো মন্দির রয়েছে।’ 

রাকেশ টিকায়েত আরও বলেন, ‘সরকার যদি আলোচনার জন্য আহ্বান জানায় আমরা আলোচনায় যাবো। আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। স্বাধীনতার সংগ্রাম চলেছে ৯০ বছর পর্যন্ত। আমাদের এই কৃষক আন্দোলন কত দিন চলবে সে সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না।’ 

কৃষক সভার জন্য স্থান নির্বাচনও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। মুজাফফরনগরে আট বছর আগে বড় ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে ৬০ জনের মতো নিহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে অধিকাংশই ছিল মুসলিম। 

মুজাফফরনগরে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন শেষ হয়েছে কি না জানতে চাইলে রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘এখন সব শেষ হয়ে গেছে। কৃষকদের বিক্ষোভ সেই ব্যবধানকে দূর করেছে। মুজাফফরনগর এখন মোহাব্বতনগর অর্থাৎ প্রেমের শহরে পরিণত হয়েছে। কৃষকেরা রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে এই ধরনের বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ 

উল্লেখ্য, সম্মিলিত কিষান মোর্চা (এসকেএম) বলেছে, এই কৃষক সভা প্রমাণ করছে এই আন্দোলনে সকল জাতি, ধর্ম, রাজ্য, শ্রেণি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সমাজের সকল শ্রেণির সমর্থন রয়েছে।  
 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

‘মেয়েরা যেন আমার মরা মুখ না দেখে’, চিরকুট লিখে ঠিকাদারের ‘আত্মহত্যা’

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে নিজের রেকর্ড ভাঙল যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত