Ajker Patrika

৮০ হাজার ধারণক্ষমতায় আড়াই লাখ জমায়েত: উত্তর প্রদেশে মর্মান্তিক পদদলন যেভাবে ঘটল

আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৩: ০৫
৮০ হাজার ধারণক্ষমতায় আড়াই লাখ জমায়েত: উত্তর প্রদেশে মর্মান্তিক পদদলন যেভাবে ঘটল

ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ধর্মীয় আশ্রমে পদদলনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১ জনে। নিহতদের মধ্যে শতাধিক নারী ও বাকিদের প্রায় সবাই শিশু। এই ঘটনায় আশ্রমের প্রধান ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরিকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে জানা গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

উত্তর প্রদেশ সরকারের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১ জনে। নিহতদের মধ্যে শতাধিক নারী ও শিশু আছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৮ জন। নিহতদের মধ্যে এখনো ৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে সরকার এই ঘটনায় নিহত পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। 

রাজ্যের হাতরাশ জেলার একটি গ্রামে অবস্থিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরির রাম কুটির চ্যারিটেবল ট্রাস্ট আশ্রমে এই পদদলনের ঘটনা ঘটে। ভোলে বাবার আসল নাম সুরাজ পাল। হাতরাশের মৈনপুর শহরের এই পদদলনের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তার অনুমান করছেন, এই দুর্ঘটনার সময় ভোলে বাবা আশ্রমেই উপস্থিত ছিলেন। 

জানা গেছে, ভোলে বাবার ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অসংখ্য নারী-পুরুষ। পরে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে সবাই ছত্রভঙ্গ হতে শুরু করে। এ সময় পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। কেন পদদলনের ঘটনা ঘটে সে বিষয়ে স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত খুব সামান্য জায়গায় বিপুল পরিমাণ মানুষের উপস্থিতির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাতরাশে পদদলনের ঘটনা মূলত অল্প জায়গায় বেশি মানুষ চলে আসার কারণে ঘটেছিল। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা এক নারী এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, খুব সামান্য জায়গা অল্প সময়ের মধ্যেই লোকারণ্য হয়ে উঠেছিল। একপর্যায়ে সহ্য করতে না পেরে অনেকেই বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আর এতেই ভীতির সৃষ্টি হয় সবার মাঝে। যে যেভাবে পারে বের হওয়ার চেষ্টা করছিল। 

কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, আশ্রমের গুরু ভোলে বাবা ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় ভক্তদের মধ্যে তাঁর পদধূলি নেওয়ার তীব্র প্রতিযোগিতা দেখা দেয়। এই বিষয়টিও পদদলনের ঘটনার অন্যতম কারণ। 

এদিকে, অতি অল্প জায়গা অধিক মানুষের জন্য আয়োজন করা ও পদদলিত হওয়ার ঘটনায় হাতরাশ সৎসঙ্গ সংঘের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় পুলিশ উল্লেখ করেছে, সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে ৮০ হাজার লোক আসার অনুমতি দেওয়া হলেও সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। 

মামলার নথিতে বলা হয়েছে, ‘অনিয়ন্ত্রিত ভিড় অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার কারণে মাটিতে বসে থাকা ভক্তরা পিষ্ট হয়। তবে রাস্তার অপর পাশে জল এবং কাদা ভরা ফসলি মাঠের মধ্য দিয়ে লোকজন বের হওয়ার চেষ্টা করলে আশ্রমের লোকজন ভিড়কে লাঠি দেখিয়ে জোর করে থামিয়ে দেয়। যার কারণে ভিড়ে চাপ বাড়তে থাকে এবং মহিলা, শিশু এবং পুরুষেরা পিষ্ট হতে থাকে।’ এতে আরও অভিযোগ করা হয়, ভক্তদের সুশৃঙ্খলভাবে বের হতে দিতে আয়োজকেরা কোনো চেষ্টাই করেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই-অগাস্টে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় এক দিনে ১০০ ডলার কমল সোনার দাম

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত