Ajker Patrika

আবার প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় ধনী দেশ বানাব: মোদি

আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৩, ২৩: ০৬
আবার প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় ধনী দেশ বানাব: মোদি

তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় ধনী দেশে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ বুধবার নয়াদিল্লিতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের প্রধান এই প্রতিশ্রুতি দেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

সংস্কারের পর নতুন রূপে সাজা দিল্লির প্রগতি ময়দানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, ‘পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই ভারতের অবকাঠামো বদলে যাচ্ছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু ভারতে, সবচেয়ে বেশি উঁচুতে সবচেয়ে দীর্ঘ টানেল ভারতে, দীর্ঘতম মূর্তি এবং সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম—এর সবকিছুই ভারতে অবস্থিত।’

ভারতের মানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নও তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রথম মেয়াদে ভারত অর্থনীতির দিক থেকে শীর্ষ ১০-এর শেষ স্থানে ছিল। আমাদের দ্বিতীয় মেয়াদে দেশ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।’

আগের রেকর্ডের ভিত্তিতে তৃতীয় মেয়াদে ভারত বিশ্বের অর্থনীতির মধ্যে শীর্ষ তিনে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমার তৃতীয় মেয়াদে ভারত শীর্ষ তিন অর্থনীতির একটি হবে—এটি মোদির গ্যারান্টি।’ 
 
এদিকে, ভারতীয় পার্লামেন্টে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে কংগ্রেস ও বিরোধীরা। মণিপুরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী জোট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

মণিপুরে দুই নারীকে ধর্ষণের পর নগ্ন করে ঘোরানোর পর লোকসভায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক হট্টগোল তৈরি হয়। একপর্যায়ে তৈরি হয় অচলাবস্থা। এই পরিস্থিতিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরোধীদের কাছে এক চিঠিতে অচলাবস্থা কাটানোর আহ্বান জানিয়েছেন। অমিত শাহের চিঠির পরপরই বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি সামনে এল। ভারতের প্রাচীন এই দলটি ছাড়াও ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) নামে অপর একটি দলও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। ভারত রাষ্ট্র সমিতি বিরোধীদের জোট ইন্ডিয়ার অংশ নয়। 

ভারতের সংবিধান অনুসারে, অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে অন্তত ৫০ জন সদস্যের সমর্থন থাকলেই কেবল সরকারে বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব লোকসভায় ভোটাভুটিতে দেওয়া হয়। এখানে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনকারী দল কংগ্রেসের সদস্য ৫২ জন এবং বিআরএসের সদস্য সংখ্যা ৯। ফলে স্বাভাবিকভাবে বলা যায়, এই প্রস্তাব লোকসভায় গৃহীত হবে। 
 
তবে ৫৪৩ আসনবিশিষ্ট লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। তাদের দখলে রয়েছে ৩৩১টি আসন। বিপরীতে সদ্য গঠিত বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার দখলে রয়েছে মাত্র ১৪৪টি আসন। 
 
যদিও বিরোধীদের কাছে এটি স্পষ্ট যে তারা কোনোভাবেই অনাস্থা প্রস্তাব পাস করাতে পারবে না, তবে তাদের দাবি এই প্রস্তাব তাদের মণিপুর ইস্যুতে বিতর্ক করতে প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা জোগাবে। তাদের দাবি, এই প্রস্তাব পার্লামেন্টে মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বক্তব্য রাখতে বাধ্য করতে সহায়তা করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত