Ajker Patrika

জার্মানিতে বিয়ে করেছেন মহুয়া মৈত্র—খবর ফাঁস হলো এক সপ্তাহ পর

অনলাইন ডেস্ক
তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ছবি: সংগৃহীত
তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র এবং সাবেক বিজেডি সাংসদ ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পিনাকী মিশ্র জার্মানিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার এনডিটিভি সহ ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে এই খবর জানা গেছে।

এই বিষয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—মহুয়া মৈত্র বা পিনাকী মিশ্রের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা না হলেও, গুঞ্জন চলছে গত ৩০ মে জার্মানিতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

খবরে বলা হয়, বিয়ের খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছার বন্যা বইছে। তৃণমূলের যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ ‘এক্স’ মাধ্যমে নতুন দম্পতির একটি ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

নতুন দম্পতির এই ছবিটি অ্যাক্সে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ।
নতুন দম্পতির এই ছবিটি অ্যাক্সে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ।

তবে তৃণমূল ও বিজেডি দলের কিছু সাংসদের সঙ্গে এই বিষয়ে এনডিটিভির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা জানিয়েছেন, বিয়ের বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না।

একসময় যুক্তরাজ্যে একজন বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। যদিও পরে ঘটনাচক্রে তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি এই রাজ্যের কৃষ্ণনগর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো লোকসভা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি রাজ্যের বিধানসভারও সদস্য ছিলেন।

মহুয়ার প্রথম বিয়ে হয়েছিল ডেনিশ অর্থনীতিবিদ লার্স ব্রোরসনের সঙ্গে। তাঁর নতুন স্বামী পিনাকী মিশ্র ওডিশার পুরী থেকে চারবার লোকসভা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কংগ্রেস ও পরে বিজেডি’র হয়ে তিনি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পেশায় তিনি একজন বর্ষীয়ান আইনজীবী। তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী সংগীতা মিশ্রের সঙ্গে তাঁর এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে।

বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে পরিচিত মহুয়া মৈত্র ২০২৩ সালে বড় ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ ওঠে, তিনি লোকসভায় প্রশ্ন তোলার বিনিময়ে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ অর্থ ও উপহার নিয়েছেন।

মহুয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি কৃষ্ণনগর থেকেই পুনরায় জয়লাভ করেন এবং বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৫৬ হাজারের বেশি ভোটে বিজয়ী হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত