অনলাইন ডেস্ক
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের এক বিজেপি মন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে উদ্দেশ করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন ওই মন্ত্রী। ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে একাধিকবার কর্নেল কুরেশিকে দেখা গেছে।
বিজেপি নেতা এবং উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিজয় শাহ একটি জনসভায় বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন। বিরোধী দল এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তারা এর তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ইন্দোরের কাছে এক সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় বিজয় শাহকে এমন কথা বলতে শোনা যায়, যেখানে সামরিক বাহিনীর কর্নেল কুরেশিকে ‘তাদের সম্প্রদায়ের বোন’ বলে উল্লেখ করেন। বিরোধী দল কংগ্রেস অবিলম্বে এই মন্ত্রীকে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে। অবশ্য তীব্র সমালোচনার মুখে বিজয় শাহ একাধিকবার ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
ক্ষমা চেয়ে বিজয় শাহ বলেন, ‘বোন সোফিয়া জাতি ও ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে ভারতকে গৌরব এনে দিয়েছেন। তিনি আমাদের নিজের বোনের চেয়েও বেশি সম্মানিত। দেশের প্রতি তার সেবার জন্য আমি তাকে স্যালুট জানাই। স্বপ্নেও আমরা তাঁর অপমান করার কথা ভাবতে পারি না! তবুও, যদি আমার কথায় সমাজ ও ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে, তাহলে আমি দশবার ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত।’
জনসভায় বক্তৃতাকালে বিজয় শাহ পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ টানেন। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন। এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিন্দুর’ ঘোষণা করে ভারত। বক্তৃতায় সরাসরি কর্নেল কুরেশির নাম উল্লেখ না করলেও, ইঙ্গিতে বিজয় শাহ দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘তাদের (সন্ত্রাসীদের) সম্প্রদায়ের এক বোনকে’ ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমানে করে পাঠিয়েছিলেন ‘তাদের অহংকার চূর্ণ’ করতে এবং ‘তাদের উচিত শিক্ষা’ দিতে।
এনডিটিভির উদ্ধৃতি অনুযায়ী, সমাবেশে ওই বিজেপি নেতা বলেন, ‘যেসব লোক (সন্ত্রাসীরা) আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল (পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায়) ...আমরা সেই কাটে-পিটে লোকদের তাদের বোনকে পাঠিয়ে ধ্বংস করে প্রতিশোধ নিয়েছি। তারা (সন্ত্রাসীরা) আমাদের হিন্দু ভাইদের কাপড় খুলে (ধর্ম যাচাই করে) হত্যা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদিজি তাদের (সন্ত্রাসীদের) বোনকে সেনাবাহিনীর বিমানে তাদের বাড়িতে আঘাত করার জন্য পাঠিয়ে জবাব দিয়েছেন। তারা (সন্ত্রাসীরা) আমাদের বোনেদের বিধবা করেছিল, তাই মোদিজি তাদের সম্প্রদায়ের বোনকে তাদের বস্ত্রহরণ করে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন।’
অপারেশন সিন্দুরের বিস্তারিত তথ্য জানানোর জন্য সরকারি প্রেস ব্রিফিংয়ের প্রধান মুখ ছিলেন কর্নেল কুরেশি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির।
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস বিজয় শাহের মন্তব্যকে ‘অবমাননাকর, সাম্প্রদায়িক এবং লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছে। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এক্স হ্যান্ডলে) একটি বিবৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবিলম্বে বিজয় শাহকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
খাড়গে এক্সে পোস্ট করেন, ‘মধ্যপ্রদেশ বিজেপি সরকারের এক মন্ত্রী আমাদের সাহসী কন্যা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি সম্পর্কে অত্যন্ত অবমাননাকর, লজ্জাজনক এবং সস্তা মন্তব্য করেছেন। পেহেলগামের সন্ত্রাসীরা দেশকে বিভক্ত করতে চেয়েছিল, কিন্তু সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত জবাব দিতে পুরো অপারেশন সিন্দুর-এর সময় দেশ ঐক্যবদ্ধ ছিল।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১০ মে) যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে ব্রিফ করেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। এরপরই তিনি উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণের মুখে পড়েন। এমনকি তাঁর পরিবারকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্তা করা হয়। মিশ্রিকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলা হয়। পরে বাধ্য হয়ে নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট লক করেন বিক্রম মিশ্রি।
আরও খবর পড়ুন:
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের এক বিজেপি মন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে উদ্দেশ করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন ওই মন্ত্রী। ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে একাধিকবার কর্নেল কুরেশিকে দেখা গেছে।
বিজেপি নেতা এবং উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিজয় শাহ একটি জনসভায় বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন। বিরোধী দল এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তারা এর তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ইন্দোরের কাছে এক সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় বিজয় শাহকে এমন কথা বলতে শোনা যায়, যেখানে সামরিক বাহিনীর কর্নেল কুরেশিকে ‘তাদের সম্প্রদায়ের বোন’ বলে উল্লেখ করেন। বিরোধী দল কংগ্রেস অবিলম্বে এই মন্ত্রীকে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে। অবশ্য তীব্র সমালোচনার মুখে বিজয় শাহ একাধিকবার ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
ক্ষমা চেয়ে বিজয় শাহ বলেন, ‘বোন সোফিয়া জাতি ও ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে ভারতকে গৌরব এনে দিয়েছেন। তিনি আমাদের নিজের বোনের চেয়েও বেশি সম্মানিত। দেশের প্রতি তার সেবার জন্য আমি তাকে স্যালুট জানাই। স্বপ্নেও আমরা তাঁর অপমান করার কথা ভাবতে পারি না! তবুও, যদি আমার কথায় সমাজ ও ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে, তাহলে আমি দশবার ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত।’
জনসভায় বক্তৃতাকালে বিজয় শাহ পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ টানেন। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন। এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিন্দুর’ ঘোষণা করে ভারত। বক্তৃতায় সরাসরি কর্নেল কুরেশির নাম উল্লেখ না করলেও, ইঙ্গিতে বিজয় শাহ দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘তাদের (সন্ত্রাসীদের) সম্প্রদায়ের এক বোনকে’ ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমানে করে পাঠিয়েছিলেন ‘তাদের অহংকার চূর্ণ’ করতে এবং ‘তাদের উচিত শিক্ষা’ দিতে।
এনডিটিভির উদ্ধৃতি অনুযায়ী, সমাবেশে ওই বিজেপি নেতা বলেন, ‘যেসব লোক (সন্ত্রাসীরা) আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল (পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায়) ...আমরা সেই কাটে-পিটে লোকদের তাদের বোনকে পাঠিয়ে ধ্বংস করে প্রতিশোধ নিয়েছি। তারা (সন্ত্রাসীরা) আমাদের হিন্দু ভাইদের কাপড় খুলে (ধর্ম যাচাই করে) হত্যা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদিজি তাদের (সন্ত্রাসীদের) বোনকে সেনাবাহিনীর বিমানে তাদের বাড়িতে আঘাত করার জন্য পাঠিয়ে জবাব দিয়েছেন। তারা (সন্ত্রাসীরা) আমাদের বোনেদের বিধবা করেছিল, তাই মোদিজি তাদের সম্প্রদায়ের বোনকে তাদের বস্ত্রহরণ করে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন।’
অপারেশন সিন্দুরের বিস্তারিত তথ্য জানানোর জন্য সরকারি প্রেস ব্রিফিংয়ের প্রধান মুখ ছিলেন কর্নেল কুরেশি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির।
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস বিজয় শাহের মন্তব্যকে ‘অবমাননাকর, সাম্প্রদায়িক এবং লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছে। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এক্স হ্যান্ডলে) একটি বিবৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবিলম্বে বিজয় শাহকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
খাড়গে এক্সে পোস্ট করেন, ‘মধ্যপ্রদেশ বিজেপি সরকারের এক মন্ত্রী আমাদের সাহসী কন্যা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি সম্পর্কে অত্যন্ত অবমাননাকর, লজ্জাজনক এবং সস্তা মন্তব্য করেছেন। পেহেলগামের সন্ত্রাসীরা দেশকে বিভক্ত করতে চেয়েছিল, কিন্তু সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত জবাব দিতে পুরো অপারেশন সিন্দুর-এর সময় দেশ ঐক্যবদ্ধ ছিল।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১০ মে) যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে ব্রিফ করেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। এরপরই তিনি উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণের মুখে পড়েন। এমনকি তাঁর পরিবারকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্তা করা হয়। মিশ্রিকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলা হয়। পরে বাধ্য হয়ে নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট লক করেন বিক্রম মিশ্রি।
আরও খবর পড়ুন:
এদিন রাখিবন্ধন উপলক্ষে ভারতের গুরুগ্রামভিত্তিক ১২ বছরের পুরোনো কুইক-কমার্স কোম্পানি ব্লিংকিট, যা শহুরে মধ্যবিত্তের কেনাকাটার ধরন বদলে দিয়েছে, সেখানে কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেডরিক এঙ্গেলস রচিত ‘দ্য কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো’ সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সমগ্রের প্রথম খণ্ডের সঙ্গে ‘গিফট ফর সিস্টার্স’ বা ‘বোনদের...
৭ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করার অভিযোগে গত কয়েক মাসে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান। দেশটির বিচার বিভাগ আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এদের প্রতি কোনো দয়া দেখানো হবে না এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
৮ ঘণ্টা আগেইউক্রেন এক বিন্দু পিছপা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ শনিবার ভোরে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয়রা তাদের জমি দখলদারদের হাতে তুলে দেবে না। এক ইঞ্চিও না।
৯ ঘণ্টা আগেগত বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে একাধিক পোস্ট করে স্বামীর প্রতি সহানুভূতি দেখানোর আহ্বান জানান আবির। তাঁর স্বামীর সাজা ঘোষণার কয়েক দিন পর এই পোস্ট করেন তিনি। পাকিস্তানে বসবাসরত আবিরের ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক মিলিয়ে অনুসারী রয়েছে ৫ লাখের বেশি।
১০ ঘণ্টা আগে