কলকাতা প্রতিনিধি

পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ নতুন নয়। তবে এ বছর বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তিনি জানিয়েছেন, এ বছর রাজ্যের প্রতিটি পূজা কমিটি পাবে ১ লাখ ১০ হাজার রুপি অনুদান। গত বছর ছিল ৮৫ হাজার রুপি। অনুদানের এই বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে পূজার আয়োজনকে স্বস্তি দিলেও রাজ্য রাজনীতিতে তার ঢেউ এখন আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে।
কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই দুটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। মামলাকারীদের বক্তব্য, সরকারি কোষাগারের অর্থ সরাসরি ধর্মীয় উৎসবে বিতরণ করা হলে তা সাংবিধানিক দিক থেকে প্রশ্নের মুখে পড়ে। আদালতে বলা হয়েছে, এই অর্থ যদি উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় হতো, তাহলে সুফল পেত বৃহত্তর জনগণ। অন্যদিকে রাজ্য সরকার দাবি করছে, এই অনুদান শুধু প্রতিমা গড়া কিংবা আলোকসজ্জার জন্য নয়, বরং জনকল্যাণমূলক খাতেও ব্যয় হয়।
উদাহরণ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তুলে ধরেছে ‘Safe Drive Save Life’ প্রচারণা, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি কিংবা স্বাস্থ্য শিবির আয়োজনের মতো কার্যক্রম। সরকারের যুক্তি—দুর্গাপূজা বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইউনেসকোর তালিকাভুক্ত একটি বিশ্বমানবিক সম্পদ। ফলে উৎসবের আর্থসামাজিক গুরুত্ব বিবেচনা করেই অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট করে বলেছে, অনেক পূজা কমিটি অনুদানের রুপি খরচের হিসাব বা ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ জমা দেয়নি। রাজ্যকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে, কতগুলো কমিটি হিসাব দিয়েছে আর কতগুলো দেয়নি। আদালতের ইঙ্গিত, যেসব কমিটি হিসাব দেবে না, তাদের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। অর্থাৎ, পূজার প্রস্তুতির আবহে রাজ্য সরকারের কাঁধে নেমেছে স্বচ্ছতার পরীক্ষা।
এদিকে এ নিয়ে বিজেপির অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। রাজ্যের বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে এই অনুদানের সমালোচক। শুভেন্দু অধিকারীসহ বিজেপি নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, ‘করদাতাদের অর্থ রাজনীতি খরচে ব্যবহার করছে তৃণমূল সরকার।’ কয়েক বছর আগে শুভেন্দুই অনুদান বিতরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ বছরও বিজেপির সমর্থনপুষ্ট নাগরিকেরা আদালতে মামলা করেছেন কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষা চলছে।
কিন্তু দিল্লিতে বিজেপির সুর একেবারেই ভিন্ন। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, রাজধানীতে দুর্গাপূজা আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপির কয়েকজন সাংসদ ও নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে অনুদান ও সহযোগিতা নিয়েই আলোচনা হবে বলে খবর বেরিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলায় যেখানে বিজেপি অনুদানকে বেআইনি বলছে, দিল্লিতে তারা কেন আবার পূজার আয়োজনকে সমর্থন জানাচ্ছে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে আছে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ। বাংলায় বিজেপি অনুদান ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করতে চায়। অন্যদিকে দিল্লিতে তারা বাংলা ভাষাভাষী অভিবাসীদের আস্থা অর্জন করতে চায় পূজার মাধ্যমে। তাই এক রাজ্যে এক চরিত্র, অন্য রাজ্যে আরেক চরিত্র—বিজেপির এই কৌশলকে ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন।
সব মিলিয়ে, এবারের দুর্গাপূজা শুধু আলোর উৎসব নয়, রাজনীতির নতুন মঞ্চও হয়ে উঠছে। মমতা সরকারের অনুদান বৃদ্ধি, আদালতের তীক্ষ্ণ নজরদারি এবং বিজেপির দ্বৈত অবস্থান—সব মিলিয়ে শারদোৎসবের আবহ এবার আরও জটিল ও আলোচিত।

পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ নতুন নয়। তবে এ বছর বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তিনি জানিয়েছেন, এ বছর রাজ্যের প্রতিটি পূজা কমিটি পাবে ১ লাখ ১০ হাজার রুপি অনুদান। গত বছর ছিল ৮৫ হাজার রুপি। অনুদানের এই বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে পূজার আয়োজনকে স্বস্তি দিলেও রাজ্য রাজনীতিতে তার ঢেউ এখন আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে।
কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই দুটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। মামলাকারীদের বক্তব্য, সরকারি কোষাগারের অর্থ সরাসরি ধর্মীয় উৎসবে বিতরণ করা হলে তা সাংবিধানিক দিক থেকে প্রশ্নের মুখে পড়ে। আদালতে বলা হয়েছে, এই অর্থ যদি উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় হতো, তাহলে সুফল পেত বৃহত্তর জনগণ। অন্যদিকে রাজ্য সরকার দাবি করছে, এই অনুদান শুধু প্রতিমা গড়া কিংবা আলোকসজ্জার জন্য নয়, বরং জনকল্যাণমূলক খাতেও ব্যয় হয়।
উদাহরণ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তুলে ধরেছে ‘Safe Drive Save Life’ প্রচারণা, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি কিংবা স্বাস্থ্য শিবির আয়োজনের মতো কার্যক্রম। সরকারের যুক্তি—দুর্গাপূজা বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইউনেসকোর তালিকাভুক্ত একটি বিশ্বমানবিক সম্পদ। ফলে উৎসবের আর্থসামাজিক গুরুত্ব বিবেচনা করেই অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট করে বলেছে, অনেক পূজা কমিটি অনুদানের রুপি খরচের হিসাব বা ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ জমা দেয়নি। রাজ্যকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে, কতগুলো কমিটি হিসাব দিয়েছে আর কতগুলো দেয়নি। আদালতের ইঙ্গিত, যেসব কমিটি হিসাব দেবে না, তাদের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। অর্থাৎ, পূজার প্রস্তুতির আবহে রাজ্য সরকারের কাঁধে নেমেছে স্বচ্ছতার পরীক্ষা।
এদিকে এ নিয়ে বিজেপির অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। রাজ্যের বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে এই অনুদানের সমালোচক। শুভেন্দু অধিকারীসহ বিজেপি নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, ‘করদাতাদের অর্থ রাজনীতি খরচে ব্যবহার করছে তৃণমূল সরকার।’ কয়েক বছর আগে শুভেন্দুই অনুদান বিতরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ বছরও বিজেপির সমর্থনপুষ্ট নাগরিকেরা আদালতে মামলা করেছেন কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষা চলছে।
কিন্তু দিল্লিতে বিজেপির সুর একেবারেই ভিন্ন। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, রাজধানীতে দুর্গাপূজা আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপির কয়েকজন সাংসদ ও নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে অনুদান ও সহযোগিতা নিয়েই আলোচনা হবে বলে খবর বেরিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলায় যেখানে বিজেপি অনুদানকে বেআইনি বলছে, দিল্লিতে তারা কেন আবার পূজার আয়োজনকে সমর্থন জানাচ্ছে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে আছে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ। বাংলায় বিজেপি অনুদান ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করতে চায়। অন্যদিকে দিল্লিতে তারা বাংলা ভাষাভাষী অভিবাসীদের আস্থা অর্জন করতে চায় পূজার মাধ্যমে। তাই এক রাজ্যে এক চরিত্র, অন্য রাজ্যে আরেক চরিত্র—বিজেপির এই কৌশলকে ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন।
সব মিলিয়ে, এবারের দুর্গাপূজা শুধু আলোর উৎসব নয়, রাজনীতির নতুন মঞ্চও হয়ে উঠছে। মমতা সরকারের অনুদান বৃদ্ধি, আদালতের তীক্ষ্ণ নজরদারি এবং বিজেপির দ্বৈত অবস্থান—সব মিলিয়ে শারদোৎসবের আবহ এবার আরও জটিল ও আলোচিত।
কলকাতা প্রতিনিধি

পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ নতুন নয়। তবে এ বছর বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তিনি জানিয়েছেন, এ বছর রাজ্যের প্রতিটি পূজা কমিটি পাবে ১ লাখ ১০ হাজার রুপি অনুদান। গত বছর ছিল ৮৫ হাজার রুপি। অনুদানের এই বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে পূজার আয়োজনকে স্বস্তি দিলেও রাজ্য রাজনীতিতে তার ঢেউ এখন আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে।
কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই দুটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। মামলাকারীদের বক্তব্য, সরকারি কোষাগারের অর্থ সরাসরি ধর্মীয় উৎসবে বিতরণ করা হলে তা সাংবিধানিক দিক থেকে প্রশ্নের মুখে পড়ে। আদালতে বলা হয়েছে, এই অর্থ যদি উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় হতো, তাহলে সুফল পেত বৃহত্তর জনগণ। অন্যদিকে রাজ্য সরকার দাবি করছে, এই অনুদান শুধু প্রতিমা গড়া কিংবা আলোকসজ্জার জন্য নয়, বরং জনকল্যাণমূলক খাতেও ব্যয় হয়।
উদাহরণ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তুলে ধরেছে ‘Safe Drive Save Life’ প্রচারণা, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি কিংবা স্বাস্থ্য শিবির আয়োজনের মতো কার্যক্রম। সরকারের যুক্তি—দুর্গাপূজা বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইউনেসকোর তালিকাভুক্ত একটি বিশ্বমানবিক সম্পদ। ফলে উৎসবের আর্থসামাজিক গুরুত্ব বিবেচনা করেই অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট করে বলেছে, অনেক পূজা কমিটি অনুদানের রুপি খরচের হিসাব বা ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ জমা দেয়নি। রাজ্যকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে, কতগুলো কমিটি হিসাব দিয়েছে আর কতগুলো দেয়নি। আদালতের ইঙ্গিত, যেসব কমিটি হিসাব দেবে না, তাদের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। অর্থাৎ, পূজার প্রস্তুতির আবহে রাজ্য সরকারের কাঁধে নেমেছে স্বচ্ছতার পরীক্ষা।
এদিকে এ নিয়ে বিজেপির অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। রাজ্যের বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে এই অনুদানের সমালোচক। শুভেন্দু অধিকারীসহ বিজেপি নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, ‘করদাতাদের অর্থ রাজনীতি খরচে ব্যবহার করছে তৃণমূল সরকার।’ কয়েক বছর আগে শুভেন্দুই অনুদান বিতরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ বছরও বিজেপির সমর্থনপুষ্ট নাগরিকেরা আদালতে মামলা করেছেন কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষা চলছে।
কিন্তু দিল্লিতে বিজেপির সুর একেবারেই ভিন্ন। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, রাজধানীতে দুর্গাপূজা আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপির কয়েকজন সাংসদ ও নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে অনুদান ও সহযোগিতা নিয়েই আলোচনা হবে বলে খবর বেরিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলায় যেখানে বিজেপি অনুদানকে বেআইনি বলছে, দিল্লিতে তারা কেন আবার পূজার আয়োজনকে সমর্থন জানাচ্ছে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে আছে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ। বাংলায় বিজেপি অনুদান ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করতে চায়। অন্যদিকে দিল্লিতে তারা বাংলা ভাষাভাষী অভিবাসীদের আস্থা অর্জন করতে চায় পূজার মাধ্যমে। তাই এক রাজ্যে এক চরিত্র, অন্য রাজ্যে আরেক চরিত্র—বিজেপির এই কৌশলকে ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন।
সব মিলিয়ে, এবারের দুর্গাপূজা শুধু আলোর উৎসব নয়, রাজনীতির নতুন মঞ্চও হয়ে উঠছে। মমতা সরকারের অনুদান বৃদ্ধি, আদালতের তীক্ষ্ণ নজরদারি এবং বিজেপির দ্বৈত অবস্থান—সব মিলিয়ে শারদোৎসবের আবহ এবার আরও জটিল ও আলোচিত।

পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ নতুন নয়। তবে এ বছর বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তিনি জানিয়েছেন, এ বছর রাজ্যের প্রতিটি পূজা কমিটি পাবে ১ লাখ ১০ হাজার রুপি অনুদান। গত বছর ছিল ৮৫ হাজার রুপি। অনুদানের এই বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে পূজার আয়োজনকে স্বস্তি দিলেও রাজ্য রাজনীতিতে তার ঢেউ এখন আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে।
কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই দুটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। মামলাকারীদের বক্তব্য, সরকারি কোষাগারের অর্থ সরাসরি ধর্মীয় উৎসবে বিতরণ করা হলে তা সাংবিধানিক দিক থেকে প্রশ্নের মুখে পড়ে। আদালতে বলা হয়েছে, এই অর্থ যদি উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় হতো, তাহলে সুফল পেত বৃহত্তর জনগণ। অন্যদিকে রাজ্য সরকার দাবি করছে, এই অনুদান শুধু প্রতিমা গড়া কিংবা আলোকসজ্জার জন্য নয়, বরং জনকল্যাণমূলক খাতেও ব্যয় হয়।
উদাহরণ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তুলে ধরেছে ‘Safe Drive Save Life’ প্রচারণা, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি কিংবা স্বাস্থ্য শিবির আয়োজনের মতো কার্যক্রম। সরকারের যুক্তি—দুর্গাপূজা বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইউনেসকোর তালিকাভুক্ত একটি বিশ্বমানবিক সম্পদ। ফলে উৎসবের আর্থসামাজিক গুরুত্ব বিবেচনা করেই অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট করে বলেছে, অনেক পূজা কমিটি অনুদানের রুপি খরচের হিসাব বা ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ জমা দেয়নি। রাজ্যকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে, কতগুলো কমিটি হিসাব দিয়েছে আর কতগুলো দেয়নি। আদালতের ইঙ্গিত, যেসব কমিটি হিসাব দেবে না, তাদের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। অর্থাৎ, পূজার প্রস্তুতির আবহে রাজ্য সরকারের কাঁধে নেমেছে স্বচ্ছতার পরীক্ষা।
এদিকে এ নিয়ে বিজেপির অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। রাজ্যের বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে এই অনুদানের সমালোচক। শুভেন্দু অধিকারীসহ বিজেপি নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, ‘করদাতাদের অর্থ রাজনীতি খরচে ব্যবহার করছে তৃণমূল সরকার।’ কয়েক বছর আগে শুভেন্দুই অনুদান বিতরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ বছরও বিজেপির সমর্থনপুষ্ট নাগরিকেরা আদালতে মামলা করেছেন কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষা চলছে।
কিন্তু দিল্লিতে বিজেপির সুর একেবারেই ভিন্ন। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, রাজধানীতে দুর্গাপূজা আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপির কয়েকজন সাংসদ ও নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে অনুদান ও সহযোগিতা নিয়েই আলোচনা হবে বলে খবর বেরিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলায় যেখানে বিজেপি অনুদানকে বেআইনি বলছে, দিল্লিতে তারা কেন আবার পূজার আয়োজনকে সমর্থন জানাচ্ছে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে আছে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ। বাংলায় বিজেপি অনুদান ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করতে চায়। অন্যদিকে দিল্লিতে তারা বাংলা ভাষাভাষী অভিবাসীদের আস্থা অর্জন করতে চায় পূজার মাধ্যমে। তাই এক রাজ্যে এক চরিত্র, অন্য রাজ্যে আরেক চরিত্র—বিজেপির এই কৌশলকে ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন।
সব মিলিয়ে, এবারের দুর্গাপূজা শুধু আলোর উৎসব নয়, রাজনীতির নতুন মঞ্চও হয়ে উঠছে। মমতা সরকারের অনুদান বৃদ্ধি, আদালতের তীক্ষ্ণ নজরদারি এবং বিজেপির দ্বৈত অবস্থান—সব মিলিয়ে শারদোৎসবের আবহ এবার আরও জটিল ও আলোচিত।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
২ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
২ ঘণ্টা আগে
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ নতুন নয়। তবে এ বছর বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তিনি জানিয়েছেন, এ বছর রাজ্যের প্রতিটি পূজা কমিটি পাবে ১ লাখ ১০ হাজার রুপি অনুদান। গত বছর ছিল ৮৫ হাজার রুপি। অনুদানের এই বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে পূজার আয়োজনকে...
২৭ আগস্ট ২০২৫
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
২ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
২ ঘণ্টা আগে
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে ট্যাংকারটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরপেক্ষ জলসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক আঘাত। এর আগে ইউক্রেন শুধু কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজের ওপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আক্রান্ত জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। এটি রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অংশ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এসব জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এর ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে ট্যাংকারটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল। ফেরার পথেই ভূমধ্যসাগরে হামলার চালানো হয়।
এই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় এমন অভিযান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আইন, নৌ নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবু হামলার ভিডিও প্রকাশ যুদ্ধের পরিধি ও কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে ট্যাংকারটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরপেক্ষ জলসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক আঘাত। এর আগে ইউক্রেন শুধু কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজের ওপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আক্রান্ত জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। এটি রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অংশ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এসব জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এর ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে ট্যাংকারটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল। ফেরার পথেই ভূমধ্যসাগরে হামলার চালানো হয়।
এই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় এমন অভিযান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আইন, নৌ নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবু হামলার ভিডিও প্রকাশ যুদ্ধের পরিধি ও কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ নতুন নয়। তবে এ বছর বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তিনি জানিয়েছেন, এ বছর রাজ্যের প্রতিটি পূজা কমিটি পাবে ১ লাখ ১০ হাজার রুপি অনুদান। গত বছর ছিল ৮৫ হাজার রুপি। অনুদানের এই বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে পূজার আয়োজনকে...
২৭ আগস্ট ২০২৫
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
২ ঘণ্টা আগে
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ওয়াইটিএফ কর্মী রাজপথে নেমে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর যেন বাংলাদেশ ‘কুদৃষ্টি’ না দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যুব টিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সংকটের সময়ে আমাদের দেশ তাদের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিল। ভারতের অমূল্য অবদানেই আজকের বাংলাদেশের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সুরজ দেববর্মা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, তবে এই অঞ্চলের মানুষও সমুদ্রে যাওয়ার পথ চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করেন, যাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়, তবে আমরাও ভারতের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করার দাবি তুলতে পারি।’
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে গত বছরের ডিসেম্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তবে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ওয়াইটিএফ কর্মী রাজপথে নেমে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর যেন বাংলাদেশ ‘কুদৃষ্টি’ না দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যুব টিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সংকটের সময়ে আমাদের দেশ তাদের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিল। ভারতের অমূল্য অবদানেই আজকের বাংলাদেশের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সুরজ দেববর্মা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, তবে এই অঞ্চলের মানুষও সমুদ্রে যাওয়ার পথ চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করেন, যাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়, তবে আমরাও ভারতের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করার দাবি তুলতে পারি।’
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে গত বছরের ডিসেম্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তবে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ নতুন নয়। তবে এ বছর বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তিনি জানিয়েছেন, এ বছর রাজ্যের প্রতিটি পূজা কমিটি পাবে ১ লাখ ১০ হাজার রুপি অনুদান। গত বছর ছিল ৮৫ হাজার রুপি। অনুদানের এই বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে পূজার আয়োজনকে...
২৭ আগস্ট ২০২৫
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
২ ঘণ্টা আগে
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কূটনীতিক মাহভাশ সিদ্দিকি এইচ-১বি ভিসা নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারতীয়রা এইচ-১বি ভিসা পেতে জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেন করছেন। তাঁর মতে, অযোগ্য প্রার্থীরা এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মার্কিন কর্মীদের কর্মসংস্থান দখল করছেন। এই দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এইচ-১বি ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যান্টি ইমিগ্রেশন থিংকট্যাংক সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজে (সিআইএস) লেখা এক নিবন্ধে মাহভাশ সিদ্দিকি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে জুনিয়র অফিসার হিসেবে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
এর আগে এক পডকাস্টে মাহভাশ সিদ্দিকি বলেন, চেন্নাইয়ে তিনি ১৫ জন জুনিয়র ভিসা কর্মকর্তার একজন ছিলেন। তিনি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত, এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মাহভাশ সিদ্দিকি অভিযোগ করেন, অধিকাংশ আবেদনকারীর কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি থাকলেও তাঁদের মৌলিক কোডিং জ্ঞান নেই। হায়দরাবাদের আমিরপেট এলাকায় জাল ডিগ্রি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও জাল ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিক্রির একটি ‘শিল্প’ গড়ে উঠেছে বলে তিনি দাবি করেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র উভয় স্থানেই দুর্নীতিবাজ এইচআর কর্মকর্তারা জাল চাকরির চিঠি তৈরি করতে সহায়তা করেন। তিনি একে একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড সিস্টেম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি অনুযায়ী, এই ভিসাব্যবস্থার অপব্যবহার মার্কিন কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেমন—ভারতীয়দের জালিয়াতির ফলে যোগ্য মার্কিন আইটি গ্র্যাজুয়েটদের সরিয়ে কম যোগ্য এইচ-১বি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় লবিস্ট ও সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন মাহভাশ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, তাঁরা মার্কিন কর্মীদের অদক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেস বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক সময়ই অবগত নয় এবং ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
যদিও এইচ-১বি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ দেওয়া, মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, এটি কার্যত একটি দেশের আধিপত্যে পরিণত হয়ে অভিবাসনের শর্টকাটে রূপ নিয়েছে।
তবে কেবল আইটি সেক্টরেই নয়, বরং চিকিৎসাক্ষেত্রের ভিসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি, ভারতের অনেক মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট কোটা বা ঘুষের মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে জে-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন এবং মার্কিন চিকিৎসকদের তুলনায় নিম্নমানের দক্ষতা নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মার্কিন সরকারকে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। সুপারিশ হিসেবে তিনি এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় নতুন ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, ডিগ্রি ও দক্ষতা যাচাই, পর্যাপ্ত আমেরিকান কর্মী থাকলে সেই সেক্টরে বিদেশি নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ও জালিয়াতি ধরা পড়লে জরিমানা এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কূটনীতিক মাহভাশ সিদ্দিকি এইচ-১বি ভিসা নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারতীয়রা এইচ-১বি ভিসা পেতে জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেন করছেন। তাঁর মতে, অযোগ্য প্রার্থীরা এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মার্কিন কর্মীদের কর্মসংস্থান দখল করছেন। এই দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এইচ-১বি ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যান্টি ইমিগ্রেশন থিংকট্যাংক সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজে (সিআইএস) লেখা এক নিবন্ধে মাহভাশ সিদ্দিকি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে জুনিয়র অফিসার হিসেবে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
এর আগে এক পডকাস্টে মাহভাশ সিদ্দিকি বলেন, চেন্নাইয়ে তিনি ১৫ জন জুনিয়র ভিসা কর্মকর্তার একজন ছিলেন। তিনি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত, এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মাহভাশ সিদ্দিকি অভিযোগ করেন, অধিকাংশ আবেদনকারীর কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি থাকলেও তাঁদের মৌলিক কোডিং জ্ঞান নেই। হায়দরাবাদের আমিরপেট এলাকায় জাল ডিগ্রি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও জাল ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিক্রির একটি ‘শিল্প’ গড়ে উঠেছে বলে তিনি দাবি করেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র উভয় স্থানেই দুর্নীতিবাজ এইচআর কর্মকর্তারা জাল চাকরির চিঠি তৈরি করতে সহায়তা করেন। তিনি একে একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড সিস্টেম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি অনুযায়ী, এই ভিসাব্যবস্থার অপব্যবহার মার্কিন কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেমন—ভারতীয়দের জালিয়াতির ফলে যোগ্য মার্কিন আইটি গ্র্যাজুয়েটদের সরিয়ে কম যোগ্য এইচ-১বি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় লবিস্ট ও সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন মাহভাশ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, তাঁরা মার্কিন কর্মীদের অদক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেস বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক সময়ই অবগত নয় এবং ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
যদিও এইচ-১বি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ দেওয়া, মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, এটি কার্যত একটি দেশের আধিপত্যে পরিণত হয়ে অভিবাসনের শর্টকাটে রূপ নিয়েছে।
তবে কেবল আইটি সেক্টরেই নয়, বরং চিকিৎসাক্ষেত্রের ভিসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি, ভারতের অনেক মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট কোটা বা ঘুষের মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে জে-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন এবং মার্কিন চিকিৎসকদের তুলনায় নিম্নমানের দক্ষতা নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মার্কিন সরকারকে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। সুপারিশ হিসেবে তিনি এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় নতুন ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, ডিগ্রি ও দক্ষতা যাচাই, পর্যাপ্ত আমেরিকান কর্মী থাকলে সেই সেক্টরে বিদেশি নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ও জালিয়াতি ধরা পড়লে জরিমানা এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ নতুন নয়। তবে এ বছর বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তিনি জানিয়েছেন, এ বছর রাজ্যের প্রতিটি পূজা কমিটি পাবে ১ লাখ ১০ হাজার রুপি অনুদান। গত বছর ছিল ৮৫ হাজার রুপি। অনুদানের এই বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে পূজার আয়োজনকে...
২৭ আগস্ট ২০২৫
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
২ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
২ ঘণ্টা আগে