কলকাতা প্রতিনিধি
পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ নতুন নয়। তবে এ বছর বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তিনি জানিয়েছেন, এ বছর রাজ্যের প্রতিটি পূজা কমিটি পাবে ১ লাখ ১০ হাজার রুপি অনুদান। গত বছর ছিল ৮৫ হাজার রুপি। অনুদানের এই বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে পূজার আয়োজনকে স্বস্তি দিলেও রাজ্য রাজনীতিতে তার ঢেউ এখন আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে।
কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই দুটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। মামলাকারীদের বক্তব্য, সরকারি কোষাগারের অর্থ সরাসরি ধর্মীয় উৎসবে বিতরণ করা হলে তা সাংবিধানিক দিক থেকে প্রশ্নের মুখে পড়ে। আদালতে বলা হয়েছে, এই অর্থ যদি উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় হতো, তাহলে সুফল পেত বৃহত্তর জনগণ। অন্যদিকে রাজ্য সরকার দাবি করছে, এই অনুদান শুধু প্রতিমা গড়া কিংবা আলোকসজ্জার জন্য নয়, বরং জনকল্যাণমূলক খাতেও ব্যয় হয়।
উদাহরণ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তুলে ধরেছে ‘Safe Drive Save Life’ প্রচারণা, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি কিংবা স্বাস্থ্য শিবির আয়োজনের মতো কার্যক্রম। সরকারের যুক্তি—দুর্গাপূজা বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইউনেসকোর তালিকাভুক্ত একটি বিশ্বমানবিক সম্পদ। ফলে উৎসবের আর্থসামাজিক গুরুত্ব বিবেচনা করেই অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট করে বলেছে, অনেক পূজা কমিটি অনুদানের রুপি খরচের হিসাব বা ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ জমা দেয়নি। রাজ্যকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে, কতগুলো কমিটি হিসাব দিয়েছে আর কতগুলো দেয়নি। আদালতের ইঙ্গিত, যেসব কমিটি হিসাব দেবে না, তাদের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। অর্থাৎ, পূজার প্রস্তুতির আবহে রাজ্য সরকারের কাঁধে নেমেছে স্বচ্ছতার পরীক্ষা।
এদিকে এ নিয়ে বিজেপির অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। রাজ্যের বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে এই অনুদানের সমালোচক। শুভেন্দু অধিকারীসহ বিজেপি নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, ‘করদাতাদের অর্থ রাজনীতি খরচে ব্যবহার করছে তৃণমূল সরকার।’ কয়েক বছর আগে শুভেন্দুই অনুদান বিতরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ বছরও বিজেপির সমর্থনপুষ্ট নাগরিকেরা আদালতে মামলা করেছেন কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষা চলছে।
কিন্তু দিল্লিতে বিজেপির সুর একেবারেই ভিন্ন। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, রাজধানীতে দুর্গাপূজা আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপির কয়েকজন সাংসদ ও নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে অনুদান ও সহযোগিতা নিয়েই আলোচনা হবে বলে খবর বেরিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলায় যেখানে বিজেপি অনুদানকে বেআইনি বলছে, দিল্লিতে তারা কেন আবার পূজার আয়োজনকে সমর্থন জানাচ্ছে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে আছে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ। বাংলায় বিজেপি অনুদান ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করতে চায়। অন্যদিকে দিল্লিতে তারা বাংলা ভাষাভাষী অভিবাসীদের আস্থা অর্জন করতে চায় পূজার মাধ্যমে। তাই এক রাজ্যে এক চরিত্র, অন্য রাজ্যে আরেক চরিত্র—বিজেপির এই কৌশলকে ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন।
সব মিলিয়ে, এবারের দুর্গাপূজা শুধু আলোর উৎসব নয়, রাজনীতির নতুন মঞ্চও হয়ে উঠছে। মমতা সরকারের অনুদান বৃদ্ধি, আদালতের তীক্ষ্ণ নজরদারি এবং বিজেপির দ্বৈত অবস্থান—সব মিলিয়ে শারদোৎসবের আবহ এবার আরও জটিল ও আলোচিত।
পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ নতুন নয়। তবে এ বছর বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। তিনি জানিয়েছেন, এ বছর রাজ্যের প্রতিটি পূজা কমিটি পাবে ১ লাখ ১০ হাজার রুপি অনুদান। গত বছর ছিল ৮৫ হাজার রুপি। অনুদানের এই বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে পূজার আয়োজনকে স্বস্তি দিলেও রাজ্য রাজনীতিতে তার ঢেউ এখন আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে।
কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই দুটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। মামলাকারীদের বক্তব্য, সরকারি কোষাগারের অর্থ সরাসরি ধর্মীয় উৎসবে বিতরণ করা হলে তা সাংবিধানিক দিক থেকে প্রশ্নের মুখে পড়ে। আদালতে বলা হয়েছে, এই অর্থ যদি উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় হতো, তাহলে সুফল পেত বৃহত্তর জনগণ। অন্যদিকে রাজ্য সরকার দাবি করছে, এই অনুদান শুধু প্রতিমা গড়া কিংবা আলোকসজ্জার জন্য নয়, বরং জনকল্যাণমূলক খাতেও ব্যয় হয়।
উদাহরণ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তুলে ধরেছে ‘Safe Drive Save Life’ প্রচারণা, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি কিংবা স্বাস্থ্য শিবির আয়োজনের মতো কার্যক্রম। সরকারের যুক্তি—দুর্গাপূজা বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইউনেসকোর তালিকাভুক্ত একটি বিশ্বমানবিক সম্পদ। ফলে উৎসবের আর্থসামাজিক গুরুত্ব বিবেচনা করেই অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট করে বলেছে, অনেক পূজা কমিটি অনুদানের রুপি খরচের হিসাব বা ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ জমা দেয়নি। রাজ্যকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে, কতগুলো কমিটি হিসাব দিয়েছে আর কতগুলো দেয়নি। আদালতের ইঙ্গিত, যেসব কমিটি হিসাব দেবে না, তাদের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। অর্থাৎ, পূজার প্রস্তুতির আবহে রাজ্য সরকারের কাঁধে নেমেছে স্বচ্ছতার পরীক্ষা।
এদিকে এ নিয়ে বিজেপির অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। রাজ্যের বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে এই অনুদানের সমালোচক। শুভেন্দু অধিকারীসহ বিজেপি নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, ‘করদাতাদের অর্থ রাজনীতি খরচে ব্যবহার করছে তৃণমূল সরকার।’ কয়েক বছর আগে শুভেন্দুই অনুদান বিতরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ বছরও বিজেপির সমর্থনপুষ্ট নাগরিকেরা আদালতে মামলা করেছেন কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষা চলছে।
কিন্তু দিল্লিতে বিজেপির সুর একেবারেই ভিন্ন। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, রাজধানীতে দুর্গাপূজা আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপির কয়েকজন সাংসদ ও নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে অনুদান ও সহযোগিতা নিয়েই আলোচনা হবে বলে খবর বেরিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলায় যেখানে বিজেপি অনুদানকে বেআইনি বলছে, দিল্লিতে তারা কেন আবার পূজার আয়োজনকে সমর্থন জানাচ্ছে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে আছে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ। বাংলায় বিজেপি অনুদান ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করতে চায়। অন্যদিকে দিল্লিতে তারা বাংলা ভাষাভাষী অভিবাসীদের আস্থা অর্জন করতে চায় পূজার মাধ্যমে। তাই এক রাজ্যে এক চরিত্র, অন্য রাজ্যে আরেক চরিত্র—বিজেপির এই কৌশলকে ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন।
সব মিলিয়ে, এবারের দুর্গাপূজা শুধু আলোর উৎসব নয়, রাজনীতির নতুন মঞ্চও হয়ে উঠছে। মমতা সরকারের অনুদান বৃদ্ধি, আদালতের তীক্ষ্ণ নজরদারি এবং বিজেপির দ্বৈত অবস্থান—সব মিলিয়ে শারদোৎসবের আবহ এবার আরও জটিল ও আলোচিত।
আফগানিস্তান সীমান্তের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সংঘর্ষের বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখার (আইএসপিআর) বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, সীমান্তজুড়ে সংঘটিত সংঘর্ষে দুশ জনেরও বেশি তালেবান এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে, পাকিস্তানের ...
৪ মিনিট আগেপশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে এক মেডিকেল শিক্ষার্থীর ধর্ষণের ঘটনায় করা মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কলেজ কর্তৃপক্ষের ওপর চাপিয়ে দিয়ে মমতা প্রশ্ন তোলেন, ২৩ বছর বয়সী ওই ছাত্রী কীভাবে গভীর রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে গেলেন?
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির পর কি ঘটবে সেই বিষয়টি এখনো স্পষ্ট না হলেও, হামাস আস্থা রাখছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আশ্বাসবাণীর ওপর। মিসরের অবকাশ যাপনকেন্দ্র শারম আল–শেখে ইসরায়েল, হামাসসহ বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে যুদ্ধপরবর্তী...
২ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতা করতে, যেভাবে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে করেছেন। জেলেনস্কি ফোনকলে বলেন, যদি ট্রাম্প এক অঞ্চলের যুদ্ধ থামাতে পারেন, তাহলে ‘অন্য যুদ্ধও থামানো সম্ভব।’
২ ঘণ্টা আগে