Ajker Patrika

জাতিসংঘে চিঠি লিখলেন মোগল সম্রাটের বংশধর, সুরক্ষা চাইলেন আওরঙ্গজেবের সমাধির

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৮: ৪৭
ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন টুসি। ছবি: সংগৃহীত
ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন টুসি। ছবি: সংগৃহীত

ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন টুসি, নিজেকে শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের বংশধর বলে দাবি করে সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি রক্ষা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে চিঠি লিখেছেন।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজীনগর জেলা (পূর্বের আওরঙ্গাবাদ) কুলদাবাদে অবস্থিত আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে নাগপুরে সহিংসতার প্রায় এক মাস পর এই দাবি এল।

যুবরাজ ইয়াকুব, নিজেকে ওয়াক্ফ সম্পত্তির মোতোয়ালি (পরিচালক) বলেও দাবি করেছেন। এখানেই মোগল সম্রাটের সমাধি অবস্থিত। তিনি বলেন, সমাধিটি ‘জাতীয় গুরুত্বের স্মৃতিস্তম্ভ’ হিসেবে ঘোষিত এবং প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও অবশেষ আইন, ১৯৫৮-এর অধীনে সুরক্ষিত।

জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ওই আইনের বিধান অনুযায়ী, সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভের কাছে বা তার কাছাকাছি কোনো অননুমোদিত নির্মাণ, পরিবর্তন, ধ্বংস বা খনন করা যাবে না এবং এই ধরনের যেকোনো কার্যকলাপ বেআইনি এবং আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।’

তিনি সমাধির অবস্থার নিন্দা করেন এবং বলেন, এটি রক্ষার জন্য নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা উচিত।

তিনি চিঠিতে বলেন, ‘চলচ্চিত্র, মিডিয়া আউটলেট এবং সামাজিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর ভুল উপস্থাপনার কারণে জনমতকে প্রভাবিত করা সম্ভব হয়েছে। ফলে অযৌক্তিক প্রতিবাদ, ঘৃণা প্রচার এবং কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর মতো আগ্রাসনের প্রতীকী কাজগুলো সংঘটিত হচ্ছে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক আইন ‘বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুবিধার জন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা এবং সংরক্ষণের’ বাধ্যবাধকতা আরোপ করে।

চিঠিতে ইউনেসকো কনভেনশন কনসার্নিং দ্য প্রোটেকশন অব দ্য ওয়ার্ল্ড কালচারাল অ্যান্ড ন্যাচারাল হেরিটেজ, ১৯৭২–এ ভারতের স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং যোগ করা হয়েছে, ‘এই ধরনের স্মৃতিস্তম্ভের কোনো ধ্বংস, অবহেলা বা বেআইনি পরিবর্তন আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের শামিল হবে।’

তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবের কার্যালয়কে বিষয়টি আমলে নেওয়ার জন্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার ও এএসআইকে আওরঙ্গজেবের সমাধিকে ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ আইনি সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং সংরক্ষণ’ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

মূলত বলিউডের ছাভা বা ছাওয়া সিনেমা মুক্তির পর ভারতে নতুন করে মোগল শাসনের চিহ্ন মুছে ফেলার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠন। তারা সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি জানায়। সেখানে হিন্দু মন্দির আছে বলে দাবি করে তারা। এমনকি সেখানে গুপ্তধনের সন্ধানে খোঁড়াখুঁড়িও শুরু হয়।

এর জেরে গত ১৭ মার্চ নাগপুরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। কিছু গোষ্ঠী আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি জানায়, একটি মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন পোড়ানো হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ৯২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত