অনলাইন ডেস্ক
ভারতের সংবিধান থেকে ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দ দুটি মুছে ফেলার এটাই সুবর্ণ সময় বলে মন্তব্য করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। গতকাল শনিবার (২৮ জুন) তিনি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, যা রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
গুয়াহাটিতে ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ—ইয়ার্স দ্যাট ফর্জড আ লিডার’ বইয়ের আসাম সংস্করণ প্রকাশের অনুষ্ঠানে হিমন্ত শর্মা এই কথা বলেন। বইটি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ৪২তম সংশোধনী (১৯৭৬ সাল) দ্বারা এই দুটি শব্দ সংযোজনের মাধ্যমে সংবিধানকে ‘সম্পূর্ণ পরিবর্তিত’ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পর আরএসএসসহ দেশের অনেক বুদ্ধিজীবীই বলেছেন, সংবিধান থেকে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দ দুটি সরিয়ে ফেলার এটাই সুবর্ণ সময়। আমরা একটি পরিণত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ব্রিটিশ বা আমেরিকান সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার পরিভাষা গ্রহণ করার প্রয়োজন আমাদের নেই। আমরা আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা ভগবদ গীতা থেকে নেব।’
হিমন্ত বিশ্বশর্মা যুক্তি দেন, ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে ইতিমধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ বলা হয়েছে, রাষ্ট্র কারও প্রতি ভিন্ন আচরণ করবে না। এটাই আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তি। সংবিধান প্রণয়নের সময় আম্বেদকর বলেছিলেন, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজন নেই। আর ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে, রাষ্ট্র কারও প্রতি বৈষম্য করতে পারে না। এটাই ধর্মনিরপেক্ষতার সর্বোচ্চ স্তর। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি অন্তর্ভুক্ত করার পর আদালত বা বুদ্ধিজীবী, সবাই ধর্মনিরপেক্ষতাকে পশ্চিমা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শুরু করেন। কারণ, ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি ভারতীয় প্রেক্ষাপটে ধারণ করা হয়নি। আমরা নিরপেক্ষ নই... আমরা হিন্দুদের সঙ্গে আছি এবং আমরা মুসলমানদের সঙ্গেও আছি। এখানে ধর্মনিরপেক্ষতা একটি ইতিবাচক ধারণা।’
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি নিরপেক্ষ হই, তাহলে আমরা সাত্রা (আসামের বৈষ্ণব মঠ), নামঘর (প্রার্থনাকক্ষ), মন্দিরগুলোর জন্য কাজ করতে পারি না, আমরা বেদ নিয়ে আলোচনা করতে পারি না, আমরা গীতা নিয়ে আলোচনা করতে পারি না... এখন হিমন্ত বিশ্বশর্মা কীভাবে ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারেন? আমি একজন কট্টর হিন্দু। আমি ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারি না। একজন মুসলিম ব্যক্তি কীভাবে ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারেন? তিনি একজন কট্টর মুসলিম। কিন্তু হিন্দু ধর্মে লেখা আছে, বসুধৈব কুটুম্বকম (এই পৃথিবী একটি পরিবার)। আপনি যদি একজন কট্টর হিন্দু হন, আপনাকে বসুধৈব কুটুম্বকমকে মানতে হবে। ইসলামে বলা আছে, আপনাকে সব সময় দরিদ্রদের প্রতি ইতিবাচকভাবে চিন্তা করতে হবে। এর মানে আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা কখনোই ধর্মনিরপেক্ষতার পশ্চিমা সংজ্ঞা দ্বারা অনুপ্রাণিত নয়... আমরা নিরপেক্ষ নই। আমরা ইতিবাচকভাবে সংযুক্ত, কারণ, ভারত একটি আধ্যাত্মিক জাতি।’
হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরও বলেন, সমাজতন্ত্র কখনোই ভারতীয় সভ্যতার অংশ ছিল না। এমনকি মহাত্মা গান্ধী যে ‘ট্রাস্টিশিপ’-এর অর্থনৈতিক আদর্শের কথা বলেছিলেন, তারও অংশ ছিল না। হিমন্ত শর্মা বলেন, ‘আমাদের সভ্যতায় কোনো নেতা সমাজতন্ত্র নিয়ে কথা বলেননি। এটি সংঘাতের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া একটি মতাদর্শ। এর কারণে আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছি।’
ভারতের সংবিধান থেকে ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দ দুটি মুছে ফেলার এটাই সুবর্ণ সময় বলে মন্তব্য করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। গতকাল শনিবার (২৮ জুন) তিনি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, যা রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
গুয়াহাটিতে ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ—ইয়ার্স দ্যাট ফর্জড আ লিডার’ বইয়ের আসাম সংস্করণ প্রকাশের অনুষ্ঠানে হিমন্ত শর্মা এই কথা বলেন। বইটি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ৪২তম সংশোধনী (১৯৭৬ সাল) দ্বারা এই দুটি শব্দ সংযোজনের মাধ্যমে সংবিধানকে ‘সম্পূর্ণ পরিবর্তিত’ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পর আরএসএসসহ দেশের অনেক বুদ্ধিজীবীই বলেছেন, সংবিধান থেকে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দ দুটি সরিয়ে ফেলার এটাই সুবর্ণ সময়। আমরা একটি পরিণত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ব্রিটিশ বা আমেরিকান সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার পরিভাষা গ্রহণ করার প্রয়োজন আমাদের নেই। আমরা আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা ভগবদ গীতা থেকে নেব।’
হিমন্ত বিশ্বশর্মা যুক্তি দেন, ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে ইতিমধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ বলা হয়েছে, রাষ্ট্র কারও প্রতি ভিন্ন আচরণ করবে না। এটাই আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তি। সংবিধান প্রণয়নের সময় আম্বেদকর বলেছিলেন, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজন নেই। আর ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে, রাষ্ট্র কারও প্রতি বৈষম্য করতে পারে না। এটাই ধর্মনিরপেক্ষতার সর্বোচ্চ স্তর। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি অন্তর্ভুক্ত করার পর আদালত বা বুদ্ধিজীবী, সবাই ধর্মনিরপেক্ষতাকে পশ্চিমা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শুরু করেন। কারণ, ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি ভারতীয় প্রেক্ষাপটে ধারণ করা হয়নি। আমরা নিরপেক্ষ নই... আমরা হিন্দুদের সঙ্গে আছি এবং আমরা মুসলমানদের সঙ্গেও আছি। এখানে ধর্মনিরপেক্ষতা একটি ইতিবাচক ধারণা।’
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি নিরপেক্ষ হই, তাহলে আমরা সাত্রা (আসামের বৈষ্ণব মঠ), নামঘর (প্রার্থনাকক্ষ), মন্দিরগুলোর জন্য কাজ করতে পারি না, আমরা বেদ নিয়ে আলোচনা করতে পারি না, আমরা গীতা নিয়ে আলোচনা করতে পারি না... এখন হিমন্ত বিশ্বশর্মা কীভাবে ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারেন? আমি একজন কট্টর হিন্দু। আমি ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারি না। একজন মুসলিম ব্যক্তি কীভাবে ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারেন? তিনি একজন কট্টর মুসলিম। কিন্তু হিন্দু ধর্মে লেখা আছে, বসুধৈব কুটুম্বকম (এই পৃথিবী একটি পরিবার)। আপনি যদি একজন কট্টর হিন্দু হন, আপনাকে বসুধৈব কুটুম্বকমকে মানতে হবে। ইসলামে বলা আছে, আপনাকে সব সময় দরিদ্রদের প্রতি ইতিবাচকভাবে চিন্তা করতে হবে। এর মানে আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা কখনোই ধর্মনিরপেক্ষতার পশ্চিমা সংজ্ঞা দ্বারা অনুপ্রাণিত নয়... আমরা নিরপেক্ষ নই। আমরা ইতিবাচকভাবে সংযুক্ত, কারণ, ভারত একটি আধ্যাত্মিক জাতি।’
হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরও বলেন, সমাজতন্ত্র কখনোই ভারতীয় সভ্যতার অংশ ছিল না। এমনকি মহাত্মা গান্ধী যে ‘ট্রাস্টিশিপ’-এর অর্থনৈতিক আদর্শের কথা বলেছিলেন, তারও অংশ ছিল না। হিমন্ত শর্মা বলেন, ‘আমাদের সভ্যতায় কোনো নেতা সমাজতন্ত্র নিয়ে কথা বলেননি। এটি সংঘাতের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া একটি মতাদর্শ। এর কারণে আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছি।’
বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ব্যাটারি উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এ খাতে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের একটি মেগা প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু করেছে দেশটি। এই প্রকল্পের প্রধান বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কনটেম্পোরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি লিমিটেড (সিএটিএল)।
১ ঘণ্টা আগেশনিবার রাতে আকাশপথে ইউক্রেনের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, আকাশপথে একযোগে ৫৩৭টি আক্রমণ চালানো হয়। এর মধ্যে ৪৭৭টি ড্রোন ছিল। এসব ড্রোনের বেশির ভাগই ছিল ইরানের তৈরি ‘শাহেদ’।
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে ফোন করে ইসলামাবাদের ‘সাহসী অবস্থানের’ জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আবদুর রহিম মুসাভি। জেনারেল মুসাভি ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় পাকিস্তানি জনগণের ‘নির্ভীক অবস্থানের’ জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সম্প্রতি দেশটির পূর্ব উপকূলে ‘ওনসান-কালমা কোস্টাল টুরিস্ট জোন’ নামে একটি বিশাল সমুদ্রসৈকত রিসোর্টের উদ্বোধন করেছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এটিকে ‘জাতীয় রত্ন পর্যায়ের পর্যটন শহর’ বলে অভিহিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগে