গত রোববার মধ্যরাতে ভারতের পুনে শহরে একটি বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন দুই তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার অনীশ অবস্তি এবং অশ্বিনী কোস্টা। ঠিক এমন সময়ই তাঁদের বাইকের পেছনে সজোরে এসে আঘাত হানে একটি পোর্শে গাড়ি। গাড়িটি এত জোরে এসে আঘাত করে যে, অনীশ এবং অশ্বিনী অনেক দূরে গিয়ে ছিটকে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এই তরুণ দম্পতি।
এদিকে যে গাড়িটি ধাক্কা দিয়েছিল, সেই পোর্শের আসনে বসে ছিলেন পুনের এক ধনীর দুলাল। ১৭ বছরের নাবালক তিনি। তবু নেশার ঘোরে বাইকে ধাক্কা দেওয়ার পর সড়ক বিভাজনেও ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায় তাঁর পোর্শে গাড়ি। ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আশপাশে থাকা মানুষেরা আটক করেন ওই দুলালকে। পরে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
অভিযুক্ত কিশোরের বাবার নাম বিশাল আগারওয়াল। একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার মালিক তিনি। বড়লোক এই বাবা গত মার্চেই বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে তিন কোটিরও বেশি টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে পোর্শে-তাইকান মডেলের ওই গাড়িটি নিয়ে এসেছিলেন ছেলের জন্য। শুধু তাই নয়, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের পছন্দের নম্বরপ্লেট পেতে খরচ করেছিলেন বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৪ হাজার টাকা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো—মাত্র আড়াই হাজার টাকার মতো বাকি থাকার কারণে গাড়িটির এখনো নিবন্ধনই হয়নি। তাই গত মার্চ মাস থেকে কোনো নম্বরপ্লেট ছাড়াই চলছিল পোর্শেটি।
একে তো নম্বরপ্লেটবিহীন গাড়ি তার ওপর আবার অপ্রাপ্ত বয়স্ক আগারওয়াল পুত্রের ছিল না গাড়ি চালানোরও লাইসেন্স। দুই তরুণ-তরুণীকে ধাক্কা দিয়ে হত্যার পর পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। তদন্ত করে পুলিশ আরও জানতে পারে, দুর্ঘটনার সময় সরু ওই রাস্তা দিয়ে প্রায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ওই কিশোর। কারণ এর কিছুক্ষণ আগেই শহরের একটি বারে মাত্র দেড় ঘণ্টায় মদ্যপান আর আমোদ উল্লাসে প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন তিনি।
এদিকে বিপুল অর্থের মালিক বিশাল আগারওয়াল ছেলেকে বাঁচানোর জন্য নানাভাবে চেষ্টা তদবির শুরু করেন। এর ফলও দেখা যেতে শুরু করে তদন্তের মাঝখানে। দেখা যায়—সিসি ফুটেজে সব সাক্ষ্য থাকলেও পুলিশ জানায়, ওই কিশোরের রক্তে মদ্যপানের কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। পুলিশের হাজতখানায় রীতিমতো জামাই আদর শুরু হয় তাঁর। বড় বড় স্থানীয় রাজনীতিবিদেরাও তাঁকে গিয়ে অভয় দিয়ে আসেন এবং যথারীতি দুর্ঘটনার মাত্র ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানেই গত মঙ্গলবার দুটি বন্ড সই এবং ৩০০ শব্দের একটি রচনা লিখে দেওয়ার শর্ত পূরণ করে সহজেই জামিন পেয়ে যান সেই ধনীর দুলাল।
কিন্তু নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যেও ধনীর দুলালের ওই পোর্শেকাণ্ড নাড়া দিয়েছে পুরো ভারতকে। কিশোরের জামিন নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল থেকে। এ অবস্থায় বুধবার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে আরও একটি শুনানি হয়েছে। জনরোষের কথা চিন্তা করে এবার ওই কিশোরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি কঠোর ধারা অমান্য করার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। ভারতীয় এনডিটিভি জানিয়েছে, শুধু কিশোরের জামিন বাতিলই নয়, তাঁর বাবাকেও এবার দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারকেরা।
গত রোববার মধ্যরাতে ভারতের পুনে শহরে একটি বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন দুই তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার অনীশ অবস্তি এবং অশ্বিনী কোস্টা। ঠিক এমন সময়ই তাঁদের বাইকের পেছনে সজোরে এসে আঘাত হানে একটি পোর্শে গাড়ি। গাড়িটি এত জোরে এসে আঘাত করে যে, অনীশ এবং অশ্বিনী অনেক দূরে গিয়ে ছিটকে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এই তরুণ দম্পতি।
এদিকে যে গাড়িটি ধাক্কা দিয়েছিল, সেই পোর্শের আসনে বসে ছিলেন পুনের এক ধনীর দুলাল। ১৭ বছরের নাবালক তিনি। তবু নেশার ঘোরে বাইকে ধাক্কা দেওয়ার পর সড়ক বিভাজনেও ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায় তাঁর পোর্শে গাড়ি। ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আশপাশে থাকা মানুষেরা আটক করেন ওই দুলালকে। পরে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
অভিযুক্ত কিশোরের বাবার নাম বিশাল আগারওয়াল। একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার মালিক তিনি। বড়লোক এই বাবা গত মার্চেই বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে তিন কোটিরও বেশি টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে পোর্শে-তাইকান মডেলের ওই গাড়িটি নিয়ে এসেছিলেন ছেলের জন্য। শুধু তাই নয়, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের পছন্দের নম্বরপ্লেট পেতে খরচ করেছিলেন বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৪ হাজার টাকা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো—মাত্র আড়াই হাজার টাকার মতো বাকি থাকার কারণে গাড়িটির এখনো নিবন্ধনই হয়নি। তাই গত মার্চ মাস থেকে কোনো নম্বরপ্লেট ছাড়াই চলছিল পোর্শেটি।
একে তো নম্বরপ্লেটবিহীন গাড়ি তার ওপর আবার অপ্রাপ্ত বয়স্ক আগারওয়াল পুত্রের ছিল না গাড়ি চালানোরও লাইসেন্স। দুই তরুণ-তরুণীকে ধাক্কা দিয়ে হত্যার পর পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। তদন্ত করে পুলিশ আরও জানতে পারে, দুর্ঘটনার সময় সরু ওই রাস্তা দিয়ে প্রায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ওই কিশোর। কারণ এর কিছুক্ষণ আগেই শহরের একটি বারে মাত্র দেড় ঘণ্টায় মদ্যপান আর আমোদ উল্লাসে প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন তিনি।
এদিকে বিপুল অর্থের মালিক বিশাল আগারওয়াল ছেলেকে বাঁচানোর জন্য নানাভাবে চেষ্টা তদবির শুরু করেন। এর ফলও দেখা যেতে শুরু করে তদন্তের মাঝখানে। দেখা যায়—সিসি ফুটেজে সব সাক্ষ্য থাকলেও পুলিশ জানায়, ওই কিশোরের রক্তে মদ্যপানের কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। পুলিশের হাজতখানায় রীতিমতো জামাই আদর শুরু হয় তাঁর। বড় বড় স্থানীয় রাজনীতিবিদেরাও তাঁকে গিয়ে অভয় দিয়ে আসেন এবং যথারীতি দুর্ঘটনার মাত্র ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানেই গত মঙ্গলবার দুটি বন্ড সই এবং ৩০০ শব্দের একটি রচনা লিখে দেওয়ার শর্ত পূরণ করে সহজেই জামিন পেয়ে যান সেই ধনীর দুলাল।
কিন্তু নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যেও ধনীর দুলালের ওই পোর্শেকাণ্ড নাড়া দিয়েছে পুরো ভারতকে। কিশোরের জামিন নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল থেকে। এ অবস্থায় বুধবার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে আরও একটি শুনানি হয়েছে। জনরোষের কথা চিন্তা করে এবার ওই কিশোরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি কঠোর ধারা অমান্য করার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। ভারতীয় এনডিটিভি জানিয়েছে, শুধু কিশোরের জামিন বাতিলই নয়, তাঁর বাবাকেও এবার দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারকেরা।
চলমান মার্কিন ও ইসরায়েলি হামলার মুখেও ইরান পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভাঞ্চি জানিয়েছেন, তেহরান এনপিটির ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সদস্য’ হিসেবেই থাকবে।
২৬ মিনিট আগেচীনের কাছে গোপন সামরিক তথ্য বিক্রির চেষ্টা করেছে বলে স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেনা সার্জেন্ট জোসেফ ড্যানিয়েল শ্মিট। গত শুক্রবার তিনি সিয়াটলের ফেডারেল আদালতে এই স্বীকারোক্তি দেন।
৪০ মিনিট আগেইরানে মার্কিন হামলার পর হরমুজ প্রণালি এড়িয়ে চলছে তেলবাহী ট্যাংকারগুলো। এরই মধ্যে হরমুজ প্রণালি থেকে দিক পরিবর্তন করেছে দুটি বিশাল তেলবাহী জাহাজ—কোসইউসডম লেক ও সাউথ লয়্যালটি। জাহাজ দুটি প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পরিবহনের সক্ষমতা রাখে।
১ ঘণ্টা আগেইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে গত শনিবার দিবাগত রাতে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলা সফল হয়েছে বলে দাবি করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ইরান জানায়, এই মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি
১ ঘণ্টা আগে