ভারতের দক্ষিণী রাজ্য কেরালার কোল্লাম জেলার ইয়ারামে ভাড়া বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ২৪ বছর বয়সী এক নারী এবং তাঁর সদ্যোজাত যমজ কন্যাদের। ২০০৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারির ওই দিনে পঞ্চায়েত অফিস থেকে ১৭ দিন বয়সী দুই শিশুর জন্মসনদ আনতে গিয়েছিলেন রঞ্জিনী নামের ওই নারীর মা। ফিরে এসে দেখেন মেয়ে ও তাঁর সন্তানদের মৃতদেহ ঘরে পড়ে আছে।
তদন্তে জানা যায়, কোল্লামের আঁচল এলাকার বাসিন্দা এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৪৫ এডি রেজিমেন্টের (পাঠানকোট) সদস্য ২৮ বছর বয়সী দিবিল কুমারের সঙ্গে রঞ্জিনীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারি তাঁদের যমজ কন্যার জন্ম হয়। এরপর রঞ্জিনীকে এড়িয়ে চলতে থাকেন দিবিল।
বিয়ে ও সন্তানদের পিতৃত্বের স্বীকৃতির দাবিতে রঞ্জিনী কেরালা রাজ্য মহিলা কমিশনের শরণাপন্ন হন। কমিশন ওই যমজ শিশুদের পিতৃত্ব নির্ধারণের জন্য একটি পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। এতে দিবিল কুমার ক্ষুব্ধ হয়ে রঞ্জিনীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তদন্ত সিবিআই কর্মকর্তারা জানান, একই সেনা রেজিমেন্টে দিবিল কুমারের সহকর্মী ছিলেন রাজেশ পি (৩৩)। তিনি রঞ্জিনী ও তাঁর মায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। রঞ্জিনীকে বিয়ে করতে কুমারকে রাজি করাবেন বলে আশ্বাস দেন রাজেশ। তারপর ঘটে এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার পরপরই দিবিল কুমার ও রাজেশ পালিয়ে যান। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে সেনাবাহিনী তাঁদের পলাতক ঘোষণা করে।
তদন্তের পরও কোনো কূলকিনারা না করতে পেরে ২ লাখ রুপি পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল স্থানীয় পুলিশ। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে ২০১০ সালে কেরালা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটি সিবিআইর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সিবিআই অনেক বছর ধরে তদন্ত চালিয়েও কোনো সূত্র খুঁজে পায়নি।
এর মধ্যে কেটে গেছে ১৯ বছর। এক সূত্রে সিবিআই জানতে পারে, দিবিল কুমার ও রাজেশ পুদুচেরিতে ভুয়া নাম নিয়ে বসবাস করছেন। আধার কার্ডসহ নতুন নথি তৈরি করেছেন তাঁরা। এমনকি দুজনে বিয়েও করেছেন পৃথকভাবে, সন্তানও আছে তাঁদের।
দীর্ঘদিন নজরদারির পর সিবিআইর চেন্নাই ইউনিট গত শুক্রবার তাঁদের গ্রেপ্তার করে কোচিতে নিয়ে আসে। গতকাল শনিবার তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সিবিআই রিমান্ডের সময় আরও বাড়ানোর আবেদন করবে বলে জানিয়েছে।
ভারতের দক্ষিণী রাজ্য কেরালার কোল্লাম জেলার ইয়ারামে ভাড়া বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ২৪ বছর বয়সী এক নারী এবং তাঁর সদ্যোজাত যমজ কন্যাদের। ২০০৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারির ওই দিনে পঞ্চায়েত অফিস থেকে ১৭ দিন বয়সী দুই শিশুর জন্মসনদ আনতে গিয়েছিলেন রঞ্জিনী নামের ওই নারীর মা। ফিরে এসে দেখেন মেয়ে ও তাঁর সন্তানদের মৃতদেহ ঘরে পড়ে আছে।
তদন্তে জানা যায়, কোল্লামের আঁচল এলাকার বাসিন্দা এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৪৫ এডি রেজিমেন্টের (পাঠানকোট) সদস্য ২৮ বছর বয়সী দিবিল কুমারের সঙ্গে রঞ্জিনীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারি তাঁদের যমজ কন্যার জন্ম হয়। এরপর রঞ্জিনীকে এড়িয়ে চলতে থাকেন দিবিল।
বিয়ে ও সন্তানদের পিতৃত্বের স্বীকৃতির দাবিতে রঞ্জিনী কেরালা রাজ্য মহিলা কমিশনের শরণাপন্ন হন। কমিশন ওই যমজ শিশুদের পিতৃত্ব নির্ধারণের জন্য একটি পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। এতে দিবিল কুমার ক্ষুব্ধ হয়ে রঞ্জিনীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তদন্ত সিবিআই কর্মকর্তারা জানান, একই সেনা রেজিমেন্টে দিবিল কুমারের সহকর্মী ছিলেন রাজেশ পি (৩৩)। তিনি রঞ্জিনী ও তাঁর মায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। রঞ্জিনীকে বিয়ে করতে কুমারকে রাজি করাবেন বলে আশ্বাস দেন রাজেশ। তারপর ঘটে এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার পরপরই দিবিল কুমার ও রাজেশ পালিয়ে যান। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে সেনাবাহিনী তাঁদের পলাতক ঘোষণা করে।
তদন্তের পরও কোনো কূলকিনারা না করতে পেরে ২ লাখ রুপি পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল স্থানীয় পুলিশ। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে ২০১০ সালে কেরালা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটি সিবিআইর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সিবিআই অনেক বছর ধরে তদন্ত চালিয়েও কোনো সূত্র খুঁজে পায়নি।
এর মধ্যে কেটে গেছে ১৯ বছর। এক সূত্রে সিবিআই জানতে পারে, দিবিল কুমার ও রাজেশ পুদুচেরিতে ভুয়া নাম নিয়ে বসবাস করছেন। আধার কার্ডসহ নতুন নথি তৈরি করেছেন তাঁরা। এমনকি দুজনে বিয়েও করেছেন পৃথকভাবে, সন্তানও আছে তাঁদের।
দীর্ঘদিন নজরদারির পর সিবিআইর চেন্নাই ইউনিট গত শুক্রবার তাঁদের গ্রেপ্তার করে কোচিতে নিয়ে আসে। গতকাল শনিবার তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সিবিআই রিমান্ডের সময় আরও বাড়ানোর আবেদন করবে বলে জানিয়েছে।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হামলায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে ইরানিদের মধ্যে। ইরান এই হামলার মোক্ষম জবাব দেবে বলে আশা করছেন তারা। গতকাল রোববার হাজার হাজার ক্ষুব্ধ জনতা রাজপথে নেমে আসেন। ইরানের পতাকা ও বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজধানী তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারে জড়ো হন তারা।
১৪ মিনিট আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও ক্রেমলিন সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি, তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘনের শামিল বলে উল্লেখ করেছে।
২০ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন, এমন সময় তিনি তাঁর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন গণমাধ্যমকে জানাতে যে, তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহ সময় নেবেন। এই নির্দেশনার পেছনের উদ্দেশ্য ছিল, প্রকৃত পরিকল্পনা গোপন রাখা।
১ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার মূল কার্যক্রম চলত পাহাড়ের ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে। ইরানের কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্থাপনার অবস্থান। বলা হয়ে থাকে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কার্যক্রম চলত এ কেন্দ্রে। এটি ছাড়াও শনিবার দিবাগত রাতে আরও দুটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
৬ ঘণ্টা আগে