আদানি গোষ্ঠীর কাছ থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ক্রয়সংক্রান্ত চুক্তির সঙ্গে ভারত সরকারের সংস্রব নেই বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ২০১৭ সালে হওয়া চুক্তিটির সংশোধন চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্ক্রল।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির বরাত দিয়ে স্ক্রল জানিয়েছে, আদানি পাওয়ারের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন (পিডিবি)। বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থাটির কর্মকর্তারা কয়লার দাম কমানোর অনুরোধ করেছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি স্ক্রলের সাংবাদিককে বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, আপনি একটি সার্বভৌম সরকার ও একটি ভারতীয় কোম্পানির মধ্যে হওয়া একটি চুক্তির কথা বলছেন। তবে ওই চুক্তি সম্পর্কে আমি খুব বেশি কিছু জানি না। আমি যতটুকু জানি, ভারত সরকার এর সঙ্গে জড়িত নয়।’
তবে অপর এক প্রশ্নের জবাবে অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক একীকরণ ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বরাবরই সহায়তা করে। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো যাতে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে উপকৃত হয়, সে ব্যাপারে আমরা সব সময়ই কথা বলেছি। আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগ আরও কতটা সহজ করা যায়, সে ব্যাপারেও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা জ্বালানি, বিদ্যুৎ, ভৌত অবকাঠামো সহযোগিতাসহ জলপথেও যোগাযোগ সহজ করার চেষ্টা করছি।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘সরকারের ‘‘প্রতিবেশীই প্রথম’’ নীতির অধীনে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প ও অর্থনৈতিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও একীভূতকরণ দেখতে চায়। কিন্তু আর্থিক কারণে কোনো নির্দিষ্ট প্রকল্প যদি ভেস্তে যায়, সেটি আমাদের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করি না।’
আদানি গ্রুপের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কোনো বিদেশি রাষ্ট্র ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অরিন্দম বলেছেন, তিনি এ ব্যাপারে অবগত নন।
অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘আমি জানি না তারা যোগাযোগ করবে কি না। তবে এটি পররাষ্ট্রনীতির কোনো সমস্যা নয়। তারা যদি কোনো বিষয়ে জানতে চায়, তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির (আদানি গ্রুপ) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে অথবা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত নই।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এক প্রতিবেদনে আদানির বিরুদ্ধে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আদানি গ্রুপ কয়েক দশক ধরে স্টক ম্যানিপুলেশন, অর্থ জালিয়াতি, মানি লন্ডারিংয়ের জন্য অফশোর শেল ব্যবহার ও তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে অর্থ পাচারে জড়িত ছিল।
আদানি গ্রুপ হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনকে ভারত ও আদানি গ্রুপের ওপর ‘পরিকল্পিত আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছে। হিন্ডেনবার্গ পাল্টা জবাবে বলেছে, আদানি গ্রুপ নিজেকে জাতীয় পতাকায় ঢেকে তার জালিয়াতি লুকাতে পারবে না।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার বিক্রির উদ্যোগ থমকে যায়। এর ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই গৌতম আদানি এশিয়ার শীর্ষ ধনীর খেতাব হারান। আর বিশ্বের তৃতীয় ধনী থেকে পতন ঘটে আদানি এখন ষোড়শ অবস্থানে আছেন।
আদানি গ্রুপের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে অরিন্দম বাগচি জানালেন, বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ চুক্তিতে ভারত সরকার জড়িত নয়।
আদানি গোষ্ঠীর কাছ থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ক্রয়সংক্রান্ত চুক্তির সঙ্গে ভারত সরকারের সংস্রব নেই বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ২০১৭ সালে হওয়া চুক্তিটির সংশোধন চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্ক্রল।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির বরাত দিয়ে স্ক্রল জানিয়েছে, আদানি পাওয়ারের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন (পিডিবি)। বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থাটির কর্মকর্তারা কয়লার দাম কমানোর অনুরোধ করেছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি স্ক্রলের সাংবাদিককে বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, আপনি একটি সার্বভৌম সরকার ও একটি ভারতীয় কোম্পানির মধ্যে হওয়া একটি চুক্তির কথা বলছেন। তবে ওই চুক্তি সম্পর্কে আমি খুব বেশি কিছু জানি না। আমি যতটুকু জানি, ভারত সরকার এর সঙ্গে জড়িত নয়।’
তবে অপর এক প্রশ্নের জবাবে অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক একীকরণ ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বরাবরই সহায়তা করে। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো যাতে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে উপকৃত হয়, সে ব্যাপারে আমরা সব সময়ই কথা বলেছি। আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগ আরও কতটা সহজ করা যায়, সে ব্যাপারেও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা জ্বালানি, বিদ্যুৎ, ভৌত অবকাঠামো সহযোগিতাসহ জলপথেও যোগাযোগ সহজ করার চেষ্টা করছি।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘সরকারের ‘‘প্রতিবেশীই প্রথম’’ নীতির অধীনে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প ও অর্থনৈতিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও একীভূতকরণ দেখতে চায়। কিন্তু আর্থিক কারণে কোনো নির্দিষ্ট প্রকল্প যদি ভেস্তে যায়, সেটি আমাদের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করি না।’
আদানি গ্রুপের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কোনো বিদেশি রাষ্ট্র ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অরিন্দম বলেছেন, তিনি এ ব্যাপারে অবগত নন।
অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘আমি জানি না তারা যোগাযোগ করবে কি না। তবে এটি পররাষ্ট্রনীতির কোনো সমস্যা নয়। তারা যদি কোনো বিষয়ে জানতে চায়, তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির (আদানি গ্রুপ) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে অথবা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত নই।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এক প্রতিবেদনে আদানির বিরুদ্ধে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আদানি গ্রুপ কয়েক দশক ধরে স্টক ম্যানিপুলেশন, অর্থ জালিয়াতি, মানি লন্ডারিংয়ের জন্য অফশোর শেল ব্যবহার ও তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে অর্থ পাচারে জড়িত ছিল।
আদানি গ্রুপ হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনকে ভারত ও আদানি গ্রুপের ওপর ‘পরিকল্পিত আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছে। হিন্ডেনবার্গ পাল্টা জবাবে বলেছে, আদানি গ্রুপ নিজেকে জাতীয় পতাকায় ঢেকে তার জালিয়াতি লুকাতে পারবে না।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার বিক্রির উদ্যোগ থমকে যায়। এর ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই গৌতম আদানি এশিয়ার শীর্ষ ধনীর খেতাব হারান। আর বিশ্বের তৃতীয় ধনী থেকে পতন ঘটে আদানি এখন ষোড়শ অবস্থানে আছেন।
আদানি গ্রুপের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে অরিন্দম বাগচি জানালেন, বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ চুক্তিতে ভারত সরকার জড়িত নয়।
ইসরায়েলের ধারাবাহিক অবরোধ এবং শিশুখাদ্য, পুষ্টিকর উপাদান ও মানবিক সহায়তা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ফলে গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হতে যাচ্ছে। এ ছাড়াও প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার শিশু ‘মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে’ বলে জানিয়েছে অবরুদ্ধ গাজা প্রশাসন।
২৮ মিনিট আগেপেহেলগাম হামলার জেরে ভারতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে ‘আগ্রাসী’ আখ্যা দিয়ে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) তুলতে চায় পাকিস্তান। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা পরিষদকে ‘ব্রিফ করার’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জানায়, তারা দূরপাল্লার অ্যারো-৩ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সাহায্যে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ ছাড়া দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত থাড (THAAD) অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেমও রয়েছে। কিন্তু এত সব প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া
২ ঘণ্টা আগেআজ রোববার ইরানের ধর্মীয় নগরী মাশহাদে আরেকটি বড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে। এ ছাড়া দেশটির কুম শহরেও বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে