অবশেষে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে। প্রায় ২১ বছর পর ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছেন বাংলাদেশি যুবক এম রহমান। মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় বাড়ি থেকে চলে যাওয়া রহমানকে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে সাহায্য করছে মহারাষ্ট্রের কারজাতভিত্তিক সংস্থা শ্রদ্ধা রিহ্যাবিলিটেশন ফাউন্ডেশন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, ২০০২ সালে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রহমান বাড়ি থেকে চলে যান। একপর্যায়ে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েন ভারতে। এরপর কেটে গেছে ২১টি বছর। এই সময়ের মধ্য রহমান অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রপ্ত করে নিয়েছেন হিন্দি ভাষা।
গত ঈদুল আজহার দুদিন আগেই অর্থাৎ ২৭ জুন রহমানের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু কাগজপত্রের জটিলতা থাকায় তখন তাকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়নি। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সীমান্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। এ সময় রহমানকে তার স্বজনদের কাছে তুলে দিতে আসেন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ইতস্তত ঘুরে বেড়ানো মানুষদের সাহায্যার্থে কাজ করা প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধা রিহ্যাবিলিটেশন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা নিতীশ শর্মা এবং মনোবিজ্ঞানী ড. স্বরালি কুণ্ডলিকার।
দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় পর বাড়ি ফিরতে পেরে কেমন লাগছে, এমন প্রশ্নের জবাবে রহমান বললেন, ‘ম্যায় খুশ হু’ অর্থাৎ আমি অনেক খুশি।
ছেলে ঘরে ফেরায় খুশি রহমানের বাবা শহিদুল ইসলামও। পেশায় সাবেক এই সেনা কর্পোরাল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে ছেলের ঘরে ফেরার বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার ছেলে কাগজপত্রের অভাবে সীমান্ত পার হতে না পারায় আমরা একসঙ্গে ঈদ করতে পারিনি। তবে ছেলে ঘরে ফেরায় এখন উদ্যাপন করার আরও অনেক উপলক্ষ তৈরি হবে।’
শ্রদ্ধা রিহ্যাবিলিটেশন ফাউন্ডেশন তিন দশক আগে তাদের যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে রহমানের মতো তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। সংস্থাটি কোভিডের আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে রাস্তার ধারে রহমানকে খুঁজে পায় এবং পরে নিজেদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা। ফলাফলও মিলতে শুরু করে দ্রুতই।
এ বিষয়ে রিহ্যাবিলিটেশন ফাউন্ডেশনের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. স্বরালি কুণ্ডলিকার বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে রহমান হাসপাতালটিতেই ছিল এবং তার চিকিৎসার বেশ অগ্রগতি হয়েছিল।’ তিনি জানান, সমাজকর্মী নিতীশ শর্মা রহমানকে খুঁজে বের করতে এবং শনাক্ত করতে তার ভূমিকা পালন করেন।
নিতীশ শর্মাই মূলত রহমানের সঙ্গে কথা বলে নাম-পরিচয় খুঁজে বের করেন এবং তার ব্যক্তিগত তথ্য জানার চেষ্টা করেন। নিতীশ শর্মা বলেন, ‘আমরা তাকে রাস্তার ধারে একটি খবরের কাগজ হাতে বসে থাকতে দেখি। পরে তাকে আমরা এখানে নিয়ে আসি এবং যেহেতু আমি বাংলা বলতে পারি তাই তার সঙ্গে কথা বলে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করি। তবে এতে আমাদের বেশ কয়েক মাস লেগেছিল।’
তবে রহমানকে বাড়ি ফেরানোর প্রচেষ্টা শুরু হয় মূলত কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে। ২০১৯ সালে আহমেদনগরভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘স্নেহালয়’ ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যেখানে অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের পরিচালক রাহা নবকুমার দাসকে অতিথি করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে অন্তত দেড় শ তরুণ ৭৫ দিনব্যাপী সাইকেল র্যালির যাত্রা শুরু করে। সেই সাইকেল র্যালি শুরু হয় ২০২১ সালের ২ অক্টোবর। সেই সাইকেল র্যালি এবং রাহা নবকুমার দাসের চেষ্টায় খুঁজে পাওয়া যায় রহমানের পরিবারকে। সে সময়ই বেশ কয়েকবার ভিডিও কলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রদ্ধা রিহ্যাবিলিটেশন ফাউন্ডেশন। তাদের সহযোগিতায় সব বাঁধা পেরিয়ে ঘরে ফেরে রহমান।
অবশেষে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে। প্রায় ২১ বছর পর ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছেন বাংলাদেশি যুবক এম রহমান। মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় বাড়ি থেকে চলে যাওয়া রহমানকে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে সাহায্য করছে মহারাষ্ট্রের কারজাতভিত্তিক সংস্থা শ্রদ্ধা রিহ্যাবিলিটেশন ফাউন্ডেশন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, ২০০২ সালে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রহমান বাড়ি থেকে চলে যান। একপর্যায়ে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েন ভারতে। এরপর কেটে গেছে ২১টি বছর। এই সময়ের মধ্য রহমান অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রপ্ত করে নিয়েছেন হিন্দি ভাষা।
গত ঈদুল আজহার দুদিন আগেই অর্থাৎ ২৭ জুন রহমানের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু কাগজপত্রের জটিলতা থাকায় তখন তাকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়নি। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সীমান্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। এ সময় রহমানকে তার স্বজনদের কাছে তুলে দিতে আসেন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ইতস্তত ঘুরে বেড়ানো মানুষদের সাহায্যার্থে কাজ করা প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধা রিহ্যাবিলিটেশন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা নিতীশ শর্মা এবং মনোবিজ্ঞানী ড. স্বরালি কুণ্ডলিকার।
দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় পর বাড়ি ফিরতে পেরে কেমন লাগছে, এমন প্রশ্নের জবাবে রহমান বললেন, ‘ম্যায় খুশ হু’ অর্থাৎ আমি অনেক খুশি।
ছেলে ঘরে ফেরায় খুশি রহমানের বাবা শহিদুল ইসলামও। পেশায় সাবেক এই সেনা কর্পোরাল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে ছেলের ঘরে ফেরার বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার ছেলে কাগজপত্রের অভাবে সীমান্ত পার হতে না পারায় আমরা একসঙ্গে ঈদ করতে পারিনি। তবে ছেলে ঘরে ফেরায় এখন উদ্যাপন করার আরও অনেক উপলক্ষ তৈরি হবে।’
শ্রদ্ধা রিহ্যাবিলিটেশন ফাউন্ডেশন তিন দশক আগে তাদের যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে রহমানের মতো তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। সংস্থাটি কোভিডের আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে রাস্তার ধারে রহমানকে খুঁজে পায় এবং পরে নিজেদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা। ফলাফলও মিলতে শুরু করে দ্রুতই।
এ বিষয়ে রিহ্যাবিলিটেশন ফাউন্ডেশনের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. স্বরালি কুণ্ডলিকার বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে রহমান হাসপাতালটিতেই ছিল এবং তার চিকিৎসার বেশ অগ্রগতি হয়েছিল।’ তিনি জানান, সমাজকর্মী নিতীশ শর্মা রহমানকে খুঁজে বের করতে এবং শনাক্ত করতে তার ভূমিকা পালন করেন।
নিতীশ শর্মাই মূলত রহমানের সঙ্গে কথা বলে নাম-পরিচয় খুঁজে বের করেন এবং তার ব্যক্তিগত তথ্য জানার চেষ্টা করেন। নিতীশ শর্মা বলেন, ‘আমরা তাকে রাস্তার ধারে একটি খবরের কাগজ হাতে বসে থাকতে দেখি। পরে তাকে আমরা এখানে নিয়ে আসি এবং যেহেতু আমি বাংলা বলতে পারি তাই তার সঙ্গে কথা বলে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করি। তবে এতে আমাদের বেশ কয়েক মাস লেগেছিল।’
তবে রহমানকে বাড়ি ফেরানোর প্রচেষ্টা শুরু হয় মূলত কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে। ২০১৯ সালে আহমেদনগরভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘স্নেহালয়’ ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যেখানে অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের পরিচালক রাহা নবকুমার দাসকে অতিথি করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে অন্তত দেড় শ তরুণ ৭৫ দিনব্যাপী সাইকেল র্যালির যাত্রা শুরু করে। সেই সাইকেল র্যালি শুরু হয় ২০২১ সালের ২ অক্টোবর। সেই সাইকেল র্যালি এবং রাহা নবকুমার দাসের চেষ্টায় খুঁজে পাওয়া যায় রহমানের পরিবারকে। সে সময়ই বেশ কয়েকবার ভিডিও কলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রদ্ধা রিহ্যাবিলিটেশন ফাউন্ডেশন। তাদের সহযোগিতায় সব বাঁধা পেরিয়ে ঘরে ফেরে রহমান।
‘এই লোক বলেন এক কথা, করেন ঠিক আরেকটা’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলবেন কি না, তা নিয়ে যখন ব্যাপক গুঞ্জন; তখনই এ মন্তব্য করেন এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ট্রাম্পের কাজকর্মের ধরন সম্পর্কে তাঁর এ কথায় একমত লোকের অভাব হবে না, তা ভরসা নিয়েই বলা যায়। আর জনমনের সেই ধারণা সত্যি
৪ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার মূল কার্যক্রম চলত পাহাড়ের ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে। ইরানের কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্থাপনার অবস্থান। বলা হয়ে থাকে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কার্যক্রম চলত এ কেন্দ্রে। এটি ছাড়াও শনিবার দিবাগত রাতে আরও দুটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ইরানে গিয়ে হামলা চালাল বি-টু বোমারু বিমান। দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এই বিমান। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে থাকা অন্যতম সেরা বোমারু বিমানটি।
৫ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে গত শনিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, খুব সফলভাবে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগে