যিশুখ্রিষ্টের জন্ম বাইবেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। পশ্চিমা শিল্পীরা অগণিত চিত্রকর্মের মাধ্যমে এই ঘটনাটি বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন। মূলত তাঁরাই এই ঘটনার প্রতি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে সাহায্য করেছেন।
বলা যায়, এই শিল্পকর্মগুলোতে পশ্চিমা প্রভাব এতটাই প্রাধান্য পেয়েছে যে বাইরের সংস্কৃতিগুলো ধর্মীয় এই ঘটনাকে নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করার সুযোগ কমই পেয়েছে।
তবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, ভারতীয় শিল্পীরা যিশুর জন্ম এবং অন্য খ্রিষ্টধর্মীয় বিষয়গুলোকে নিজেদের শৈলীতে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। কখনো সচেতনভাবে, আবার কখনো অবচেতনে তাঁরা এমন এক শিল্পকর্মের ধারা তৈরি করেছেন যা যিশুর জন্মের কাহিনিতে নতুন প্রাণ ও অর্থ যোগ করেছে। খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসকেও নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুঘল সম্রাট আকবর উত্তর ভারতে খ্রিষ্টধর্মের পরিচিতি ঘটানোর জন্য মিশনারিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। মিশনারিরা তাঁদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন বাইবেলের পবিত্র গ্রন্থ এবং খ্রিষ্টধর্ম বিষয়ক ইউরোপীয় শিল্পকর্ম। এই শিল্পকর্মগুলো পরে মুঘল দরবারের শিল্পীদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
ধারাবাহিকভাবে আকবর এবং তাঁর উত্তরসূরিরা খ্রিষ্টধর্ম–বিষয়ক নানা চিত্রকর্ম প্রাসাদের দেয়ালে টাঙানোর আদেশ দিতেন। মুঘল দরবারের শিল্পীরা এসব চিত্রকর্মে ইসলামিক অলংকরণ যুক্ত করেন।
দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসবিদ নেহা ভার্মানি উল্লেখ করেছেন, এক মুঘল দরবারের চিত্রকর্মে যিশুর জন্মের দৃশ্যে সম্রাট জাহাঙ্গীরকেও মেরি, শিশুপুত্র যিশু এবং যোসেফের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘মুঘল শাসকেরা নিজেদের ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে উপস্থাপন করতে তাঁরা তাঁদের রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার সক্ষমতা দেখাতেন। তাঁদের কাছে বিভিন্ন ধর্মের সহাবস্থান ছিল তাঁদের শাসন পদ্ধতির অপরিহার্য অংশ।’
১৮ শতকের একটি চিত্রকর্মে শৈল্পিক অলংকরণ, উজ্জ্বল রং, প্রকৃতিবাদ এবং সূক্ষ্ম অলংকরণের মতো মুঘল শিল্পের নানা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ উপাদান দেখা যায়।
তবে শুধু ইসলামিক অলংকরণই নয়, পরবর্তী সময়ে যিশুকে নিয়ে ভারতীয় শিল্পীদের ভাবনায় আধুনিকতাও প্রতিফলিত হয়েছে। ১৮৮৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে জন্ম নেওয়া যামিনী রায়ের চিত্রকর্মে যিশুকে ভারতীয় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী একটি চরিত্র হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলার লোকশিল্প এবং কলকাতার বিখ্যাত কালীঘাট পটশিল্পকে একত্রিত করে একটি নতুন শৈল্পিক ভাষা তৈরি করেছিলে যামিনী।
‘ভারতীয় আর্ট ফার্ম ডিএজি’-এর সিইও আশীষ আনন্দ বলেন, ‘যিশুর জীবনের সরলতা এবং তাঁর আত্মত্যাগ যামিনী রায়কে গভীরভাবে আকৃষ্ট করেছিল। খ্রিষ্টীয় বিষয়ক চিত্রকর্মগুলো তাঁর হিন্দু পুরাণভিত্তিক কাজগুলোর মতোই গুরুত্বপূর্ণ।’
১৯০২ সালে গোয়ায় জন্ম নেওয়া অ্যাঞ্জেলো দে ফনসেকা খ্রিষ্টীয় শিল্পে পূর্ব এবং পশ্চিমের শৈলীর এক অনন্য সংমিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন। তাঁর চিত্রকর্মে মেরিকে একটি নীল গাউন পরা পাশ্চাত্য নারীর পরিবর্তে একজন ভারতীয় নারীরূপে চিত্রিত করা হয়েছে। মেরির গায়ের রং বাদামি, তিনি শাড়ি এবং মঙ্গলসূত্র পরেছেন।
তাঁর চিত্রকর্মে বাইবেলের ঘটনা ভারতের স্থানীয় পরিবেশে উদ্ভাসিত হয় এবং এতে ভারতীয় দর্শকদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ স্থাপনের উপাদান থাকে।
গোয়ার জেভিয়ার সেন্টার অব হিস্টরিকাল রিসার্চের পরিচালক রিনাল্ড ডি’সুজা বলেন, ‘পশ্চিমা ধর্মীয় ঐতিহ্য হিসেবে দেখা খ্রিষ্টধর্মকে ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চেয়েছিলেন ফনসেকা। তার জলরঙের চিত্রকর্ম এই ধর্মকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছিল।’
এই শিল্পীদের কাজ শুধু যিশুর জন্মকে ভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কল্পনা করতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি খ্রিষ্টীয় শিল্পকে একটি বৈশ্বিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামোর দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। এভাবে, তারা একটি ধর্মীয় ঘটনার শাশ্বততাকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন।
যিশুখ্রিষ্টের জন্ম বাইবেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। পশ্চিমা শিল্পীরা অগণিত চিত্রকর্মের মাধ্যমে এই ঘটনাটি বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন। মূলত তাঁরাই এই ঘটনার প্রতি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে সাহায্য করেছেন।
বলা যায়, এই শিল্পকর্মগুলোতে পশ্চিমা প্রভাব এতটাই প্রাধান্য পেয়েছে যে বাইরের সংস্কৃতিগুলো ধর্মীয় এই ঘটনাকে নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করার সুযোগ কমই পেয়েছে।
তবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, ভারতীয় শিল্পীরা যিশুর জন্ম এবং অন্য খ্রিষ্টধর্মীয় বিষয়গুলোকে নিজেদের শৈলীতে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। কখনো সচেতনভাবে, আবার কখনো অবচেতনে তাঁরা এমন এক শিল্পকর্মের ধারা তৈরি করেছেন যা যিশুর জন্মের কাহিনিতে নতুন প্রাণ ও অর্থ যোগ করেছে। খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসকেও নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুঘল সম্রাট আকবর উত্তর ভারতে খ্রিষ্টধর্মের পরিচিতি ঘটানোর জন্য মিশনারিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। মিশনারিরা তাঁদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন বাইবেলের পবিত্র গ্রন্থ এবং খ্রিষ্টধর্ম বিষয়ক ইউরোপীয় শিল্পকর্ম। এই শিল্পকর্মগুলো পরে মুঘল দরবারের শিল্পীদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
ধারাবাহিকভাবে আকবর এবং তাঁর উত্তরসূরিরা খ্রিষ্টধর্ম–বিষয়ক নানা চিত্রকর্ম প্রাসাদের দেয়ালে টাঙানোর আদেশ দিতেন। মুঘল দরবারের শিল্পীরা এসব চিত্রকর্মে ইসলামিক অলংকরণ যুক্ত করেন।
দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসবিদ নেহা ভার্মানি উল্লেখ করেছেন, এক মুঘল দরবারের চিত্রকর্মে যিশুর জন্মের দৃশ্যে সম্রাট জাহাঙ্গীরকেও মেরি, শিশুপুত্র যিশু এবং যোসেফের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘মুঘল শাসকেরা নিজেদের ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে উপস্থাপন করতে তাঁরা তাঁদের রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার সক্ষমতা দেখাতেন। তাঁদের কাছে বিভিন্ন ধর্মের সহাবস্থান ছিল তাঁদের শাসন পদ্ধতির অপরিহার্য অংশ।’
১৮ শতকের একটি চিত্রকর্মে শৈল্পিক অলংকরণ, উজ্জ্বল রং, প্রকৃতিবাদ এবং সূক্ষ্ম অলংকরণের মতো মুঘল শিল্পের নানা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ উপাদান দেখা যায়।
তবে শুধু ইসলামিক অলংকরণই নয়, পরবর্তী সময়ে যিশুকে নিয়ে ভারতীয় শিল্পীদের ভাবনায় আধুনিকতাও প্রতিফলিত হয়েছে। ১৮৮৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে জন্ম নেওয়া যামিনী রায়ের চিত্রকর্মে যিশুকে ভারতীয় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী একটি চরিত্র হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলার লোকশিল্প এবং কলকাতার বিখ্যাত কালীঘাট পটশিল্পকে একত্রিত করে একটি নতুন শৈল্পিক ভাষা তৈরি করেছিলে যামিনী।
‘ভারতীয় আর্ট ফার্ম ডিএজি’-এর সিইও আশীষ আনন্দ বলেন, ‘যিশুর জীবনের সরলতা এবং তাঁর আত্মত্যাগ যামিনী রায়কে গভীরভাবে আকৃষ্ট করেছিল। খ্রিষ্টীয় বিষয়ক চিত্রকর্মগুলো তাঁর হিন্দু পুরাণভিত্তিক কাজগুলোর মতোই গুরুত্বপূর্ণ।’
১৯০২ সালে গোয়ায় জন্ম নেওয়া অ্যাঞ্জেলো দে ফনসেকা খ্রিষ্টীয় শিল্পে পূর্ব এবং পশ্চিমের শৈলীর এক অনন্য সংমিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন। তাঁর চিত্রকর্মে মেরিকে একটি নীল গাউন পরা পাশ্চাত্য নারীর পরিবর্তে একজন ভারতীয় নারীরূপে চিত্রিত করা হয়েছে। মেরির গায়ের রং বাদামি, তিনি শাড়ি এবং মঙ্গলসূত্র পরেছেন।
তাঁর চিত্রকর্মে বাইবেলের ঘটনা ভারতের স্থানীয় পরিবেশে উদ্ভাসিত হয় এবং এতে ভারতীয় দর্শকদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ স্থাপনের উপাদান থাকে।
গোয়ার জেভিয়ার সেন্টার অব হিস্টরিকাল রিসার্চের পরিচালক রিনাল্ড ডি’সুজা বলেন, ‘পশ্চিমা ধর্মীয় ঐতিহ্য হিসেবে দেখা খ্রিষ্টধর্মকে ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চেয়েছিলেন ফনসেকা। তার জলরঙের চিত্রকর্ম এই ধর্মকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছিল।’
এই শিল্পীদের কাজ শুধু যিশুর জন্মকে ভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কল্পনা করতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি খ্রিষ্টীয় শিল্পকে একটি বৈশ্বিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামোর দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। এভাবে, তারা একটি ধর্মীয় ঘটনার শাশ্বততাকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৫ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৬ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৬ ঘণ্টা আগে