প্রতিনিধি, কলকাতা
নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় চার প্রতিমন্ত্রী হলেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও নৌপরিবহনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হলেন পশ্চিমবঙ্গের চার এমপি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে চারজন মন্ত্রী হলেও খুশি নন অনেকেই। তাঁদের আশঙ্কা, সর্বশক্তি নিয়োগ করেও পশ্চিমবঙ্গের ভোটে পরাজয়ের পর এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখতেই বিজেপির এ সিদ্ধান্ত। এমনকি পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করার মূল দাবিদার জন বার্লাকে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী করে পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করার দাবিকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় পরোক্ষে সমর্থন জানিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
বিপুল ভোটে জিতে পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার তৃণমূলের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখার সব রকম কৌশল নেয় বিজেপি। খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর নবনির্বাচিত সরকারকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেন। দাবি তোলেন রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের। রাজ্যের দুই মন্ত্রীসহ চারজন প্রভাবশালীকে ঘুষকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেপ্তারও করে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় পারস্পরিক সম্পর্কে মারাত্মক অবনতি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। কিন্তু তাতে আমল না দিয়ে বিজেপির নেতারা পশ্চিমবঙ্গকে টুকরো টুকরো করার দাবি তুলতে থাকেন। কারণ কলকাতাসহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পরাস্ত হলেও তুলনামূলকভাবে উত্তরের জেলাগুলোয় ভালো ফল করেছে। আবার জঙ্গলমহল বলে পরিচিত ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও মেদিনীপুরেও বিজেপির প্রভাব থাকায় সেখানেও উঠেছে রাজ্যের দাবি। দার্জিলিংয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তো রয়েছে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের আবেগ রয়েছে রাজ্যভাগের বিরুদ্ধে। বিজেপি ছাড়া কোনো দলই চায় না রাজ্যভাগ। তাই রাজ্যভাগের দাবি তুলে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গকে অস্থির করতে চাইছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় রাজনীতিতে আগ্রহ প্রকাশ করতেই তাঁকে এখন থেকেই চাপে রাখতে চাইছে বিজেপি। তাই মাত্র ৫৭ ভোটে বিধানসভা নির্বাচনে জিতলেও উত্তরের তৃণমূলছুট বিজেপির নেতা নিশীথ অধিকারীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। রাজ্যভাগের দাবিদার উত্তরেরই জন বার্লাকে নেওয়া হয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকে। এর আগে উত্তর থেকে দুজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কখনো হননি। গত বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়াদের সমর্থন অনেকটাই কম পায় বিজেপি। তাই বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা মতুয়াদের থেকেও শান্তনু ঠাকুরকে মন্ত্রী করা হয়। বাঁকুড়ার সুভাষ সরকারকে শিক্ষামন্ত্রী করে আরও চাপ বাড়াতে চাইছে বিজেপি। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে মমতাকে তাঁর নিজের রাজ্যেই চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। সেই চাপ বাড়াতেই চারজন কেন্দ্রের মন্ত্রী হলেন বলেই মনে করেন অনেকে। তৃণমূলের মহাসচিব ও রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি এদিন মন্তব্য করেন, রাজ্যভাগের চক্রান্তকে বাস্তবায়িত করতেই জন বার্লাকে মন্ত্রী করা হয়েছে। দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ অবশ্য বিজেপির নতুন মন্ত্রীদের ‘অচল পয়সা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। অন্যদিকে, বিজেপির নেত্রী ড. অর্চনা মজুমদারের মতে, পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক বিকাশের জন্যই চারজনকে প্রতিমন্ত্রী করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এতেই ভয় পেয়েছে তৃণমূল।
নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় চার প্রতিমন্ত্রী হলেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও নৌপরিবহনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হলেন পশ্চিমবঙ্গের চার এমপি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে চারজন মন্ত্রী হলেও খুশি নন অনেকেই। তাঁদের আশঙ্কা, সর্বশক্তি নিয়োগ করেও পশ্চিমবঙ্গের ভোটে পরাজয়ের পর এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখতেই বিজেপির এ সিদ্ধান্ত। এমনকি পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করার মূল দাবিদার জন বার্লাকে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী করে পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করার দাবিকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় পরোক্ষে সমর্থন জানিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
বিপুল ভোটে জিতে পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার তৃণমূলের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখার সব রকম কৌশল নেয় বিজেপি। খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর নবনির্বাচিত সরকারকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেন। দাবি তোলেন রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের। রাজ্যের দুই মন্ত্রীসহ চারজন প্রভাবশালীকে ঘুষকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেপ্তারও করে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় পারস্পরিক সম্পর্কে মারাত্মক অবনতি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। কিন্তু তাতে আমল না দিয়ে বিজেপির নেতারা পশ্চিমবঙ্গকে টুকরো টুকরো করার দাবি তুলতে থাকেন। কারণ কলকাতাসহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পরাস্ত হলেও তুলনামূলকভাবে উত্তরের জেলাগুলোয় ভালো ফল করেছে। আবার জঙ্গলমহল বলে পরিচিত ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও মেদিনীপুরেও বিজেপির প্রভাব থাকায় সেখানেও উঠেছে রাজ্যের দাবি। দার্জিলিংয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তো রয়েছে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের আবেগ রয়েছে রাজ্যভাগের বিরুদ্ধে। বিজেপি ছাড়া কোনো দলই চায় না রাজ্যভাগ। তাই রাজ্যভাগের দাবি তুলে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গকে অস্থির করতে চাইছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় রাজনীতিতে আগ্রহ প্রকাশ করতেই তাঁকে এখন থেকেই চাপে রাখতে চাইছে বিজেপি। তাই মাত্র ৫৭ ভোটে বিধানসভা নির্বাচনে জিতলেও উত্তরের তৃণমূলছুট বিজেপির নেতা নিশীথ অধিকারীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। রাজ্যভাগের দাবিদার উত্তরেরই জন বার্লাকে নেওয়া হয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকে। এর আগে উত্তর থেকে দুজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কখনো হননি। গত বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়াদের সমর্থন অনেকটাই কম পায় বিজেপি। তাই বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা মতুয়াদের থেকেও শান্তনু ঠাকুরকে মন্ত্রী করা হয়। বাঁকুড়ার সুভাষ সরকারকে শিক্ষামন্ত্রী করে আরও চাপ বাড়াতে চাইছে বিজেপি। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে মমতাকে তাঁর নিজের রাজ্যেই চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। সেই চাপ বাড়াতেই চারজন কেন্দ্রের মন্ত্রী হলেন বলেই মনে করেন অনেকে। তৃণমূলের মহাসচিব ও রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি এদিন মন্তব্য করেন, রাজ্যভাগের চক্রান্তকে বাস্তবায়িত করতেই জন বার্লাকে মন্ত্রী করা হয়েছে। দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ অবশ্য বিজেপির নতুন মন্ত্রীদের ‘অচল পয়সা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। অন্যদিকে, বিজেপির নেত্রী ড. অর্চনা মজুমদারের মতে, পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক বিকাশের জন্যই চারজনকে প্রতিমন্ত্রী করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এতেই ভয় পেয়েছে তৃণমূল।
স্থানীয় এক দোকানদার বিবিসির প্রতিবেদককে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান সহিংসতার জন্য ভারত ও পাকিস্তান একে অপরকে দোষ দিচ্ছে।’ তিনি বিশ্বাস করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জবাব দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তিনি এই সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসারও কোনো সহজ পথ দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। আজ শনিবার (১০ মে) ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। উভয় দেশকে অভিনন
২ ঘণ্টা আগেভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ এর জবাবে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসৌস’ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। একের পর এক হামলা-পাল্টা হামলায় সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা। এ অবস্থায় উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পর্যন্ত স্থগিত করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল মহাপরিদপ্তর (ডিজিসিএ)।
৫ ঘণ্টা আগেযুদ্ধের উত্তেজনা বাড়তে থাকায় সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত সরকার। গতকাল ৬ মে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেরিটোরিয়াল আর্মি বিধিমালা, ১৯৪৮-এর ৩৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী সেনাপ্রধানকে টেরিটোরিয়াল আর্মির প্রতিটি কর্মকর্তা ও সদস্যকে প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার...
৭ ঘণ্টা আগে