আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের ওডিশা রাজ্য সরকার গত তিন দিনে ৪৪৭ জন বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিককে আটক করে। এর মধ্যে ৪০৩ জনকেই পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই শ্রমিকদের অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী সন্দেহে আটক করা হয়েছিল। রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং তৃণমূল সাংসদ সমীরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বেশির ভাগ বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সমীরুল ইসলাম জানান, আটককৃত অভিবাসী শ্রমিকদের বেশির ভাগই বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা এবং কিছু দক্ষিণ ২৪ পরগনার। তাঁদের মূলত ঝারসুগুড়া পুলিশ আটক করেছিল।
মুর্শিদাবাদের শাহজাদপুর গ্রামের সামিউল শেখ আটককৃতদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর বাবা শরিফুল শেখ জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে ওডিশার খুর্দা জেলার পাহালা থানায় আরও পাঁচজন কিশোর রাজমিস্ত্রির সঙ্গে আটক ছিলেন। শরিফুল আরও বলেন, পুলিশ তাঁদের ফোন কেড়ে নিয়েছিল এবং আধার কার্ডের মতো কোনো নথিই গ্রহণ করতে রাজি ছিল না। অবশেষে, তাঁরা হরিহরপাড়া থানায় যোগাযোগ করার পর তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।
বেলডাঙার বেনেদাহার বাসিন্দা মুরসালিম শেখ, যার ১৭ বছর বয়সী ছেলে সাগর আলিকে ওডিশায় আটক করা হয়েছিল, তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘একজন শ্রমিকের অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া কি কোনো আইন বিরোধী কাজ? সাগর তার সমবয়সীদের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিল।’
গতকাল শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টকে জানানো হয়, আদালত ওডিশা সরকারকে আটককৃত দুই ব্যক্তির বিস্তারিত তথ্য দিতে বলার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই দুই অভিবাসী শ্রমিকের আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী হাইকোর্টকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে আমরা তথ্য পেয়েছি যে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার পর ওডিশা থেকে আটককৃতদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বাড়িতে ফিরে এসেছেন। তবে, এই ধরনের আটক আইনসম্মত কিনা তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।’
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, নদীয়ার আটককৃতদের মধ্যে দুজন বাদে বাকি সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি লেখেন, ‘রবিউল শেখ এবং মহির মুন্সি, যাদের কাছে যাচাইকৃত নথি রয়েছে, তাঁদের এখনো ওডিশা অবৈধভাবে আটক করে রেখেছে শুধু তাদের ফোনে একটি বাংলাদেশি ফোন নম্বর থাকার কারণে! এটা কি কোনো অপরাধ?’
এর আগে ওডিশা রাজ্য বিজেপির সহ-ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অমিত মালব্য দাবি করেছিলেন আটককৃতদের মধ্যে ৩৩৫ জনের কাছে ভুয়া নথি ছিল। তাঁকে কটাক্ষ করে তৃণমূল এমপি সমীরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন আপনার দায়িত্ব হলো আপনি যাদের বাংলাদেশি বলে দাবি করছিলেন, সেই সব ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রমাণ জমা দেওয়া।’
ভারতের ওডিশা রাজ্য সরকার গত তিন দিনে ৪৪৭ জন বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিককে আটক করে। এর মধ্যে ৪০৩ জনকেই পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই শ্রমিকদের অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী সন্দেহে আটক করা হয়েছিল। রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং তৃণমূল সাংসদ সমীরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বেশির ভাগ বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সমীরুল ইসলাম জানান, আটককৃত অভিবাসী শ্রমিকদের বেশির ভাগই বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা এবং কিছু দক্ষিণ ২৪ পরগনার। তাঁদের মূলত ঝারসুগুড়া পুলিশ আটক করেছিল।
মুর্শিদাবাদের শাহজাদপুর গ্রামের সামিউল শেখ আটককৃতদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর বাবা শরিফুল শেখ জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে ওডিশার খুর্দা জেলার পাহালা থানায় আরও পাঁচজন কিশোর রাজমিস্ত্রির সঙ্গে আটক ছিলেন। শরিফুল আরও বলেন, পুলিশ তাঁদের ফোন কেড়ে নিয়েছিল এবং আধার কার্ডের মতো কোনো নথিই গ্রহণ করতে রাজি ছিল না। অবশেষে, তাঁরা হরিহরপাড়া থানায় যোগাযোগ করার পর তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।
বেলডাঙার বেনেদাহার বাসিন্দা মুরসালিম শেখ, যার ১৭ বছর বয়সী ছেলে সাগর আলিকে ওডিশায় আটক করা হয়েছিল, তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘একজন শ্রমিকের অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া কি কোনো আইন বিরোধী কাজ? সাগর তার সমবয়সীদের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিল।’
গতকাল শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টকে জানানো হয়, আদালত ওডিশা সরকারকে আটককৃত দুই ব্যক্তির বিস্তারিত তথ্য দিতে বলার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই দুই অভিবাসী শ্রমিকের আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী হাইকোর্টকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে আমরা তথ্য পেয়েছি যে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার পর ওডিশা থেকে আটককৃতদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বাড়িতে ফিরে এসেছেন। তবে, এই ধরনের আটক আইনসম্মত কিনা তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।’
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, নদীয়ার আটককৃতদের মধ্যে দুজন বাদে বাকি সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি লেখেন, ‘রবিউল শেখ এবং মহির মুন্সি, যাদের কাছে যাচাইকৃত নথি রয়েছে, তাঁদের এখনো ওডিশা অবৈধভাবে আটক করে রেখেছে শুধু তাদের ফোনে একটি বাংলাদেশি ফোন নম্বর থাকার কারণে! এটা কি কোনো অপরাধ?’
এর আগে ওডিশা রাজ্য বিজেপির সহ-ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অমিত মালব্য দাবি করেছিলেন আটককৃতদের মধ্যে ৩৩৫ জনের কাছে ভুয়া নথি ছিল। তাঁকে কটাক্ষ করে তৃণমূল এমপি সমীরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন আপনার দায়িত্ব হলো আপনি যাদের বাংলাদেশি বলে দাবি করছিলেন, সেই সব ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রমাণ জমা দেওয়া।’
গাজা যুদ্ধের অবসান ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের একটি পরিকল্পনা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ মঙ্গলবার এ নিয়ে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেসারা বিশ্ব থেকে মেধাবী পেশাদারদের আকৃষ্ট করতে ভিসা ফি কমানোর প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে ব্রিটেন সরকার। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ভিসা ফি মওকুফ করার কথাও চিন্তা করা হচ্ছে। যখন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা ফি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, ঠিক সেই সময়ে যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে১৭৮৯ সালের বিপ্লবের পর ফ্রান্সে সংবাদপত্র ও তথ্যপ্রবাহ রাজনৈতিক ক্ষমতার অন্যতম হাতিয়ারে পরিণত হয়। যদিও বিপ্লবীরা তখন ‘প্রেসের স্বাধীনতা’-কে অন্যতম বড় অর্জন হিসেবে প্রচার করেছিলেন, তবে বাস্তবে সাংবাদিকতার কোনো প্রকৃত স্বাধীনতা ছিল না। বরং, ক্ষমতাসীনরা সংবাদপত্রকে দমন ও নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে
৬ ঘণ্টা আগেরাতভর প্রবল বর্ষণে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে কলকাতা। টানা পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা ধরে মুষলধারে বৃষ্টির ফলে পুরো মহানগরী ডুবে গেছে। শহরের রাস্তাঘাটে কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর সমান পানি। এই জলাবদ্ধ অবস্থায় বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন।
৭ ঘণ্টা আগে