আজানের সময় ‘হনুমানের ভজন বা প্রশংসাগীতি’ বাজানোয় দোকানমালিককে হিন্দু-মুসলমান মিলে মারধর করেছে। মূলত মাগরিবের আজানের সময় লাউডস্পিকারে তুলসী দাস রচিত ‘হনুমান চালিশা’ বাজাচ্ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে দুজন মুসলিম ও অপরজন হিন্দু।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। এ নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যটিতে। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আজানের সময় গান বাজানোর অভিযোগে বেঙ্গালুরুর এক দোকানদারকে লাঞ্ছিত করা নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়েছে। দোকানদার দাবি করেছেন, হামলার সময় তিনি মধ্য বেঙ্গালুরুতে তাঁর দোকানে হনুমান চালিসা বাজাচ্ছিলেন।
তবে পুলিশ বলেছে, তারা এই অভিযোগের সমর্থনে যথেষ্ট প্রমাণ পায়নি এবং অভিযোগে এটি উল্লেখও করা হয়নি। পুলিশ আরও স্পষ্ট করেছে, মারামারির ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক কোনো বিষয় ছিল না।
একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযোগে হনুমান চালিসার কোনো উল্লেখ নেই। যেসব ব্যক্তি দোকানদারকে লাঞ্ছিত করেছেন তাঁদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম উভয়ই রয়েছেন।
এফআইআর অনুসারে, গত রোববার সন্ধ্যায় সিদ্দনাগল্লিতে গান বাজানো নিয়ে দোকানদার মুকেশ এবং কলোনির কিছু লোকের মধ্যে লড়াই শুরু হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, জোরে জোরে ভজন বাজানো নিয়ে একদল লোক দোকানদারের মুখোমুখি হয়। একপর্যায়ে একজন ব্যক্তি মুকেশের কলার চেপে ধরলে তর্ক শিগগিরই হিংসাত্মক রূপ নেয়।
পরে ক্ষুব্ধ লোকেরা তাঁকে দোকান থেকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে মারধর করে। হামলার পর লোকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং দোকানদার রক্তাক্ত মুখ নিয়ে দোকানে ফিরে আসেন।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইকে মুকেশ বলেন, ‘আমি হনুমান ভজন বাজাচ্ছিলাম। চার থেকে পাঁচজন লোক এসে বলল আজানের সময় হয়ে গেছে এবং গান বাজালে আমাকে মারধর করার হুমকি দেয়। তারা আমাকে মারধর করে এবং আবারও হুমকি দেয়, তারা আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করবে।’
হামলার দায়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত এখনো চলছে। তিন অভিযুক্তের মধ্যে দুজন মুসলিম এবং অন্যজন হিন্দু বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে কর্ণাটক বিজেপি সভাপতি বিওয়াই বিজয়েন্দ্র রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সিদ্দারামাইয়া নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করেছেন এবং পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হিন্দু ও হিন্দুদের প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সরকারকে দায়ী করে তিনি বলেন, সিদ্দারামাইয়ার ‘তুষ্টির রাজনীতি’ বর্বরদের রাজ্যে তাণ্ডব চালাতে উৎসাহিত করেছে। এ ছাড়া বিজেপির লোকসভা প্রার্থী তেজস্বী সূর্য আগামীকাল (বুধবার) দুপুরে মুকেশের দোকানে হনুমান চালিসা বাজানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
এই নেতা ‘হনুমান চালিসা’ ওই এলাকার ঘরে ঘরে হনুমান চালিসা বাজাতে বিজেপি কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও বিজেপির এই কর্মসূচির অনুমতি দিতে পুলিশ অস্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
আজানের সময় ‘হনুমানের ভজন বা প্রশংসাগীতি’ বাজানোয় দোকানমালিককে হিন্দু-মুসলমান মিলে মারধর করেছে। মূলত মাগরিবের আজানের সময় লাউডস্পিকারে তুলসী দাস রচিত ‘হনুমান চালিশা’ বাজাচ্ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে দুজন মুসলিম ও অপরজন হিন্দু।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। এ নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যটিতে। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আজানের সময় গান বাজানোর অভিযোগে বেঙ্গালুরুর এক দোকানদারকে লাঞ্ছিত করা নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়েছে। দোকানদার দাবি করেছেন, হামলার সময় তিনি মধ্য বেঙ্গালুরুতে তাঁর দোকানে হনুমান চালিসা বাজাচ্ছিলেন।
তবে পুলিশ বলেছে, তারা এই অভিযোগের সমর্থনে যথেষ্ট প্রমাণ পায়নি এবং অভিযোগে এটি উল্লেখও করা হয়নি। পুলিশ আরও স্পষ্ট করেছে, মারামারির ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক কোনো বিষয় ছিল না।
একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযোগে হনুমান চালিসার কোনো উল্লেখ নেই। যেসব ব্যক্তি দোকানদারকে লাঞ্ছিত করেছেন তাঁদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম উভয়ই রয়েছেন।
এফআইআর অনুসারে, গত রোববার সন্ধ্যায় সিদ্দনাগল্লিতে গান বাজানো নিয়ে দোকানদার মুকেশ এবং কলোনির কিছু লোকের মধ্যে লড়াই শুরু হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, জোরে জোরে ভজন বাজানো নিয়ে একদল লোক দোকানদারের মুখোমুখি হয়। একপর্যায়ে একজন ব্যক্তি মুকেশের কলার চেপে ধরলে তর্ক শিগগিরই হিংসাত্মক রূপ নেয়।
পরে ক্ষুব্ধ লোকেরা তাঁকে দোকান থেকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে মারধর করে। হামলার পর লোকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং দোকানদার রক্তাক্ত মুখ নিয়ে দোকানে ফিরে আসেন।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইকে মুকেশ বলেন, ‘আমি হনুমান ভজন বাজাচ্ছিলাম। চার থেকে পাঁচজন লোক এসে বলল আজানের সময় হয়ে গেছে এবং গান বাজালে আমাকে মারধর করার হুমকি দেয়। তারা আমাকে মারধর করে এবং আবারও হুমকি দেয়, তারা আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করবে।’
হামলার দায়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত এখনো চলছে। তিন অভিযুক্তের মধ্যে দুজন মুসলিম এবং অন্যজন হিন্দু বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে কর্ণাটক বিজেপি সভাপতি বিওয়াই বিজয়েন্দ্র রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সিদ্দারামাইয়া নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করেছেন এবং পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হিন্দু ও হিন্দুদের প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সরকারকে দায়ী করে তিনি বলেন, সিদ্দারামাইয়ার ‘তুষ্টির রাজনীতি’ বর্বরদের রাজ্যে তাণ্ডব চালাতে উৎসাহিত করেছে। এ ছাড়া বিজেপির লোকসভা প্রার্থী তেজস্বী সূর্য আগামীকাল (বুধবার) দুপুরে মুকেশের দোকানে হনুমান চালিসা বাজানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
এই নেতা ‘হনুমান চালিসা’ ওই এলাকার ঘরে ঘরে হনুমান চালিসা বাজাতে বিজেপি কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও বিজেপির এই কর্মসূচির অনুমতি দিতে পুলিশ অস্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
৯ ঘণ্টা আগেকানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট
৯ ঘণ্টা আগেভারতের গুজরাটে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাত থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ মানুষকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করছে। তবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বিকাশ সহায় সোমবার জানিয়েছেন, নথিপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে ৪৫০ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন
১১ ঘণ্টা আগেউত্তর-পূর্ব চীনের একটি রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
১১ ঘণ্টা আগে