অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভারতীয় মেয়েদের উপস্থিতি বেশি। ‘নারীশিক্ষা’ এখন দেশটির একটি সফলতার গল্প।
এদিকে দেখা গেছে, উল্টো আরেক ঘটনা! কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মেয়েদের সংখ্যা বাড়লে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে—এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু ভারতের বেলায় শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণের হার বাড়েনি, বরং আরও কমে গেছে। ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক নিবন্ধে বিষয়টির কারণ অনুসন্ধান করেছেন পত্রিকাটির নয়াদিল্লি প্রতিনিধি কারিশমা মেহরোত্রা।
‘শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ যদি না-ই বাড়বে, তবে কন্যাদের কেন পড়াশোনা করাবে মানুষ?’ প্রশ্নটি করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক সোনালদে দেশাইকে। তিনি ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক সমীক্ষার নেতৃত্ব দেন। নারীর পড়াশোনার প্রভাব ভারতের শ্রমবাজারে কেন নেই—সেই বিষয়টিরও একটি ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে দেশাইয়ের মতো গবেষকের কাছে। তিনি নথিভুক্ত করেছেন, কীভাবে ভারতের মেয়েরা উন্নত চাকরি পেতে নয়, বরং বিয়ের বাজারে নিজেকে মূল্যবান করতেই উঁচু ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা করছে।
ভারতীয় ছেলেদের পরিবারগুলোও বর্তমানে শিক্ষিত পুত্রবধূ খুঁজে বেড়াচ্ছে। এই বধূ যে চাকরি-বাকরি করে সংসারের আয় বাড়াবে—বিষয়টি এমন নয়, বরং উচ্চ শিক্ষিত সন্তান তৈরিতে তারা ভূমিকা রাখবে।
দেশাই বলেন, ‘আমি যা দেখলাম, মূলত শিক্ষিত গৃহিণী পাওয়ার একটি প্রবণতা।’ তবে এই প্রবণতা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে খুব বেশি দেখা যায়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
উদাহরণ হিসেবে সুধা কুমারীর কথাই ধরা যাক। ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্যগুলোর একটিতে বসবাস করেন তিনি। সুধা বিশ্বাস করেন, উপযুক্ত স্বামী পেতে হলে তাঁর তিন মেয়েকে অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি নিতে হবে। বিহারের রাজধানী পাটনার উপকণ্ঠে সুধার নিভু নিভু বাড়িটিতে তাই দেখা যায়—তাঁর মেয়েরা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছে।
সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ-এর রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ নীলাঞ্জন সরকার বলেন, ‘বাড়িতে একজন শিক্ষিত নারী থাকা এখন একটি স্ট্যাটাসের বিষয়।’
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদদেরও মত পাওয়া গেছে। তাঁরা মনে করেন, ভারতের ক্রমবর্ধমান শ্রমবাজারের আরও প্রবৃদ্ধি ঘটাতে হলে দেশটিকে অবশ্যই স্থবির হয়ে থাকা নারী-কর্মশক্তি সমস্যাটির সমাধান করতে হবে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভারতের শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিক থেকে ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। এমনকি দেশটির অর্থনীতি ফুলেফেঁপে উঠলেও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিম্নমুখীই থেকেছে। অবস্থা এমন যে, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হারে বিশ্বের সর্বনিম্ন ১৫টি দেশের মধ্যে ভারত একটি। বর্তমানে দেশটির প্রতি চারজন নারীর মধ্যে মাত্র একজন শ্রমবাজারে যুক্ত রয়েছেন। অথচ ২০০০ সালেও দেশটির প্রতি তিনজনে একজন নারী শ্রমবাজারে যুক্ত ছিলেন।
অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভারতীয় মেয়েদের উপস্থিতি বেশি। ‘নারীশিক্ষা’ এখন দেশটির একটি সফলতার গল্প।
এদিকে দেখা গেছে, উল্টো আরেক ঘটনা! কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মেয়েদের সংখ্যা বাড়লে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে—এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু ভারতের বেলায় শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণের হার বাড়েনি, বরং আরও কমে গেছে। ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক নিবন্ধে বিষয়টির কারণ অনুসন্ধান করেছেন পত্রিকাটির নয়াদিল্লি প্রতিনিধি কারিশমা মেহরোত্রা।
‘শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ যদি না-ই বাড়বে, তবে কন্যাদের কেন পড়াশোনা করাবে মানুষ?’ প্রশ্নটি করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক সোনালদে দেশাইকে। তিনি ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক সমীক্ষার নেতৃত্ব দেন। নারীর পড়াশোনার প্রভাব ভারতের শ্রমবাজারে কেন নেই—সেই বিষয়টিরও একটি ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে দেশাইয়ের মতো গবেষকের কাছে। তিনি নথিভুক্ত করেছেন, কীভাবে ভারতের মেয়েরা উন্নত চাকরি পেতে নয়, বরং বিয়ের বাজারে নিজেকে মূল্যবান করতেই উঁচু ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা করছে।
ভারতীয় ছেলেদের পরিবারগুলোও বর্তমানে শিক্ষিত পুত্রবধূ খুঁজে বেড়াচ্ছে। এই বধূ যে চাকরি-বাকরি করে সংসারের আয় বাড়াবে—বিষয়টি এমন নয়, বরং উচ্চ শিক্ষিত সন্তান তৈরিতে তারা ভূমিকা রাখবে।
দেশাই বলেন, ‘আমি যা দেখলাম, মূলত শিক্ষিত গৃহিণী পাওয়ার একটি প্রবণতা।’ তবে এই প্রবণতা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে খুব বেশি দেখা যায়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
উদাহরণ হিসেবে সুধা কুমারীর কথাই ধরা যাক। ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্যগুলোর একটিতে বসবাস করেন তিনি। সুধা বিশ্বাস করেন, উপযুক্ত স্বামী পেতে হলে তাঁর তিন মেয়েকে অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি নিতে হবে। বিহারের রাজধানী পাটনার উপকণ্ঠে সুধার নিভু নিভু বাড়িটিতে তাই দেখা যায়—তাঁর মেয়েরা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছে।
সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ-এর রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ নীলাঞ্জন সরকার বলেন, ‘বাড়িতে একজন শিক্ষিত নারী থাকা এখন একটি স্ট্যাটাসের বিষয়।’
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদদেরও মত পাওয়া গেছে। তাঁরা মনে করেন, ভারতের ক্রমবর্ধমান শ্রমবাজারের আরও প্রবৃদ্ধি ঘটাতে হলে দেশটিকে অবশ্যই স্থবির হয়ে থাকা নারী-কর্মশক্তি সমস্যাটির সমাধান করতে হবে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভারতের শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিক থেকে ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। এমনকি দেশটির অর্থনীতি ফুলেফেঁপে উঠলেও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিম্নমুখীই থেকেছে। অবস্থা এমন যে, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হারে বিশ্বের সর্বনিম্ন ১৫টি দেশের মধ্যে ভারত একটি। বর্তমানে দেশটির প্রতি চারজন নারীর মধ্যে মাত্র একজন শ্রমবাজারে যুক্ত রয়েছেন। অথচ ২০০০ সালেও দেশটির প্রতি তিনজনে একজন নারী শ্রমবাজারে যুক্ত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক শীর্ষ বৈঠক থেকে আলাস্কার এক সাধারণ বাসিন্দা যেন অপ্রত্যাশিতভাবে লাভবান হলেন। দুই নেতার আলোচনার পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে তিনি উপহার হিসেবে পেলেন একটি নতুন মোটরসাইকেল!
৭ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র জেজু দ্বীপে ভ্রমণকারীদের জন্য প্রথমবারের মতো বিশেষ আচরণবিধি জারি করেছে স্থানীয় পুলিশ। বিদেশি পর্যটকদের বেআইনি বা অসভ্য আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং জরিমানার বিধান তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে বসবাস বা কাজের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তিদের এখন থেকে ‘আমেরিকাবিরোধী মনোভাব’ খতিয়ে দেখা হবে। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেদনকারীর কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখার বিষয়টিও রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে। বিধিনিষেধের এই কড়াকড়ি অভিবাসনবিষয়ক অধিকারকর্মী...
৮ ঘণ্টা আগেপুরোপুরি দখলে নিতে গাজা নগরীতে পূর্ণাঙ্গ স্থল অভিযান শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে প্রায় ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনাকে তলব করেছে ইসরায়েল। আজ বুধবার (২০ আগস্ট) ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রিজার্ভ সেনাদের মধ্যে অধিকাংশই সেপ্টেম্বর থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন।
১০ ঘণ্টা আগে