Ajker Patrika

আদালত থেকেই জ্ঞানবাপী মসজিদ বিষয়ক প্রতিবেদন ফাঁস, শুনানি শুক্রবার 

কলকাতা প্রতিনিধি
আদালত থেকেই জ্ঞানবাপী মসজিদ বিষয়ক প্রতিবেদন ফাঁস, শুনানি শুক্রবার 

জ্ঞানবাপী মসজিদের ভেতরের ধারণ করা ভিডিও ও স্থিরচিত্র সংবলিত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার পরপরই ফাঁস হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষক বারানসি আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন। এদিকে, জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় নিম্ন আদালতের শুনানিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। 

ভারতের উত্তর প্রদেশের বহুল আলোচিত জ্ঞানবাপী মসজিদ বিষয়ে আগামীকাল শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট নিজে মামলার শুনানি করবেন। সেদিন বিকেল ৩টায় শুরু হবে অতি স্পর্শকাতর মামলাটির শুনানি। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিংহের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ বেনারস আদালতকে এই মামলায় কোনো রায় দিতেও নিষেধ করেছেন।

বৃহস্পতিবার আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষক বিশাল সিং সিলগালা করা খামে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভেতরকার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত জরিপ প্রতিবেদনের ভিডিওগ্রাফি ও স্থিরচিত্র সংবলিত প্রতিবেদন জমা দেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আদালতে জমা দেওয়ার পরপরই প্রতিবেদন ফাঁস হয়ে যায়। 

এদিকে, ভারতের সর্বোচ্চ আদালত উত্তর প্রদেশের আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে—তাঁদের নির্দেশ ছাড়া এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বেনারস আদালত। 

ভারতের উত্তর প্রদেশের এই মসজিদকে হিন্দুরা তাঁদের সম্পত্তি বলে দাবি করায় উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। তাদের দাবি জ্ঞানবাপী মসজিদে চত্বরে শিবলিঙ্গ রয়েছে। এই দাবি করে ৫ জন হিন্দু নারী বেনারস আদালতে পূজা করার অধিকার চেয়ে মামলা দায়ের করলে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। 

বেনারসের দায়রা আদালতের বিচারক রবি কুমার দিবাকর নির্দেশ দিয়েছিলেন মসজিদের ভেতরকার ভিডিও ও ছবিসহ জরিপ প্রতিবেদন পেশ করার। বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট পেশ করেন আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষক। মামলার শুনানিও শুরু হয়। কিন্তু মসজিদ কমিটির তরফ থেকে মসজিদের ভিতরকার ভিডিওগ্রাফির বিরোধিতা করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী হুফেজা আহমাদি। 

পরে তাঁর আরজির ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বেনারস আদালতের শুনানির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। 

এদিকে, জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে মামলা চলাকালেই মথুরার একটি মসজিদেরও দখল চাইছেন সেখানকার হিন্দুরা। তাঁদের দাবি, এই মসজিদটিও আগে হিন্দুদেরই ছিল। তাই মসজিদের অপসারণ চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় দাবি করা হয় মসজিদটি ‘কৃষ্ণ জন্মভূমিতে’ নির্মিত। উত্তর প্রদেশের আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে। এর ফলে, আদালতে মামলাটির শুনানি হবে। 

মামলার আরজিতে কাতরা কেশব দেব মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে ১৭ শতকে নির্মিত শাহি ঈদগাহ মসজিদটি অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। আরজিতে আরও দাবি করা হয়, ১৬৬৯–৭০ সালে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে মসজিদটি হিন্দু ধর্মের অবতার ভগবান কৃষ্ণের জন্মভূমিতে নির্মিত হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত