আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নেদারল্যান্ডসের রটারডামে একটি জাদুঘরে আমেরিকান শিল্পী মার্ক রথকোর আঁকা একটি চিত্রকর্ম নষ্ট করেছে এক শিশু। চিত্রকর্মটির বর্তমান মূল্য কয়েকটি কোটা পাউন্ড!
মিউজিয়াম বোইজমন্স ভ্যান বিউনিংগেনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, রথকোর ‘গ্রে, অরেঞ্জ অন মেরুন, নং ৮’ চিত্রকর্মটি পুনরুদ্ধারের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ডাচ গণমাধ্যম অ্যালগেমিন ডাগব্লাডকে (এডি) জাদুঘরের এক মুখপাত্র জানান, ‘অসাবধানতাবশত’ এই ক্ষতি হয়েছে।
জাদুঘরের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ক্ষতি হয়েছে ওপরের অংশে। চিত্রকর্মের নিচের অংশে বার্নিশবিহীন রঙের স্তরে ছোট আঁচড় দেখা যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম এডির মতে, বিমূর্ত এই চিত্রকর্মের আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি ইউরো (৪ কোটি ২৫ লাখ পাউন্ড) পর্যন্ত হতে পারে।
জাদুঘরের মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, নেদারল্যান্ডস এবং বিদেশে সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। আমরা বর্তমানে চিত্রকর্মটি পুনরুদ্ধারের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে গবেষণা করছি।
তিনি আরও যোগ করেন, আমরা আশা করছি, শিগগিরই চিত্রকর্মটি আবার প্রদর্শন করা সম্ভব হবে।
ফাইন আর্ট রেস্টোরেশন কোম্পানির সংরক্ষণ ব্যবস্থাপক সোফি ম্যাকঅ্যালোন বলেছেন, রথকোর ‘গ্রে, অরেঞ্জ অন মেরুন, নং ৮ ’-এর মতো ‘আধুনিক বার্নিশবিহীন’ চিত্রকর্মগুলো বিশেষভাবে ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকে। এ ধরনের চিত্রকর্মে সামান্যতম ক্ষতিও চোখে পড়ে।
রথকোর এই চিত্রকর্ম জাদুঘরের প্রধান ভবনের পাশে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত একটি স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিতে প্রদর্শনীর জন্য ঝোলানো হয়েছিল।
২০১২ সালের অক্টোবরে লন্ডনের টেট মডার্ন গ্যালারিতে রথকোর ১৯৫৮ সালের কাজ ‘ব্ল্যাক অন মেরুন’ ইচ্ছাকৃতভাবে ভাঙচুর করেছিলেন ভ্লাদিমির উমানেক নামে এক ব্যক্তি। পরে তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
বিচার চলাকালীন প্রসিকিউটিং ব্যারিস্টার গ্রেগর ম্যাককিনলে বলেছিলেন, চিত্রকর্মটি ঠিকঠাক করতে প্রায় ২ লাখ পাউন্ড খরচ হবে। সংরক্ষণকারীদের চিত্রকর্মটি ঠিক করতে ১৮ মাস লেগেছিল!
অবশ্য এ ধরনের চিত্রকর্মের জন্য বিমা করা থাকে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত চিত্রকর্ম ঠিক করার খরচ সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানিই দেয়।
এদিকে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ১৯৬০ সালের ওই চিত্রকর্মের ক্ষতির জন্য কাকে দায়ী করবে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। গ্যালারিটি ১৯৭০-এর দশকে চিত্রকর্মটি কিনেছিল বলে জানা গেছে।
মিউজিয়াম বোইজমন্স ভ্যান বিউনিংগেন এর আগে প্রদর্শিত শিল্পকর্মের ক্ষতি করার কারণে দর্শকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। ২০১১ সালে জাদুঘর উইম টি. শিপার্সের ‘পিন্ডাকাসভ্লুর’ নামে একটি চিত্রকর্মে পা রাখা এক পর্যটককে সেটি সংস্কার করার পুরো অর্থ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
২০২৪ সালের নভেম্বরে, ওস্টারউইক শহরের এমপিভি আর্ট গ্যালারিতে ডাকাতির চেষ্টার সময় মার্কিন পপ শিল্পী অ্যান্ডি ওয়ারহোলের একাধিক স্ক্রিন প্রিন্ট ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল একদল চোর।
অন্য একটি ঘটনায়, একটি ডাচ টাউন হল গত বছর সংস্কার কাজের সময় সাবেক ডাচ রানির অ্যান্ডি ওয়ারহোলের প্রিন্টসহ ৪৬টি শিল্পকর্ম দুর্ঘটনাক্রমে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
অবশ্য শিশুদের দ্বারা ক্ষতি হলে সে ক্ষেত্রে জাদুঘরগুলোর বিভিন্ন নীতি রয়েছে।
গত বছরের আগস্টে ইসরায়েলের হেক্ট মিউজিয়ামে চার বছর বয়সী এক বালক দুর্ঘটনাক্রমে ৩ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো একটি জার ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলে।
তৎকালীন হেক্ট মিউজিয়ামের কর্মী লিহি লাজলো বিবিসিকে বলেছিলেন, জাদুঘর এই ঘটনাটিকে ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ দেখবে না কারণ, ‘জারটি একটি ছোট শিশুর দ্বারা দুর্ঘটনাক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’।

নেদারল্যান্ডসের রটারডামে একটি জাদুঘরে আমেরিকান শিল্পী মার্ক রথকোর আঁকা একটি চিত্রকর্ম নষ্ট করেছে এক শিশু। চিত্রকর্মটির বর্তমান মূল্য কয়েকটি কোটা পাউন্ড!
মিউজিয়াম বোইজমন্স ভ্যান বিউনিংগেনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, রথকোর ‘গ্রে, অরেঞ্জ অন মেরুন, নং ৮’ চিত্রকর্মটি পুনরুদ্ধারের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ডাচ গণমাধ্যম অ্যালগেমিন ডাগব্লাডকে (এডি) জাদুঘরের এক মুখপাত্র জানান, ‘অসাবধানতাবশত’ এই ক্ষতি হয়েছে।
জাদুঘরের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ক্ষতি হয়েছে ওপরের অংশে। চিত্রকর্মের নিচের অংশে বার্নিশবিহীন রঙের স্তরে ছোট আঁচড় দেখা যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম এডির মতে, বিমূর্ত এই চিত্রকর্মের আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি ইউরো (৪ কোটি ২৫ লাখ পাউন্ড) পর্যন্ত হতে পারে।
জাদুঘরের মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, নেদারল্যান্ডস এবং বিদেশে সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। আমরা বর্তমানে চিত্রকর্মটি পুনরুদ্ধারের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে গবেষণা করছি।
তিনি আরও যোগ করেন, আমরা আশা করছি, শিগগিরই চিত্রকর্মটি আবার প্রদর্শন করা সম্ভব হবে।
ফাইন আর্ট রেস্টোরেশন কোম্পানির সংরক্ষণ ব্যবস্থাপক সোফি ম্যাকঅ্যালোন বলেছেন, রথকোর ‘গ্রে, অরেঞ্জ অন মেরুন, নং ৮ ’-এর মতো ‘আধুনিক বার্নিশবিহীন’ চিত্রকর্মগুলো বিশেষভাবে ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকে। এ ধরনের চিত্রকর্মে সামান্যতম ক্ষতিও চোখে পড়ে।
রথকোর এই চিত্রকর্ম জাদুঘরের প্রধান ভবনের পাশে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত একটি স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিতে প্রদর্শনীর জন্য ঝোলানো হয়েছিল।
২০১২ সালের অক্টোবরে লন্ডনের টেট মডার্ন গ্যালারিতে রথকোর ১৯৫৮ সালের কাজ ‘ব্ল্যাক অন মেরুন’ ইচ্ছাকৃতভাবে ভাঙচুর করেছিলেন ভ্লাদিমির উমানেক নামে এক ব্যক্তি। পরে তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
বিচার চলাকালীন প্রসিকিউটিং ব্যারিস্টার গ্রেগর ম্যাককিনলে বলেছিলেন, চিত্রকর্মটি ঠিকঠাক করতে প্রায় ২ লাখ পাউন্ড খরচ হবে। সংরক্ষণকারীদের চিত্রকর্মটি ঠিক করতে ১৮ মাস লেগেছিল!
অবশ্য এ ধরনের চিত্রকর্মের জন্য বিমা করা থাকে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত চিত্রকর্ম ঠিক করার খরচ সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানিই দেয়।
এদিকে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ১৯৬০ সালের ওই চিত্রকর্মের ক্ষতির জন্য কাকে দায়ী করবে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। গ্যালারিটি ১৯৭০-এর দশকে চিত্রকর্মটি কিনেছিল বলে জানা গেছে।
মিউজিয়াম বোইজমন্স ভ্যান বিউনিংগেন এর আগে প্রদর্শিত শিল্পকর্মের ক্ষতি করার কারণে দর্শকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। ২০১১ সালে জাদুঘর উইম টি. শিপার্সের ‘পিন্ডাকাসভ্লুর’ নামে একটি চিত্রকর্মে পা রাখা এক পর্যটককে সেটি সংস্কার করার পুরো অর্থ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
২০২৪ সালের নভেম্বরে, ওস্টারউইক শহরের এমপিভি আর্ট গ্যালারিতে ডাকাতির চেষ্টার সময় মার্কিন পপ শিল্পী অ্যান্ডি ওয়ারহোলের একাধিক স্ক্রিন প্রিন্ট ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল একদল চোর।
অন্য একটি ঘটনায়, একটি ডাচ টাউন হল গত বছর সংস্কার কাজের সময় সাবেক ডাচ রানির অ্যান্ডি ওয়ারহোলের প্রিন্টসহ ৪৬টি শিল্পকর্ম দুর্ঘটনাক্রমে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
অবশ্য শিশুদের দ্বারা ক্ষতি হলে সে ক্ষেত্রে জাদুঘরগুলোর বিভিন্ন নীতি রয়েছে।
গত বছরের আগস্টে ইসরায়েলের হেক্ট মিউজিয়ামে চার বছর বয়সী এক বালক দুর্ঘটনাক্রমে ৩ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো একটি জার ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলে।
তৎকালীন হেক্ট মিউজিয়ামের কর্মী লিহি লাজলো বিবিসিকে বলেছিলেন, জাদুঘর এই ঘটনাটিকে ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ দেখবে না কারণ, ‘জারটি একটি ছোট শিশুর দ্বারা দুর্ঘটনাক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নেদারল্যান্ডসের রটারডামে একটি জাদুঘরে আমেরিকান শিল্পী মার্ক রথকোর আঁকা একটি চিত্রকর্ম নষ্ট করেছে এক শিশু। চিত্রকর্মটির বর্তমান মূল্য কয়েকটি কোটা পাউন্ড!
মিউজিয়াম বোইজমন্স ভ্যান বিউনিংগেনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, রথকোর ‘গ্রে, অরেঞ্জ অন মেরুন, নং ৮’ চিত্রকর্মটি পুনরুদ্ধারের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ডাচ গণমাধ্যম অ্যালগেমিন ডাগব্লাডকে (এডি) জাদুঘরের এক মুখপাত্র জানান, ‘অসাবধানতাবশত’ এই ক্ষতি হয়েছে।
জাদুঘরের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ক্ষতি হয়েছে ওপরের অংশে। চিত্রকর্মের নিচের অংশে বার্নিশবিহীন রঙের স্তরে ছোট আঁচড় দেখা যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম এডির মতে, বিমূর্ত এই চিত্রকর্মের আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি ইউরো (৪ কোটি ২৫ লাখ পাউন্ড) পর্যন্ত হতে পারে।
জাদুঘরের মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, নেদারল্যান্ডস এবং বিদেশে সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। আমরা বর্তমানে চিত্রকর্মটি পুনরুদ্ধারের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে গবেষণা করছি।
তিনি আরও যোগ করেন, আমরা আশা করছি, শিগগিরই চিত্রকর্মটি আবার প্রদর্শন করা সম্ভব হবে।
ফাইন আর্ট রেস্টোরেশন কোম্পানির সংরক্ষণ ব্যবস্থাপক সোফি ম্যাকঅ্যালোন বলেছেন, রথকোর ‘গ্রে, অরেঞ্জ অন মেরুন, নং ৮ ’-এর মতো ‘আধুনিক বার্নিশবিহীন’ চিত্রকর্মগুলো বিশেষভাবে ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকে। এ ধরনের চিত্রকর্মে সামান্যতম ক্ষতিও চোখে পড়ে।
রথকোর এই চিত্রকর্ম জাদুঘরের প্রধান ভবনের পাশে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত একটি স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিতে প্রদর্শনীর জন্য ঝোলানো হয়েছিল।
২০১২ সালের অক্টোবরে লন্ডনের টেট মডার্ন গ্যালারিতে রথকোর ১৯৫৮ সালের কাজ ‘ব্ল্যাক অন মেরুন’ ইচ্ছাকৃতভাবে ভাঙচুর করেছিলেন ভ্লাদিমির উমানেক নামে এক ব্যক্তি। পরে তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
বিচার চলাকালীন প্রসিকিউটিং ব্যারিস্টার গ্রেগর ম্যাককিনলে বলেছিলেন, চিত্রকর্মটি ঠিকঠাক করতে প্রায় ২ লাখ পাউন্ড খরচ হবে। সংরক্ষণকারীদের চিত্রকর্মটি ঠিক করতে ১৮ মাস লেগেছিল!
অবশ্য এ ধরনের চিত্রকর্মের জন্য বিমা করা থাকে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত চিত্রকর্ম ঠিক করার খরচ সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানিই দেয়।
এদিকে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ১৯৬০ সালের ওই চিত্রকর্মের ক্ষতির জন্য কাকে দায়ী করবে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। গ্যালারিটি ১৯৭০-এর দশকে চিত্রকর্মটি কিনেছিল বলে জানা গেছে।
মিউজিয়াম বোইজমন্স ভ্যান বিউনিংগেন এর আগে প্রদর্শিত শিল্পকর্মের ক্ষতি করার কারণে দর্শকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। ২০১১ সালে জাদুঘর উইম টি. শিপার্সের ‘পিন্ডাকাসভ্লুর’ নামে একটি চিত্রকর্মে পা রাখা এক পর্যটককে সেটি সংস্কার করার পুরো অর্থ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
২০২৪ সালের নভেম্বরে, ওস্টারউইক শহরের এমপিভি আর্ট গ্যালারিতে ডাকাতির চেষ্টার সময় মার্কিন পপ শিল্পী অ্যান্ডি ওয়ারহোলের একাধিক স্ক্রিন প্রিন্ট ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল একদল চোর।
অন্য একটি ঘটনায়, একটি ডাচ টাউন হল গত বছর সংস্কার কাজের সময় সাবেক ডাচ রানির অ্যান্ডি ওয়ারহোলের প্রিন্টসহ ৪৬টি শিল্পকর্ম দুর্ঘটনাক্রমে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
অবশ্য শিশুদের দ্বারা ক্ষতি হলে সে ক্ষেত্রে জাদুঘরগুলোর বিভিন্ন নীতি রয়েছে।
গত বছরের আগস্টে ইসরায়েলের হেক্ট মিউজিয়ামে চার বছর বয়সী এক বালক দুর্ঘটনাক্রমে ৩ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো একটি জার ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলে।
তৎকালীন হেক্ট মিউজিয়ামের কর্মী লিহি লাজলো বিবিসিকে বলেছিলেন, জাদুঘর এই ঘটনাটিকে ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ দেখবে না কারণ, ‘জারটি একটি ছোট শিশুর দ্বারা দুর্ঘটনাক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’।

নেদারল্যান্ডসের রটারডামে একটি জাদুঘরে আমেরিকান শিল্পী মার্ক রথকোর আঁকা একটি চিত্রকর্ম নষ্ট করেছে এক শিশু। চিত্রকর্মটির বর্তমান মূল্য কয়েকটি কোটা পাউন্ড!
মিউজিয়াম বোইজমন্স ভ্যান বিউনিংগেনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, রথকোর ‘গ্রে, অরেঞ্জ অন মেরুন, নং ৮’ চিত্রকর্মটি পুনরুদ্ধারের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ডাচ গণমাধ্যম অ্যালগেমিন ডাগব্লাডকে (এডি) জাদুঘরের এক মুখপাত্র জানান, ‘অসাবধানতাবশত’ এই ক্ষতি হয়েছে।
জাদুঘরের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ক্ষতি হয়েছে ওপরের অংশে। চিত্রকর্মের নিচের অংশে বার্নিশবিহীন রঙের স্তরে ছোট আঁচড় দেখা যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম এডির মতে, বিমূর্ত এই চিত্রকর্মের আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি ইউরো (৪ কোটি ২৫ লাখ পাউন্ড) পর্যন্ত হতে পারে।
জাদুঘরের মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, নেদারল্যান্ডস এবং বিদেশে সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। আমরা বর্তমানে চিত্রকর্মটি পুনরুদ্ধারের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে গবেষণা করছি।
তিনি আরও যোগ করেন, আমরা আশা করছি, শিগগিরই চিত্রকর্মটি আবার প্রদর্শন করা সম্ভব হবে।
ফাইন আর্ট রেস্টোরেশন কোম্পানির সংরক্ষণ ব্যবস্থাপক সোফি ম্যাকঅ্যালোন বলেছেন, রথকোর ‘গ্রে, অরেঞ্জ অন মেরুন, নং ৮ ’-এর মতো ‘আধুনিক বার্নিশবিহীন’ চিত্রকর্মগুলো বিশেষভাবে ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকে। এ ধরনের চিত্রকর্মে সামান্যতম ক্ষতিও চোখে পড়ে।
রথকোর এই চিত্রকর্ম জাদুঘরের প্রধান ভবনের পাশে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত একটি স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিতে প্রদর্শনীর জন্য ঝোলানো হয়েছিল।
২০১২ সালের অক্টোবরে লন্ডনের টেট মডার্ন গ্যালারিতে রথকোর ১৯৫৮ সালের কাজ ‘ব্ল্যাক অন মেরুন’ ইচ্ছাকৃতভাবে ভাঙচুর করেছিলেন ভ্লাদিমির উমানেক নামে এক ব্যক্তি। পরে তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
বিচার চলাকালীন প্রসিকিউটিং ব্যারিস্টার গ্রেগর ম্যাককিনলে বলেছিলেন, চিত্রকর্মটি ঠিকঠাক করতে প্রায় ২ লাখ পাউন্ড খরচ হবে। সংরক্ষণকারীদের চিত্রকর্মটি ঠিক করতে ১৮ মাস লেগেছিল!
অবশ্য এ ধরনের চিত্রকর্মের জন্য বিমা করা থাকে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত চিত্রকর্ম ঠিক করার খরচ সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানিই দেয়।
এদিকে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ১৯৬০ সালের ওই চিত্রকর্মের ক্ষতির জন্য কাকে দায়ী করবে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। গ্যালারিটি ১৯৭০-এর দশকে চিত্রকর্মটি কিনেছিল বলে জানা গেছে।
মিউজিয়াম বোইজমন্স ভ্যান বিউনিংগেন এর আগে প্রদর্শিত শিল্পকর্মের ক্ষতি করার কারণে দর্শকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। ২০১১ সালে জাদুঘর উইম টি. শিপার্সের ‘পিন্ডাকাসভ্লুর’ নামে একটি চিত্রকর্মে পা রাখা এক পর্যটককে সেটি সংস্কার করার পুরো অর্থ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
২০২৪ সালের নভেম্বরে, ওস্টারউইক শহরের এমপিভি আর্ট গ্যালারিতে ডাকাতির চেষ্টার সময় মার্কিন পপ শিল্পী অ্যান্ডি ওয়ারহোলের একাধিক স্ক্রিন প্রিন্ট ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল একদল চোর।
অন্য একটি ঘটনায়, একটি ডাচ টাউন হল গত বছর সংস্কার কাজের সময় সাবেক ডাচ রানির অ্যান্ডি ওয়ারহোলের প্রিন্টসহ ৪৬টি শিল্পকর্ম দুর্ঘটনাক্রমে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
অবশ্য শিশুদের দ্বারা ক্ষতি হলে সে ক্ষেত্রে জাদুঘরগুলোর বিভিন্ন নীতি রয়েছে।
গত বছরের আগস্টে ইসরায়েলের হেক্ট মিউজিয়ামে চার বছর বয়সী এক বালক দুর্ঘটনাক্রমে ৩ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো একটি জার ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলে।
তৎকালীন হেক্ট মিউজিয়ামের কর্মী লিহি লাজলো বিবিসিকে বলেছিলেন, জাদুঘর এই ঘটনাটিকে ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ দেখবে না কারণ, ‘জারটি একটি ছোট শিশুর দ্বারা দুর্ঘটনাক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১৪ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
২১ মিনিট আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
২ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করে।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালায় এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেয়। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তর চেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করে।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালায় এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেয়। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তর চেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

নেদারল্যান্ডসের রটারডামে একটি জাদুঘরে আমেরিকান শিল্পী মার্ক রথকোর আঁকা একটি চিত্রকর্ম নষ্ট করেছে এক শিশু। চিত্রকর্মটির বর্তমান মূল্য কয়েকটি কোটা পাউন্ড!
২৯ এপ্রিল ২০২৫
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
২১ মিনিট আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
২ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের রটারডামে একটি জাদুঘরে আমেরিকান শিল্পী মার্ক রথকোর আঁকা একটি চিত্রকর্ম নষ্ট করেছে এক শিশু। চিত্রকর্মটির বর্তমান মূল্য কয়েকটি কোটা পাউন্ড!
২৯ এপ্রিল ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১৪ মিনিট আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
২ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

নেদারল্যান্ডসের রটারডামে একটি জাদুঘরে আমেরিকান শিল্পী মার্ক রথকোর আঁকা একটি চিত্রকর্ম নষ্ট করেছে এক শিশু। চিত্রকর্মটির বর্তমান মূল্য কয়েকটি কোটা পাউন্ড!
২৯ এপ্রিল ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১৪ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
২১ মিনিট আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নেদারল্যান্ডসের রটারডামে একটি জাদুঘরে আমেরিকান শিল্পী মার্ক রথকোর আঁকা একটি চিত্রকর্ম নষ্ট করেছে এক শিশু। চিত্রকর্মটির বর্তমান মূল্য কয়েকটি কোটা পাউন্ড!
২৯ এপ্রিল ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১৪ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
২১ মিনিট আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
২ ঘণ্টা আগে