রাজতন্ত্রের ভূমিকা ও কর্তব্য এখনো রয়ে গেছে বলেন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লস তৃতীয়। মা রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দ্যেশ্যে ভাষণে তিনি এই কথা বলেন। আগামী শনিবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর রাজ্যাভিষেক হবে। বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে দেওয়া ওই ভাষণে চার্লস তৃতীয় মায়ের মৃত্যুর বিষয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
রাজা চার্লস তৃতীয় তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আপনাদের সামনে আমি আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে কথা বলতে এসেছি। জীবনজুড়েই রানি—আমার প্রিয় মা—আমার এবং আমাদের পরিবারের জন্য অনুপ্রেরণা এবং উদাহরণ হিসেবে ছিলেন।’
রাজা চার্লস তাঁর ভাষণে নিজের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজীবন সেবার প্রতিশ্রুতিই আমি আজ আপনাদের সকলের কাছে নতুন করে ব্যক্ত করছি।’ এ সময় তিনি তাঁর মায়ের প্রস্থানের শোক তাঁর পরিবারের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, কমনওয়েলথ এবং বিশ্বের যে সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন এলিজাবেথ সেই সব দেশ ভাগ কর নেওয়ায় গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।
রাজা চার্লস আরও বলেন, ‘১৯৪৭ সালে রানি তাঁর ২১ তম জন্মদিনে কেপটাউন থেকে সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তাঁর জীবন জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকবে তা ছোট হোক বা দীর্ঘ হোক। এটি প্রতিশ্রুতির চেয়েও বেশি কিছু। এটি একটি গভীর ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি যা তাঁর পুরো জীবনকে সংজ্ঞায়িত করেছিল। তিনি কর্তব্যের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন।’
১৯৫২ সালে রানি এলিজাবেথের রানি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করে রাজা বলেন, ‘রানি যখন সিংহাসনে আরোহণ করেন তখন ব্রিটেন এবং বিশ্ব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলাফলের সঙ্গে লড়ছিল এবং এখনো আমরা সেই আগের প্রথা অনুসারেই জীবনযাপন করছি। তবে গত ৭০ বছরে আমরা দেখেছি, আমাদের সমাজ সংস্কৃতি ও বিশ্বাস অনেকটাই পরিবর্তিত এবং পরিণত হয়েছে। রাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলি ক্রমান্বয়ে পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু সমস্ত পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতি এবং রাজ্য—যাদের প্রতিভা, ঐতিহ্য এবং কৃতিত্বের জন্য আমি দারুণভাবে গর্বিত—সমৃদ্ধ হয়েছে এবং বিকশিত হয়েছে।’
রাজা আরও বলেন, ‘আমাদের পূর্বতন মূল্যবোধ এখনো রয়ে গেছে এবং আগামী দিনেও তা স্থির থাকতে হবে। রাজতন্ত্রের ভূমিকা ও কর্তব্য এখনো রয়ে গেছে। সেই বিশ্বাস এবং মূল্যবোধ আমাকে কর্তব্যবোধ লালন এবং অনন্য ইতিহাসের মূল্যবান ঐতিহ্য, স্বাধীনতা, দায়িত্ব এবং আমাদের সংসদীয় সরকার ব্যবস্থাকে সর্বাধিক সম্মানের সঙ্গে ধরে রাখার জন্যই আমরা বেড়ে উঠেছি।’
রাজা চার্লস তাঁর ভাষণে যুবরাজ উইলিয়ামকে প্রিন্স অব ওয়েলস হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার উত্তরাধিকারী হিসেবে উইলিয়াম এখন স্কটিশ উপাধি গ্রহণ করেছে। যা আমার কাছে অনেক বড় একটি বিষয়। আজ আমি তাঁকে প্রিন্স অব ওয়েলস হিসেবে ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত।’
কেবল যুবরাজ উইলিয়াম নয়, রাজা চার্লস তৃতীয় তাঁর বক্তৃতায় নিজের কনিষ্ঠ পুত্র সাসেক্সের ডিউক হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগানের সম্পর্কেও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রিন্স হ্যারি এবং মেগানের প্রতি আমার ভালোবাসা প্রকাশ করছি কারণ তাঁরা বিদেশে তাদের জীবন গড়ে তুলছে।’
রাজা চার্লস তৃতীয় তাঁর ভাষণের শেষে আবারও তাঁর মায়ের প্রসঙ্গের অবতারণা করেন। এই সময় তিনি তাঁর মাকে ‘প্রিয় মা’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আশা করি আপনাকে অনন্ত জগতে দেবদূতেরা গান শোনাবে।’
রাজতন্ত্রের ভূমিকা ও কর্তব্য এখনো রয়ে গেছে বলেন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লস তৃতীয়। মা রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দ্যেশ্যে ভাষণে তিনি এই কথা বলেন। আগামী শনিবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর রাজ্যাভিষেক হবে। বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে দেওয়া ওই ভাষণে চার্লস তৃতীয় মায়ের মৃত্যুর বিষয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
রাজা চার্লস তৃতীয় তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আপনাদের সামনে আমি আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে কথা বলতে এসেছি। জীবনজুড়েই রানি—আমার প্রিয় মা—আমার এবং আমাদের পরিবারের জন্য অনুপ্রেরণা এবং উদাহরণ হিসেবে ছিলেন।’
রাজা চার্লস তাঁর ভাষণে নিজের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজীবন সেবার প্রতিশ্রুতিই আমি আজ আপনাদের সকলের কাছে নতুন করে ব্যক্ত করছি।’ এ সময় তিনি তাঁর মায়ের প্রস্থানের শোক তাঁর পরিবারের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, কমনওয়েলথ এবং বিশ্বের যে সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন এলিজাবেথ সেই সব দেশ ভাগ কর নেওয়ায় গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।
রাজা চার্লস আরও বলেন, ‘১৯৪৭ সালে রানি তাঁর ২১ তম জন্মদিনে কেপটাউন থেকে সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তাঁর জীবন জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকবে তা ছোট হোক বা দীর্ঘ হোক। এটি প্রতিশ্রুতির চেয়েও বেশি কিছু। এটি একটি গভীর ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি যা তাঁর পুরো জীবনকে সংজ্ঞায়িত করেছিল। তিনি কর্তব্যের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন।’
১৯৫২ সালে রানি এলিজাবেথের রানি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করে রাজা বলেন, ‘রানি যখন সিংহাসনে আরোহণ করেন তখন ব্রিটেন এবং বিশ্ব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলাফলের সঙ্গে লড়ছিল এবং এখনো আমরা সেই আগের প্রথা অনুসারেই জীবনযাপন করছি। তবে গত ৭০ বছরে আমরা দেখেছি, আমাদের সমাজ সংস্কৃতি ও বিশ্বাস অনেকটাই পরিবর্তিত এবং পরিণত হয়েছে। রাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলি ক্রমান্বয়ে পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু সমস্ত পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতি এবং রাজ্য—যাদের প্রতিভা, ঐতিহ্য এবং কৃতিত্বের জন্য আমি দারুণভাবে গর্বিত—সমৃদ্ধ হয়েছে এবং বিকশিত হয়েছে।’
রাজা আরও বলেন, ‘আমাদের পূর্বতন মূল্যবোধ এখনো রয়ে গেছে এবং আগামী দিনেও তা স্থির থাকতে হবে। রাজতন্ত্রের ভূমিকা ও কর্তব্য এখনো রয়ে গেছে। সেই বিশ্বাস এবং মূল্যবোধ আমাকে কর্তব্যবোধ লালন এবং অনন্য ইতিহাসের মূল্যবান ঐতিহ্য, স্বাধীনতা, দায়িত্ব এবং আমাদের সংসদীয় সরকার ব্যবস্থাকে সর্বাধিক সম্মানের সঙ্গে ধরে রাখার জন্যই আমরা বেড়ে উঠেছি।’
রাজা চার্লস তাঁর ভাষণে যুবরাজ উইলিয়ামকে প্রিন্স অব ওয়েলস হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার উত্তরাধিকারী হিসেবে উইলিয়াম এখন স্কটিশ উপাধি গ্রহণ করেছে। যা আমার কাছে অনেক বড় একটি বিষয়। আজ আমি তাঁকে প্রিন্স অব ওয়েলস হিসেবে ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত।’
কেবল যুবরাজ উইলিয়াম নয়, রাজা চার্লস তৃতীয় তাঁর বক্তৃতায় নিজের কনিষ্ঠ পুত্র সাসেক্সের ডিউক হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগানের সম্পর্কেও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রিন্স হ্যারি এবং মেগানের প্রতি আমার ভালোবাসা প্রকাশ করছি কারণ তাঁরা বিদেশে তাদের জীবন গড়ে তুলছে।’
রাজা চার্লস তৃতীয় তাঁর ভাষণের শেষে আবারও তাঁর মায়ের প্রসঙ্গের অবতারণা করেন। এই সময় তিনি তাঁর মাকে ‘প্রিয় মা’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আশা করি আপনাকে অনন্ত জগতে দেবদূতেরা গান শোনাবে।’
পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক। তিনি পাকিস্তানের দশম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে এই তথ্য জানান
১ ঘণ্টা আগেভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা সপ্তম দিনের মতো গোলাগুলি হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার গভীর রাতে কাশ্মীরে বিবদমান সীমান্তে এই গোলাগুলি হয়। এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা জানা যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেকাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
৮ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ের জন্য ১৫ হাজার সেনাসদস্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ সহস্রাধিক। সব মিলিয়ে মোট হতাহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএসের এক গোপন...
৯ ঘণ্টা আগে