Ajker Patrika

ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেলেন সেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৮: ০৬
শামীমা বেগম। ফাইল ছবি
শামীমা বেগম। ফাইল ছবি

অবশেষে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী শামীমা বেগম। দুই ব্রিটিশ নাগরিকের নাগরিকত্ব ফেরত পাওয়ার মামলার আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট শামীমা ও অন্য আবেদনকারীর পক্ষে রায় দেন। ব্রিটিশ মানবাধিকার সংগঠন ইউকে হিউম্যান রাইটস ব্লগ এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে।

এন ৩ ও জেডএ বনাম যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (২০২৫) ইউকেএসসি-৬ মামলায় শামীমার পক্ষে রায় দেন আদালত। এই মামলাটি ছিল মূলত—জাতীয় নিরাপত্তা বিবেচনায় এ দুই ব্রিটিশ নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল সম্পর্কিত আদেশ নিয়ে। বিবাদীপক্ষ যুক্তি দিয়েছিল যে, এই সিদ্ধান্ত (নাগরিকত্ব বাতিল) তাদের রাষ্ট্রহীন করে তুলবে না। কারণ, তাঁরা ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিকত্বধারী।

এই মামলায় পরে নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, এই আদেশ প্রত্যাহারের ফলে আপিলকারীদের পুরো সময়জুড়ে ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবেই গণ্য করতে হবে। অর্থাৎ, শামীমা অতীতে ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন, এখনো আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম ২০১৫ সালে ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে যখন যুক্তরাজ্য ছাড়েন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। সিরিয়ায় যাওয়ার পর তিনি ইসলামিক স্টেটের ডাচ সদস্য ইয়াগো রিয়েডিকে বিয়ে করেন। সেখানে তাঁর তিনটি সন্তান হয়, যাদের সবাই মারা যায়। এরপর স্বামী রিয়েডিও এক কুর্দি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন বলে জানা যায়।

সেই ঘটনাপ্রবাহের পর শামীমা যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান। কিন্তু ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন। ওই সময় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তি দিয়েছিল, শামীমার নাগরিকত্ব বাতিলের মূল কারণ ছিল জাতীয় নিরাপত্তা।

নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের সেই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য ২০২৩ সালে ২৪ বছর বয়সী শামীমার আইনজীবীরা আপিল বিভাগে একটি আবেদন করেছিলেন। আপিল আদালতের তিনজন বিচারক সর্বসম্মতিক্রমে তাঁর নাগরিকত্ব পুনরুদ্ধারের আবেদন খারিজ করে দেন।

২০১৯ সালে আইএস পরাজিত হওয়ার পর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আল–রোজ শিবিরে শামীমার সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি এখনো সেখানেই আছেন। শামীমার আইনজীবীরা বলছেন, সেই শিবিরের অবস্থা করুণ! সেখানে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। রোগবালাই নিত্যকার ঘটনা। সেখানে শামীমাকে অন্য ব্রিটিশ নারী ও শিশুদের সঙ্গে নির্বিচারে আটকে রাখা হয়েছে। অমানুষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে সেখানে।

শামীমা বেগম জেনেশুনে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনে যোগদানের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এই কাজের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত। তবে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার যুক্তরাজ্যের সুরক্ষা এবং তা বজায় রাখা। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এমন যেকোনো সিদ্ধান্ত রক্ষার্থে আমরা অটল থাকব।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফেল করায় বকা খেয়ে বাড়ি ছাড়ে বাংলাদেশি কিশোরী, ভারতে ৩ মাসে ২০০ লোকের ধর্ষণ

রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক

দেখো, ওর থেকে আরও ৫ লাখ নিতে পারো কি না—মেসেঞ্জার কলে এনসিপি নেতা নিজাম

‘কাল দেখা হইবে, ভালো থাকিস’—ছেলেকে বলেছিলেন গণপিটুনিতে নিহত প্রদীপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: সহকারী কর কমিশনার ফাতেমা বরখাস্ত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত