Ajker Patrika

তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর কর্মসূচিতে কোরআন হাতে গেলেন মুসলিমকর্মী

আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৩, ২০: ৫৮
তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর কর্মসূচিতে কোরআন হাতে গেলেন মুসলিমকর্মী

কয়েক সপ্তাহ আগে ঈদুল আজহার দিনটিতে সুইডেনে মুসলিম ধর্মীয় পবিত্র গ্রন্থ কোরআন পোড়ানো হয়। এ ঘটনার জের ধরে এবং ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ায় সুইডিশ সরকারের সমালোচনা করে দেশে দেশে নিন্দা এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার সুইডেনের পুলিশ বাহিনীর কাছে গিয়ে ইহুদিদের পবিত্র গ্রন্থ তোরাহ এবং খ্রিষ্টধর্মীয় গ্রন্থ বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি চান এক ব্যক্তি। সুইডিশ পুলিশ ওই আবেদনকারীকেও ধর্মগ্রন্থ দুটি পোড়ানোর কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়।

কথা ছিল, আজ শনিবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে অবস্থিত ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে গিয়ে তোরাহ ও বাইবেল পোড়াবেন ওই ব্যক্তি। প্রাথমিকভাবে তাঁর ধর্মীয় পরিচয় জানা না গেলেও টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি চাওয়া ওই ব্যক্তি একজন মুসলিম। ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম আহমাদ আলুশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর কথা থাকলেও আজ একটি কোরআন হাতে নিয়ে ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে গিয়ে হাজির হন আলুশ। তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই কোনো ধর্মগ্রন্থ পোড়াব না। তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না। আমি এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছি শুধু আমার ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদস্বরূপ।’

এর আগে শুক্রবার, তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ায় ইসরায়েলসহ বিভিন্ন ইহুদি সংগঠন নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তীব্র ক্ষোভও প্রকাশ করেছিল।

তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদেই শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানো হবে। বিষয়টিকে আবেদনকারী তাঁর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

কর্মসূচিটির অনুমতি দেওয়ায় ইসরায়েলের যেসব ব্যক্তিত্ব তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগও ছিলেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে সুইডেনে পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ার নিন্দা জানাই।’ 

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি মুসলমানদের পবিত্র কোরআন পোড়ানোর নিন্দা জানিয়েছি। কিন্তু হৃদয়বিদারক হলো, একই পরিণতি ইহুদি জনগণের চিরন্তন গ্রন্থের জন্যও অপেক্ষা করছে।’

ওয়ার্ল্ড জায়োনিস্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান ইয়াকভ হ্যাগোয়েল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়, বরং ইহুদি বিদ্বেষ।’

উল্লেখ্য, গত জুনে সুইডিশ পুলিশ ৩৭ বছর বয়সী এক ইরাকি অভিবাসী  যুবককে কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। তিনি ঈদুল আজহার দিন স্টকহোমের একটি মসজিদের সামনে কোরআনের ওপর আঘাতের পাশাপাশি কয়েকটি পৃষ্ঠা পুড়িয়ে দেন।

কোরআন পোড়ানোর ওই ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ তীব্র নিন্দা জানায়। নিন্দা জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারও। বিক্ষোভ হয়েছে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত