অনলাইন ডেস্ক
নারী কী, নারী বলতে আমরা কী বুঝব, সোজা কথায় নারীর সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেবে যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত। এই বিষয়ে আজ বুধবারই একটি রায় দেওয়া হবে। এই রায়টি লিঙ্গ সমতার আইনের অধীনে নারীর আইনি সংজ্ঞা নিয়ে। এই রায় ট্রান্সজেন্ডার অধিকার নিয়ে চলমান বিতর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট আজ সিদ্ধান্ত জানাবে যে, জেন্ডার রিকগনিশন সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত (জিআরসি) একজন ট্রান্স-নারী ব্রিটেনের ইকুয়ালিটি অ্যাক্টের অধীনে নারী হিসেবে বৈষম্য থেকে সুরক্ষা পাবেন কিনা। জিআরসি হলো একটি আনুষ্ঠানিক নথি যা ব্যক্তির নতুন লিঙ্গকে আইনি স্বীকৃতি দেয়।
ফর উইমেন স্কটল্যান্ড (এফডব্লিউএস) নামক একটি অধিকারগোষ্ঠী মনে করে, এই অধিকার কেবলমাত্র ব্যক্তির জৈবিক লিঙ্গের ওপর ভিত্তি করে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। তারা স্কটল্যান্ডের স্থানীয় সরকারের ২০১৮ সালের একটি আইনের ব্যাখ্যাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আইনটি সরকারি বোর্ডের নারী সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
স্কটল্যান্ডের আইনপ্রণেতাদের দেওয়া ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ জিআরসি রয়েছে এমন একজন ট্রান্স-নারী আইনত নারী। স্কটিশ সরকারের যুক্তি হলো, ব্রিটিশ পার্লামেন্টও চেয়েছিল যে সমতা বিষয়ক আইনে এমনটাই হোক। সমালোচকদের আশঙ্কা, এই সংজ্ঞা বহাল থাকলে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা পরিষেবা যেমন—আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতালের ওয়ার্ড এবং খেলার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে।
অন্যদিকে, ট্রান্সজেন্ডার অধিকারকর্মীরা বলছেন, আদালত যদি এফডব্লিউএস—এর পক্ষে রায় দেয়, তাহলে জিআরসিধারীরা বিশেষ করে চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে পারেন। এফডব্লিউএস-এর এই মামলাটি স্কটল্যান্ডের আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছিল। এরপর তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। উভয় পক্ষই মনে করছে, বুধবারের রায় বেশ জটিল হতে পারে।
এই গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ মামলাটি ট্রান্সজেন্ডার অধিকার নিয়ে বিস্তৃত বিতর্কের সর্বশেষ উদাহরণ, যা শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও একই ধরনের আইনি লড়াই চলছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারি করার পর আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। এই আদেশগুলোর মধ্যে সামরিক বাহিনীতে ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা অন্যতম।
গত নভেম্বরে ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টে এফডব্লিউএস-এর আইনজীবী এইডান ও’নিল বলেছিলেন, ইকুয়ালিটি অ্যাক্টে ‘নারী’ ও ‘পুরুষ’ শব্দ দুটি ‘সার্টিফায়েড সেক্স’ বা ‘সুনিশ্চিত লিঙ্গ’ অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে, এই যুক্তি ‘একেবারেই ভুল।’ এই শব্দগুলো ‘সাধারণ ও দৈনন্দিন ভাষায়’ প্রচলিত অর্থে বোঝা উচিত।
তবে স্কটিশ সরকারের আইনজীবীরা বলেছেন, তাদের ব্যাখ্যা আইনসম্মত এবং সম্পূর্ণ জেন্ডার রিকগনিশন সার্টিফিকেটধারী একজন ট্রান্স নারী আইনের অধীনে নারী। কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা এই আপিলে হস্তক্ষেপ করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল স্কটিশ সরকারকে সমর্থন করেছে এবং এলজিবি অ্যালায়েন্সের মতো লেসবিয়ান গোষ্ঠীগুলো এফডব্লিউএস-এর পক্ষ নিয়েছে।
এর আগে, ২০২২ সালে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের আইনি লিঙ্গ পরিবর্তন করা সহজ করার জন্য সংস্কার আইন পাস করে। এর মধ্যে জেন্ডার ডিসফোরিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজন বাতিল এবং সর্বনিম্ন বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করা হয়। কিন্তু ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনিস্টার সরকার আইনটি আটকে দেয় এবং স্কটিশ সরকার পরে সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ প্রত্যাহার করে নেয়।
নারী কী, নারী বলতে আমরা কী বুঝব, সোজা কথায় নারীর সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেবে যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত। এই বিষয়ে আজ বুধবারই একটি রায় দেওয়া হবে। এই রায়টি লিঙ্গ সমতার আইনের অধীনে নারীর আইনি সংজ্ঞা নিয়ে। এই রায় ট্রান্সজেন্ডার অধিকার নিয়ে চলমান বিতর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট আজ সিদ্ধান্ত জানাবে যে, জেন্ডার রিকগনিশন সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত (জিআরসি) একজন ট্রান্স-নারী ব্রিটেনের ইকুয়ালিটি অ্যাক্টের অধীনে নারী হিসেবে বৈষম্য থেকে সুরক্ষা পাবেন কিনা। জিআরসি হলো একটি আনুষ্ঠানিক নথি যা ব্যক্তির নতুন লিঙ্গকে আইনি স্বীকৃতি দেয়।
ফর উইমেন স্কটল্যান্ড (এফডব্লিউএস) নামক একটি অধিকারগোষ্ঠী মনে করে, এই অধিকার কেবলমাত্র ব্যক্তির জৈবিক লিঙ্গের ওপর ভিত্তি করে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। তারা স্কটল্যান্ডের স্থানীয় সরকারের ২০১৮ সালের একটি আইনের ব্যাখ্যাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আইনটি সরকারি বোর্ডের নারী সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
স্কটল্যান্ডের আইনপ্রণেতাদের দেওয়া ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ জিআরসি রয়েছে এমন একজন ট্রান্স-নারী আইনত নারী। স্কটিশ সরকারের যুক্তি হলো, ব্রিটিশ পার্লামেন্টও চেয়েছিল যে সমতা বিষয়ক আইনে এমনটাই হোক। সমালোচকদের আশঙ্কা, এই সংজ্ঞা বহাল থাকলে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা পরিষেবা যেমন—আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতালের ওয়ার্ড এবং খেলার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে।
অন্যদিকে, ট্রান্সজেন্ডার অধিকারকর্মীরা বলছেন, আদালত যদি এফডব্লিউএস—এর পক্ষে রায় দেয়, তাহলে জিআরসিধারীরা বিশেষ করে চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে পারেন। এফডব্লিউএস-এর এই মামলাটি স্কটল্যান্ডের আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছিল। এরপর তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। উভয় পক্ষই মনে করছে, বুধবারের রায় বেশ জটিল হতে পারে।
এই গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ মামলাটি ট্রান্সজেন্ডার অধিকার নিয়ে বিস্তৃত বিতর্কের সর্বশেষ উদাহরণ, যা শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও একই ধরনের আইনি লড়াই চলছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারি করার পর আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। এই আদেশগুলোর মধ্যে সামরিক বাহিনীতে ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা অন্যতম।
গত নভেম্বরে ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টে এফডব্লিউএস-এর আইনজীবী এইডান ও’নিল বলেছিলেন, ইকুয়ালিটি অ্যাক্টে ‘নারী’ ও ‘পুরুষ’ শব্দ দুটি ‘সার্টিফায়েড সেক্স’ বা ‘সুনিশ্চিত লিঙ্গ’ অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে, এই যুক্তি ‘একেবারেই ভুল।’ এই শব্দগুলো ‘সাধারণ ও দৈনন্দিন ভাষায়’ প্রচলিত অর্থে বোঝা উচিত।
তবে স্কটিশ সরকারের আইনজীবীরা বলেছেন, তাদের ব্যাখ্যা আইনসম্মত এবং সম্পূর্ণ জেন্ডার রিকগনিশন সার্টিফিকেটধারী একজন ট্রান্স নারী আইনের অধীনে নারী। কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা এই আপিলে হস্তক্ষেপ করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল স্কটিশ সরকারকে সমর্থন করেছে এবং এলজিবি অ্যালায়েন্সের মতো লেসবিয়ান গোষ্ঠীগুলো এফডব্লিউএস-এর পক্ষ নিয়েছে।
এর আগে, ২০২২ সালে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের আইনি লিঙ্গ পরিবর্তন করা সহজ করার জন্য সংস্কার আইন পাস করে। এর মধ্যে জেন্ডার ডিসফোরিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজন বাতিল এবং সর্বনিম্ন বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করা হয়। কিন্তু ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনিস্টার সরকার আইনটি আটকে দেয় এবং স্কটিশ সরকার পরে সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ প্রত্যাহার করে নেয়।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
৪ ঘণ্টা আগেকানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট
৪ ঘণ্টা আগেভারতের গুজরাটে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাত থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ মানুষকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করছে। তবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বিকাশ সহায় সোমবার জানিয়েছেন, নথিপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে ৪৫০ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন
৬ ঘণ্টা আগেউত্তর-পূর্ব চীনের একটি রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে