Ajker Patrika

রুশ ড্রোন হামলার জেরে ইউক্রেনের ওদেসায় ১৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ১০: ৪৬
রুশ ড্রোন হামলার জেরে ইউক্রেনের ওদেসায় ১৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের বন্দর শহর ওদেসায় ১৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় এমনটা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ওদেসা ও আশপাশের অঞ্চলে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষের বিদ্যুৎ নেই। পরিস্থিতি খুব কঠিন বলে বর্ণনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়া দুটি বিদ্যুৎ স্থাপনায় হামলা চালানোর পর ওদেসার অধিকাংশ অবকাঠামো বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এই ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে বলে আগেই জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের উপপ্রধান কিরিলো তিমোশেঙ্কো মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে জানান, ‘এই মুহূর্তে ওদেসায় বিদ্যুৎ নাই। শুধু হাসপাতাল ও প্রসূতি ওয়ার্ডের মতো জরুরি অবকাঠামোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিডে হামলা অব্যাহত রাখবে রাশিয়া।

ইউক্রেনের আঞ্চলিক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, যারা শুধু বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল, তাদের বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবা উচিত। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগের হামলার চেয়ে ওদেসা অঞ্চলে বিদ্যুতের সংযোগ পুনরুদ্ধার করতে অনেক বেশি সময় লাগবে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, ‘আমরা কয়েক দিনের কথা বলছি না, এমনকি সপ্তাহ এবং সম্ভবত দুই থেকে তিন মাসের কথা বলছি।’ 

এদিকে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সবশেষ শনিবার ভোররাতে রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বিদ্যুতের মূল লাইন ও যন্ত্রাংশ। আর রাশিয়া ইরানের তৈরি ড্রোন দিয়ে এসব হামলা চালিয়েছে। তেহরানের ‘শাহেদ-১৩৬’ ড্রোনের নাম পরিবর্তন করে ‘জেরান-২’ নাম দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি কিয়েভের। 

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ফেসবুকে লিখেছে, ওদেসা ও মাইকোলাইভের দক্ষিণাঞ্চলে লক্ষ্যবস্তুতে অন্তত ১৫টি ড্রোন হামলা চালানো হয়। বেসামরিক নাগরিকদের জীবনে ধ্বংসাত্মক প্রভাবের কারণে এসব হামলাকে যুদ্ধাপরাধ আখ্যা দিয়েছে দেশটি।

এদিকে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের বিশ্বাস, আগামী মাসগুলোতে রাশিয়ার প্রতি ইরানের সামরিক সহায়তা বাড়তে পারে, যার মধ্যে থাকতে পারে ব্যালিস্টিক মিসাইলের মতো ক্ষেপণাস্ত্র। যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মস্কোতে ড্রোন সরবরাহের কথা অস্বীকার করেছে ইরান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত