Ajker Patrika

পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের বৈঠকে চুক্তির সম্ভাবনা নেই

পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের বৈঠকে চুক্তির সম্ভাবনা নেই

ঢাকা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামীকাল বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে কোনো চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষ রুশ কর্মকর্তা।

পুতিনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা গতকাল মঙ্গলবার ইউরি উশাকভ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে আমার সোমবার কথা হয়েছে। আমরা আলোচনার অ্যাজেন্ডা ঠিক করে ফেলেছি।

দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে পারমাণবিক স্থিতিশীলতা, জলবায়ু, সাইবার হামলা এবং বন্দী প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। তবে বৈঠকে কোনো চুক্তি হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত জানিয়ে উশাকভ বলেন, এ বৈঠক নিয়ে আমি অতি আশাবাদী নই। আমি বাস্তবতার আলোকেই সবকিছুর হিসাব করছি।

২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে ক্রেমলিনের। সিরিয়া বিষয়েও দু'দেশের মধ্যে চরম মতো বিরোধ রয়েছে। তা ছাড়া ২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ ছিল বলে অভিযোগ মার্কিনিদের। এক কথায় শীতল যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সম্পর্ক সম্প্রতি সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে রয়েছে।

এদিকে ট্রাম্পের আমলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে শীতল হয়ে পড়া সম্পর্ক চাঙা করতে চেষ্টা করছেন বাইডেন। গতকাল ইইউর নেতাদের সঙ্গে তার একটি বৈঠক হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক–উত্তর ব্রিফিং সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে ইইউ–যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বিবৃতির খসড়া এরই মধ্যে সাংবাদিকদের হাতে এসেছে।

এতে ট্রাম্পের আমলে বোয়িং–এয়ারবাসকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে ইইউ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বিভিন্ন পণ্যে আরোপিত এক হাজার ১৫০ কোটি ডলারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইইউ প্রধান উরসুলা ফন দেয়ালাইন বলেন, আমরা এয়ারবাস–বোয়িংয়ের বিষয়টি মীমাংসা করার বিষয়ে বেশ আশাবাদী।

অন্যদিকে গত সোমবার ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে ন্যাটো নেতাদের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা শতাব্দীর সবচেয়ে কঠিন সংকট পার করছি। তা ছাড়া নিজেদের আটলান্টিকে সম্পর্কের জন্য চীন ও রাশিয়া হুমকি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ন্যাটোর বৈঠকে চীনকে প্রতিপক্ষ উল্লেখ করে ইতিপূর্বে সরাসরি কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার তা হয়েছে। সামরিক জোটটির সোমবারের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, চীনই আমাদের প্রধানতম প্রতিদ্বন্দ্বী। কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি আমাদের পশ্চিমা মূল্যবোধকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে পারে। প্রতিক্রিয়ায় চীন পশ্চিমা জোট ও নেতাদের ন্যক্কারজনক চীন বিরোধিতা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে।

ন্যাটোর এ রকম অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে বিশ্লেষকেরা। তবে সদ্য সমাপ্ত জি৭ সম্মেলনসহ দু–চার দিনের সব বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের চীন বিরোধিতা সবার নজরে পড়েছে। কিন্তু চীন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গলা মেলানোর ক্ষেত্রে জার্মানি ও ইতালিকে ফ্রান্স ও কানাডার চেয়ে মৃদুকণ্ঠ মনে হয়েছে। অর্থাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজের ইউরোপ সফরকে ‘আমেরিকা ইজ ব্যাক’ বলে যতটা সফল হিসেবে দেখতে চাইছেন, আদতে তা ততটা নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত