Ajker Patrika

কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে কে আসছেন? 

কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে কে আসছেন? 

নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের সমর্থন হারিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। বৃহস্পতিবার নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন তিনি। তাঁর পদত্যাগের পর প্রশ্ন উঠেছে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে আসছেন কে? 

বিবিসি জানিয়েছে, কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে আছেন সাবেক স্বাস্থ্য সচিব জেরেমি হান্ট, সিনিয়র ব্যাকবেঞ্চার টম টুগেনধাত, অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান, ব্রেক্সিট ক্যাম্পেইনার স্টিভ বেকারসহ বেশ কয়েকজন। 

স্বাস্থ্য সচিব জেরেমি হান্ট গত মাসে দলীয় আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য এমপিদের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু জনসন দলীয় নেতা পদ থেকে পদত্যাগ করার পর থেকে তিনি এখনো পর্যন্ত নেতৃত্বের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এর আগে ২০১৯ সালে তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে ছিলেন। কিন্তু সে সময় নির্বাচিত হয়েছিলেন জনসন। ফলে এবার জেরেমি হান্টের বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। 

বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র ব্যাকবেঞ্চার টম টুগেনধাত ডেইলি টেলিগ্রাফে আজ শুক্রবার একটি লেখার মাধ্যমে তাঁর আগ্রহের বিষয় তুলে ধরেছেন। তিনি ট্যাক্স কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি তাঁর লেখায় উল্লেখ করেন, ‘আমি আগে একসময় সামরিক বাহিনীতে আর এখন সংসদে দায়িত্ব পালন করছি। এবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের আশা রাখছি।’ 

অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান এরই মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হতে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। আর ব্রেক্সিট ক্যাম্পেইনার স্টিভ বেকার বলেছেন, তিনিও কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। 

এমপি রেহমান চিশতি এবং জন ব্যারন বিবিসিকে বলেছেন, তাঁরাও দলের নেতৃত্বে আসার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা বিবেচনা করছেন। 

এদিকে নতুন নেতৃত্ব না আসা পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে চান বরিস জনসন। তবে বিরোধী দল ও কনজারভেটিভ পার্টির অনেক এমপি এমনটি চাইছেন না। ব্যাকবেঞ্চার ১৯২২ কমিটির কোষাধ্যক্ষ স্যার জিওফ্রে ক্লিফটন-ব্রাউন অবশ্য বলেছেন, নতুন নেতৃত্ব না আসা পর্যন্ত বরিস জনসনই দায়িত্বে থাকবেন। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে কে আসছেন সেটি নিশ্চিত হতে পারে। আর নতুন প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দায়িত্বে আসতে পারেন। 

উল্লেখ্য, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, কোনো এমপি প্রার্থী হতে চাইলে তাঁর প্রার্থিতার জন্য আটজন কনজারভেটিভ এমপির সমর্থন প্রয়োজন। অর্থাৎ, যারা দলের নেতা নির্বাচিত হতে চান, তাঁরা নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণার জন্য আগে দলের আটজন এমপির সমর্থন আদায় করতে হবে। এরপরই তাঁরা নেতৃত্বের লড়াইয়ে নামতে পারবেন। 

প্রার্থিতা ঘোষণার পর যদি দুজনের বেশি প্রার্থী থাকে তাহলে কয়েকটি ধাপে ভোট হবে। প্রথম ধাপে ভোট দেবেন শুধু এমপিরা। এ পর্যায়ে মোট ভোটের ৫ শতাংশ অন্তত পেলেই কেবল সেই প্রার্থী পরের রাউন্ডের ভোটে অংশ নিতে পারবেন। বর্তমান হিসাবে কনজারভেটিভ নেতৃত্বের লড়াইয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে একজন প্রার্থীকে অন্তত ১৮ জন এমপির ভোট পেতে হবে। 

প্রথম রাউন্ডের ভোটে টিকে যাওয়া প্রার্থীদের নিয়ে হবে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট। এই ধাপে যারা অন্তত ১০ শতাংশ পাবেন, তাঁরাই কেবল পরের রাউন্ডে যাবেন। বর্তমান হিসাবে পরের রাউন্ডে যেতে হলে একজন এমপিকে অবশ্যই ৩৬ বা তার বেশি ভোট পেতে হবে। 

এই ভোট দুজন প্রার্থী পাওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডের পর থেকে ভোটের নিয়ম পাল্টে যাবে। পরের রাউন্ডগুলোতে যে প্রার্থী সবচেয়ে কম ভোট পাবেন, তিনি সরে যাবেন লড়াইয়ের ময়দান থেকে। এভাবে দুজন প্রার্থী পাওয়া পর্যন্ত ভোট চলবে। 

যখন দুজন প্রার্থী বাকি থাকবে, তখন অন্য এমপিদের সঙ্গে সারা দেশের কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা ভোট দিয়ে একজনকে বিজয়ী করবেন। 

কনজারভেটিভদের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যিনি জিতবেন, তিনি সংসদে সর্বাধিকসংখ্যক এমপিসহ দলের নেতা হবেন। রানি তখন সরকার গঠন করতে বলবেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত