রুশ অধিকৃত লুহানস্কের ক্রেমলিনপন্থী রাজনীতিবিদ ওলেগ পোপভকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে বিবেচনা করে ইউক্রেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ডেইলি মেইল জানিয়েছে, লুহানস্কে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন পোপভ। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনের এজেন্টরা গত বুধবার এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পোপভকে হত্যা করেছে। একই দিনে রাশিয়ায় মস্কোর কাছাকাছি একটি এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন ইউক্রেনের সাবেক এমপি ইলিয়া কিভা। নিজ দেশে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত কিভা রাশিয়ায় নির্বাসিত ছিলেন।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি ভিডিও ফুটেজে লুহানস্কের সিটি স্টেডিয়ামের কাছে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত পোপভের ব্যক্তিগত গাড়িটি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কিয়েভ পোস্ট দাবি করেছে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থার এজেন্টরা একটি বিশেষ অপারেশন চালিয়ে পোপভকে হত্যা করেছে। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র কিয়েভ পোস্টকে জানিয়েছে, ৫১ বছর বয়সী পোপভ তাদের বৈধ লক্ষ্য ছিলেন। কারণ অধিকৃত লুহানস্কের ডেপুটি হওয়ার আগে তিনি অনেক রুশ স্বেচ্ছাসেবক ব্যাটালিয়ন পরিচালনা করেছিলেন এবং সশস্ত্র দল গড়ে ইউক্রেনীয়দের হত্যা করেছিলেন।
গত বুধবার প্রাথমিক অবস্থায় খবর প্রকাশিত হয়েছিল—লুহানস্কে গাড়ি বোমায় মারাত্মক আহত হয়েছেন পোপভ। পরে রাশিয়ার একটি তদন্ত কমিটি তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।
পরবর্তীতে পোপভের মৃত্যুর বিষয়ে লুহানস্কের স্থানীয় সংসদে বক্তব্য দেন আরেক ডেপুটি ইউরি ইউরোভ। তিনি বলেন, ‘অ্যাভেনগার্ড স্পোর্টস স্টেডিয়ামের কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের ফলে আমাদের সহকর্মী ওলেগ নিকোলায়েভিচ পোপভ মারা গেছেন।’
ইউরোভ জানান, নিহত পোপভকে প্রথমবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। সে সময় পোপভ নিহত হয়েছেন বলে খবরও প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ করেই কাজে ফেরেন তিনি এবং দাবি করেন, তাঁর মৃত্যুর খবরটি রাশিয়ার একটি অপারেশনাল গেমের অংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে পুতিনপন্থী একটি সশস্ত্র দলে যোগ দেওয়ার পর তথাকথিত লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের স্থানীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন পোপভ। পরে লুহানস্ক অঞ্চলটি রাশিয়া দখল করে নিলে তাঁকে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কমিটির প্রধান করা হয়। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালালে যে কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি এটিকে সমর্থন করেছিল, তাঁদের মধ্যে পোপভ অন্যতম।
এদিকে গত বুধবার ইউক্রেনের আরেক বিশ্বাসঘাতক ইলিয়া কিভাকে মস্কোর কাছাকাছি ভ্যালিচ কান্ট্রি ক্লাব চত্বরে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাঁর মাথায় ও বুকে গুলি করা হয়েছিল। পরে তিনি তুষারের ওপর ঢলে পড়েন। কিছুক্ষণ পর ক্লাবের কর্মীরা কিভার মরদেহটি উদ্ধার করে।
একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ নিরাপত্তা ও হোটেল সুবিধাসহ ওই ক্লাবটিতে বান্ধবীকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন কিভা। ধারণা করা হচ্ছে, যিনি কিভাকে গুলি করেছিলেন তিনিও ওই ক্লাবের হোটেল অবস্থান করছিলেন এবং তিনি ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থার এজেন্ট।
ক্রেমলিনপন্থী প্রচারক হিসেবে পরিচিত কিভা প্রায় সময়ই রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনগুলোর টকশোতে অংশ নেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে তিনি প্রায় সময়ই কোকেন আসক্ত ও ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-সিক্স-এর সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
নিহত হওয়ার পাঁচ ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেষ পোস্টে কিভা লিখেছিলেন—‘জেলেনস্কি একমাত্র পথ হলো ইংল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়া।’
একসময় পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কিভা ইউক্রেনের পার্লামেন্টে ২০১৭ থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও অংশ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে তিনি পুতিনের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে রাশিয়ায় চলে যান এবং নিজ দেশের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে তিনি রাশিয়াকেই সমর্থন দিয়ে আসছিলেন।
রুশ অধিকৃত লুহানস্কের ক্রেমলিনপন্থী রাজনীতিবিদ ওলেগ পোপভকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে বিবেচনা করে ইউক্রেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ডেইলি মেইল জানিয়েছে, লুহানস্কে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন পোপভ। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনের এজেন্টরা গত বুধবার এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পোপভকে হত্যা করেছে। একই দিনে রাশিয়ায় মস্কোর কাছাকাছি একটি এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন ইউক্রেনের সাবেক এমপি ইলিয়া কিভা। নিজ দেশে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত কিভা রাশিয়ায় নির্বাসিত ছিলেন।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি ভিডিও ফুটেজে লুহানস্কের সিটি স্টেডিয়ামের কাছে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত পোপভের ব্যক্তিগত গাড়িটি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কিয়েভ পোস্ট দাবি করেছে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থার এজেন্টরা একটি বিশেষ অপারেশন চালিয়ে পোপভকে হত্যা করেছে। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র কিয়েভ পোস্টকে জানিয়েছে, ৫১ বছর বয়সী পোপভ তাদের বৈধ লক্ষ্য ছিলেন। কারণ অধিকৃত লুহানস্কের ডেপুটি হওয়ার আগে তিনি অনেক রুশ স্বেচ্ছাসেবক ব্যাটালিয়ন পরিচালনা করেছিলেন এবং সশস্ত্র দল গড়ে ইউক্রেনীয়দের হত্যা করেছিলেন।
গত বুধবার প্রাথমিক অবস্থায় খবর প্রকাশিত হয়েছিল—লুহানস্কে গাড়ি বোমায় মারাত্মক আহত হয়েছেন পোপভ। পরে রাশিয়ার একটি তদন্ত কমিটি তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।
পরবর্তীতে পোপভের মৃত্যুর বিষয়ে লুহানস্কের স্থানীয় সংসদে বক্তব্য দেন আরেক ডেপুটি ইউরি ইউরোভ। তিনি বলেন, ‘অ্যাভেনগার্ড স্পোর্টস স্টেডিয়ামের কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের ফলে আমাদের সহকর্মী ওলেগ নিকোলায়েভিচ পোপভ মারা গেছেন।’
ইউরোভ জানান, নিহত পোপভকে প্রথমবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। সে সময় পোপভ নিহত হয়েছেন বলে খবরও প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ করেই কাজে ফেরেন তিনি এবং দাবি করেন, তাঁর মৃত্যুর খবরটি রাশিয়ার একটি অপারেশনাল গেমের অংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে পুতিনপন্থী একটি সশস্ত্র দলে যোগ দেওয়ার পর তথাকথিত লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের স্থানীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন পোপভ। পরে লুহানস্ক অঞ্চলটি রাশিয়া দখল করে নিলে তাঁকে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কমিটির প্রধান করা হয়। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালালে যে কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি এটিকে সমর্থন করেছিল, তাঁদের মধ্যে পোপভ অন্যতম।
এদিকে গত বুধবার ইউক্রেনের আরেক বিশ্বাসঘাতক ইলিয়া কিভাকে মস্কোর কাছাকাছি ভ্যালিচ কান্ট্রি ক্লাব চত্বরে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাঁর মাথায় ও বুকে গুলি করা হয়েছিল। পরে তিনি তুষারের ওপর ঢলে পড়েন। কিছুক্ষণ পর ক্লাবের কর্মীরা কিভার মরদেহটি উদ্ধার করে।
একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ নিরাপত্তা ও হোটেল সুবিধাসহ ওই ক্লাবটিতে বান্ধবীকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন কিভা। ধারণা করা হচ্ছে, যিনি কিভাকে গুলি করেছিলেন তিনিও ওই ক্লাবের হোটেল অবস্থান করছিলেন এবং তিনি ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থার এজেন্ট।
ক্রেমলিনপন্থী প্রচারক হিসেবে পরিচিত কিভা প্রায় সময়ই রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনগুলোর টকশোতে অংশ নেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে তিনি প্রায় সময়ই কোকেন আসক্ত ও ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-সিক্স-এর সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
নিহত হওয়ার পাঁচ ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেষ পোস্টে কিভা লিখেছিলেন—‘জেলেনস্কি একমাত্র পথ হলো ইংল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়া।’
একসময় পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কিভা ইউক্রেনের পার্লামেন্টে ২০১৭ থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও অংশ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে তিনি পুতিনের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে রাশিয়ায় চলে যান এবং নিজ দেশের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে তিনি রাশিয়াকেই সমর্থন দিয়ে আসছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে অবশেষে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েই গেল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাপকভাবে এই চুক্তির পক্ষে উকালতি করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তিকে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির ফলে ইউক্রেনের খনিজ উত্তোলনে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার পাবে ও ইউক্রেন
১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক। তিনি পাকিস্তানের দশম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে এই তথ্য জানান
২ ঘণ্টা আগেভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা সপ্তম দিনের মতো গোলাগুলি হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার গভীর রাতে কাশ্মীরে বিবদমান সীমান্তে এই গোলাগুলি হয়। এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা জানা যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেকাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
৯ ঘণ্টা আগে