দীর্ঘ ৭০ বছর সিংহাসনে থেকে ইতিহাস সৃষ্টিকারী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ গত বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে স্কটল্যান্ডের বালমোরালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁর রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রানিকে শেষ বিদায় জানাতে নানা পরিকল্পনা করছে ব্রিটিশ সরকার। এর মধ্যে রয়েছে স্কটল্যান্ডের ভেতর দিয়ে রানির কফিনযাত্রা, নতুন রাজার বিনিদ্র প্রার্থনা, সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা, রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ইত্যাদি। বার্তা সংস্থা এএফপি ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রানিকে নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের ধারাবাহিক আয়োজনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
১১ সেপ্টেম্বর
রানির মরদেহ এখন বালমোরাল এস্টেটের বলরুমে রয়েছে। সেখান থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় মরদেহটি এডিনবার্গের উদ্দেশে রওনা হবে। মরদেহ বহনকারী গাড়িটি অ্যাবারডিন ও ডান্ডি শহরের গ্রামের ভেতর দিয়ে সড়কপথে যাবে। এ সময় দর্শনার্থীরা রানিকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পাবে। তবে এ সময় রানির কফিনে ফুল ছুড়তে দর্শনার্থীদের নিষেধ করা হয়েছে।
রানির মরদেহ বহনকারী গাড়িটি বিকেল ৪টা নাগাদ স্কটল্যান্ডে রাজার সরকারি প্রাসাদ হলিরুড হাউসে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর কফিনটি হলিরুড হাউসের থ্রোন রুমে রাখা হবে।
১২ সেপ্টেম্বর
সকাল ১০টায় রাজা তৃতীয় চার্লস ও তাঁর স্ত্রী রানি কনসোর্ট ক্যামিলা শোকবার্তা গ্রহণ করতে সংসদে যাবেন। এরপর রাজদম্পতি এডিনবার্গে ফিরে যাবেন। সেখানে হলিরুড হাউস প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তাঁরা। অনুষ্ঠানটি শহরগুলোর প্রতীকী চাবি গ্রহণের। এটি একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান। এর মাধ্যমে ‘হলিরুড সপ্তাহ’ শুরু হয়। আর হলিরুড সপ্তাহের মাধ্যমে রাজা স্কটল্যান্ডের বিভিন্ন শহর পরিদর্শন শুরু করেন।
বিকেলে রানির কফিন নিয়ে এডিনবার্গের রয়্যাল মাইল থেকে সেন্ট জাইলস ক্যাথেড্রাল পর্যন্ত শোকযাত্রা করা হবে। এই শোকযাত্রায় রাজা ও রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্য অংশ নেবেন। পরে রাজা ও রাজপরিবারের সদস্যরা বিনিদ্র প্রার্থনায় অংশ নেবেন।
১৩ সেপ্টেম্বর
বিকেলে লন্ডনের কাছে কফিনটি রয়্যাল এয়ার ফোর্স উড্ডয়নের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাবে। এ সময় রানির মেয়ে প্রিন্সেস রয়্যাল অ্যান থাকবেন। পরে কফিনটি বাকিংহাম প্যালেসের বো রুমে নিয়ে যাওয়া হবে।
অন্যদিকে রাজা তৃতীয় চার্লস ও তাঁর স্ত্রী বেলফাস্টে যাবেন। সেখানে তাঁরা উত্তর আয়ারল্যান্ডের দলীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং স্পিকারের কাছ থেকে শোকবার্তা গ্রহণ করবেন। এরপর রাজা তৃতীয় চার্লস আয়ারল্যান্ডের সব প্রধান ধর্মের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি সেন্ট অ্যানস ক্যাথেড্রালে একটি প্রার্থনায় অংশ নেবেন। তারপর লন্ডনে ফিরে আসবেন।
১৪ সেপ্টেম্বর
বিকেলে বাকিংহাম প্যালেস থেকে পার্লামেন্টের ওয়েস্টমিনস্টার হল পর্যন্ত রানির কফিন বহনকারী বন্দুকের গাড়িসহ শোকযাত্রা হবে। এই শোকযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন রাজা তৃতীয় চার্লস। পার্লামেন্টে কফিন পৌঁছার পর ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি একটি সংক্ষিপ্ত আয়োজন সম্পন্ন করবেন। এ সময় রাজা উপস্থিত থাকবেন। শেষকৃত্যের আগে পর্যন্ত রানির মরদেহ এখানেই থাকবে। সর্বসাধারণ তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।
১৫ সেপ্টেম্বর
রাজা তৃতীয় চার্লস ও তাঁর স্ত্রী ওয়েলস পরিদর্শনে যাবেন। এরপর একে একে যুক্তরাজ্যের চারটি দেশ ভ্রমণ করবেন তিনি।
১৯ সেপ্টেম্বর
রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য রানির কফিনটি শোকযাত্রা সহযোগে বেলা ১১টার দিকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্যান্য বিশ্বনেতা এবং সারা পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ জড়ো হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অবশ্যই সেখানে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখবে ব্রিটিশ সরকার।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরে কফিনটি উইন্ডসরের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে রানিকে রাজা ষষ্ঠ জর্জ মেমোরিয়াল চ্যাপেলে তাঁর স্বামী প্রিন্স ফিলিপ, বোন প্রিন্সেস মার্গারেট, মা এলিজাবেথ ও বাবা ষষ্ঠ জর্জের পাশে সমাহিত করা হবে।
দীর্ঘ ৭০ বছর সিংহাসনে থেকে ইতিহাস সৃষ্টিকারী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ গত বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে স্কটল্যান্ডের বালমোরালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁর রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রানিকে শেষ বিদায় জানাতে নানা পরিকল্পনা করছে ব্রিটিশ সরকার। এর মধ্যে রয়েছে স্কটল্যান্ডের ভেতর দিয়ে রানির কফিনযাত্রা, নতুন রাজার বিনিদ্র প্রার্থনা, সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা, রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ইত্যাদি। বার্তা সংস্থা এএফপি ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রানিকে নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের ধারাবাহিক আয়োজনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
১১ সেপ্টেম্বর
রানির মরদেহ এখন বালমোরাল এস্টেটের বলরুমে রয়েছে। সেখান থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় মরদেহটি এডিনবার্গের উদ্দেশে রওনা হবে। মরদেহ বহনকারী গাড়িটি অ্যাবারডিন ও ডান্ডি শহরের গ্রামের ভেতর দিয়ে সড়কপথে যাবে। এ সময় দর্শনার্থীরা রানিকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পাবে। তবে এ সময় রানির কফিনে ফুল ছুড়তে দর্শনার্থীদের নিষেধ করা হয়েছে।
রানির মরদেহ বহনকারী গাড়িটি বিকেল ৪টা নাগাদ স্কটল্যান্ডে রাজার সরকারি প্রাসাদ হলিরুড হাউসে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর কফিনটি হলিরুড হাউসের থ্রোন রুমে রাখা হবে।
১২ সেপ্টেম্বর
সকাল ১০টায় রাজা তৃতীয় চার্লস ও তাঁর স্ত্রী রানি কনসোর্ট ক্যামিলা শোকবার্তা গ্রহণ করতে সংসদে যাবেন। এরপর রাজদম্পতি এডিনবার্গে ফিরে যাবেন। সেখানে হলিরুড হাউস প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তাঁরা। অনুষ্ঠানটি শহরগুলোর প্রতীকী চাবি গ্রহণের। এটি একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান। এর মাধ্যমে ‘হলিরুড সপ্তাহ’ শুরু হয়। আর হলিরুড সপ্তাহের মাধ্যমে রাজা স্কটল্যান্ডের বিভিন্ন শহর পরিদর্শন শুরু করেন।
বিকেলে রানির কফিন নিয়ে এডিনবার্গের রয়্যাল মাইল থেকে সেন্ট জাইলস ক্যাথেড্রাল পর্যন্ত শোকযাত্রা করা হবে। এই শোকযাত্রায় রাজা ও রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্য অংশ নেবেন। পরে রাজা ও রাজপরিবারের সদস্যরা বিনিদ্র প্রার্থনায় অংশ নেবেন।
১৩ সেপ্টেম্বর
বিকেলে লন্ডনের কাছে কফিনটি রয়্যাল এয়ার ফোর্স উড্ডয়নের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাবে। এ সময় রানির মেয়ে প্রিন্সেস রয়্যাল অ্যান থাকবেন। পরে কফিনটি বাকিংহাম প্যালেসের বো রুমে নিয়ে যাওয়া হবে।
অন্যদিকে রাজা তৃতীয় চার্লস ও তাঁর স্ত্রী বেলফাস্টে যাবেন। সেখানে তাঁরা উত্তর আয়ারল্যান্ডের দলীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং স্পিকারের কাছ থেকে শোকবার্তা গ্রহণ করবেন। এরপর রাজা তৃতীয় চার্লস আয়ারল্যান্ডের সব প্রধান ধর্মের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি সেন্ট অ্যানস ক্যাথেড্রালে একটি প্রার্থনায় অংশ নেবেন। তারপর লন্ডনে ফিরে আসবেন।
১৪ সেপ্টেম্বর
বিকেলে বাকিংহাম প্যালেস থেকে পার্লামেন্টের ওয়েস্টমিনস্টার হল পর্যন্ত রানির কফিন বহনকারী বন্দুকের গাড়িসহ শোকযাত্রা হবে। এই শোকযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন রাজা তৃতীয় চার্লস। পার্লামেন্টে কফিন পৌঁছার পর ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি একটি সংক্ষিপ্ত আয়োজন সম্পন্ন করবেন। এ সময় রাজা উপস্থিত থাকবেন। শেষকৃত্যের আগে পর্যন্ত রানির মরদেহ এখানেই থাকবে। সর্বসাধারণ তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।
১৫ সেপ্টেম্বর
রাজা তৃতীয় চার্লস ও তাঁর স্ত্রী ওয়েলস পরিদর্শনে যাবেন। এরপর একে একে যুক্তরাজ্যের চারটি দেশ ভ্রমণ করবেন তিনি।
১৯ সেপ্টেম্বর
রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য রানির কফিনটি শোকযাত্রা সহযোগে বেলা ১১টার দিকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্যান্য বিশ্বনেতা এবং সারা পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ জড়ো হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অবশ্যই সেখানে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখবে ব্রিটিশ সরকার।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরে কফিনটি উইন্ডসরের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে রানিকে রাজা ষষ্ঠ জর্জ মেমোরিয়াল চ্যাপেলে তাঁর স্বামী প্রিন্স ফিলিপ, বোন প্রিন্সেস মার্গারেট, মা এলিজাবেথ ও বাবা ষষ্ঠ জর্জের পাশে সমাহিত করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে অবশেষে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েই গেল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাপকভাবে এই চুক্তির পক্ষে উকালতি করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তিকে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির ফলে ইউক্রেনের খনিজ উত্তোলনে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার পাবে ও ইউক্রেন
৪ মিনিট আগেপাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক। তিনি পাকিস্তানের দশম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে এই তথ্য জানান
১ ঘণ্টা আগেভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা সপ্তম দিনের মতো গোলাগুলি হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার গভীর রাতে কাশ্মীরে বিবদমান সীমান্তে এই গোলাগুলি হয়। এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা জানা যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেকাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
৮ ঘণ্টা আগে