২০২১ সালের গণভোটে সমর্থন পাওয়ার পর বোরকা নিষিদ্ধ করে একটি আইন পাস করেছিল ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। এবার এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় প্রথমবারের মতো জরিমানা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার রুশ গণমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, জুরিখ শহরে এক নারী প্রকাশ্যে বোরকা পরার কারণে তাঁকে ওই জরিমানা করা হয়। সুইস পুলিশের মুখপাত্র মাইকেল ওয়াকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুইজারল্যান্ডের নতুন আইন অনুযায়ী—জনসমক্ষে মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ। এতে মুসলিম নারীদের বোরকা ও নিকাবের পাশাপাশি বিক্ষোভকারী বা ক্রীড়াপ্রেমীদের মুখোশ ও বালাক্লাভাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যগত কারণ, ঠান্ডা আবহাওয়া, কার্নিভ্যাল ইভেন্ট, নির্দিষ্ট ধর্মীয় উপাসনালয়, কূটনৈতিক বা সাংস্কৃতিক পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র ওয়াকার জানিয়েছেন, গোপনীয়তা আইনের কারণে তিনি ওই নারীর বয়স বা তাঁর পোশাক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে পারেননি। তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন, ওই নারী কোনো পর্যটক নন, সুইজারল্যান্ডেরই বাসিন্দা।
ওয়াকার আরও জানিয়েছেন, জরিমানার ১০০ সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১১০ মার্কিন ডলার) দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওই নারী। ফলে এই মামলাটি এখন প্রাদেশিক গভর্নরের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
২০২১ সালের গণভোটে ৫১.২ শতাংশ ভোটার বোরকা নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। মূলত ‘উগ্র ইসলাম’ রোধের উদ্দেশ্যে দেশটির ডানপন্থী সুইস পিপলস পার্টি এই আইনের সপক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিল। পরে এটি জননিরাপত্তা উন্নয়নের একটি উপায় হিসেবে পাস হয় এবং বিক্ষোভ ও খেলাধুলার ইভেন্টে মুখোশ পরার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যারা এই আইন লঙ্ঘন করবেন, তাদের প্রথমবার ১০০ ফ্রাঁ এবং আদালতে আপিল করা হলে ১ হাজার ফ্রাঁ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
জানা গেছে, আইনটি পাস হওয়ার আগেই সুইজারল্যান্ডের অর্ধেকের বেশি ক্যান্টন (প্রদেশ) জনসমক্ষে মুখ ঢাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে জাতীয়ভাবে আইনটি পাস হলে তা আরও বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে।
এই আইন নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, এটি সুইজারল্যান্ডের ৪ লাখ মুসলিম নাগরিকের ওপর অন্যায়ভাবে প্রভাব ফেলছে, যদিও তাঁদের মধ্যে খুব কমসংখ্যকই বোরকা বা নিকাব পরেন। সুইস সরকারও শুরুতে এই আইনের বিরোধিতা করেছিল। কারণ এটি পর্যটন শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এমন আশঙ্কা করা হয়েছিল। দেশটির মুসলিম সংগঠনগুলোও এই আইনটির নিন্দা জানিয়েছে।
বোরকা ও নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রথম চালু হয় ফ্রান্সে ২০১১ সালে। এরপর অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ডেনমার্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি এবং স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় এই পোশাকের ওপর আংশিক বা সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
২০২১ সালের গণভোটে সমর্থন পাওয়ার পর বোরকা নিষিদ্ধ করে একটি আইন পাস করেছিল ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। এবার এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় প্রথমবারের মতো জরিমানা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার রুশ গণমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, জুরিখ শহরে এক নারী প্রকাশ্যে বোরকা পরার কারণে তাঁকে ওই জরিমানা করা হয়। সুইস পুলিশের মুখপাত্র মাইকেল ওয়াকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুইজারল্যান্ডের নতুন আইন অনুযায়ী—জনসমক্ষে মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ। এতে মুসলিম নারীদের বোরকা ও নিকাবের পাশাপাশি বিক্ষোভকারী বা ক্রীড়াপ্রেমীদের মুখোশ ও বালাক্লাভাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যগত কারণ, ঠান্ডা আবহাওয়া, কার্নিভ্যাল ইভেন্ট, নির্দিষ্ট ধর্মীয় উপাসনালয়, কূটনৈতিক বা সাংস্কৃতিক পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র ওয়াকার জানিয়েছেন, গোপনীয়তা আইনের কারণে তিনি ওই নারীর বয়স বা তাঁর পোশাক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে পারেননি। তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন, ওই নারী কোনো পর্যটক নন, সুইজারল্যান্ডেরই বাসিন্দা।
ওয়াকার আরও জানিয়েছেন, জরিমানার ১০০ সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১১০ মার্কিন ডলার) দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওই নারী। ফলে এই মামলাটি এখন প্রাদেশিক গভর্নরের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
২০২১ সালের গণভোটে ৫১.২ শতাংশ ভোটার বোরকা নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। মূলত ‘উগ্র ইসলাম’ রোধের উদ্দেশ্যে দেশটির ডানপন্থী সুইস পিপলস পার্টি এই আইনের সপক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিল। পরে এটি জননিরাপত্তা উন্নয়নের একটি উপায় হিসেবে পাস হয় এবং বিক্ষোভ ও খেলাধুলার ইভেন্টে মুখোশ পরার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যারা এই আইন লঙ্ঘন করবেন, তাদের প্রথমবার ১০০ ফ্রাঁ এবং আদালতে আপিল করা হলে ১ হাজার ফ্রাঁ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
জানা গেছে, আইনটি পাস হওয়ার আগেই সুইজারল্যান্ডের অর্ধেকের বেশি ক্যান্টন (প্রদেশ) জনসমক্ষে মুখ ঢাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে জাতীয়ভাবে আইনটি পাস হলে তা আরও বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে।
এই আইন নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, এটি সুইজারল্যান্ডের ৪ লাখ মুসলিম নাগরিকের ওপর অন্যায়ভাবে প্রভাব ফেলছে, যদিও তাঁদের মধ্যে খুব কমসংখ্যকই বোরকা বা নিকাব পরেন। সুইস সরকারও শুরুতে এই আইনের বিরোধিতা করেছিল। কারণ এটি পর্যটন শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এমন আশঙ্কা করা হয়েছিল। দেশটির মুসলিম সংগঠনগুলোও এই আইনটির নিন্দা জানিয়েছে।
বোরকা ও নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রথম চালু হয় ফ্রান্সে ২০১১ সালে। এরপর অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ডেনমার্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি এবং স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় এই পোশাকের ওপর আংশিক বা সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
১ ঘণ্টা আগেকানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট
২ ঘণ্টা আগেভারতের গুজরাটে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাত থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ মানুষকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করছে। তবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বিকাশ সহায় সোমবার জানিয়েছেন, নথিপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে ৪৫০ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন
৪ ঘণ্টা আগেউত্তর-পূর্ব চীনের একটি রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে