ফ্রান্সের আইন অনুসারে, হিজাব মাথায় দিয়ে স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ। তাই নিজ স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে মাথা থেকে হিজাব খুলে নিতে জোর করেছিলেন এক প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনার পর থেকেই একের পর এক হত্যার হুমকি পাচ্ছিলেন সেই শিক্ষক। প্রাণভয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষকতাই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাকরি ছেড়ে দেওয়া ওই প্রধান শিক্ষকের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে স্কুলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না এমন দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
অতীতে ফ্রান্সে অন্তত দুজন শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তারপর থেকেই ফরাসি স্কুলগুলোর প্রতি ইসলামপন্থী হুমকিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। হত্যার শিকার ওই দুই শিক্ষকের মধ্যে স্যামুয়েল প্যাটি নামে একজনকে ২০২০ সালে প্যারিসের একটি শহরতলির রাস্তায় শিরশ্ছেদ করা হয়। ডমিনিক বার্নার্ড নামে আরেক শিক্ষক পাঁচ মাস আগেই ফ্রান্সের আরাসে অবস্থিত নিজের স্কুলে ছুরিকাঘাতে নিহত হন।
বিবিসি জানিয়েছে, প্যারিসের মরিস লাভেল লাইসি এলাকায় চাকরি ছেড়ে দেওয়া প্রধান শিক্ষক সহকর্মীদের কাছে একটি ইমেইল পাঠিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘নিজের এবং প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণে অবশেষে আমি আমার কাজ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত তিন সপ্তাহ ধরে সমর্থন দেখানোর জন্য সহকর্মীদের ধন্যবাদও জানান ওই শিক্ষক। জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি স্কুলের মধ্যে হিজাব পরে এসেছিলেন তিন ছাত্রী। পরে প্রধান শিক্ষক তাদের হিজাব খুলে আইন মানার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ অবস্থায় দুজন মাথা থেকে হিজাব সরিয়ে নিলেও একজন শিক্ষকের কথা অমান্য করেন এবং বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন।
এ ঘটনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হত্যার হুমকি পাচ্ছিলেন প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে পরে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হটলাইনেও অভিযোগ করা হয়। বাড়ানো হয় স্কুলের চারপাশ ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা। এমনকি ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত ওই স্কুলটি পরিদর্শন করেন।
শিক্ষকের চাকরি ছাড়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের বাম এবং ডান উভয়পন্থী রাজনীতিবিদেরা। কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মেরি লি পেন একটি অ্যাক্স বার্তায় লিখেছেন, ‘এই সরকার আমাদের স্কুলগুলোর নিরাপত্তা দিতে অক্ষম।’
সোশ্যালিস্ট পার্টির বরিস ভ্যালাউড বলেছেন—‘এটি মেনে নেওয়া যায় না। একজন প্রধান শিক্ষক মৃত্যুর হুমকির কারণে যখন পদত্যাগ করেন, তখন এটি একটি সম্মিলিত ব্যর্থতা।’
ফ্রান্সের আইন অনুসারে, হিজাব মাথায় দিয়ে স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ। তাই নিজ স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে মাথা থেকে হিজাব খুলে নিতে জোর করেছিলেন এক প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনার পর থেকেই একের পর এক হত্যার হুমকি পাচ্ছিলেন সেই শিক্ষক। প্রাণভয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষকতাই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাকরি ছেড়ে দেওয়া ওই প্রধান শিক্ষকের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে স্কুলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না এমন দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
অতীতে ফ্রান্সে অন্তত দুজন শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তারপর থেকেই ফরাসি স্কুলগুলোর প্রতি ইসলামপন্থী হুমকিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। হত্যার শিকার ওই দুই শিক্ষকের মধ্যে স্যামুয়েল প্যাটি নামে একজনকে ২০২০ সালে প্যারিসের একটি শহরতলির রাস্তায় শিরশ্ছেদ করা হয়। ডমিনিক বার্নার্ড নামে আরেক শিক্ষক পাঁচ মাস আগেই ফ্রান্সের আরাসে অবস্থিত নিজের স্কুলে ছুরিকাঘাতে নিহত হন।
বিবিসি জানিয়েছে, প্যারিসের মরিস লাভেল লাইসি এলাকায় চাকরি ছেড়ে দেওয়া প্রধান শিক্ষক সহকর্মীদের কাছে একটি ইমেইল পাঠিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘নিজের এবং প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণে অবশেষে আমি আমার কাজ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত তিন সপ্তাহ ধরে সমর্থন দেখানোর জন্য সহকর্মীদের ধন্যবাদও জানান ওই শিক্ষক। জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি স্কুলের মধ্যে হিজাব পরে এসেছিলেন তিন ছাত্রী। পরে প্রধান শিক্ষক তাদের হিজাব খুলে আইন মানার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ অবস্থায় দুজন মাথা থেকে হিজাব সরিয়ে নিলেও একজন শিক্ষকের কথা অমান্য করেন এবং বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন।
এ ঘটনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হত্যার হুমকি পাচ্ছিলেন প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে পরে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হটলাইনেও অভিযোগ করা হয়। বাড়ানো হয় স্কুলের চারপাশ ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা। এমনকি ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত ওই স্কুলটি পরিদর্শন করেন।
শিক্ষকের চাকরি ছাড়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের বাম এবং ডান উভয়পন্থী রাজনীতিবিদেরা। কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মেরি লি পেন একটি অ্যাক্স বার্তায় লিখেছেন, ‘এই সরকার আমাদের স্কুলগুলোর নিরাপত্তা দিতে অক্ষম।’
সোশ্যালিস্ট পার্টির বরিস ভ্যালাউড বলেছেন—‘এটি মেনে নেওয়া যায় না। একজন প্রধান শিক্ষক মৃত্যুর হুমকির কারণে যখন পদত্যাগ করেন, তখন এটি একটি সম্মিলিত ব্যর্থতা।’
মিছিলে অংশ নেন শতাধিক দলীয় কর্মী, সমর্থক, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। ‘আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘ইরানে বোমাবাজি চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
২৯ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেইরানে পরিচালিত মার্কিন বিমান হামলাকে ‘অসাধারণ এবং ব্যাপক সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ। তিনি জানিয়েছেন, এই হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে