নানা প্রতিবেদনের মাধ্যমে টিকা গ্রহণকে উৎসাহিত করছে বিবিসিসহ প্রায় সব গণমাধ্যম। তবে এমন ‘উসকানি’ মেনে নিতে পারছেন না টিকা বিরোধীরা। তাই এসব সংবাদ মাধ্যমকে শায়েস্তা করার জন্য হুমকি ধামকি দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন তাঁরা। আর এ উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকেই। স্থানীয় সময় গত সোমবার (৯ অক্টোবর) বিবিসির প্রধান কার্যালয়ে হানা দেন টিকা বিরোধীরা। তবে দুঃখজনক ঘটনা হলো–তাঁরা হামলা করে বসেন একটি ভুল ভবনে!
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার বিকেলে টিকা বিরোধীরা পশ্চিম লন্ডনের একটি টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। তখন এই কেন্দ্রে টেলিভিশনটির একটি শো চলছিল। বিক্ষোভকারীরা ওই স্টুডিওর মধ্যেই ঢুকে পড়েন। সেখানে তাঁরা চিৎকার ও হৈ–চৈ করেন। আন্দোলনকারীদের যারা বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাঁদের সঙ্গেও পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হয়।
বাইরের লোকদের মধ্যে ছিলেন লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিনের ভাই পিয়ার্স করবিন। একটি লাইভ স্ট্রিমে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এই বাস্টার্ডদের কাছ থেকে সব কেড়ে নিতে হবে’। অনেকে গণমাধ্যমকে ‘ভাইরাস’ বলে উল্লেখ করেন। করোনা বিষয়ে বিবিসির নানা সংবাদের সমালোচনাও করেন তাঁরা। স্টুডিও ভবনের বাইরে শত শত মানুষ ‘শেইম অন ইউ’ বলেও স্লোগান দেয়। এ সময় স্টুডিওর প্রবেশদ্বার পাহারায় থাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতিও হয়। অবশ্য কিছু বিক্ষোভকারী হাতাহাতি থামানোর চেষ্টাও করেছেন। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁদের বাইরে নিয়ে আসেন।
তবে পশ্চিম লন্ডনের যেই বৃত্তাকার ভবনটিতে এত কিছু হলো সেটি কিন্তু এখন আদতে বিবিসির সম্প্রচার কেন্দ্রই নয়। বিবিসির কার্যালয় পোর্টল্যান্ড প্যালেসের অবস্থান এই ভবন থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, প্রায় এক দশক আগে (২০১৩) ভবনটি ছেড়ে গেছে বিবিসি। বিবিসি চলে যাওয়ার পর থেকে ভবনটি ফ্ল্যাট এবং একটি ব্যক্তিগত ক্লাবে রূপান্তরিত হয়। এ ছাড়া টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভি এই ভবনে তাঁদের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শো ‘গুড মর্নিং ব্রিটেন’ এবং ‘দিস মর্নিং’ সম্প্রচার করে। আইটিভির স্টুডিওতেই ঢুকে পড়েছিল টিকা বিরোধীরা।
বিশৃঙ্খলা বাড়লে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আনা হয় একটি হেলিকপ্টার। পরে বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট দল সেন্ট্রাল লন্ডনের ব্রডকাস্টিং হাউসের দিকে অগ্রসর হয়।
করোনা পরিস্থিতি ও টিকা নিয়ে ইতিবাচক সংবাদ প্রচার করায় টিকা বিরোধীদের ক্ষোভে পড়ার ঘটনা বিবিসির জন্য নতুন নয়। এই বছরের শুরুর দিকে ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে নিউজনাইটের রাজনৈতিক সম্পাদক নিক ওয়াট লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের মৌখিক ও শারীরিক হেনস্থার শিকার হন।
বিবিসির সাংবাদিকদের হেনস্থার বিষয়টিকে একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন গণমাধ্যমটির সংবাদ পরিচালক ফ্রান আনসওয়ার্থ। কর্মীদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণের মোকাবিলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নানা প্রতিবেদনের মাধ্যমে টিকা গ্রহণকে উৎসাহিত করছে বিবিসিসহ প্রায় সব গণমাধ্যম। তবে এমন ‘উসকানি’ মেনে নিতে পারছেন না টিকা বিরোধীরা। তাই এসব সংবাদ মাধ্যমকে শায়েস্তা করার জন্য হুমকি ধামকি দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন তাঁরা। আর এ উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকেই। স্থানীয় সময় গত সোমবার (৯ অক্টোবর) বিবিসির প্রধান কার্যালয়ে হানা দেন টিকা বিরোধীরা। তবে দুঃখজনক ঘটনা হলো–তাঁরা হামলা করে বসেন একটি ভুল ভবনে!
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার বিকেলে টিকা বিরোধীরা পশ্চিম লন্ডনের একটি টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। তখন এই কেন্দ্রে টেলিভিশনটির একটি শো চলছিল। বিক্ষোভকারীরা ওই স্টুডিওর মধ্যেই ঢুকে পড়েন। সেখানে তাঁরা চিৎকার ও হৈ–চৈ করেন। আন্দোলনকারীদের যারা বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাঁদের সঙ্গেও পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হয়।
বাইরের লোকদের মধ্যে ছিলেন লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিনের ভাই পিয়ার্স করবিন। একটি লাইভ স্ট্রিমে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এই বাস্টার্ডদের কাছ থেকে সব কেড়ে নিতে হবে’। অনেকে গণমাধ্যমকে ‘ভাইরাস’ বলে উল্লেখ করেন। করোনা বিষয়ে বিবিসির নানা সংবাদের সমালোচনাও করেন তাঁরা। স্টুডিও ভবনের বাইরে শত শত মানুষ ‘শেইম অন ইউ’ বলেও স্লোগান দেয়। এ সময় স্টুডিওর প্রবেশদ্বার পাহারায় থাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতিও হয়। অবশ্য কিছু বিক্ষোভকারী হাতাহাতি থামানোর চেষ্টাও করেছেন। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁদের বাইরে নিয়ে আসেন।
তবে পশ্চিম লন্ডনের যেই বৃত্তাকার ভবনটিতে এত কিছু হলো সেটি কিন্তু এখন আদতে বিবিসির সম্প্রচার কেন্দ্রই নয়। বিবিসির কার্যালয় পোর্টল্যান্ড প্যালেসের অবস্থান এই ভবন থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, প্রায় এক দশক আগে (২০১৩) ভবনটি ছেড়ে গেছে বিবিসি। বিবিসি চলে যাওয়ার পর থেকে ভবনটি ফ্ল্যাট এবং একটি ব্যক্তিগত ক্লাবে রূপান্তরিত হয়। এ ছাড়া টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভি এই ভবনে তাঁদের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শো ‘গুড মর্নিং ব্রিটেন’ এবং ‘দিস মর্নিং’ সম্প্রচার করে। আইটিভির স্টুডিওতেই ঢুকে পড়েছিল টিকা বিরোধীরা।
বিশৃঙ্খলা বাড়লে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আনা হয় একটি হেলিকপ্টার। পরে বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট দল সেন্ট্রাল লন্ডনের ব্রডকাস্টিং হাউসের দিকে অগ্রসর হয়।
করোনা পরিস্থিতি ও টিকা নিয়ে ইতিবাচক সংবাদ প্রচার করায় টিকা বিরোধীদের ক্ষোভে পড়ার ঘটনা বিবিসির জন্য নতুন নয়। এই বছরের শুরুর দিকে ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে নিউজনাইটের রাজনৈতিক সম্পাদক নিক ওয়াট লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের মৌখিক ও শারীরিক হেনস্থার শিকার হন।
বিবিসির সাংবাদিকদের হেনস্থার বিষয়টিকে একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন গণমাধ্যমটির সংবাদ পরিচালক ফ্রান আনসওয়ার্থ। কর্মীদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণের মোকাবিলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর যুক্তি, ‘রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়। তাই যুদ্ধ এড়িয়ে টিকে থাকতে হলে চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই।’ এই মন্তব্য ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের পর এসেছে...
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে চীন কখনোই তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
৩ ঘণ্টা আগেবোল্টন বলেছেন, ‘এই বৈঠকের পর ট্রাম্প কিছুই পাননি। যা পেয়েছেন তা হলো, আরও কিছু বৈঠকের প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে পুতিন ‘সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, যা আমি সব সময় তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করেছি।’
৪ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হয়তো আশা করেছিলেন, এই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। কিন্তু এমন কোনো কিছুই হয়নি। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য সোমবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
৪ ঘণ্টা আগে