Ajker Patrika

রাশিয়ার ভ্যাকিসনে জীবন্ত ভাইরাস, দাবি ব্রাজিলের

রাশিয়ার ভ্যাকিসনে জীবন্ত ভাইরাস, দাবি ব্রাজিলের

ঢাকা: রাশিয়া থেকে আমদানি করা স্পুটনিক ভি কোভিড ভ্যাকসিনে ঠাণ্ডা–জ্বরের জন্য দায়ী অন্য জীবন্ত ভাইরাস পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন ব্রাজিলের বিশেষজ্ঞরা। এ কারণে রুশ ভ্যাকসিন আমদানি বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্থানীয় সময় বুধবার এমনটি জানিয়েছে ।

এ নিয়ে শীর্ষ ব্রাজিলের ভাইরোলজিস্ট অ্যাঞ্জেলা রাসমুসেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এটি রাশিয়ার ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রক্রিয়ার বিশুদ্ধতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের সুরক্ষা দিতে এই টিকা ব্যর্থ হতে পারে।

এদিকে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের উদ্ভাবক রাশিয়ার গামালিয়া ইনস্টিটিউট ব্রাজিলের এই দাবি অস্বীকার করেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনটি অ্যাডেনোভাইরাসকে ভেক্টর (বাহক) হিসেবে ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এই ভাইরাসটি সাধারণত শ্বাসযন্ত্রে হালকা অসুস্থতা তৈরি করে। তবে জিনগত পরিবর্তন করে ভ্যাকসিনে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি আর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে না। এই ভ্যাকসিন শরীরে প্রয়োগ করা হলে স্পাইক প্রোটিন তৈরি হয় এবং সেটি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে সক্রিয় করে তোলে।

জানা গেছে, রাশিয়ার ভ্যাকসিনে দুই ধরনের অ্যাডেনোভাইরাস ব্যবহার করা হয়েছে। এর প্রথম ডোজে রয়েছে অ্যাডেনোভাইরাস ২৬ এবং দ্বিতীয় ডোজে অ্যাডেনোভাইরাস ৫।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনভিসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা রাশিয়ার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের পরীক্ষা করে দেখেছেন যে ভ্যাকসিনে ব্যবহৃত ভাইরাসটি সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারছে। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, ভ্যাকসিন নিলে অ্যাডেনোভাইরাস মানবদেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আনভিসার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় রিকম্বিনেশন সমস্যার কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে। ল্যাবে জিনপ্রকৌশল পদ্ধতি ব্যবহার করে মানবকোষে প্রয়োগের সময় অ্যাডেনোভাইরাসটি সেসব জিন পেয়েছে যেগুলোর কারণেই এটি দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়ে ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত