শখানেক বহুমাত্রিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাপক বিধ্বংসী যুদ্ধ হেলিকপ্টার তৈরি করছে তুরস্ক। ‘টি৯২৯ এটিএকে ২’ নামে টি-১২৯ সিরিজের এই হেলিকপ্টার আগামী সপ্তাহে প্রথম আকাশে উড়তে পারে। সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের জন্যও তুরস্ক এসব হেলিকপ্টার তৈরি করছে বলে এশিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে আকাশ থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম টিএফ-এক্স যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে তুরস্ক। আধুনিক এই যুদ্ধবিমানের ককপিটের সামনে আছে উন্নত সেন্সর সিস্টেম, যা অন্য কোনো যুদ্ধবিমানে নেই। শুধু তাই নয়, সাশ্রয়ী মূল্যের রোবট নিয়ন্ত্রিত ড্রোনও তৈরি করেছে দেশটি। এই ড্রোন দিয়ে আকাশ থেকে ভূমিতে এবং আকাশ থেকে আকাশে হামলা পরিচালনা করা সম্ভব।
এ ছাড়া তুরস্ক মিনি সাবমেরিনও তৈরি করেছে, যা বিশ্ববাজারে আলোড়ন তুলবে এবং ভবিষ্যতে নৌযুদ্ধের ধরন পাল্টে দেবে বলে দেশটি মনে করছে। এশিয়া টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, সাগরতলে যুদ্ধে সক্ষম হতে দেশগুলো (যেমন ইউক্রেন ও ফিলিপাইন) তুরস্কের এসটি-৫০০ সাবমেরিন বেছে নিতে পারে।
এত সমরাস্ত্রের পর আধুনিক টি৯২৯ ‘অ্যাটাক হেলিকপ্টার’ তৈরির মাধ্যমে তুরস্ক যুদ্ধবিমান তৈরিতে সক্ষম দেশগুলোর অভিজাত ক্লাবে যোগ দেওয়ার সমকক্ষ হয়ে উঠল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কিন্তু ইউরোপ ও এশিয়ার মিলনস্থলের দেশটি কেন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে মহাজন হয়ে উঠতে চাইছে তার কারণ খুঁজছেন তাঁরা।
সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সম্পর্কের অবনতির পর হঠাৎ করে অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে বহু দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারছে না। এক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে অস্ত্রের সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়ার বিকল্প হতে চাইছে তুরস্ক।
এ ছাড়া ভঙ্গুর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য রাজস্ব আয়ের বড় উৎস হিসেবে বিবেচনা করেও তুরস্ক সরকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে মনোযোগী হয়েছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গেই উচ্চাভিলাষী প্রতিরক্ষা প্রকল্পগুলো জড়িত বলে মনে করেন তুর্কি বংশোদ্ভূত মার্কিন গবেষক সেরদার ইলমাজ ও মুরাত ইয়োরুলমাজ।
গত মাসে হিউম্যান অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স জার্নালে এক প্রবন্ধে তাঁরা বলেন, ‘তুরস্কের প্রতিরক্ষাশিল্প ক্রমশ উন্নতি করছে। দেশটি প্রতিরক্ষাশিল্পে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে মূলত বৈদেশিক শক্তির ওপর নির্ভরতা কমানো, বিশ্ববাজারে লেনদেন বাড়ানো, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করা এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে উন্নত প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে দর-কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।’
টি৯২৯ হেলিকপ্টারে যা যা আছে
সম্প্রতি তুর্কি অ্যারোস্পেস (টিএ) ও তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থা ‘টি৯২৯ এটিএকে ২’ হেলিকপ্টারটি উদ্বোধন করেছে। এটি তুরস্কের টি-১২৯ হেলিকপ্টারের আধুনিক ও বৃহত্তর সংস্করণ বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষাবিষয়ক বৈশ্বিক তথ্য সংস্থা জেনস।
হেলিকপ্টারটির ভেতরে বড় ধরনের প্রদর্শনী এলাকা রয়েছে। এর ককপিট দশমিক ৫০ ক্যালিবার রাউন্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো অস্ত্র সজ্জিত করা। হেলিকপ্টারটির স্টাব উইংস ১ হাজার ২০০ কিলোগ্রাম ওজনের কামান এবং ভূমি থেকে ভূমিতে ও ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।
হেলিকপ্টারটি ইউক্রেনীয় মোটর সিচ টিভি-৩-১১৭ ভিএমএ-এসভিএম১ভি সিরিজ-১-এর মাধ্যমে চলবে। হেলিকপ্টারটি তৈরি করেছে তুসাস ইন্ডাস্ট্রিজ।
এ ধরনের অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ারও রয়েছে। তাদের তুলনায় তুরস্কের হেলিকপ্টারটি কিছুটা ছোট। সক্ষমতার দিক থেকেও তুরস্কের হেলিকপ্টারটি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে।
প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সফরেপ গত বছরের আগস্টে এক নিবন্ধে জানিয়েছে, তুরস্কের টি৯২৯ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারে।
টি৯২৯ হেলিকপ্টারের অনুরূপ হেলিকপ্টার রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, যার নাম এএইচ-৬৪। সফরেফ জানিয়েছে, এটি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে। তবে অস্ত্র বহনের দিক থেকে দুটি হেলিকপ্টার প্রায় সমান সক্ষমতাসম্পন্ন। টি৯২৯ হেলিকপ্টারটি ৮টি দূরপাল্লার ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ৭৬টি রকেট, ১৬টি সিরিট ক্ষেপণাস্ত্র ও ৮টি আকাশ থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।
এশিয়া টাইমস থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম
শখানেক বহুমাত্রিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাপক বিধ্বংসী যুদ্ধ হেলিকপ্টার তৈরি করছে তুরস্ক। ‘টি৯২৯ এটিএকে ২’ নামে টি-১২৯ সিরিজের এই হেলিকপ্টার আগামী সপ্তাহে প্রথম আকাশে উড়তে পারে। সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের জন্যও তুরস্ক এসব হেলিকপ্টার তৈরি করছে বলে এশিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে আকাশ থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম টিএফ-এক্স যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে তুরস্ক। আধুনিক এই যুদ্ধবিমানের ককপিটের সামনে আছে উন্নত সেন্সর সিস্টেম, যা অন্য কোনো যুদ্ধবিমানে নেই। শুধু তাই নয়, সাশ্রয়ী মূল্যের রোবট নিয়ন্ত্রিত ড্রোনও তৈরি করেছে দেশটি। এই ড্রোন দিয়ে আকাশ থেকে ভূমিতে এবং আকাশ থেকে আকাশে হামলা পরিচালনা করা সম্ভব।
এ ছাড়া তুরস্ক মিনি সাবমেরিনও তৈরি করেছে, যা বিশ্ববাজারে আলোড়ন তুলবে এবং ভবিষ্যতে নৌযুদ্ধের ধরন পাল্টে দেবে বলে দেশটি মনে করছে। এশিয়া টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, সাগরতলে যুদ্ধে সক্ষম হতে দেশগুলো (যেমন ইউক্রেন ও ফিলিপাইন) তুরস্কের এসটি-৫০০ সাবমেরিন বেছে নিতে পারে।
এত সমরাস্ত্রের পর আধুনিক টি৯২৯ ‘অ্যাটাক হেলিকপ্টার’ তৈরির মাধ্যমে তুরস্ক যুদ্ধবিমান তৈরিতে সক্ষম দেশগুলোর অভিজাত ক্লাবে যোগ দেওয়ার সমকক্ষ হয়ে উঠল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কিন্তু ইউরোপ ও এশিয়ার মিলনস্থলের দেশটি কেন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে মহাজন হয়ে উঠতে চাইছে তার কারণ খুঁজছেন তাঁরা।
সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সম্পর্কের অবনতির পর হঠাৎ করে অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে বহু দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারছে না। এক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে অস্ত্রের সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়ার বিকল্প হতে চাইছে তুরস্ক।
এ ছাড়া ভঙ্গুর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য রাজস্ব আয়ের বড় উৎস হিসেবে বিবেচনা করেও তুরস্ক সরকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে মনোযোগী হয়েছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গেই উচ্চাভিলাষী প্রতিরক্ষা প্রকল্পগুলো জড়িত বলে মনে করেন তুর্কি বংশোদ্ভূত মার্কিন গবেষক সেরদার ইলমাজ ও মুরাত ইয়োরুলমাজ।
গত মাসে হিউম্যান অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স জার্নালে এক প্রবন্ধে তাঁরা বলেন, ‘তুরস্কের প্রতিরক্ষাশিল্প ক্রমশ উন্নতি করছে। দেশটি প্রতিরক্ষাশিল্পে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে মূলত বৈদেশিক শক্তির ওপর নির্ভরতা কমানো, বিশ্ববাজারে লেনদেন বাড়ানো, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করা এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে উন্নত প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে দর-কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।’
টি৯২৯ হেলিকপ্টারে যা যা আছে
সম্প্রতি তুর্কি অ্যারোস্পেস (টিএ) ও তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থা ‘টি৯২৯ এটিএকে ২’ হেলিকপ্টারটি উদ্বোধন করেছে। এটি তুরস্কের টি-১২৯ হেলিকপ্টারের আধুনিক ও বৃহত্তর সংস্করণ বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষাবিষয়ক বৈশ্বিক তথ্য সংস্থা জেনস।
হেলিকপ্টারটির ভেতরে বড় ধরনের প্রদর্শনী এলাকা রয়েছে। এর ককপিট দশমিক ৫০ ক্যালিবার রাউন্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো অস্ত্র সজ্জিত করা। হেলিকপ্টারটির স্টাব উইংস ১ হাজার ২০০ কিলোগ্রাম ওজনের কামান এবং ভূমি থেকে ভূমিতে ও ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।
হেলিকপ্টারটি ইউক্রেনীয় মোটর সিচ টিভি-৩-১১৭ ভিএমএ-এসভিএম১ভি সিরিজ-১-এর মাধ্যমে চলবে। হেলিকপ্টারটি তৈরি করেছে তুসাস ইন্ডাস্ট্রিজ।
এ ধরনের অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ারও রয়েছে। তাদের তুলনায় তুরস্কের হেলিকপ্টারটি কিছুটা ছোট। সক্ষমতার দিক থেকেও তুরস্কের হেলিকপ্টারটি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে।
প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সফরেপ গত বছরের আগস্টে এক নিবন্ধে জানিয়েছে, তুরস্কের টি৯২৯ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারে।
টি৯২৯ হেলিকপ্টারের অনুরূপ হেলিকপ্টার রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, যার নাম এএইচ-৬৪। সফরেফ জানিয়েছে, এটি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে। তবে অস্ত্র বহনের দিক থেকে দুটি হেলিকপ্টার প্রায় সমান সক্ষমতাসম্পন্ন। টি৯২৯ হেলিকপ্টারটি ৮টি দূরপাল্লার ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ৭৬টি রকেট, ১৬টি সিরিট ক্ষেপণাস্ত্র ও ৮টি আকাশ থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।
এশিয়া টাইমস থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে গত শনিবার দিবাগত রাতে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলা সফল হয়েছে বলে দাবি করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ইরান জানায়, এই মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি
৯ মিনিট আগেইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরলভাবে কোনো শক্তির পক্ষ নেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমার পুতিন। সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের মূল অধিবেশনে এ ইস্যুতে রাশিয়ার অবস্থান তুলে ধরেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তাঁর ভাষ্য—রাশিয়ার সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ এবং ঐতিহাসিক।
১৩ মিনিট আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আকস্মিক সামরিক হামলার পর তার ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ (এমএজিএ) শিবিরের রক্ষণশীল গণমাধ্যম ও প্রভাবশালী মহলে বিভেদ দেখা দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, এই হামলা জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন এবং মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান উত্তেজনার জন্য ইসরায়েলের ‘অবিরাম যুদ্ধবাজ পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক সম্প্রসারণ’ দায়ী।
২ ঘণ্টা আগে