চীনের পিপলস লিবারেল আর্মি (পিএলএ) ভারত সীমান্তে একটি দূরপাল্লার এইচ-৬কে বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। ভারতীয় সেনারা শীতের সময় যেন কোনো উত্তেজনা তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১ নভেম্বর পিএলএর ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় চ্যানেল চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনে একটি ফুটেজ সম্প্রচার করা হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পর্বতের ওপর দিয়ে এইচ-৬কে বোমারু বিমান উড়ে যাচ্ছে, যার গতিপথ হিমালয়ের দিকে। বোমারু বিমানটি স্বল্প দূরত্বের কেডি-৬৩ মিসাইল দ্বারা সজ্জিত। এর মধ্যে দূরপাল্লার সিজে-২০ ক্রুজ মিসাইল নেই।
বেইজিং-ভিত্তিক একটি সামরিক সূত্র জানিয়েছে, এইচ-৬কে বোমারু বিমান শানসি প্রদেশে ছিল। তবে গত বছর থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে জিনজিয়াংয়ের প্রতিবেশী পশ্চিমাঞ্চলের কাশগরে অবস্থান করছে এটি।
বিমানটি ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের অধীনে ছিল। এর মধ্যে জিনজিয়াং এবং তিব্বতের সামরিক জেলা রয়েছে এবং ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, 'পিপলস লিবারেল আর্মির পক্ষে চীন-ভারত সীমান্তে এইচ-৬কে উড্ডয়ন করা খুব সহজ। কারণ, যুদ্ধবিমানটি ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের অধীনে...।’
এটা ৩৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গায় যুদ্ধ, এইচ-৬কে স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পাশাপাশি কেডি-৬৩ এর মতো স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য দীর্ঘ-পাল্লার সিজে-২০ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
ম্যাকাও-ভিত্তিক সামরিক পর্যবেক্ষক অ্যান্টনি ওং টং সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেন, বোমারু বিমান মোতায়েন অবশ্যই ভারতের জন্য একটি ‘সতর্ক বার্তা’। তিনি বলেন, ‘নয়া দিল্লি এইচ-৬কে এর পাল্লার মধ্যে এবং সিজে-২০ এর স্ট্রাইকিং রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে।’
তবে সামরিক বক্তা সং ঝোংপিং বলছেন, ভারতের রাজধানীতে পিএলএর মনোযোগ কম। কিন্তু দেশের বিমান ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সাইট এবং সীমান্তের কাছাকাছি অন্য সামরিক পোস্টগুলোতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে তারা।
পিএলএ আর্টিলারি কর্পসের এক প্রাক্তন প্রশিক্ষক সং বলেছেন, ‘চীন বেসামরিক এলাকায় আক্রমণ করবে না। তাই রাজধানী সীমান্তের বেশ কাছাকাছি হলেও দিল্লিকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে না।’
বেইজিংয়ের ইউয়ান ওয়াং মিলিটারি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের গবেষক ঝুউ চেনমিং বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দূরপাল্লার সিজে-২০ এর ছবি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, 'এটি পিএলএর পক্ষ থেকে একটি সতর্কতা। সিসিটিভিতে ইচ্ছাকৃতভাবে শক্তিশালী সিজে-২০সহ এইচ-৬কে এর ফুটেজ অন্তর্ভুক্ত করেনি। চীন আশা করে, সীমান্ত সংঘাত আর বাড়বে না। এই শীতে করোনভাইরাস মহামারি আরও খারাপ হতে পারে বলেও মনে করছে চীন।’
পিএলএ বোমারু বিমান মোতায়েনের প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় বিমানবাহিনী মিগ-২৯ ইউপিজি এবং এসইউ-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানগুলো লাদাখ, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশে তাদের বিমানঘাঁটিতে পাঠিয়েছে। দুটি দেশের বিতর্কিত সীমান্ত বরাবর তিনটি প্রধান বিরোধপূর্ণ এলাকায় এ যুদ্ধবিমানগুলো পাঠানো হয়েছে বলে ভারতের গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
গত ১০ অক্টোবর সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে আরেক দফা আলোচনা ভেস্তা যাওয়ার পর থেকে চীন ও ভারত তাদের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে। উভয় দেশই একে অন্যকে দোষারোপ করছে।
কমান্ডার-পর্যায়ের আলোচনা ২০২০ সালের মে মাসে শুরু হয়েছিল, যখন নিয়ন্ত্রণরেখার একাধিক স্থানে প্রথম সংঘর্ষ শুরু হয়। একই বছরের জুনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় কমপক্ষে দুই ডজন সেনা নিহত হওয়ার পর সামরিক উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরে অবশ্য বিষয়টির মীমাংসা হয়। এবার যেন তেমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আগে থেকেই ভারতকে সতর্ক করতে চাইছে চীন। তবে সতর্ক করার এই পন্থাও নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
চীনের পিপলস লিবারেল আর্মি (পিএলএ) ভারত সীমান্তে একটি দূরপাল্লার এইচ-৬কে বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। ভারতীয় সেনারা শীতের সময় যেন কোনো উত্তেজনা তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১ নভেম্বর পিএলএর ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় চ্যানেল চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনে একটি ফুটেজ সম্প্রচার করা হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পর্বতের ওপর দিয়ে এইচ-৬কে বোমারু বিমান উড়ে যাচ্ছে, যার গতিপথ হিমালয়ের দিকে। বোমারু বিমানটি স্বল্প দূরত্বের কেডি-৬৩ মিসাইল দ্বারা সজ্জিত। এর মধ্যে দূরপাল্লার সিজে-২০ ক্রুজ মিসাইল নেই।
বেইজিং-ভিত্তিক একটি সামরিক সূত্র জানিয়েছে, এইচ-৬কে বোমারু বিমান শানসি প্রদেশে ছিল। তবে গত বছর থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে জিনজিয়াংয়ের প্রতিবেশী পশ্চিমাঞ্চলের কাশগরে অবস্থান করছে এটি।
বিমানটি ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের অধীনে ছিল। এর মধ্যে জিনজিয়াং এবং তিব্বতের সামরিক জেলা রয়েছে এবং ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, 'পিপলস লিবারেল আর্মির পক্ষে চীন-ভারত সীমান্তে এইচ-৬কে উড্ডয়ন করা খুব সহজ। কারণ, যুদ্ধবিমানটি ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের অধীনে...।’
এটা ৩৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গায় যুদ্ধ, এইচ-৬কে স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পাশাপাশি কেডি-৬৩ এর মতো স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য দীর্ঘ-পাল্লার সিজে-২০ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
ম্যাকাও-ভিত্তিক সামরিক পর্যবেক্ষক অ্যান্টনি ওং টং সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেন, বোমারু বিমান মোতায়েন অবশ্যই ভারতের জন্য একটি ‘সতর্ক বার্তা’। তিনি বলেন, ‘নয়া দিল্লি এইচ-৬কে এর পাল্লার মধ্যে এবং সিজে-২০ এর স্ট্রাইকিং রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে।’
তবে সামরিক বক্তা সং ঝোংপিং বলছেন, ভারতের রাজধানীতে পিএলএর মনোযোগ কম। কিন্তু দেশের বিমান ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সাইট এবং সীমান্তের কাছাকাছি অন্য সামরিক পোস্টগুলোতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে তারা।
পিএলএ আর্টিলারি কর্পসের এক প্রাক্তন প্রশিক্ষক সং বলেছেন, ‘চীন বেসামরিক এলাকায় আক্রমণ করবে না। তাই রাজধানী সীমান্তের বেশ কাছাকাছি হলেও দিল্লিকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে না।’
বেইজিংয়ের ইউয়ান ওয়াং মিলিটারি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের গবেষক ঝুউ চেনমিং বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দূরপাল্লার সিজে-২০ এর ছবি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, 'এটি পিএলএর পক্ষ থেকে একটি সতর্কতা। সিসিটিভিতে ইচ্ছাকৃতভাবে শক্তিশালী সিজে-২০সহ এইচ-৬কে এর ফুটেজ অন্তর্ভুক্ত করেনি। চীন আশা করে, সীমান্ত সংঘাত আর বাড়বে না। এই শীতে করোনভাইরাস মহামারি আরও খারাপ হতে পারে বলেও মনে করছে চীন।’
পিএলএ বোমারু বিমান মোতায়েনের প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় বিমানবাহিনী মিগ-২৯ ইউপিজি এবং এসইউ-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানগুলো লাদাখ, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশে তাদের বিমানঘাঁটিতে পাঠিয়েছে। দুটি দেশের বিতর্কিত সীমান্ত বরাবর তিনটি প্রধান বিরোধপূর্ণ এলাকায় এ যুদ্ধবিমানগুলো পাঠানো হয়েছে বলে ভারতের গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
গত ১০ অক্টোবর সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে আরেক দফা আলোচনা ভেস্তা যাওয়ার পর থেকে চীন ও ভারত তাদের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে। উভয় দেশই একে অন্যকে দোষারোপ করছে।
কমান্ডার-পর্যায়ের আলোচনা ২০২০ সালের মে মাসে শুরু হয়েছিল, যখন নিয়ন্ত্রণরেখার একাধিক স্থানে প্রথম সংঘর্ষ শুরু হয়। একই বছরের জুনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় কমপক্ষে দুই ডজন সেনা নিহত হওয়ার পর সামরিক উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরে অবশ্য বিষয়টির মীমাংসা হয়। এবার যেন তেমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আগে থেকেই ভারতকে সতর্ক করতে চাইছে চীন। তবে সতর্ক করার এই পন্থাও নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ১০০ দিন হলো। সম্প্রতি তিনি বেশ জমকালোভাবেই তাঁর ১০০তম দিন পূর্তি উদ্যাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই তাঁকে ‘থামাতে পারবে না।’
৩০ মিনিট আগেএকজন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা সম্প্রতি ভারতে একটি পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে থ্রি–কোয়ার্টার পরার কারণে এক যুবককে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে একটি ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এরপরই এ নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেগত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেমকাকে মূলত ‘লো–প্রোফাইল’ বা কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত দপ্তরগুলোতেই পদায়ন করা হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি চারবার শুধু রাজ্য সরকারের আর্কাইভস দপ্তরেই কাজ করেছে। চারবারের তিনবারই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে।
১ ঘণ্টা আগেজম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত এবং পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য বন্ধ। কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিন্দু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত, অপর দিকে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে পাকিস্তান।
৩ ঘণ্টা আগে