Ajker Patrika

ভাড়ায় চালাতে ২৫ কোটি টাকায় গাড়ি, এক ট্রিপেই আয় ৮৫ হাজার টাকা!

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ৫৯
মার্সিডিজ-মেব্যাক গাড়িতে যাত্রী বহনের কাজ করেন ইউয়ান। ছবি: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
মার্সিডিজ-মেব্যাক গাড়িতে যাত্রী বহনের কাজ করেন ইউয়ান। ছবি: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

চীনের উত্তরাঞ্চলের হেনান প্রদেশের বাসিন্দা ইউয়ান। ৩০ বছর বয়সী এই তরুণ সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সাড়ে ২৫ কোটি টাকা দিয়ে কেনা মার্সিডিজ-মেব্যাক গাড়ি রাইড-হেইলিং অর্থাৎ, ভাড়ায় যাত্রী বহনের কাজ শুরু করে। এক ট্রিপে তাঁর বর্তমান আয় প্রায় ৮৫ হাজার টাকা। ইন্টারনেটে তাঁর এই বিলাসবহুল গাড়ি দিয়ে যাত্রী বহন বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউয়ান প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা) খরচ করে বিলাসবহুল গাড়িটি কিনেছেন। একটি যাত্রা থেকে তিনি ৭০০ ডলারেরও বেশি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ হাজার ২০০ টাকা) আয় করেন।

ইউয়ান তাঁর এই বিলাসবহুল গাড়ি চালানোর দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। তাঁর ‘ওল্ড ইউয়ান ড্রাইভস এ মেব্যাক ফর রাইড-হেইলিং’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট আছে, যেখানে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ তাঁর অনুসারী।

ইউয়ান ২০১৯ সাল থেকে বেইজিংয়ে বিলাসবহুল রাইড-হেইলিং গাড়ি চালান। গত বছরের নভেম্বরে তিনি মেব্যাক গাড়িটি কিনে সেটির মাধ্যমে যাত্রী বহনের কাজ করছেন। এরপর থেকে তাঁর যাত্রা ও ‘গাড়ি কেনার টাকা উসুল’ করার অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবাইকে জানাচ্ছেন।

তিনি ভিডিওতে বলেন, ‘বিলাসবহুল মেব্যাক রাইড-হেইলিং করা শুধু আমার চাকরি নয়, এটাই আমার জীবিকা। বর্তমানে এই মেব্যাক মডেলটি শুধু বেইজিং ও সাংহাইতেই রাইড-হেইলিংয়ের জন্য নির্দিষ্টভাবে অর্ডার নেওয়া হয়।’

হাইবাও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউয়ান জানান, তিনি গাড়িটির জন্য ৯৩ হাজার ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা) ডাউন পেমেন্ট করেছেন, যার মধ্যে ৬৮ হাজার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৩ লাখ টাকা) ছিল গত ছয় বছরে রাইড-হেইলিং করে সঞ্চয় করা অর্থ। বাকি অর্থ তিনি পাঁচ বছরের লোন নিয়ে পূরণ করেন, যার জন্য প্রতি মাসে তাঁকে ২ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা) কিস্তি দিতে হয়।

ইউয়ান জানান, তিনি মানের ওপর জোর দেন। তাঁর রাইড-হেইলিংয়ে উচ্চমানের, প্রি-বুকড ক্লায়েন্টদের সেবা দেওয়া হয়। মাসে গড়ে ৪০টি অর্ডার নিয়ে থাকেন। কখনো কখনো একটি যাত্রা থেকেই তিনি ৮৫ হাজার টাকার বেশি আয় করেন। খরচ থাকা সত্ত্বেও, তিনি দাবি করেন যে তিনি প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা) সঞ্চয় করেন। পাশাপাশি নিজের আরামদায়ক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার প্রতি মাসে জ্বালানির খরচ প্রায় ৩ হাজার ইউয়ান। খাবারের জন্য ২ হাজার থেকে ৩ হাজার ইউয়ান খরচ হয়, আর ভাড়া ৪ হাজার ৫০০ ইউয়ান। তবু কিছু সঞ্চয় থেকে যায়। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো—মাত্র ৩০ বছর বয়সেই আমি মেব্যাক চালাচ্ছি এবং মাসে প্রায় ১০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করতে পারছি।’

ইউয়ানের এই গল্প অনলাইনে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘সে কি ধনী, না গরিব? যদি ধনী হয়, তাহলে এখনো রাইড-হেইলিং করছে কেন? আর যদি ধনী না হয়, তাহলে সে কীভাবে মেব্যাক চালাচ্ছে?’

আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি সবে এস-ক্লাস মার্সিডিজের ভাড়ার হিসাব দেখলাম, মাত্র ৫.৫ কিমি যাওয়ার জন্য প্রায় ৩০০ ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার টাকা)। তাহলে কে মেব্যাক ডাকছে? আমি নিশ্চিত নই, জীবনে কখনো মেব্যাকে চড়ার সুযোগ পাব কিনা!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বাসায় নিয়ে গায়েব করেন উপদেষ্টা— আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের মেয়রের অভিযোগ

চীনা যুদ্ধবিমান থেকে এলএস-৬ বোমা ফেলে কেন নিজ দেশে ‘হত্যাযজ্ঞ’ চালাল পাকিস্তান

ফিলিস্তিনকে আজই রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে আরও ৬ দেশ, বিরোধিতা ইসরায়েল–যুক্তরাষ্ট্রের

ভবদহের দুঃখ ঘোচাতে আসছে সেনাবাহিনী, খনন করবে ৫ নদ-নদীর ৮১.৫ কিমি

ধর্ষণের শিকার শিশুর স্বজনকে মারতে উদ্যত হওয়া সেই চিকিৎসক বরখাস্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত