অনলাইন ডেস্ক
ভূমিকম্পের পর ত্রাণ কার্যক্রম সহজ করতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। গত ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের পর থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে সামরিক বাহিনী কমপক্ষে ১৪টি আক্রমণ চালিয়েছে। অন্যদিকে সামরিক জান্তা দাবি করেছে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকারী জোটের দুটি বিদ্রোহী গ্রুপ আক্রমণ চালিয়েছে। কিন্তু একটি বিদ্রোহী গ্রুপ জানিয়েছে, সামরিক বাহিনীর ‘আক্রমণের জবাবে’ তারা যুদ্ধে জড়িয়েছে।
সামরিক পরিষদের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন টুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি অকারণে সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ করা হয়, আমরা তার জবাব দেব।’ তবে সেনাবাহিনীর কোনো মুখপাত্র জেনারেল জাও বিবিসি বার্মিজের অনুরোধে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ এবং ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং মানবিক সংস্থাগুলোর অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিয়ানমারে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জান্তা এবং দেশজুড়ে নৃগোষ্ঠীভিত্তিক মিলিশিয়া ও প্রতিরোধ বাহিনীর মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছে। তিনটি বিদ্রোহী গ্রুপের জোট যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ২ এপ্রিল সামরিক পরিষদ ২০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৫৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ৫ হাজার ১২ জন আহত হয়েছে এবং ২১০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পরও উদ্ধারকর্মীরা মান্দালয়ের ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এদিকে সপ্তাহান্তে বৃষ্টির কারণে ত্রাণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সাহায্য সংস্থাগুলো।
শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, যেসব এলাকায় প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে, সেখানে সামগ্রিকভাবে উদ্ধারকাজ এগিয়েছে। কিন্তু সামরিক বাহিনীর দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে বহু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুটা সহায়তা করতে পেরেছেন, তা ছাড়া জরুরি সাহায্য পৌঁছানো যায়নি।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কর্মকর্তা টম ফ্লেচার শনিবার মান্দালয়ে ধারণ করা এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘এখানে মানুষের খাদ্য প্রয়োজন, পানি প্রয়োজন। বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনতে হবে। তারা আমাকে বলছে, তাদের আশ্রয় প্রয়োজন।’
এ ছাড়া সপ্তাহান্তে আবারও ৪ দশমিক ৯ মাত্রার একটি আফটার শক রেকর্ড করা হয়েছে। টম ফ্লেচার জানান, এখানে মানুষ এ আতঙ্ক নিয়ে বেঁচে আছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এসে যে পরিস্থিতি দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে, ভূমিকম্পের আগে মিয়ানমারের প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন ছিল।’
টম ফ্লেচার বলেন, ‘সব মিলিয়ে মিয়ানমারে এখন একটি জটিল সংকট চলছে। প্রথমত ভূমিকম্প; দ্বিতীয়ত সংঘাত, তার ওপর বিদ্যমান বিশাল চাহিদা। আমরা এখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি।’
ভূমিকম্পের পর ত্রাণ কার্যক্রম সহজ করতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। গত ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের পর থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে সামরিক বাহিনী কমপক্ষে ১৪টি আক্রমণ চালিয়েছে। অন্যদিকে সামরিক জান্তা দাবি করেছে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকারী জোটের দুটি বিদ্রোহী গ্রুপ আক্রমণ চালিয়েছে। কিন্তু একটি বিদ্রোহী গ্রুপ জানিয়েছে, সামরিক বাহিনীর ‘আক্রমণের জবাবে’ তারা যুদ্ধে জড়িয়েছে।
সামরিক পরিষদের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন টুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি অকারণে সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ করা হয়, আমরা তার জবাব দেব।’ তবে সেনাবাহিনীর কোনো মুখপাত্র জেনারেল জাও বিবিসি বার্মিজের অনুরোধে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ এবং ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং মানবিক সংস্থাগুলোর অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিয়ানমারে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জান্তা এবং দেশজুড়ে নৃগোষ্ঠীভিত্তিক মিলিশিয়া ও প্রতিরোধ বাহিনীর মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছে। তিনটি বিদ্রোহী গ্রুপের জোট যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ২ এপ্রিল সামরিক পরিষদ ২০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৫৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ৫ হাজার ১২ জন আহত হয়েছে এবং ২১০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পরও উদ্ধারকর্মীরা মান্দালয়ের ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এদিকে সপ্তাহান্তে বৃষ্টির কারণে ত্রাণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সাহায্য সংস্থাগুলো।
শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, যেসব এলাকায় প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে, সেখানে সামগ্রিকভাবে উদ্ধারকাজ এগিয়েছে। কিন্তু সামরিক বাহিনীর দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে বহু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুটা সহায়তা করতে পেরেছেন, তা ছাড়া জরুরি সাহায্য পৌঁছানো যায়নি।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কর্মকর্তা টম ফ্লেচার শনিবার মান্দালয়ে ধারণ করা এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘এখানে মানুষের খাদ্য প্রয়োজন, পানি প্রয়োজন। বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনতে হবে। তারা আমাকে বলছে, তাদের আশ্রয় প্রয়োজন।’
এ ছাড়া সপ্তাহান্তে আবারও ৪ দশমিক ৯ মাত্রার একটি আফটার শক রেকর্ড করা হয়েছে। টম ফ্লেচার জানান, এখানে মানুষ এ আতঙ্ক নিয়ে বেঁচে আছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এসে যে পরিস্থিতি দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে, ভূমিকম্পের আগে মিয়ানমারের প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন ছিল।’
টম ফ্লেচার বলেন, ‘সব মিলিয়ে মিয়ানমারে এখন একটি জটিল সংকট চলছে। প্রথমত ভূমিকম্প; দ্বিতীয়ত সংঘাত, তার ওপর বিদ্যমান বিশাল চাহিদা। আমরা এখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি।’
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৪ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৪ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৪ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৪ ঘণ্টা আগে