আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) ব্যাটারি তৈরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় বেশ কিছু প্রযুক্তিসহ লিথিয়াম প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির ওপর নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে চীন। এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক গাড়ির বৈশ্বিক শিল্পে চীনের নেতৃত্ব আরও সুসংহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে—এই নিয়ন্ত্রণ আরোপের ফলে তালিকাভুক্ত প্রযুক্তিগুলোর বিদেশে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনপত্র প্রয়োজন হবে। এর আগে গত তিন মাসে বিরল খনিজ ও সেগুলোর চুম্বকীয় উপাদানগুলোর ওপরও একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল চীন।
বিশ্বজুড়ে ইভি ব্যাটারির বাজারে চীনা কোম্পানিগুলোর দখল প্রায় ৬৭ শতাংশ। এসএনই রিসার্চ-এর তথ্য অনুসারে, চীনের ইভি ব্যাটারি উৎপাদনশীলতা ও সরবরাহ চেইনের পরিপূর্ণতা বিশ্বজুড়ে গাড়ি নির্মাতাদের আকৃষ্ট করেছে।
তবে নতুন নিয়ন্ত্রণের ফলে চীনা ইভি নির্মাতাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বাজারগুলো চীনা গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপ করছে, যেন তারা সেখানেই উৎপাদন স্থাপন করতে বাধ্য হয়। এ অবস্থায় অনেক চীনা ব্যাটারি প্রস্তুতকারক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করতে চাচ্ছে।
চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, এই পদক্ষেপ তাদের জাতীয় অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতা উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্লেষক লিজ লি মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত প্রযুক্তিগত বিচ্ছিন্নতাকে শুধু কাঁচামালেই নয়, বরং প্রক্রিয়াগত মেধাস্বত্বেও বিস্তৃত করছে। এর ফলে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের কাঁচামাল ও ধাতব পরিশোধন সক্ষমতা গড়ে তোলার চেষ্টাও বাড়বে।
বিশ্বের বৃহত্তম ব্যাটারি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান চীনের সিএটিএল। এই প্রতিষ্ঠানের তৈরি ব্যাটারির গ্রাহকদের মধ্যে টেসলা অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে জার্মানি ও হাঙ্গেরিতে নিজস্ব প্ল্যান্ট পরিচালনা করছে। এ ছাড়া স্পেনে স্টেলান্টিস-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। আবার মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড-এর জন্য মিশিগানে নির্মাণাধীন একটি ব্যাটারি প্ল্যান্টেও তারা প্রযুক্তি সরবরাহ করছে।
অন্যদিকে, চীনা গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি ২০২৪ সালে টেসলাকে ছাড়িয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রয়ে বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এবং হাঙ্গেরি, থাইল্যান্ড, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। ‘গোশান’ নামে আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ে একটি প্ল্যান্ট নির্মাণের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
এ অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি প্রযুক্তি রপ্তানিতে চীনের নিয়ন্ত্রণ আরোপ কী প্রভাব ফেলবে তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। তবে বিশ্লেষকেরা এটাও ধারণা করছেন, এই নিয়ন্ত্রণের বেশির ভাগই আপস্ট্রিম প্রক্রিয়া প্রযুক্তির ওপর, ব্যাটারি সেল বা মডিউল উৎপাদনের ওপর নয়। সিএটিএল বা বিওয়াইডি-এর বর্তমান বিদেশি কার্যক্রমে তাৎক্ষণিক কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন নিয়ন্ত্রণে মূলত লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারির ক্যাথোড প্রযুক্তি এবং লিথিয়াম পরিশোধন ও নিষ্কাশনের প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফাস্টমার্কেটস-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে লিথিয়াম আয়রন ফসফেট উৎপাদনের ৯৪ শতাংশ এবং প্রক্রিয়াজাত লিথিয়ামের ৭০ শতাংশই চীন সরবরাহ করে।
লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারির কম খরচ এবং উচ্চ নিরাপত্তা একে সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোতে জনপ্রিয় করেছে। যদিও এই ব্যাটারির শক্তি ঘনত্ব কিছুটা কম, তবুও ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতারাও ধীরে ধীরে এটি গ্রহণ করছে।
চীনের বিওয়াইডি-এর সুপার ই-প্ল্যাটফর্ম মাত্র পাঁচ মিনিটে ২৫০ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করার চার্জ সক্ষমতা দেখিয়ে টেসলার সুপারচার্জারকে ছাড়িয়ে গেছে। সিএটিএল-ও আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে একই সময়ে ৩২০ মাইল রেঞ্জ দিতে সক্ষম একটি লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি পণ্য উন্মোচন করেছে।
বিশ্লেষকেরা মত দিয়েছেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি প্রযুক্তি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত আধিপত্য রক্ষার পাশাপাশি, বিশ্বে নিজের শক্তি আরও মজবুত করার কৌশল নিয়েছে চীন। তবে এর বাস্তবিক প্রভাব সময় যত গড়াবে তত স্পষ্ট হবে।

বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) ব্যাটারি তৈরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় বেশ কিছু প্রযুক্তিসহ লিথিয়াম প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির ওপর নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে চীন। এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক গাড়ির বৈশ্বিক শিল্পে চীনের নেতৃত্ব আরও সুসংহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে—এই নিয়ন্ত্রণ আরোপের ফলে তালিকাভুক্ত প্রযুক্তিগুলোর বিদেশে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনপত্র প্রয়োজন হবে। এর আগে গত তিন মাসে বিরল খনিজ ও সেগুলোর চুম্বকীয় উপাদানগুলোর ওপরও একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল চীন।
বিশ্বজুড়ে ইভি ব্যাটারির বাজারে চীনা কোম্পানিগুলোর দখল প্রায় ৬৭ শতাংশ। এসএনই রিসার্চ-এর তথ্য অনুসারে, চীনের ইভি ব্যাটারি উৎপাদনশীলতা ও সরবরাহ চেইনের পরিপূর্ণতা বিশ্বজুড়ে গাড়ি নির্মাতাদের আকৃষ্ট করেছে।
তবে নতুন নিয়ন্ত্রণের ফলে চীনা ইভি নির্মাতাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বাজারগুলো চীনা গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপ করছে, যেন তারা সেখানেই উৎপাদন স্থাপন করতে বাধ্য হয়। এ অবস্থায় অনেক চীনা ব্যাটারি প্রস্তুতকারক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করতে চাচ্ছে।
চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, এই পদক্ষেপ তাদের জাতীয় অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতা উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্লেষক লিজ লি মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত প্রযুক্তিগত বিচ্ছিন্নতাকে শুধু কাঁচামালেই নয়, বরং প্রক্রিয়াগত মেধাস্বত্বেও বিস্তৃত করছে। এর ফলে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের কাঁচামাল ও ধাতব পরিশোধন সক্ষমতা গড়ে তোলার চেষ্টাও বাড়বে।
বিশ্বের বৃহত্তম ব্যাটারি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান চীনের সিএটিএল। এই প্রতিষ্ঠানের তৈরি ব্যাটারির গ্রাহকদের মধ্যে টেসলা অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে জার্মানি ও হাঙ্গেরিতে নিজস্ব প্ল্যান্ট পরিচালনা করছে। এ ছাড়া স্পেনে স্টেলান্টিস-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। আবার মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড-এর জন্য মিশিগানে নির্মাণাধীন একটি ব্যাটারি প্ল্যান্টেও তারা প্রযুক্তি সরবরাহ করছে।
অন্যদিকে, চীনা গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি ২০২৪ সালে টেসলাকে ছাড়িয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রয়ে বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এবং হাঙ্গেরি, থাইল্যান্ড, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। ‘গোশান’ নামে আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ে একটি প্ল্যান্ট নির্মাণের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
এ অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি প্রযুক্তি রপ্তানিতে চীনের নিয়ন্ত্রণ আরোপ কী প্রভাব ফেলবে তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। তবে বিশ্লেষকেরা এটাও ধারণা করছেন, এই নিয়ন্ত্রণের বেশির ভাগই আপস্ট্রিম প্রক্রিয়া প্রযুক্তির ওপর, ব্যাটারি সেল বা মডিউল উৎপাদনের ওপর নয়। সিএটিএল বা বিওয়াইডি-এর বর্তমান বিদেশি কার্যক্রমে তাৎক্ষণিক কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন নিয়ন্ত্রণে মূলত লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারির ক্যাথোড প্রযুক্তি এবং লিথিয়াম পরিশোধন ও নিষ্কাশনের প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফাস্টমার্কেটস-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে লিথিয়াম আয়রন ফসফেট উৎপাদনের ৯৪ শতাংশ এবং প্রক্রিয়াজাত লিথিয়ামের ৭০ শতাংশই চীন সরবরাহ করে।
লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারির কম খরচ এবং উচ্চ নিরাপত্তা একে সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোতে জনপ্রিয় করেছে। যদিও এই ব্যাটারির শক্তি ঘনত্ব কিছুটা কম, তবুও ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতারাও ধীরে ধীরে এটি গ্রহণ করছে।
চীনের বিওয়াইডি-এর সুপার ই-প্ল্যাটফর্ম মাত্র পাঁচ মিনিটে ২৫০ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করার চার্জ সক্ষমতা দেখিয়ে টেসলার সুপারচার্জারকে ছাড়িয়ে গেছে। সিএটিএল-ও আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে একই সময়ে ৩২০ মাইল রেঞ্জ দিতে সক্ষম একটি লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি পণ্য উন্মোচন করেছে।
বিশ্লেষকেরা মত দিয়েছেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি প্রযুক্তি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত আধিপত্য রক্ষার পাশাপাশি, বিশ্বে নিজের শক্তি আরও মজবুত করার কৌশল নিয়েছে চীন। তবে এর বাস্তবিক প্রভাব সময় যত গড়াবে তত স্পষ্ট হবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) ব্যাটারি তৈরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় বেশ কিছু প্রযুক্তিসহ লিথিয়াম প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির ওপর নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে চীন। এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক গাড়ির বৈশ্বিক শিল্পে চীনের নেতৃত্ব আরও সুসংহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে—এই নিয়ন্ত্রণ আরোপের ফলে তালিকাভুক্ত প্রযুক্তিগুলোর বিদেশে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনপত্র প্রয়োজন হবে। এর আগে গত তিন মাসে বিরল খনিজ ও সেগুলোর চুম্বকীয় উপাদানগুলোর ওপরও একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল চীন।
বিশ্বজুড়ে ইভি ব্যাটারির বাজারে চীনা কোম্পানিগুলোর দখল প্রায় ৬৭ শতাংশ। এসএনই রিসার্চ-এর তথ্য অনুসারে, চীনের ইভি ব্যাটারি উৎপাদনশীলতা ও সরবরাহ চেইনের পরিপূর্ণতা বিশ্বজুড়ে গাড়ি নির্মাতাদের আকৃষ্ট করেছে।
তবে নতুন নিয়ন্ত্রণের ফলে চীনা ইভি নির্মাতাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বাজারগুলো চীনা গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপ করছে, যেন তারা সেখানেই উৎপাদন স্থাপন করতে বাধ্য হয়। এ অবস্থায় অনেক চীনা ব্যাটারি প্রস্তুতকারক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করতে চাচ্ছে।
চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, এই পদক্ষেপ তাদের জাতীয় অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতা উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্লেষক লিজ লি মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত প্রযুক্তিগত বিচ্ছিন্নতাকে শুধু কাঁচামালেই নয়, বরং প্রক্রিয়াগত মেধাস্বত্বেও বিস্তৃত করছে। এর ফলে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের কাঁচামাল ও ধাতব পরিশোধন সক্ষমতা গড়ে তোলার চেষ্টাও বাড়বে।
বিশ্বের বৃহত্তম ব্যাটারি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান চীনের সিএটিএল। এই প্রতিষ্ঠানের তৈরি ব্যাটারির গ্রাহকদের মধ্যে টেসলা অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে জার্মানি ও হাঙ্গেরিতে নিজস্ব প্ল্যান্ট পরিচালনা করছে। এ ছাড়া স্পেনে স্টেলান্টিস-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। আবার মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড-এর জন্য মিশিগানে নির্মাণাধীন একটি ব্যাটারি প্ল্যান্টেও তারা প্রযুক্তি সরবরাহ করছে।
অন্যদিকে, চীনা গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি ২০২৪ সালে টেসলাকে ছাড়িয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রয়ে বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এবং হাঙ্গেরি, থাইল্যান্ড, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। ‘গোশান’ নামে আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ে একটি প্ল্যান্ট নির্মাণের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
এ অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি প্রযুক্তি রপ্তানিতে চীনের নিয়ন্ত্রণ আরোপ কী প্রভাব ফেলবে তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। তবে বিশ্লেষকেরা এটাও ধারণা করছেন, এই নিয়ন্ত্রণের বেশির ভাগই আপস্ট্রিম প্রক্রিয়া প্রযুক্তির ওপর, ব্যাটারি সেল বা মডিউল উৎপাদনের ওপর নয়। সিএটিএল বা বিওয়াইডি-এর বর্তমান বিদেশি কার্যক্রমে তাৎক্ষণিক কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন নিয়ন্ত্রণে মূলত লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারির ক্যাথোড প্রযুক্তি এবং লিথিয়াম পরিশোধন ও নিষ্কাশনের প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফাস্টমার্কেটস-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে লিথিয়াম আয়রন ফসফেট উৎপাদনের ৯৪ শতাংশ এবং প্রক্রিয়াজাত লিথিয়ামের ৭০ শতাংশই চীন সরবরাহ করে।
লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারির কম খরচ এবং উচ্চ নিরাপত্তা একে সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোতে জনপ্রিয় করেছে। যদিও এই ব্যাটারির শক্তি ঘনত্ব কিছুটা কম, তবুও ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতারাও ধীরে ধীরে এটি গ্রহণ করছে।
চীনের বিওয়াইডি-এর সুপার ই-প্ল্যাটফর্ম মাত্র পাঁচ মিনিটে ২৫০ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করার চার্জ সক্ষমতা দেখিয়ে টেসলার সুপারচার্জারকে ছাড়িয়ে গেছে। সিএটিএল-ও আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে একই সময়ে ৩২০ মাইল রেঞ্জ দিতে সক্ষম একটি লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি পণ্য উন্মোচন করেছে।
বিশ্লেষকেরা মত দিয়েছেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি প্রযুক্তি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত আধিপত্য রক্ষার পাশাপাশি, বিশ্বে নিজের শক্তি আরও মজবুত করার কৌশল নিয়েছে চীন। তবে এর বাস্তবিক প্রভাব সময় যত গড়াবে তত স্পষ্ট হবে।

বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) ব্যাটারি তৈরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় বেশ কিছু প্রযুক্তিসহ লিথিয়াম প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির ওপর নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে চীন। এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক গাড়ির বৈশ্বিক শিল্পে চীনের নেতৃত্ব আরও সুসংহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে—এই নিয়ন্ত্রণ আরোপের ফলে তালিকাভুক্ত প্রযুক্তিগুলোর বিদেশে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনপত্র প্রয়োজন হবে। এর আগে গত তিন মাসে বিরল খনিজ ও সেগুলোর চুম্বকীয় উপাদানগুলোর ওপরও একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল চীন।
বিশ্বজুড়ে ইভি ব্যাটারির বাজারে চীনা কোম্পানিগুলোর দখল প্রায় ৬৭ শতাংশ। এসএনই রিসার্চ-এর তথ্য অনুসারে, চীনের ইভি ব্যাটারি উৎপাদনশীলতা ও সরবরাহ চেইনের পরিপূর্ণতা বিশ্বজুড়ে গাড়ি নির্মাতাদের আকৃষ্ট করেছে।
তবে নতুন নিয়ন্ত্রণের ফলে চীনা ইভি নির্মাতাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বাজারগুলো চীনা গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপ করছে, যেন তারা সেখানেই উৎপাদন স্থাপন করতে বাধ্য হয়। এ অবস্থায় অনেক চীনা ব্যাটারি প্রস্তুতকারক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করতে চাচ্ছে।
চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, এই পদক্ষেপ তাদের জাতীয় অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতা উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্লেষক লিজ লি মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত প্রযুক্তিগত বিচ্ছিন্নতাকে শুধু কাঁচামালেই নয়, বরং প্রক্রিয়াগত মেধাস্বত্বেও বিস্তৃত করছে। এর ফলে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের কাঁচামাল ও ধাতব পরিশোধন সক্ষমতা গড়ে তোলার চেষ্টাও বাড়বে।
বিশ্বের বৃহত্তম ব্যাটারি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান চীনের সিএটিএল। এই প্রতিষ্ঠানের তৈরি ব্যাটারির গ্রাহকদের মধ্যে টেসলা অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে জার্মানি ও হাঙ্গেরিতে নিজস্ব প্ল্যান্ট পরিচালনা করছে। এ ছাড়া স্পেনে স্টেলান্টিস-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। আবার মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড-এর জন্য মিশিগানে নির্মাণাধীন একটি ব্যাটারি প্ল্যান্টেও তারা প্রযুক্তি সরবরাহ করছে।
অন্যদিকে, চীনা গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি ২০২৪ সালে টেসলাকে ছাড়িয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রয়ে বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এবং হাঙ্গেরি, থাইল্যান্ড, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। ‘গোশান’ নামে আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ে একটি প্ল্যান্ট নির্মাণের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
এ অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি প্রযুক্তি রপ্তানিতে চীনের নিয়ন্ত্রণ আরোপ কী প্রভাব ফেলবে তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। তবে বিশ্লেষকেরা এটাও ধারণা করছেন, এই নিয়ন্ত্রণের বেশির ভাগই আপস্ট্রিম প্রক্রিয়া প্রযুক্তির ওপর, ব্যাটারি সেল বা মডিউল উৎপাদনের ওপর নয়। সিএটিএল বা বিওয়াইডি-এর বর্তমান বিদেশি কার্যক্রমে তাৎক্ষণিক কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন নিয়ন্ত্রণে মূলত লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারির ক্যাথোড প্রযুক্তি এবং লিথিয়াম পরিশোধন ও নিষ্কাশনের প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফাস্টমার্কেটস-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে লিথিয়াম আয়রন ফসফেট উৎপাদনের ৯৪ শতাংশ এবং প্রক্রিয়াজাত লিথিয়ামের ৭০ শতাংশই চীন সরবরাহ করে।
লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারির কম খরচ এবং উচ্চ নিরাপত্তা একে সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোতে জনপ্রিয় করেছে। যদিও এই ব্যাটারির শক্তি ঘনত্ব কিছুটা কম, তবুও ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতারাও ধীরে ধীরে এটি গ্রহণ করছে।
চীনের বিওয়াইডি-এর সুপার ই-প্ল্যাটফর্ম মাত্র পাঁচ মিনিটে ২৫০ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করার চার্জ সক্ষমতা দেখিয়ে টেসলার সুপারচার্জারকে ছাড়িয়ে গেছে। সিএটিএল-ও আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে একই সময়ে ৩২০ মাইল রেঞ্জ দিতে সক্ষম একটি লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি পণ্য উন্মোচন করেছে।
বিশ্লেষকেরা মত দিয়েছেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি প্রযুক্তি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত আধিপত্য রক্ষার পাশাপাশি, বিশ্বে নিজের শক্তি আরও মজবুত করার কৌশল নিয়েছে চীন। তবে এর বাস্তবিক প্রভাব সময় যত গড়াবে তত স্পষ্ট হবে।

কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
১ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী আটক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ঠিকাদার খুঁজছে। এই পরিকল্পনায় বিশাল সব শিল্প গুদাম বা ওয়্যারহাউস সংস্কার করে একসঙ্গে ৮০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) ব্যাটারি তৈরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় বেশ কিছু প্রযুক্তিসহ লিথিয়াম প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির ওপর নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে চীন। এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক গাড়ির বৈশ্বিক শিল্পে চীনের নেতৃত্ব আরও সুসংহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
২০ জুলাই ২০২৫
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী আটক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ঠিকাদার খুঁজছে। এই পরিকল্পনায় বিশাল সব শিল্প গুদাম বা ওয়্যারহাউস সংস্কার করে একসঙ্গে ৮০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) ব্যাটারি তৈরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় বেশ কিছু প্রযুক্তিসহ লিথিয়াম প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির ওপর নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে চীন। এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক গাড়ির বৈশ্বিক শিল্পে চীনের নেতৃত্ব আরও সুসংহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
২০ জুলাই ২০২৫
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
১ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী আটক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ঠিকাদার খুঁজছে। এই পরিকল্পনায় বিশাল সব শিল্প গুদাম বা ওয়্যারহাউস সংস্কার করে একসঙ্গে ৮০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) ব্যাটারি তৈরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় বেশ কিছু প্রযুক্তিসহ লিথিয়াম প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির ওপর নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে চীন। এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক গাড়ির বৈশ্বিক শিল্পে চীনের নেতৃত্ব আরও সুসংহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
২০ জুলাই ২০২৫
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
১ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী আটক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ঠিকাদার খুঁজছে। এই পরিকল্পনায় বিশাল সব শিল্প গুদাম বা ওয়্যারহাউস সংস্কার করে একসঙ্গে ৮০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী আটক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ঠিকাদার খুঁজছে। এই পরিকল্পনায় বিশাল সব শিল্প গুদাম বা ওয়্যারহাউস সংস্কার করে একসঙ্গে ৮০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের হাতে আসা এক খসড়া প্রস্তাবনার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
বর্তমানে আটককৃতদের দেশের যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) এখন সেই পদ্ধতি বদলে একটি সুশৃঙ্খল ‘ফিডার সিস্টেম’ বা সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় যাতে দ্রুত দেশান্তর (ডিপোর্টেশন) নিশ্চিত করা যায়।
নথিতে বলা হয়েছে, নতুন গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের প্রথমে কয়েক সপ্তাহের জন্য প্রসেসিং সাইটে রাখা হবে। এরপর তাদের ৭টি বিশাল গুদামের কোনো একটিতে পাঠানো হবে, যার প্রতিটিতে ৫ থেকে ১০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা থাকবে। সেখান থেকেই মূলত তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
বিশাল এই গুদামগুলো ভার্জিনিয়া, টেক্সাস, লুইজিয়ানা, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া এবং মিজৌরির প্রধান লজিস্টিক হাবগুলোর কাছাকাছি স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া ১৬টি ছোট গুদামে দেড় হাজার করে মানুষ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র বিভাগ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র ট্রিশা ম্যাকলাফলিন জানিয়েছেন, তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারছেন না এবং গুদাম পরিকল্পনা নিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতেও রাজি হননি। তবে এর আগে এনবিসি এবং ব্লুমবার্গ নিউজ গুদামগুলোকে আটক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে আইসিই-এর অভ্যন্তরীণ আলোচনার খবর দিয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লাখ লাখ অভিবাসীকে আটক ও বিতাড়ন অভিযানের পরবর্তী পদক্ষেপ হলো এই গুদাম পরিকল্পনা। এ বছর কংগ্রেস অভিবাসীদের আটকে রাখার জন্য ৪৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। সেই অর্থ ব্যবহার করে প্রশাসন পরিত্যক্ত কারাগার সচল করেছে, সামরিক ঘাঁটির অংশ বিশেষ সংস্কার করেছে এবং রিপাবলিকান গভর্নরদের সঙ্গে মিলে দুর্গম এলাকায় অভিবাসীদের জন্য তাঁবু শিবির তৈরি করেছে।
বর্ডার জার টম হোমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন, চলতি বছর প্রশাসন ৫ লাখ ৭৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। আইসিই-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড এম লিয়নস গত এপ্রিলে এক সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘আমাদের এটাকে ব্যবসার মতো পরিচালনা করতে শিখতে হবে।’ প্রশাসনের লক্ষ্য হলো আমাজন যেভাবে তাদের প্যাকেজ পৌঁছে দেয়, ঠিক সেভাবেই অভিবাসীদের দ্রুত ফেরত পাঠানো।
তবে রিয়েল এস্টেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুদামে বিপুলসংখ্যক মানুষকে রাখা লজিস্টিক সমস্যা তৈরি করবে। এসব স্থাপনা মূলত মালামাল রাখার জন্য তৈরি, মানুষের বসবাসের জন্য নয়। সেখানে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা বা সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের অভাব থাকে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকা থেকে দূরে হওয়ায় হাজার হাজার মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা সেখানে নাও থাকতে পারে।
নিউ অরলিন্সের একজন অধিকারকর্মী তানিয়া উলফ বলেন, ‘এটি অমানবিক। মানুষকে পশুর মতো বিবেচনা করা হচ্ছে।’ আইসিই অবশ্য বলছে, তারা এই কাঠামোতে অনেক পরিবর্তন আনবে। সেখানে গোসলখানা, টয়লেট, রান্নাঘর, ডাইনিং এরিয়া, মেডিকেল ইউনিট এবং বিনোদন কেন্দ্রসহ প্রশাসনিক অফিস তৈরি করা হবে। কোনো কোনো কেন্দ্রে পরিবারের জন্য বিশেষ আবাসন ব্যবস্থাও থাকবে।
পরিকল্পিত গুদামগুলোর বেশির ভাগই রিপাবলিকান শাসিত এলাকায় হলেও দুটি বড় গুদাম ডেমোক্র্যাট শাসিত ভার্জিনিয়ার স্ট্যাফোর্ড এবং মিজৌরির ক্যানসাস সিটিতে করার কথা রয়েছে। আইসিই-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতে আটক অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৬৮ হাজারেরও বেশি, যা এযাবৎকালের রেকর্ড। তাদের মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের সাজা বা অভিযোগ নেই।
অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা বলছেন, এত বড় স্থাপনা পরিচালনা করা কঠিন হবে। বিশেষ করে প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা কর্মী ও চিকিৎসা কর্মী পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। যেমন, ফোর্ট ব্লিস সাইটে বর্তমানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা কর্মীর মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সাবেক আইসিই চিফ অব স্টাফ জেসন হাউজারের মতে, ‘গুদাম হয়তো অনেক পাওয়া যাবে, কিন্তু সেগুলো নিরাপদে চালানোর সক্ষমতা সব সময়ই জনবলের ওপর নির্ভর করে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী আটক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ঠিকাদার খুঁজছে। এই পরিকল্পনায় বিশাল সব শিল্প গুদাম বা ওয়্যারহাউস সংস্কার করে একসঙ্গে ৮০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের হাতে আসা এক খসড়া প্রস্তাবনার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
বর্তমানে আটককৃতদের দেশের যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) এখন সেই পদ্ধতি বদলে একটি সুশৃঙ্খল ‘ফিডার সিস্টেম’ বা সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় যাতে দ্রুত দেশান্তর (ডিপোর্টেশন) নিশ্চিত করা যায়।
নথিতে বলা হয়েছে, নতুন গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের প্রথমে কয়েক সপ্তাহের জন্য প্রসেসিং সাইটে রাখা হবে। এরপর তাদের ৭টি বিশাল গুদামের কোনো একটিতে পাঠানো হবে, যার প্রতিটিতে ৫ থেকে ১০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা থাকবে। সেখান থেকেই মূলত তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
বিশাল এই গুদামগুলো ভার্জিনিয়া, টেক্সাস, লুইজিয়ানা, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া এবং মিজৌরির প্রধান লজিস্টিক হাবগুলোর কাছাকাছি স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া ১৬টি ছোট গুদামে দেড় হাজার করে মানুষ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র বিভাগ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র ট্রিশা ম্যাকলাফলিন জানিয়েছেন, তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারছেন না এবং গুদাম পরিকল্পনা নিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতেও রাজি হননি। তবে এর আগে এনবিসি এবং ব্লুমবার্গ নিউজ গুদামগুলোকে আটক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে আইসিই-এর অভ্যন্তরীণ আলোচনার খবর দিয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লাখ লাখ অভিবাসীকে আটক ও বিতাড়ন অভিযানের পরবর্তী পদক্ষেপ হলো এই গুদাম পরিকল্পনা। এ বছর কংগ্রেস অভিবাসীদের আটকে রাখার জন্য ৪৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। সেই অর্থ ব্যবহার করে প্রশাসন পরিত্যক্ত কারাগার সচল করেছে, সামরিক ঘাঁটির অংশ বিশেষ সংস্কার করেছে এবং রিপাবলিকান গভর্নরদের সঙ্গে মিলে দুর্গম এলাকায় অভিবাসীদের জন্য তাঁবু শিবির তৈরি করেছে।
বর্ডার জার টম হোমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন, চলতি বছর প্রশাসন ৫ লাখ ৭৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। আইসিই-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড এম লিয়নস গত এপ্রিলে এক সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘আমাদের এটাকে ব্যবসার মতো পরিচালনা করতে শিখতে হবে।’ প্রশাসনের লক্ষ্য হলো আমাজন যেভাবে তাদের প্যাকেজ পৌঁছে দেয়, ঠিক সেভাবেই অভিবাসীদের দ্রুত ফেরত পাঠানো।
তবে রিয়েল এস্টেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুদামে বিপুলসংখ্যক মানুষকে রাখা লজিস্টিক সমস্যা তৈরি করবে। এসব স্থাপনা মূলত মালামাল রাখার জন্য তৈরি, মানুষের বসবাসের জন্য নয়। সেখানে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা বা সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের অভাব থাকে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকা থেকে দূরে হওয়ায় হাজার হাজার মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা সেখানে নাও থাকতে পারে।
নিউ অরলিন্সের একজন অধিকারকর্মী তানিয়া উলফ বলেন, ‘এটি অমানবিক। মানুষকে পশুর মতো বিবেচনা করা হচ্ছে।’ আইসিই অবশ্য বলছে, তারা এই কাঠামোতে অনেক পরিবর্তন আনবে। সেখানে গোসলখানা, টয়লেট, রান্নাঘর, ডাইনিং এরিয়া, মেডিকেল ইউনিট এবং বিনোদন কেন্দ্রসহ প্রশাসনিক অফিস তৈরি করা হবে। কোনো কোনো কেন্দ্রে পরিবারের জন্য বিশেষ আবাসন ব্যবস্থাও থাকবে।
পরিকল্পিত গুদামগুলোর বেশির ভাগই রিপাবলিকান শাসিত এলাকায় হলেও দুটি বড় গুদাম ডেমোক্র্যাট শাসিত ভার্জিনিয়ার স্ট্যাফোর্ড এবং মিজৌরির ক্যানসাস সিটিতে করার কথা রয়েছে। আইসিই-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতে আটক অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৬৮ হাজারেরও বেশি, যা এযাবৎকালের রেকর্ড। তাদের মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের সাজা বা অভিযোগ নেই।
অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা বলছেন, এত বড় স্থাপনা পরিচালনা করা কঠিন হবে। বিশেষ করে প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা কর্মী ও চিকিৎসা কর্মী পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। যেমন, ফোর্ট ব্লিস সাইটে বর্তমানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা কর্মীর মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সাবেক আইসিই চিফ অব স্টাফ জেসন হাউজারের মতে, ‘গুদাম হয়তো অনেক পাওয়া যাবে, কিন্তু সেগুলো নিরাপদে চালানোর সক্ষমতা সব সময়ই জনবলের ওপর নির্ভর করে।’

বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) ব্যাটারি তৈরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় বেশ কিছু প্রযুক্তিসহ লিথিয়াম প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির ওপর নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে চীন। এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক গাড়ির বৈশ্বিক শিল্পে চীনের নেতৃত্ব আরও সুসংহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
২০ জুলাই ২০২৫
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
১ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৩ ঘণ্টা আগে