আজকের পত্রিকা ডেস্ক
তিন সন্তানকে নিয়ে গত চার বছর ধরে নিরুদ্দেশ ছিলেন টম ফিলিপস। ধারণা করা হতো, তিনি উত্তর নিউজিল্যান্ডের গহিন বনে অবস্থান করছেন। অবশেষে নিউজিল্যান্ডের ওয়াইকাটো অঞ্চলে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন ফিলিপস। তাঁর সঙ্গে থাকা তিন সন্তানের খোঁজও মিলেছে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে একটি খামারসামগ্রীর দোকানে ডাকাতির সময় পুলিশ তাঁকে আটকাতে গেলে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
টম ফিলিপস ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তাঁর তিন সন্তান—জায়দা, ম্যাভেরিক ও অ্যাম্বারকে নিয়ে নিখোঁজ হন। তখন শিশুদের বয়স ছিল ছয় থেকে আট বছরের মধ্যে। তাঁদের খোঁজে বিশাল বনাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকায় একাধিক অভিযান চালানো হয়, কিন্তু কোনো সাফল্য মেলেনি। মাঝেমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজে বা প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে তাঁদের উপস্থিতির আভাস মিললেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
আজ সকালে পুলিশ খবর পায়, ওয়াইকাটোর পোইপোই এলাকায় একটি কৃষিসামগ্রীর দোকানে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতেরা একটি ফার্ম-বাইক নিয়ে পালাচ্ছিল। পুলিশ রাস্তায় চাকা ফুটো করার স্পাইক বিছিয়ে দিলে বাইকটি থেমে যায়। পুলিশ গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ডাকাতদের একজন গুলি চালান। এতে এক কর্মকর্তা মাথায় গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে অস্ত্রোপচারের পর তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সময় অন্য পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে নিহত হন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, নিহত সেই ব্যক্তি আর কেউ নন, তিনি টম ফিলিপস।
ঘটনাস্থল থেকে ফিলিপসের বড় মেয়ে জায়দাকে (বর্তমানে ১২ বছর) অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির সময় সে বাবার সঙ্গী হয়েছিল। পরে হেলিকপ্টার নিয়ে প্রায় ৫০ কর্মকর্তার অভিযানে অন্য দুই সন্তানেরও খোঁজ মেলে মারোকোপার প্রত্যন্ত ঝোপঝাড়ের মধ্যে একটি ক্যাম্পসাইটে। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুরা সুস্থ আছে এবং তাদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নিউজিল্যান্ড পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার জিল রজার্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, শিশুরা অক্ষত আছে। তবে তাদের দীর্ঘদিন স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বাইরে থাকার বিষয়টি উদ্বেগজনক।’ তিনি জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত না হলেও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা হচ্ছে, তিনি টম ফিলিপস। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ফিলিপসের পরিবার তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ফিলিপস নিখোঁজ থাকার সময় একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০২৩ সালে তিনি ব্যাংক ডাকাতির সময় প্রকাশ্যে গুলি চালান এবং গত আগস্টে এক মুদিদোকানে ডাকাতির ঘটনা সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। পুলিশের ধারণা, তিনি কিছু স্থানীয় মানুষের সহায়তা পেয়েছিলেন লুকিয়ে থাকতে। তাঁর অবস্থানের বিষয়ে তথ্য দিলে ৮০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু কেউ এতে সাড়া দেয়নি।
শিশুদের মা, ক্যাট, নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রায় চার বছর পর সন্তানদের ফিরে পাওয়ায় আমি গভীরভাবে স্বস্তি অনুভব করছি। প্রতিদিন তাদের ভীষণভাবে মিস করেছি। এখন ভালোবাসা ও যত্নে তাদের ঘরে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় আছি।’ তবে একই সঙ্গে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে, বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাকসন ঘটনাটিকে ‘নিউজিল্যান্ডের জন্য একটি শোকাবহ দিন’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং আহত পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
চার বছর ধরে সন্তানসহ নিখোঁজ বাবার রহস্যময় কাহিনি দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। আজকের ঘটনায় সেই অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই সময়টায় কীভাবে টম ফিলিপস তাঁর সন্তানদের নিয়ে বেঁচে ছিলেন এবং কে বা কারা তাঁকে সহযোগিতা করেছে।
তিন সন্তানকে নিয়ে গত চার বছর ধরে নিরুদ্দেশ ছিলেন টম ফিলিপস। ধারণা করা হতো, তিনি উত্তর নিউজিল্যান্ডের গহিন বনে অবস্থান করছেন। অবশেষে নিউজিল্যান্ডের ওয়াইকাটো অঞ্চলে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন ফিলিপস। তাঁর সঙ্গে থাকা তিন সন্তানের খোঁজও মিলেছে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে একটি খামারসামগ্রীর দোকানে ডাকাতির সময় পুলিশ তাঁকে আটকাতে গেলে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
টম ফিলিপস ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তাঁর তিন সন্তান—জায়দা, ম্যাভেরিক ও অ্যাম্বারকে নিয়ে নিখোঁজ হন। তখন শিশুদের বয়স ছিল ছয় থেকে আট বছরের মধ্যে। তাঁদের খোঁজে বিশাল বনাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকায় একাধিক অভিযান চালানো হয়, কিন্তু কোনো সাফল্য মেলেনি। মাঝেমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজে বা প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে তাঁদের উপস্থিতির আভাস মিললেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
আজ সকালে পুলিশ খবর পায়, ওয়াইকাটোর পোইপোই এলাকায় একটি কৃষিসামগ্রীর দোকানে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতেরা একটি ফার্ম-বাইক নিয়ে পালাচ্ছিল। পুলিশ রাস্তায় চাকা ফুটো করার স্পাইক বিছিয়ে দিলে বাইকটি থেমে যায়। পুলিশ গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ডাকাতদের একজন গুলি চালান। এতে এক কর্মকর্তা মাথায় গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে অস্ত্রোপচারের পর তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সময় অন্য পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে নিহত হন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, নিহত সেই ব্যক্তি আর কেউ নন, তিনি টম ফিলিপস।
ঘটনাস্থল থেকে ফিলিপসের বড় মেয়ে জায়দাকে (বর্তমানে ১২ বছর) অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির সময় সে বাবার সঙ্গী হয়েছিল। পরে হেলিকপ্টার নিয়ে প্রায় ৫০ কর্মকর্তার অভিযানে অন্য দুই সন্তানেরও খোঁজ মেলে মারোকোপার প্রত্যন্ত ঝোপঝাড়ের মধ্যে একটি ক্যাম্পসাইটে। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুরা সুস্থ আছে এবং তাদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নিউজিল্যান্ড পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার জিল রজার্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, শিশুরা অক্ষত আছে। তবে তাদের দীর্ঘদিন স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বাইরে থাকার বিষয়টি উদ্বেগজনক।’ তিনি জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত না হলেও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা হচ্ছে, তিনি টম ফিলিপস। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ফিলিপসের পরিবার তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ফিলিপস নিখোঁজ থাকার সময় একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০২৩ সালে তিনি ব্যাংক ডাকাতির সময় প্রকাশ্যে গুলি চালান এবং গত আগস্টে এক মুদিদোকানে ডাকাতির ঘটনা সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। পুলিশের ধারণা, তিনি কিছু স্থানীয় মানুষের সহায়তা পেয়েছিলেন লুকিয়ে থাকতে। তাঁর অবস্থানের বিষয়ে তথ্য দিলে ৮০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু কেউ এতে সাড়া দেয়নি।
শিশুদের মা, ক্যাট, নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রায় চার বছর পর সন্তানদের ফিরে পাওয়ায় আমি গভীরভাবে স্বস্তি অনুভব করছি। প্রতিদিন তাদের ভীষণভাবে মিস করেছি। এখন ভালোবাসা ও যত্নে তাদের ঘরে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় আছি।’ তবে একই সঙ্গে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে, বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাকসন ঘটনাটিকে ‘নিউজিল্যান্ডের জন্য একটি শোকাবহ দিন’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং আহত পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
চার বছর ধরে সন্তানসহ নিখোঁজ বাবার রহস্যময় কাহিনি দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। আজকের ঘটনায় সেই অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই সময়টায় কীভাবে টম ফিলিপস তাঁর সন্তানদের নিয়ে বেঁচে ছিলেন এবং কে বা কারা তাঁকে সহযোগিতা করেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ইরানিদের মাহসা আমিনির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানি মানবাধিকার কর্মী ও কানাডাভিত্তিক সংগঠক হামেদ এসমাইলিয়ন। ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী আমিনি ২০২২ সালে ইরানের নীতি-পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেন।
৩৬ মিনিট আগেনেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘিরে সহিংসতায় অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এই প্রাণহানি ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমে এক ভয়াবহ বন্দুক হামলায় ছয়জন নিহত ও অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। সোমবার সকালে (৮ সেপ্টেম্বর) শহরের উত্তর প্রান্তের রামোট জংশন এলাকায় ব্যস্ত বাসস্টপে এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনেপালে জেন-জিদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কাঠমান্ডু, সুনসারিসহ বিভিন্ন শহরে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে