পেগাসাস স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এনএসও-এর ওপর তদন্ত পরিচালনা করবে ইসরায়েলের পুলিশ। ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ জনসাধারণের ওপর নজরদারির কাজে ওই প্রতিষ্ঠানের স্পাইওয়্যার ব্যবহৃত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির পুলিশ প্রশাসন মন্ত্রী এই ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
দেশটির পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী সোমবার জানিয়েছেন, একটি রাষ্ট্রীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের তৈরি একটি সেলফোন হ্যাকিং টুল। যা কোনো ধরনের বিচারিক পরোয়ানা ছাড়াই গোয়েন্দা তথ্য হাতিয়ে নিতে ব্যবহার করা হয়। এই স্পাইওয়্যারটি নেতানিয়াহু, তাঁর এক পুত্র, দুর্নীতির অভিযোগে বিচারাধীন তাঁর দুই সহকারী এবং মামলার আরও এক আসামিসহ বেশ কয়েকজন সাক্ষীর ফোনে আড়িপাততে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে স্থানীয় এক দৈনিকে প্রকাশ পেয়েছে।
এই বিষয়ে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রী ওমের বারলেভ বলেছেন, তিনি একটি রাষ্ট্রীয় তদন্ত কমিশন গঠন করছেন বিষয়টি গভীরভাবে তলিয়ে দেখার জন্য।
তবে এনএসও জানিয়েছে, তাদের সব ধরনের বিক্রয় সরকার অনুমোদিত এবং তাঁরা নিজে পেগাসাস কখনোই ব্যবহার করে না।
এই বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বক্তৃতায় বলেছেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র ও পুলিশের ওপর বিশ্বাস হারানো উচিত নয় এবং আমরা অবশ্যই তাঁদের ওপর জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারি না। তাই এই বিষয়ে গভীর ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রয়োজন।’
পেগাসাস স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এনএসও-এর ওপর তদন্ত পরিচালনা করবে ইসরায়েলের পুলিশ। ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ জনসাধারণের ওপর নজরদারির কাজে ওই প্রতিষ্ঠানের স্পাইওয়্যার ব্যবহৃত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির পুলিশ প্রশাসন মন্ত্রী এই ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
দেশটির পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী সোমবার জানিয়েছেন, একটি রাষ্ট্রীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের তৈরি একটি সেলফোন হ্যাকিং টুল। যা কোনো ধরনের বিচারিক পরোয়ানা ছাড়াই গোয়েন্দা তথ্য হাতিয়ে নিতে ব্যবহার করা হয়। এই স্পাইওয়্যারটি নেতানিয়াহু, তাঁর এক পুত্র, দুর্নীতির অভিযোগে বিচারাধীন তাঁর দুই সহকারী এবং মামলার আরও এক আসামিসহ বেশ কয়েকজন সাক্ষীর ফোনে আড়িপাততে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে স্থানীয় এক দৈনিকে প্রকাশ পেয়েছে।
এই বিষয়ে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রী ওমের বারলেভ বলেছেন, তিনি একটি রাষ্ট্রীয় তদন্ত কমিশন গঠন করছেন বিষয়টি গভীরভাবে তলিয়ে দেখার জন্য।
তবে এনএসও জানিয়েছে, তাদের সব ধরনের বিক্রয় সরকার অনুমোদিত এবং তাঁরা নিজে পেগাসাস কখনোই ব্যবহার করে না।
এই বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বক্তৃতায় বলেছেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র ও পুলিশের ওপর বিশ্বাস হারানো উচিত নয় এবং আমরা অবশ্যই তাঁদের ওপর জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারি না। তাই এই বিষয়ে গভীর ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রয়োজন।’
জেফ্রি এপস্টেইনের কুখ্যাত যৌন পাচার চক্রের অন্যতম ভুক্তভোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর স্মৃতিকথা। ‘নোবডিজ গার্ল’ নামের এই বইটিতে ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেবিতর্কের মুখে একটি পুরোনো প্রথা বন্ধ করেছে জাপানের ডাক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ‘জাপান পোস্ট’। এই প্রথা অনুযায়ী, ছোটখাটো কোনো দুর্ঘটনা কিংবা ভুল-ভ্রান্তির জন্য জড়িত ডাক কর্মীদের মোটরসাইকেলের পরিবর্তে সাইকেলে ডেলিভারি করতে বাধ্য করা হতো।
৩ ঘণ্টা আগেমামলাটি শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালে। অভিযোগ ছিল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে এক কিশোরীর সঙ্গে এক বছরের বেশি সময় ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু আদালতে বিচার চলাকালে যে বক্তব্য ও প্রমাণ হাজির করা হয়, সেখানে শুধু ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটিই ব্যবহৃত হয়।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের কেরালার পাথানামথিট্টায় আজ বুধবার সকালে একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটল, যা মুহূর্তে সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর চার দিনের কেরালা সফরের দ্বিতীয় দিনে উদ্দেশ্য ছিল বিখ্যাত শবরিমালা মন্দির দর্শন। সূচি অনুযায়ী ঠিক করা ছিল, রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার কেরালার নীলাক্কালে অবতরণ
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
জেফ্রি এপস্টেইনের কুখ্যাত যৌন পাচার চক্রের অন্যতম ভুক্তভোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর স্মৃতিকথা। ‘নোবডিজ গার্ল’ নামের এই বইটিতে ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।
ভার্জিনিয়ার আত্মহত্যার ছয় মাস পর গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ‘নোবডিজ গার্ল’ শিরোনামের বইটি। এতে তিনি তাঁর ওপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, একসময় তিনি ভেবেছিলেন হয়তো যৌন দাসী হিসেবেই তাঁর মৃত্যু হবে। তবে ১৯ বছর বয়সেই তিনি এপস্টেইনের কবল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
বইটিতে ভার্জিনিয়া লিখেছেন, ‘তারা আমাকে অসংখ্য ধনী ও ক্ষমতাধর মানুষের হাতে তুলে দিত। আমাকে মাঝেমধ্যেই অপমান, মারধর ও রক্তাক্ত করা হতো।’
তিনি দাবি করেন, এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে অবস্থানকালে তাঁকে এমন একজন ব্যক্তির কাছে পাঠানো হয় যিনি তাঁকে সবচেয়ে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
তিনি আরও লেখেন, ‘সেই মানুষটি আমাকে একাধিকবার শ্বাসরোধ করেছিল, আমার ভয় দেখে আনন্দ পেয়েছিল। আমাকে যখন আঘাত করছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তখন ভয়ংকরভাবে হাসছিলেন।’
পরে কেঁদে কেঁদে তিনি এপস্টেইনকে অনুরোধ করেন যেন তাঁকে আর সেই ব্যক্তির কাছে না পাঠানো হয়। কিন্তু এপস্টেইন ঠান্ডা গলায় উত্তর দিয়েছিলেন, ‘এ রকমটা মাঝে মাঝে হবেই।’
বুধবার (২২ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বইটির যুক্তরাষ্ট্র সংস্করণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ‘একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রী’ বলা হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্য সংস্করণে ওই ব্যক্তিকে ‘সাবেক মন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই পার্থক্যের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
এই আত্মজীবনী প্রকাশের ফলে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ধনী ও ক্ষমতাধরদের সঙ্গে এপস্টেইনের সম্পর্ক। বিশেষ করে, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর নাম আবারও সামনে এসেছে। ভার্জিনিয়ার আগে অভিযোগ করেছিলেন, এপস্টেইন তাঁকে অ্যান্ড্রুর সঙ্গে তিনবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করেছিলেন। এর মধ্যে প্রথমবার যখন তিনি অ্যান্ড্রুর সঙ্গে মিলিত হন তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর।
অ্যান্ড্রু সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও ২০২২ সালে তিনি ভার্জিনিয়ার সঙ্গে আদালতের বাইরে মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন। ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, সেই সময়টিতে অ্যান্ড্রুর দল অনলাইনে ‘ট্রল’ ভাড়া করে তাঁকে হয়রানির চেষ্টা করেছিল।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মেইল অন সানডে’ জানিয়েছে, অ্যান্ড্রু ২০১১ সালে নিজের এক দেহরক্ষীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ভার্জিনিয়ার বিরুদ্ধে প্রমাণ খুঁজে বের করতে। এই বিষয়ে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্ত করছে।
এই স্মৃতিকথা প্রকাশের ফলে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সুনাম আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যদিও ব্রিটিশ রাজপরিবার বহু বছর ধরেই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছিল। সম্প্রতি এই কেলেঙ্কারির দায়ে রাজপরিবারের উপাধি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন অ্যান্ড্রু।
জেফ্রি এপস্টেইনের কুখ্যাত যৌন পাচার চক্রের অন্যতম ভুক্তভোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর স্মৃতিকথা। ‘নোবডিজ গার্ল’ নামের এই বইটিতে ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।
ভার্জিনিয়ার আত্মহত্যার ছয় মাস পর গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ‘নোবডিজ গার্ল’ শিরোনামের বইটি। এতে তিনি তাঁর ওপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, একসময় তিনি ভেবেছিলেন হয়তো যৌন দাসী হিসেবেই তাঁর মৃত্যু হবে। তবে ১৯ বছর বয়সেই তিনি এপস্টেইনের কবল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
বইটিতে ভার্জিনিয়া লিখেছেন, ‘তারা আমাকে অসংখ্য ধনী ও ক্ষমতাধর মানুষের হাতে তুলে দিত। আমাকে মাঝেমধ্যেই অপমান, মারধর ও রক্তাক্ত করা হতো।’
তিনি দাবি করেন, এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে অবস্থানকালে তাঁকে এমন একজন ব্যক্তির কাছে পাঠানো হয় যিনি তাঁকে সবচেয়ে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
তিনি আরও লেখেন, ‘সেই মানুষটি আমাকে একাধিকবার শ্বাসরোধ করেছিল, আমার ভয় দেখে আনন্দ পেয়েছিল। আমাকে যখন আঘাত করছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তখন ভয়ংকরভাবে হাসছিলেন।’
পরে কেঁদে কেঁদে তিনি এপস্টেইনকে অনুরোধ করেন যেন তাঁকে আর সেই ব্যক্তির কাছে না পাঠানো হয়। কিন্তু এপস্টেইন ঠান্ডা গলায় উত্তর দিয়েছিলেন, ‘এ রকমটা মাঝে মাঝে হবেই।’
বুধবার (২২ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বইটির যুক্তরাষ্ট্র সংস্করণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ‘একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রী’ বলা হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্য সংস্করণে ওই ব্যক্তিকে ‘সাবেক মন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই পার্থক্যের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
এই আত্মজীবনী প্রকাশের ফলে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ধনী ও ক্ষমতাধরদের সঙ্গে এপস্টেইনের সম্পর্ক। বিশেষ করে, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর নাম আবারও সামনে এসেছে। ভার্জিনিয়ার আগে অভিযোগ করেছিলেন, এপস্টেইন তাঁকে অ্যান্ড্রুর সঙ্গে তিনবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করেছিলেন। এর মধ্যে প্রথমবার যখন তিনি অ্যান্ড্রুর সঙ্গে মিলিত হন তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর।
অ্যান্ড্রু সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও ২০২২ সালে তিনি ভার্জিনিয়ার সঙ্গে আদালতের বাইরে মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন। ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, সেই সময়টিতে অ্যান্ড্রুর দল অনলাইনে ‘ট্রল’ ভাড়া করে তাঁকে হয়রানির চেষ্টা করেছিল।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মেইল অন সানডে’ জানিয়েছে, অ্যান্ড্রু ২০১১ সালে নিজের এক দেহরক্ষীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ভার্জিনিয়ার বিরুদ্ধে প্রমাণ খুঁজে বের করতে। এই বিষয়ে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্ত করছে।
এই স্মৃতিকথা প্রকাশের ফলে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সুনাম আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যদিও ব্রিটিশ রাজপরিবার বহু বছর ধরেই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছিল। সম্প্রতি এই কেলেঙ্কারির দায়ে রাজপরিবারের উপাধি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন অ্যান্ড্রু।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এনএসও-এর ওপর তদন্ত পরিচালনা করবে ইসরায়েলের পুলিশ। ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ জনসাধারণের ওপর নজরদারির কাজে ওই প্রতিষ্ঠানের স্পাইওয়্যার ব্যবহৃত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির পুলিশ প্রশাসন মন্ত্
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২বিতর্কের মুখে একটি পুরোনো প্রথা বন্ধ করেছে জাপানের ডাক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ‘জাপান পোস্ট’। এই প্রথা অনুযায়ী, ছোটখাটো কোনো দুর্ঘটনা কিংবা ভুল-ভ্রান্তির জন্য জড়িত ডাক কর্মীদের মোটরসাইকেলের পরিবর্তে সাইকেলে ডেলিভারি করতে বাধ্য করা হতো।
৩ ঘণ্টা আগেমামলাটি শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালে। অভিযোগ ছিল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে এক কিশোরীর সঙ্গে এক বছরের বেশি সময় ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু আদালতে বিচার চলাকালে যে বক্তব্য ও প্রমাণ হাজির করা হয়, সেখানে শুধু ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটিই ব্যবহৃত হয়।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের কেরালার পাথানামথিট্টায় আজ বুধবার সকালে একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটল, যা মুহূর্তে সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর চার দিনের কেরালা সফরের দ্বিতীয় দিনে উদ্দেশ্য ছিল বিখ্যাত শবরিমালা মন্দির দর্শন। সূচি অনুযায়ী ঠিক করা ছিল, রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার কেরালার নীলাক্কালে অবতরণ
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিতর্কের মুখে একটি পুরোনো প্রথা বন্ধ করেছে জাপানের ডাক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ‘জাপান পোস্ট’। এই প্রথা অনুযায়ী, ছোটখাটো কোনো দুর্ঘটনা কিংবা ভুল-ভ্রান্তির জন্য জড়িত ডাক কর্মীদের মোটরসাইকেলের পরিবর্তে সাইকেলে ডেলিভারি করতে বাধ্য করা হতো। এমনকি প্রচণ্ড গরম বা প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝেও এই শাস্তি দেওয়া হতো। সম্প্রতি একটি তদন্তের পর প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করেছে—এই প্রথাটি কর্মক্ষেত্রের হয়রানি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত টোকিওর এক ডাক কর্মীকে কেন্দ্র করে। গত আগস্টের শেষ দিকে পার্ক করা একটি গাড়ির কিছুটা ক্ষতি সাধন করেছিলেন তিনি। পরে এর শাস্তি হিসেবে মোটরসাইকেলের বদলে সাইকেল চালিয়ে চিঠি বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। এভাবে প্রতিদিন কয়েক ডজন কেজি ওজনের ডাক বহন করতে গিয়ে ওই কর্মী শারীরিক ও মানসিক কষ্টে ভুগেছিলেন। তাঁর এই কষ্ট গণমাধ্যমের দৃষ্টিগোচর হয় এবং তা সাধারণ মানুষও জানতে পারে।
জাপান পোস্ট তখন দাবি করেছিল, এটি শাস্তি নয় বরং ভবিষ্যতে ভুল এড়ানোর প্রশিক্ষণ। তবে পরে প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করে নেয়, শাস্তি দেওয়ার সময়টি অযৌক্তিক ছিল এবং এই নির্দেশের উদ্দেশ্যও স্পষ্ট করা হয়নি। ওই কর্মী টানা আট দিন কাজ করেন, যার মধ্যে পাঁচ দিনই তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
তীব্র জনসমালোচনার পর কোম্পানির অভ্যন্তরীণ এক নোটে বলা হয়েছে, ‘এই প্রথার কোনো কার্যকর কোনো প্রয়োজন নেই; বরং এটি হয়রানিমূলক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’
তদন্তে দেখা যায়, জাপান পোস্টের অন্যান্য শাখাতেও এই ধরনের শাস্তিমূলক সাইকেল চালানোর ঘটনা ঘটেছে এবং কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই এর বিরোধিতা করছিলেন। তিন বছর আগে একটি প্রস্তাবনাতেও এই প্রথা বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছিল, কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যে ডেলিভারি এলাকা মোটরসাইকেলের জন্য নির্ধারিত, সেখানে সাইকেল চালানো অসম্ভব। এটি নিঃসন্দেহে হয়রানি।’
এই বিষয়ে জাপান পোস্টের এক কর্মকর্তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেছেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি, অনেক সময় কর্মীদের কাছে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয় না।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ঘটনা জাপানের কর্মসংস্কৃতির গভীরে থাকা এক মানসিকতার প্রতিফলন—যেখানে ‘প্রশিক্ষণ’ বা ‘প্রেরণা’ নামের আড়ালে প্রায়ই শাস্তিমূলক আচরণ লুকিয়ে থাকে। কর্মক্ষেত্র গবেষক কানেকো মাসাওমি বলেন, ‘জাপানি কর্মসংস্কৃতি ঐতিহ্যগতভাবে অধ্যবসায়কে গুরুত্ব দেয়। কিন্তু কর্মীবান্ধব পরিবেশই শেষ পর্যন্ত কর্মদক্ষতা বাড়ায়।’
বিতর্কের মুখে একটি পুরোনো প্রথা বন্ধ করেছে জাপানের ডাক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ‘জাপান পোস্ট’। এই প্রথা অনুযায়ী, ছোটখাটো কোনো দুর্ঘটনা কিংবা ভুল-ভ্রান্তির জন্য জড়িত ডাক কর্মীদের মোটরসাইকেলের পরিবর্তে সাইকেলে ডেলিভারি করতে বাধ্য করা হতো। এমনকি প্রচণ্ড গরম বা প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝেও এই শাস্তি দেওয়া হতো। সম্প্রতি একটি তদন্তের পর প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করেছে—এই প্রথাটি কর্মক্ষেত্রের হয়রানি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত টোকিওর এক ডাক কর্মীকে কেন্দ্র করে। গত আগস্টের শেষ দিকে পার্ক করা একটি গাড়ির কিছুটা ক্ষতি সাধন করেছিলেন তিনি। পরে এর শাস্তি হিসেবে মোটরসাইকেলের বদলে সাইকেল চালিয়ে চিঠি বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। এভাবে প্রতিদিন কয়েক ডজন কেজি ওজনের ডাক বহন করতে গিয়ে ওই কর্মী শারীরিক ও মানসিক কষ্টে ভুগেছিলেন। তাঁর এই কষ্ট গণমাধ্যমের দৃষ্টিগোচর হয় এবং তা সাধারণ মানুষও জানতে পারে।
জাপান পোস্ট তখন দাবি করেছিল, এটি শাস্তি নয় বরং ভবিষ্যতে ভুল এড়ানোর প্রশিক্ষণ। তবে পরে প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করে নেয়, শাস্তি দেওয়ার সময়টি অযৌক্তিক ছিল এবং এই নির্দেশের উদ্দেশ্যও স্পষ্ট করা হয়নি। ওই কর্মী টানা আট দিন কাজ করেন, যার মধ্যে পাঁচ দিনই তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
তীব্র জনসমালোচনার পর কোম্পানির অভ্যন্তরীণ এক নোটে বলা হয়েছে, ‘এই প্রথার কোনো কার্যকর কোনো প্রয়োজন নেই; বরং এটি হয়রানিমূলক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’
তদন্তে দেখা যায়, জাপান পোস্টের অন্যান্য শাখাতেও এই ধরনের শাস্তিমূলক সাইকেল চালানোর ঘটনা ঘটেছে এবং কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই এর বিরোধিতা করছিলেন। তিন বছর আগে একটি প্রস্তাবনাতেও এই প্রথা বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছিল, কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যে ডেলিভারি এলাকা মোটরসাইকেলের জন্য নির্ধারিত, সেখানে সাইকেল চালানো অসম্ভব। এটি নিঃসন্দেহে হয়রানি।’
এই বিষয়ে জাপান পোস্টের এক কর্মকর্তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেছেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি, অনেক সময় কর্মীদের কাছে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয় না।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ঘটনা জাপানের কর্মসংস্কৃতির গভীরে থাকা এক মানসিকতার প্রতিফলন—যেখানে ‘প্রশিক্ষণ’ বা ‘প্রেরণা’ নামের আড়ালে প্রায়ই শাস্তিমূলক আচরণ লুকিয়ে থাকে। কর্মক্ষেত্র গবেষক কানেকো মাসাওমি বলেন, ‘জাপানি কর্মসংস্কৃতি ঐতিহ্যগতভাবে অধ্যবসায়কে গুরুত্ব দেয়। কিন্তু কর্মীবান্ধব পরিবেশই শেষ পর্যন্ত কর্মদক্ষতা বাড়ায়।’
পেগাসাস স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এনএসও-এর ওপর তদন্ত পরিচালনা করবে ইসরায়েলের পুলিশ। ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ জনসাধারণের ওপর নজরদারির কাজে ওই প্রতিষ্ঠানের স্পাইওয়্যার ব্যবহৃত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির পুলিশ প্রশাসন মন্ত্
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২জেফ্রি এপস্টেইনের কুখ্যাত যৌন পাচার চক্রের অন্যতম ভুক্তভোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর স্মৃতিকথা। ‘নোবডিজ গার্ল’ নামের এই বইটিতে ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেমামলাটি শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালে। অভিযোগ ছিল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে এক কিশোরীর সঙ্গে এক বছরের বেশি সময় ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু আদালতে বিচার চলাকালে যে বক্তব্য ও প্রমাণ হাজির করা হয়, সেখানে শুধু ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটিই ব্যবহৃত হয়।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের কেরালার পাথানামথিট্টায় আজ বুধবার সকালে একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটল, যা মুহূর্তে সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর চার দিনের কেরালা সফরের দ্বিতীয় দিনে উদ্দেশ্য ছিল বিখ্যাত শবরিমালা মন্দির দর্শন। সূচি অনুযায়ী ঠিক করা ছিল, রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার কেরালার নীলাক্কালে অবতরণ
৪ ঘণ্টা আগেপ্রতিনিধি কলকাতা
ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট এক রায়ে জানিয়েছেন, কেবল ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটির ব্যবহারকে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে ধরা যাবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এমন শব্দের ব্যবহার যদি প্রমাণসহ সমর্থিত না হয়, তাহলে তা ধর্ষণ বা জোরপূর্বক যৌন সম্পর্কের আইনি সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এক ব্যক্তির ১০ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করে এ রায় দেন বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির বেঞ্চ। রায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খালাসও দেওয়া হয়।
মামলাটি শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালে। অভিযোগ ছিল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে এক কিশোরীর সঙ্গে এক বছরের বেশি সময় ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু আদালতে বিচার চলাকালে যে বক্তব্য ও প্রমাণ হাজির করা হয়, সেখানে শুধু ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটিই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এর অর্থ, প্রকৃতি বা তা আদৌ যৌন নিপীড়নের পর্যায়ে পড়ে কি না, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
বিচারপতি ওহরি বলেন, এ মামলার বিশেষ প্রেক্ষাপটে ‘শারীরিক সম্পর্ক’ শব্দের ব্যবহার কোনো নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা বা প্রমাণ ছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট নয়। ধারা ৩৭৬ (ধর্ষণ) ও পকসো আইনের (শিশুদের যৌন অপরাধ থেকে সুরক্ষা আইন) ধারা ৬-এর অধীনে তাঁর দণ্ড আইনসংগত নয়।
আদালত রায়ে আরও উল্লেখ করেন, দুঃখজনক হলেও এই মামলায় প্রসিকিউশন বা নিম্ন আদালত কেউই কিশোরীকে প্রশ্ন করেনি—ঠিক কী বোঝাতে সে ‘শারীরিক সম্পর্ক’ বলেছে। ফলে আদালতের কাছে অপরাধের প্রকৃতি, জোরপূর্বক কিংবা প্রতারণার উপাদান কিছুই স্পষ্ট হয়নি। বিচারপতি বলেন, কোনো শিশুসাক্ষীর সাক্ষ্যে যদি প্রয়োজনীয় তথ্যের ঘাটতি থাকে, আদালতের দায়িত্ব সেখানে প্রশ্ন করে বিষয়টি পরিষ্কার করা। আদালত কখনোই নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, প্রসিকিউশন যদি তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করে, আদালতকে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে এসে সত্য উদ্ঘাটন করতে হবে।
রায়ে বলা হয়, শিশু ও তার অভিভাবকেরা শুধু বলেছে যে—অভিযুক্ত ব্যক্তি ‘শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন’, কিন্তু ঠিক কীভাবে বা কী ঘটেছে, এর কোনো বর্ণনা দেওয়া হয়নি। কোনো ফরেনসিক বা চিকিৎসা প্রতিবেদনও আদালতের সামনে উপস্থাপিত হয়নি। ফলে শুধু মৌখিক সাক্ষ্যেই পুরো মামলা নির্ভর করেছিল।
আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, ‘শারীরিক সম্পর্ক’ শব্দটি ভারতীয় দণ্ডবিধি বা পকসো আইনে কোথাও সংজ্ঞায়িত নয়। তাই এর ব্যাখ্যা নির্ভর করে সাক্ষীর বক্তব্যে কী বোঝানো হয়েছে, তার ওপর। যেহেতু সেই অংশ অনুপস্থিত, তাই অপরাধ প্রমাণিত বলা যাবে না। বিচারপতি ওহরি আরও বলেন, এটা দুঃখজনক, কিন্তু আদালত আবেগে নয়, প্রমাণে চলেন। তাই এ মামলায় খালাস দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
আদালত একই সঙ্গে ভবিষ্যতে তদন্ত ও বিচারকার্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনাও দেন—শিশুসাক্ষীর ক্ষেত্রে আদালতের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য, যাতে তারা যে ঘটনা বলতে চায়, তা সম্পূর্ণভাবে রেকর্ডে আসে। রায়ের পর আইনজীবী মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, এ রায় নতুন করে ধর্ষণসংক্রান্ত মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের মানদণ্ড ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে ভাবতে বাধ্য করবে। কারণ, আদালত এখানে কেবল শব্দের ব্যাখ্যা নয়, প্রমাণের গুরুত্বকেও তুলে ধরেছেন।
দিল্লি হাইকোর্টের মতে, আইনের চোখে ন্যায়বিচার মানে কেবল শাস্তি নয়, সঠিক প্রক্রিয়ার নিশ্চয়তা।
আদালত একই সঙ্গে ভবিষ্যতে তদন্ত ও বিচারকার্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনাও দেন—শিশুসাক্ষীর ক্ষেত্রে আদালতের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য, যাতে তারা যে ঘটনা বলতে চায়, তা সম্পূর্ণভাবে রেকর্ডে আসে। রায়ের পর আইনজীবী মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, এ রায় নতুন করে ধর্ষণসংক্রান্ত মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের মানদণ্ড ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে ভাবতে বাধ্য করবে। কারণ, আদালত এখানে কেবল শব্দের ব্যাখ্যা নয়, প্রমাণের গুরুত্বকেও তুলে ধরেছেন।
দিল্লি হাইকোর্টের মতে, আইনের চোখে ন্যায়বিচার মানে কেবল শাস্তি নয়, সঠিক প্রক্রিয়ার নিশ্চয়তা।
এ মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি দীর্ঘ ১০ বছর সাজাভোগের মুখে ছিলেন। কিন্তু আদালতের বিশ্লেষণে দেখা যায়, যেভাবে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তাতে অপরাধের উপাদান সম্পূর্ণ অনির্দিষ্ট রয়ে গেছে। এমনকি ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা’ অংশটিও আদালতে যথাযথ প্রমাণিত হয়নি। আদালত রায়ে আরও মনে করিয়ে দেন, শিশু বা কিশোর সাক্ষীর বয়স অনুযায়ী তার বক্তব্য বোঝার চেষ্টা করাও আদালতের দায়িত্ব। শিশুরা প্রায়ই এমন ভাষা ব্যবহার করে, যা আইনগত সংজ্ঞার সঙ্গে মেলে না। তাই তদন্ত ও বিচারকাজে সংবেদনশীলতা ও ব্যাখ্যাশক্তি দুটোই প্রয়োজন। আদালতের ভাষায়, যেখানে রাষ্ট্র নিজের পক্ষ থেকে ব্যর্থ হয়, সেখানে আদালতকে নীরব থাকা চলবে না।
ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট এক রায়ে জানিয়েছেন, কেবল ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটির ব্যবহারকে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে ধরা যাবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এমন শব্দের ব্যবহার যদি প্রমাণসহ সমর্থিত না হয়, তাহলে তা ধর্ষণ বা জোরপূর্বক যৌন সম্পর্কের আইনি সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এক ব্যক্তির ১০ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করে এ রায় দেন বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির বেঞ্চ। রায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খালাসও দেওয়া হয়।
মামলাটি শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালে। অভিযোগ ছিল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে এক কিশোরীর সঙ্গে এক বছরের বেশি সময় ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু আদালতে বিচার চলাকালে যে বক্তব্য ও প্রমাণ হাজির করা হয়, সেখানে শুধু ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটিই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এর অর্থ, প্রকৃতি বা তা আদৌ যৌন নিপীড়নের পর্যায়ে পড়ে কি না, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
বিচারপতি ওহরি বলেন, এ মামলার বিশেষ প্রেক্ষাপটে ‘শারীরিক সম্পর্ক’ শব্দের ব্যবহার কোনো নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা বা প্রমাণ ছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট নয়। ধারা ৩৭৬ (ধর্ষণ) ও পকসো আইনের (শিশুদের যৌন অপরাধ থেকে সুরক্ষা আইন) ধারা ৬-এর অধীনে তাঁর দণ্ড আইনসংগত নয়।
আদালত রায়ে আরও উল্লেখ করেন, দুঃখজনক হলেও এই মামলায় প্রসিকিউশন বা নিম্ন আদালত কেউই কিশোরীকে প্রশ্ন করেনি—ঠিক কী বোঝাতে সে ‘শারীরিক সম্পর্ক’ বলেছে। ফলে আদালতের কাছে অপরাধের প্রকৃতি, জোরপূর্বক কিংবা প্রতারণার উপাদান কিছুই স্পষ্ট হয়নি। বিচারপতি বলেন, কোনো শিশুসাক্ষীর সাক্ষ্যে যদি প্রয়োজনীয় তথ্যের ঘাটতি থাকে, আদালতের দায়িত্ব সেখানে প্রশ্ন করে বিষয়টি পরিষ্কার করা। আদালত কখনোই নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, প্রসিকিউশন যদি তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করে, আদালতকে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে এসে সত্য উদ্ঘাটন করতে হবে।
রায়ে বলা হয়, শিশু ও তার অভিভাবকেরা শুধু বলেছে যে—অভিযুক্ত ব্যক্তি ‘শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন’, কিন্তু ঠিক কীভাবে বা কী ঘটেছে, এর কোনো বর্ণনা দেওয়া হয়নি। কোনো ফরেনসিক বা চিকিৎসা প্রতিবেদনও আদালতের সামনে উপস্থাপিত হয়নি। ফলে শুধু মৌখিক সাক্ষ্যেই পুরো মামলা নির্ভর করেছিল।
আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, ‘শারীরিক সম্পর্ক’ শব্দটি ভারতীয় দণ্ডবিধি বা পকসো আইনে কোথাও সংজ্ঞায়িত নয়। তাই এর ব্যাখ্যা নির্ভর করে সাক্ষীর বক্তব্যে কী বোঝানো হয়েছে, তার ওপর। যেহেতু সেই অংশ অনুপস্থিত, তাই অপরাধ প্রমাণিত বলা যাবে না। বিচারপতি ওহরি আরও বলেন, এটা দুঃখজনক, কিন্তু আদালত আবেগে নয়, প্রমাণে চলেন। তাই এ মামলায় খালাস দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
আদালত একই সঙ্গে ভবিষ্যতে তদন্ত ও বিচারকার্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনাও দেন—শিশুসাক্ষীর ক্ষেত্রে আদালতের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য, যাতে তারা যে ঘটনা বলতে চায়, তা সম্পূর্ণভাবে রেকর্ডে আসে। রায়ের পর আইনজীবী মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, এ রায় নতুন করে ধর্ষণসংক্রান্ত মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের মানদণ্ড ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে ভাবতে বাধ্য করবে। কারণ, আদালত এখানে কেবল শব্দের ব্যাখ্যা নয়, প্রমাণের গুরুত্বকেও তুলে ধরেছেন।
দিল্লি হাইকোর্টের মতে, আইনের চোখে ন্যায়বিচার মানে কেবল শাস্তি নয়, সঠিক প্রক্রিয়ার নিশ্চয়তা।
আদালত একই সঙ্গে ভবিষ্যতে তদন্ত ও বিচারকার্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনাও দেন—শিশুসাক্ষীর ক্ষেত্রে আদালতের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য, যাতে তারা যে ঘটনা বলতে চায়, তা সম্পূর্ণভাবে রেকর্ডে আসে। রায়ের পর আইনজীবী মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, এ রায় নতুন করে ধর্ষণসংক্রান্ত মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের মানদণ্ড ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে ভাবতে বাধ্য করবে। কারণ, আদালত এখানে কেবল শব্দের ব্যাখ্যা নয়, প্রমাণের গুরুত্বকেও তুলে ধরেছেন।
দিল্লি হাইকোর্টের মতে, আইনের চোখে ন্যায়বিচার মানে কেবল শাস্তি নয়, সঠিক প্রক্রিয়ার নিশ্চয়তা।
এ মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি দীর্ঘ ১০ বছর সাজাভোগের মুখে ছিলেন। কিন্তু আদালতের বিশ্লেষণে দেখা যায়, যেভাবে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তাতে অপরাধের উপাদান সম্পূর্ণ অনির্দিষ্ট রয়ে গেছে। এমনকি ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা’ অংশটিও আদালতে যথাযথ প্রমাণিত হয়নি। আদালত রায়ে আরও মনে করিয়ে দেন, শিশু বা কিশোর সাক্ষীর বয়স অনুযায়ী তার বক্তব্য বোঝার চেষ্টা করাও আদালতের দায়িত্ব। শিশুরা প্রায়ই এমন ভাষা ব্যবহার করে, যা আইনগত সংজ্ঞার সঙ্গে মেলে না। তাই তদন্ত ও বিচারকাজে সংবেদনশীলতা ও ব্যাখ্যাশক্তি দুটোই প্রয়োজন। আদালতের ভাষায়, যেখানে রাষ্ট্র নিজের পক্ষ থেকে ব্যর্থ হয়, সেখানে আদালতকে নীরব থাকা চলবে না।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এনএসও-এর ওপর তদন্ত পরিচালনা করবে ইসরায়েলের পুলিশ। ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ জনসাধারণের ওপর নজরদারির কাজে ওই প্রতিষ্ঠানের স্পাইওয়্যার ব্যবহৃত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির পুলিশ প্রশাসন মন্ত্
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২জেফ্রি এপস্টেইনের কুখ্যাত যৌন পাচার চক্রের অন্যতম ভুক্তভোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর স্মৃতিকথা। ‘নোবডিজ গার্ল’ নামের এই বইটিতে ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেবিতর্কের মুখে একটি পুরোনো প্রথা বন্ধ করেছে জাপানের ডাক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ‘জাপান পোস্ট’। এই প্রথা অনুযায়ী, ছোটখাটো কোনো দুর্ঘটনা কিংবা ভুল-ভ্রান্তির জন্য জড়িত ডাক কর্মীদের মোটরসাইকেলের পরিবর্তে সাইকেলে ডেলিভারি করতে বাধ্য করা হতো।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের কেরালার পাথানামথিট্টায় আজ বুধবার সকালে একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটল, যা মুহূর্তে সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর চার দিনের কেরালা সফরের দ্বিতীয় দিনে উদ্দেশ্য ছিল বিখ্যাত শবরিমালা মন্দির দর্শন। সূচি অনুযায়ী ঠিক করা ছিল, রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার কেরালার নীলাক্কালে অবতরণ
৪ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের কেরালার পাথানামথিট্টায় আজ বুধবার সকালে একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে, যা মুহূর্তে সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর চার দিনের কেরালা সফরের দ্বিতীয় দিনে উদ্দেশ্য ছিল বিখ্যাত শবরিমালা মন্দির দর্শন। সূচি অনুযায়ী ঠিক করা ছিল রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার কেরালার নীলাক্কালে অবতরণ করবে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে শেষ মুহূর্তে নির্ধারিত স্থান নীলাক্কাল থেকে বদলে প্রমাদমের রাজীব গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে বেছে নেওয়া হয়।
এ জন্য গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে তড়িঘড়ি করে প্রমাদমের রাজীব গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি নতুন কংক্রিট হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু নামার পরপরই ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। হেলিকপ্টারের একটি চাকা সদ্য ঢালাই দেওয়া কংক্রিটের দুর্বল অংশে আটকে যায় এবং নিচের মাটি বসে গিয়ে ছোট গর্ত তৈরি হয়। পরে আশপাশে উপস্থিত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও নিরাপত্তাকর্মীরা তৎক্ষণাৎ এগিয়ে এসে ঠেলাঠেলি করে সেই চাকা গর্ত থেকে বের করে আনেন।
টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, হেলিকপ্টারটি স্থির অবস্থায় রয়েছে, চাকা আধা বসা অবস্থায় আর চারদিক থেকে কয়েকজন কর্মী ঠেলে সেটিকে ওপরে তোলার চেষ্টা করছেন।
নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দাবি, হেলিপ্যাডের কংক্রিট পুরোপুরি শুকায়নি, ফলে চাকার নিচের অংশ বসে গিয়েছিল। তবে স্বস্তির খবর, রাষ্ট্রপতি বা তাঁর সঙ্গে থাকা কেউ আহত হননি এবং সফরসূচিও ব্যাহত হয়নি। হেলিকপ্টার থেকে নামার পর রাষ্ট্রপতি মুর্মু নির্ধারিত সড়কপথে পাম্বার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে অবতরণের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছিল। তবে প্রশ্ন উঠেছে, রাষ্ট্রপতির মতো উচ্চ নিরাপত্তার ব্যক্তির সফরে কীভাবে এমন ত্রুটি ঘটল? প্রশাসনিক গাফিলতি নাকি সময়ের চাপে তৈরি হেলিপ্যাডের গুণগত ত্রুটি—তা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা শেষ মুহূর্তে জায়গা বদল করি, রাতে দ্রুত হেলিপ্যাড বানানো হয়, কিন্তু কংক্রিট পুরোপুরি শক্ত হয়নি, তাই এ রকম সমস্যা হয়েছে।’
প্রমাদমের বাসিন্দারা জানান, হেলিকপ্টার ঠেলে তুলতে পুলিশ-ফায়ার সার্ভিসের ছোটাছুটি দেখে তাঁরা অবাক হয়েছেন। তবে জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিতভাবে চলেছে এবং রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি হয়নি।
ভারতের কেরালার পাথানামথিট্টায় আজ বুধবার সকালে একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে, যা মুহূর্তে সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর চার দিনের কেরালা সফরের দ্বিতীয় দিনে উদ্দেশ্য ছিল বিখ্যাত শবরিমালা মন্দির দর্শন। সূচি অনুযায়ী ঠিক করা ছিল রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার কেরালার নীলাক্কালে অবতরণ করবে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে শেষ মুহূর্তে নির্ধারিত স্থান নীলাক্কাল থেকে বদলে প্রমাদমের রাজীব গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে বেছে নেওয়া হয়।
এ জন্য গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে তড়িঘড়ি করে প্রমাদমের রাজীব গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি নতুন কংক্রিট হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু নামার পরপরই ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। হেলিকপ্টারের একটি চাকা সদ্য ঢালাই দেওয়া কংক্রিটের দুর্বল অংশে আটকে যায় এবং নিচের মাটি বসে গিয়ে ছোট গর্ত তৈরি হয়। পরে আশপাশে উপস্থিত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও নিরাপত্তাকর্মীরা তৎক্ষণাৎ এগিয়ে এসে ঠেলাঠেলি করে সেই চাকা গর্ত থেকে বের করে আনেন।
টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, হেলিকপ্টারটি স্থির অবস্থায় রয়েছে, চাকা আধা বসা অবস্থায় আর চারদিক থেকে কয়েকজন কর্মী ঠেলে সেটিকে ওপরে তোলার চেষ্টা করছেন।
নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দাবি, হেলিপ্যাডের কংক্রিট পুরোপুরি শুকায়নি, ফলে চাকার নিচের অংশ বসে গিয়েছিল। তবে স্বস্তির খবর, রাষ্ট্রপতি বা তাঁর সঙ্গে থাকা কেউ আহত হননি এবং সফরসূচিও ব্যাহত হয়নি। হেলিকপ্টার থেকে নামার পর রাষ্ট্রপতি মুর্মু নির্ধারিত সড়কপথে পাম্বার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে অবতরণের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছিল। তবে প্রশ্ন উঠেছে, রাষ্ট্রপতির মতো উচ্চ নিরাপত্তার ব্যক্তির সফরে কীভাবে এমন ত্রুটি ঘটল? প্রশাসনিক গাফিলতি নাকি সময়ের চাপে তৈরি হেলিপ্যাডের গুণগত ত্রুটি—তা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা শেষ মুহূর্তে জায়গা বদল করি, রাতে দ্রুত হেলিপ্যাড বানানো হয়, কিন্তু কংক্রিট পুরোপুরি শক্ত হয়নি, তাই এ রকম সমস্যা হয়েছে।’
প্রমাদমের বাসিন্দারা জানান, হেলিকপ্টার ঠেলে তুলতে পুলিশ-ফায়ার সার্ভিসের ছোটাছুটি দেখে তাঁরা অবাক হয়েছেন। তবে জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিতভাবে চলেছে এবং রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি হয়নি।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এনএসও-এর ওপর তদন্ত পরিচালনা করবে ইসরায়েলের পুলিশ। ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ জনসাধারণের ওপর নজরদারির কাজে ওই প্রতিষ্ঠানের স্পাইওয়্যার ব্যবহৃত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির পুলিশ প্রশাসন মন্ত্
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২জেফ্রি এপস্টেইনের কুখ্যাত যৌন পাচার চক্রের অন্যতম ভুক্তভোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর স্মৃতিকথা। ‘নোবডিজ গার্ল’ নামের এই বইটিতে ভার্জিনিয়া দাবি করেছেন, একজন প্রখ্যাত প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেবিতর্কের মুখে একটি পুরোনো প্রথা বন্ধ করেছে জাপানের ডাক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ‘জাপান পোস্ট’। এই প্রথা অনুযায়ী, ছোটখাটো কোনো দুর্ঘটনা কিংবা ভুল-ভ্রান্তির জন্য জড়িত ডাক কর্মীদের মোটরসাইকেলের পরিবর্তে সাইকেলে ডেলিভারি করতে বাধ্য করা হতো।
৩ ঘণ্টা আগেমামলাটি শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালে। অভিযোগ ছিল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে এক কিশোরীর সঙ্গে এক বছরের বেশি সময় ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু আদালতে বিচার চলাকালে যে বক্তব্য ও প্রমাণ হাজির করা হয়, সেখানে শুধু ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটিই ব্যবহৃত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে